Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

সংরক্ষিত নারী আসনের ভোট ১৪ মার্চ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ১৬০জন দেখেছেন

Image

আগামী ১৪ মার্চ দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সংরক্ষিত নারী আসনে ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী সংরক্ষিত নারী আসনে ভোটগ্রহণ হবে আগামী ১৪ মার্চ।

এদিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কমিশন বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে তফসিল ঘোষণা করেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

তফসিলে বলা হয়েছে, সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৮ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি, আপিল করা যাবে ২২ ফেব্রুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ২৪ ফেব্রুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ২৫ ফেব্রুয়ারি, প্রতীক বরাদ্দ হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি। আর ভোটগ্রহণ হবে ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ১৪ দলের শরিকদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে সংসদে সংরক্ষিত ৪৮টি নারী আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এবং স্বতন্ত্রদের সমর্থন তাদের সঙ্গে রয়েছে।


আরও খবর



ডেমরায় জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃরাজধানীর ডেমরা থানাধীন ৬৬ নং ওয়ার্ডের ভুট্টোচত্বর এলাকায় দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছরের পুরনো একটি রাস্তা বন্ধ করে উঁচু দেয়াল নির্মাণ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর ব্যানারে শনিবার সকাল ১১ টায় ঐ রাস্তার সামনে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর নারী পুরুষ মানববন্ধনে অংশ নেন।

এ সময় তারা বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের মাঝখানে দেয়াল তুলে সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে লিপি আক্তার নামে এক নারী। এতে প্রায় ৪০ পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে স্কুল পড়ুয়া সন্তানদের নিয়ে পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে। এলাকার বাসিন্দাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অবিলম্বে এই সড়কের মাঝে উত্তোলন করা দেয়াল ভেঙে সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তা উম্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি জানান তারা। অবিলম্বে এই সড়কটি অবমুক্ত করে দেওয়া না হলে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি সহ ওয়াসার খাবার পানি সরবরাহ বিঘ্নিত হবে, সুয়ারেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো অবিলম্বে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং ঢাকা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করার ঘোষণা দিয়েছেন। এবং এ বিষয়ে ভবিষ্যতে বৃহত্তম কর্মসূচি পালন করারও ঘোষণা দেন তারা।

মানববন্ধন থেকে স্থানীয় ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মশিউর রহমান মোল্লা সজল এবং ডেমরা থানা অফিসার ইনচার্জ জহিরুল ইসলামকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

উল্লেখ থাকে যে গত ২০০৯ সালে মাতুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন মিয়ার উদ্যোগে স্থানীয় শহীদ কন্ট্রাকটার কে সাথে নিয়ে জনসাধারণের চলাচলের জন্য ১২ ফুট রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়। মাতুয়াইল নিউটাউনের গুগল ম্যাপে রাস্তাটি দৃশ্যমান আছে। লিপি আক্তার নামে একজন মহিলা প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থেকে গত কয়েকদিন আগে টিনের ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তার উপরে উঁচু দেয়াল নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। রাস্তাটি দেয়াল তুলে বন্ধ করে দেয়ায় ভুক্তভোগী চল্লিশটি পরিবার বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এই রাস্তার নিচ দিয়ে স্থানীয়দের গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রতিষ্ঠান ওয়াসার পানির পাইপ পয়ঃনিষ্কাশনের সুয়ারেজ লাইন স্থাপন করা হয়েছে। এ রাস্তাটি এই চল্লিশটি পরিবারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এ রাস্তার ভেতরে বেশকিছু বহুতল ভবন অবস্থিত যেখানে শত শত যানবাহনও চলাচল করে আসছিল দীর্ঘদিন যাবৎ। এছাড়াও বর্তমানে আরো কিছু বহুতল ভবন নির্মাণাধীন অবস্থায় আছে।ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর পক্ষে আব্দুল কাদের নামক একজন এ বিষয়ে ডেমরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

রাস্তা খুলে দেওয়ার দাবিতে ভুক্তভোগীরা কয়েক দফা প্রতিবাদ করেছে। সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের  ৬৬নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরকেও বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।

