Logo
আজঃ বুধবার ১৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

সম্রাটের জামিনের মেয়াদ বাড়ল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ২৬৯জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক:জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের জামিন আগামী ২৮ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছে ঢাকার একটি আদালত। মামলায় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি স্থগিত রাখার আবেদনও মঞ্জুর করেন বিচারক।

আজ বৃহস্পতিবার সম্রাটের আইনজীবী আফরোজা শাহানাজ পারভিন হীরা তার জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য এবং আরেকটি চার্জ শুনানি স্থগিত চেয়ে দুটি পৃথক আবেদন জমা দিলে বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম এ আদেশ দেন। শুনানির সময় সম্রাট আদালতে উপস্থিত ছিলেন ।

এর আগে, গত বছরের ২২ আগস্ট একই আদালত সম্রাটের শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। আদেশে বিচারক বলেছিলেন, সম্রাটকে তার জামিনের বন্ড জমা দেওয়ার সময় তার পাসপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। জামিন আদেশের পরে তাকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ও এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

র‌্যাবের ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে আটক করা হয়। ওই অভিযানে যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, বিতর্কিত ঠিকাদার জি কে শামীমসহ মোট ১৩ জন গ্রেপ্তার হন।

চলতি বছরে তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ৪ মামলায় জামিন পান সম্রাট। তবে এক সপ্তাহ পরে ১৮ মে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় হাইকোর্ট তার জামিন বাতিল করে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। পরবর্তী সময়ে ২২ আগস্ট ওই মামলায় জামিন পান তিনি।


আরও খবর



জয়পুরহাটে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ৪২জন দেখেছেন

Image

এস এম শফিকুল ইসলাম,জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃজয়পুরহাটে ব্যয় সাশ্রয়ী খাদ্য ব্যবস্থাপনায় গরু মোটাতাজা করণ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সমন্বিত কৃষি ইউনিট ভুক্ত প্রাণিসম্পদ খাতের আওতায় ও স্থানীয় সংস্থা জেআরডিএমের বাস্তবায়নে তেঘর বিশা এলাকায় এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মহির উদ্দীন ও জেআরডিএমের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আবু হেনা মোস্তফা কামালসহ খামারীরা উপস্থিত ছিলেন। 


আরও খবর



কৃষকদের জলবায়ু-সহিষ্ণু করে তুলতে একসাথে কাজ করবে আইফার্মার ও উইনরক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আইফার্মার লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে গত ০৮ মে আইফার্মার লিমিটেড ও উইনরক ইন্টারন্যাশনালের মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের অর্থায়নে পরিচালিত বি-পিইএমএস অগ্রযাত্রা ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রকল্পে নিবিড়ভাবে কাজ করার লক্ষ্যে দুই পক্ষ এ চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই অংশীদারিত্ব ক্লাইমেট-স্মার্ট চাষাবাদ অনুশীলনে তথ্য, কৃষি উপকরণ ও বিশেষায়িত আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে কৃষি ও অ্যাকুয়াকালচার এই দুই ক্ষেত্রেই কৃষকদের জন্য সমৃদ্ধ নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে।

আইফার্মার লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ফাহাদ ইফাজ ও উইনরক ইন্টারন্যাশনালের বি-পিইএমএস অগ্রযাত্রা ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক নাসির চৌধুরী এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন – উইনরকের ক্লাইমেট চেঞ্জ সিনিয়র টেকনিক্যাল লিড জাকিয়া নাজনিন, লাইভলিহুডস অ্যান্ড স্কিলস ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট লায়েল মো. জহিরুল ইসলাম, কমিউনিকেশন অ্যান্ড নলেজ ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট নুসরাত খান, আইফার্মারের ভিপি অব ফিল্ড অপারেশন ফরহাদ জুলফিকার  রাফেল ও হেড অব ফার্মার ফাইন্যান্সিং অপারেশনস কল্লোল কুমার রায়। দুই প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য  কর্মকর্তাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর দেব কুমার নাথ, ইমপ্যাক্ট অ্যানালিস্ট মোহাম্মদ আদিব শরীফ এবং মার্কেটিং ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল অ্যাক্টিভেশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মায়েশা বিনতে মাহবুব।

১১টি জেলার কৃষি ও মৎস্যজীবী পরিবারকে আরও বেশি জলবায়ু-সহিষ্ণু করে তুলতে সহায়তা করার ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তন ও মানব পাচারের ওপর প্রভাব নিয়ে কাজ করাই উইনরক ইন্টারন্যাশনালের বি-পিইএমএস অগ্রযাত্রা ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রকল্পের লক্ষ্য। নীতি ও কাঠামোগত ফলাফলগুলো অন্তর্ভুক্ত করতে সরকারের সাথেও কাজ করবে প্রকল্পটি। আইফার্মারের সাথে এই অংশীদারিত্বের উদ্দেশ্য বাংলাদেশের উত্তর ও দক্ষিণের ৫টি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ জেলায় জলবায়ু-সহিষ্ণু কৃষি ও অ্যাকুয়াকালচারকে এগিয়ে নিয়ে  যাওয়া।

সমন্বিত কৃষি-অর্থায়ন, কৃষি উপকরণের ক্ষেত্রে পরামর্