বাদশামিয়া রোড সংলগ্ন ভুট্টো চত্বর এলাকার আয়েশা  হক ট্রেড সেন্টার সংলগ্ন এলাকায় জনৈক লিপি আক্তার চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সড়কের প্রধান প্রবেশদ্বারে উঁচু দেয়াল তুলে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। লিপি আক্তার সন্ত্রাসীদের দাঁড় করিয়ে রেখে সশস্ত্র মহড়া দিয়ে ভয়-ভীতি সৃষ্টি করে এই স্থানে উচু প্রাচীর নির্মাণ করে। লিপি আক্তারের মা আয়েশা খাতুন ২০০৯ সালে এই জায়গাটি রাস্তার জন্য ছেড়ে দেয়। লিপি আক্তারের মা একই খতিয়ানভুক্ত এই জমি সহ আশেপাশের বিভিন্ন জমি এসব ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর কাছে বিক্রয় করেন। সেই সময় এই রাস্তাটিকেই চলাচলের রাস্তা হিসেবে দলিলে দেখানো হয়েছিল।সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রে রাস্তাটি দৃশ্যমান আছে। লিপি আক্তার ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে ও রাস্তা বন্ধের প্রতিবাদ করতে আসা লোকজনকে কাপড় উঁচিয়ে নারী নির্যাতন মামলার ভয় ভীতি দেখিয়ে দমন করার চেষ্টা করছে বলেও জানান তারা।


আরও খবর



আমতলীতে সামাজিক সম্প্রীতি বিষয়ক যুব সমাবেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৬৩জন দেখেছেন

Image

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:আমতলীতে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সামাজিক সম্প্রীতি বিষয়ক যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ্যাকশন এইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় নজরুল স্মৃতি সংসদ (এনএসএস) এ সমাবেশের আয়োজন করে।

এনএসএস প্রশিক্ষন কেন্দ্রে প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. তানজিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আমতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট এমএকাদের মিয়া। সভায় বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক মো. জাকির হোসেন, মো. জহিরুল ইসলাম , এ্যাকশন এইড বাংলাদেশ এর অরিখ চক্রবর্তী ও তৃতীয় লিঙ্গের স্বপ্না বেগম প্রমুখ। সমাবেশে তৃতীয় লিঙ্গের ২জনসহ এবং বিভিন্ন ধর্মের মোট ৪৫ জন যুবরা অংশগ্রহন করেন।

আমতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট এমএকাদের মিয়া তার বক্তৃতায় বলেন, আমতলী উপজেলায় সম্প্রীতি কমিটি যদি গঠন করা না হয় তাহলে দ্রুতই এ কমিটি গঠন করা হবে এবং সেখানে যুব এবং ক্ষুদ্র নৃতাত্তিক গোঠির মানুষকে অন্তর্ভক্ত করা হবে।


আরও খবর

ভোলায় ইস্তিস্কার নামাজ অনুষ্ঠিত

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




মহান মে দিবস, বঙ্গবন্ধু ও শ্রমিক অধিকার

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৫৮জন দেখেছেন

Image

লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল ॥১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস, যা বিশ্ব পরিমন্ডলে ‘মহান মে দিবস’ বা শ্রমিক দিবস হিসেবে গুরুত্বসহকারে পালন করা হয়। বিশ্বের শ্রমজীবী-কর্মজীবী, পেশাজীবী, মেহনতি মানুষের ঐক্য, সংহতি, সংগ্রাম, সাফল্য ও বিজয়ের দিন মহান মে দিবস। মে দিবস এলেই আমাদের সামনে ভেসে ওঠে ঘর্মাক্ত মেহনতি-শ্রমজীবী মানুষের প্রতিচ্ছবি। আর এই শ্রমজীবী মানুষের অধিকারের প্রশ্নটিও সাথে সাথে উঠে আসে এই ঐতিহাসিক দিনে। এই দিবসের তাৎপর্য অনেক, এর পেছনে রয়েছে একটি রক্তস্নাত ইতিহাস। ১৮৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে আট ঘণ্টা শ্রম দিবস, মজুরী বৃদ্ধি, কাজের উন্নতর পরিবেশ ও শ্রমের ন্যায্য দাবি প্রতিষ্ঠা করার আন্দোলনে আত্মহুতি দান করেছিলেন শ্রমিকরা, ১ মে তারিখে বিভিন্ন দাবিতে ধর্মঘট সমাবেশে পুলিশের গুলি বর্ষণে ৬ জন শ্রমিক প্রাণ হারায়। এর প্রতিবাদে পরদিন হে মার্কেটে শ্রমিকরা মিলিত হলে কারখানার মালিকরা সেখানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় এবং এতে ৪ শ্রমিক নিহত হয়। শ্রমিকদের নিয়ে আন্দোলন করার দায়ে অগস্ট স্পাইস নামে এক শ্রমিক নেতাকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়। ১৮৮৯ সালের ১৪ জুলাই অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল সোশ্যালিষ্ট কংগ্রেসে ১ মে শ্রমিক দিবস হিসেবে ঘোষিত হয় এবং তখন থেকে অনেক দেশে দিনটি শ্রমিক শ্রেণী কর্তৃক উদযাপিত হয়ে আসছে।

রাশিয়া এবং পরবর্তীতে আরো কয়েকটি দেশে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সংগঠিত হবার পর মে দিবস এক বিশেষ তাৎপর্য অর্জন করে। জাতিসংঘের একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক শাখা হিসেবে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ইন্টারন্যাশনাল লেবার অরগানাইজেশন বা আইএলও) প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের অধিকার সমূহ স্বীকৃতি লাভ করে। আইএলও কতগুলো নিয়মকানুন প্রতিষ্ঠা করে এবং সকল দেশের শিল্প মালিক ও শ্রমিকদের তা মেনে চলার আহ্বান জানায় এবং এভাবে শ্রমিক ও মালিকদের অধিকার সংরক্ষণ করার চেষ্টা করে। বাংলাদেশ আইএলও কর্তৃক প্রণীত নীতিমালায় স্বাক্ষরকারী একটি দেশ। বাংলাদেশে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মাধ্যমে মে দিবস পালিত হয়ে আসছে।
রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান, বিরোধীদলীয় নেতা এবং সংশ্লিষ্ট শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বাণী দিয়ে থাকেন। মে দিবসের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার জন্যে সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র বা প্রবন্ধ কিংবা বিশেষ নিবন্ধন প্রকাশ করে। মাথায় রঙ-বেরঙের কাপড় বেধে নানা রঙের ফেস্টুনসহ শ্রমিকরা মিছিল শোভাযাত্রা বের করে, বেতার ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বিশেষ অনুষ্ঠানাদির ব্যবস্থা করে। বাংলাদেশে বিভিন্ন পেশাজীবী, শ্রমজীবী এবং সামাজিক -সাংস্কৃতিক ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো নানা আয়োজনের মাধ্যমে দিবসটি পালন করে থাকে। দেশের সংবাদপত্র ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এই সকল সভা-সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামের খবর গুরুত্বসহকারে প্রচার করে থাকে। বাংলাদেশ মে দিবস পালনের ক্ষেত্রে মোটেও পিছিয়ে নেই। এ দেশে ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯৩৮ সালে নারায়ণগঞ্জে প্রথম মে দিবস পালিত হয়। তারপর পাকিস্তান আমলেও মে দিবস যথেষ্ট উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে হাজার হাজার শ্রমিক অংশগ্রহণ করে এবং দেশ মাতৃকার জন্যে শহীদ হয়।

১৯৭২ সালে ১ মে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১ মে-কে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা সহ রাষ্ট্রপতি আদেশ ২৭(ক) ধারা মোতাবেক এদেশের সকল ব্যাংক, বীমা, শিল্প- কলকারখানা, রেল, নৌ-পরিবহনসহ  বৈদেশিক বাণিজ্যের সিংহভাগ রাষ্ট্রায়ত্ব ঘোষণা করেন। ফলে এর সুফলও ঐ সকল শিল্প কলকারখানায় কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীগণ ভোগ করতে থাকেন। সরকার নীট মুনাফার ৫% শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে সমহারে বন্টনের ঘোষণা দেয়, ফলে বেশ কিছু শিল্পে উৎপাদন ও মুনাফা যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু পরিতাপের বিষয় যে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডের পর জেনারেল জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে ১৯৭৭সালে প্রথম পাকিস্তানী অবাঙালিদের রেখে যাওয়া কিছু কিছু শিল্প কলকারখানা ব্যক্তি মালিকানায় দেওয়া শুরু করেন, পরবর্তীতে জেনারেল এরশাদ ও বেগম খালেদা জিয়ার সরকার কম-বেশী সবাই ব্যক্তি মালিকানায় মিল কলকারখানা হস্তান্তর করেন। আটের দশকের শেষের দিকে পূর্ব-ইউরোপে সমাজতন্ত্রের পতনের পর তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো অতিদ্রুত সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক কর্মসূচী পরিত্যাগ করে বাজার অর্থনীতি তথা মুক্তবাজার অর্থনীতি রাষ্ট্রীয় পলিসি হিসেবে ঘোষণা করেন।

এই সব কারণে একদিকে যেমন শোষণ- নির্যাতন বেড়েছে অপর দিকে ব্যক্তির লুটপাটে পানির দামে ক্রয়কৃত চালু মিল কলকারখানাগুলো একে একে বন্ধ হয়ে গেছে। দেশ আজ আমদানি নির্ভর একটি সিন্ডিকেট চক্রের হাতে জিম্মি । বাংলাদেশে আজ শ্রমিকদের অবস্থা খুবই নাজুক । নারী-পুরুষের মুজুরী  বৈষম্যতো আছেই, এছাড়াও প্রায় সকল সেক্টরে ৮ ঘন্টার বেশী শ্রম দিতে হয়। হোটেল- রেস্তোরায় ও পরিবহন সেক্টরে ভোর ৬ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত শ্রমিক খাটানো হয়, তারপরও নেই কোন নিয়োগপত্র, নেই কোন মজুরী কাঠামো, নেই কোন উৎসব ভাতা কিংবা চিকিৎসাভাতা, এই সব সেক্টরে অধিকাংশ শিশু শ্রমিক নিয়োজিত আছে। দেশের তৈরী পোশাকশিল্প , চাউলের কল, চাতাল, চিংড়ী ঘের ও কৃষি কাজে হাজার হাজার নারী ও পুরুষ শ্রমিক কর্মরত আছে। এখানেও তাদের নেই কোন মজুরী কাঠামো বা নির্ধারিত শ্রম ঘন্টা অথবা কর্মের উপযুক্ত পরিবেশ, এমনকি শ্রমিকদের নেই নিজের জীবনের নূন্যতম নিরাপত্তা, অথচ তাঁরাই নিজের শ্রম দিয়ে, ঘাম দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা চালু রেখেছেন। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে শ্রমিক হত্যাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ১,৫০০ শ্রমিক নিহত এবং দুইসহস্রাধিক শ্রমিক আহত হয়ে পঙ্গুবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। বাহ্যিকভাবে এটি দুর্ঘটনা। একটি ভবন ধসে লোক হতাহত হয়েছেন।

আসলে এটা কি শুধুই দুর্ঘটনা? কথিত দুর্ঘটনার আগের দিন ভবনটিতে ভয়াবহ ফাটল দেখা যায়। লোকজন ভবন ছেড়ে চলে যায়। পরের দিন ভবনে অবস্থিত কয়েকটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান দুর্ঘটনার আশংকায় খোলেনি। সেখানে গার্মেন্টস শিল্পে কাজ করার জন্যে প্রায় ৪ হাজার শ্রমিককে চাকরির ভয়ভীতি দেখিয়ে ঐ ভবনের ভেতরে নেয়া হয়। তারপর এই দুর্ঘটনা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভবনটি বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করে সিলগালা করে বন্ধ করতে অসুবিধা কোথায় ছিল? ভবনটি নির্মাণে রাজউকের কোন অনুমোদন ছিল না। ভবন মালিক পৌরসভা থেকে ছয় তলা করার অনুমোদন নিয়ে, সেখানে নয় তলা ভবন তৈরী করলো কিভাবে? এই ভবন ধসের বিষয়টি মানবসৃষ্ট, কাজেই এই বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি নিছক দুর্ঘটনা নয়, ইহা হত্যাকান্ড। ফলে ভবন মালিক সোহেল রানাসহ দায়ী সব পোশাক শিল্পের মালিকদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে শ্রমিক হত্যার জন্য দায়ী পোশাক শিল্পের মালিকদের বাঁচানোর যে চেষ্টা অতীতে বিজিএমইএ করে এসেছে, তা থেকে তারা সরে আসবে বলে আশা করছি। দেশের তৈরী পোশাকশিল্প খাতকে বাঁচানোর স্বার্থেই এটা করতে হবে।কর্মস্থলে শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। রানা প্লাজা হতাহত শ্রমিকদের অনেকেই আজও তাদের ক্ষতিপূরণ পায়নি।

এমনকি নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনরা শত চেষ্টা করেও খোঁজ কিংবা নিহত শ্রমিকের লাশও পায়নি। এই ভবন ধসের ঘটনার অভিজ্ঞতা নিয়ে অনুরূপ ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি অন্যান্য কারখানায় না ঘটে সেরকম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করা হয়নি।

মহান মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম-আন্দোলনে বাংলাদেশের শ্রমিকদের আত্মত্যাগ ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে আছে। বাংলাদেশের শ্রমক্ষেত্রে যত আইন, নীতি, বিধি-বিধান ও নীতিমালা রয়েছে তা মূলত দেশের শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষা তথা শ্রমক্ষেত্রে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা  ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্যে প্রণয়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শ্রমিজীবী মানুষের অবদান সবচেয়ে বেশী। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে শ্রমিকদের একাগ্রতা ও শ্রমিক-মালিকের পারস্পরিক সুসম্পর্ক অপরিহার্য। টেকসই উন্নয়ন ও শিল্প-বাণিজ্য খাতে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও তাদের ন্যায্য অধিকারসমূহ নিশ্চিত করতে হবে।


আরও খবর



কেএনএফের সহযোগী লিয়ান বম গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | ১৪১জন দেখেছেন

Image

বুধবার (১০ এপ্রিল) বান্দরবানের রুমার বেথেলপাড়া থেকে,পাহাড়ের সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) এক সহযোগী লাল লিয়ান সিয়াম বম (৬৫) নামে এই কেএনএফ উপদেষ্টাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার শাহিন সৈকত এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, কুকি-চিনের ‘গুরু’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন লাল লিয়ান। এ নিয়ে বান্দরবানের যৌথ বাহিনীর অভিযানে মোট ৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

প্রসঙ্গত, গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ, টাকা লুট ও পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ব্যাংক ব্যবস্থাপক উদ্ধার হলেও লুট হওয়া অস্ত্র ও টাকা উদ্ধার করা যায়নি।

এ ঘটনার পর বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। অভিযানে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আমর্ড পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা একসঙ্গে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।


আরও খবর



ছয়মাস আগেই জানা যাবে বন্যার আগাম পরিস্থিতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ২৯৪জন দেখেছেন

Image

মিঠুন দাস মিঠু, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, নিটার:বাংলাদেশের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও কুড়িগ্রামসহ উওর-পূর্বাচঞ্চলের জেলাগুলো গতবছরের মে-জুনে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার স্বীকার হয়। পাহাড়ি ঢল ও অতি ভারী বৃষ্টিতে নদনদী ও হাওরের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে এবং পানিবন্দি হয়ে পড়ে সিলেট-সুনামগঞ্জের প্রায় ৪০ লাখ মানুষ। সম্প্রতি, সেই বন্যা পরিস্থিতির আগাম সংবাদ ছয়মাস পূর্বেই জানার এক প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেছেন সাভারে জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-নিটার এর শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সমন্বিত একটি দল।

ভয়াবহ এ বন্যার পিছনে বেশকিছু কারণকে দায়ী করা হয় এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণগুলো: অস্বাভাবিক জলবায়ু পরিবর্তন, ভারতের ইচ্ছেমতো বাধ ব্যবহার, পানি-পলি ব্যবস্থায় অব্যবস্থাপনা,  অপরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ, নদীদখল ও যত্রতত্র বালু উওোলন।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে ভারতের চেরাপুঞ্জি অঞ্চলে। বঙ্গোপসাগরে থেকে আসা জলীয় বাষ্প মেঘালয়ের পাহাড়ের সাথে ধাক্কা লেগে ওপরে উঠে যায় এবং পরবর্তীতে ভারী হয়ে বৃষ্টি আকারে পড়তে শুরু করে। অন্যদিকে, সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্ত থেকেই ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি এলাকার শুরু হয়েছে এবং সেখানকার বৃষ্টির পানি  সরাসরি ছয় থেকে আট ঘন্টার মধ্যে তাহিরপুর হয়ে হাওরে এসে মেশে। সিলেট-সুনামগঞ্জের এ ভয়াবহ বন্যার পেছনে চেরাপুঞ্জির এই প্রবল  বৃষ্টিপাতকে প্রধান কারন বলে ধারণা করা হয়। অপরদিকে, উজান থেকে আসা পলি-পাথর, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় বেষ্টনী পদ্ধতির ব্যবহার, অপরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ, নদীদখল-নদীভরাট, যত্রতত্র বালু উওোলনের ফলে নদীগুলোর পানি বহনের ক্ষমতা কমে যায় এবং পানিবন্দি হয়ে পড়ে লাখ লাখ মানুষ। এছাড়া নদীর নাব্যতা নষ্টের জন্য ভারত অংশে অপরিকল্পিত পাথর উওোলনকে ও দায়ী করা হয়, উজানে পাথর উওোলনের ফলে মাটি আলগা হয়ে নদীতে চলে আসে এবং নদীর তলদেশ ভরে যায়। এই কারণেই মেঘালয়, আসাম বা চেরাপুঞ্জিতে বেশি বৃষ্টিপাত হলেই সিলেট, সুনামগঞ্জ বা কুড়িগ্রাম এলাকায় বন্যার তৈরি হয়।

বন্যা পরিস্থিতির অবনতির জন্য দায়ী এসকল প্রভাবকের সমন্বয় করে মেশিন লার্নিং, এডভান্সড ডিপ লার্নিং এলগরিদম ব্যবহার করে কিভাবে ছয়মাস আগেই বন্যার আগাম সংকেত জানা যাবে সে সম্পর্কিত একটি গবেষণা পেপার পাবলিশ করেছে নিটারের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং  বিভাগের একদল শিক্ষার্থীরা। "হাইড্রো-ইনফরমেটিক মডেলিং ফর ফ্লাড প্রেডিকশন থ্রো এক্সপ্লেইনেবল এআই টু ইন্টারপ্রেট ওয়াটার ডাইনামিকস ইন-বাংলাদেশ প্রার্সপ্রেক্টিভ" শীর্ষক গবেষণা পেপারটির অথর হিসেবে আছেন নিটারের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হোসেইন মাহির, মোঃ তানজুম আন তাসরিফ, মোঃ আমির হামজা, তওফিকুল হক তামিম। শিক্ষকদের মধ্যে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের লেকচারার দীপাঞ্জলি কুন্ডু এবং একই বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর জনাব আনিসুর রহমান।

সম্প্রতি, গবেষণা পেপারটি মিলিটারি ইন্সটিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) কর্তৃক আয়োজিত ষষ্ঠ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিইইআইসিটি) এ প্রেজেন্টেশনের জন্য গৃহীত হয়।


আরও খবর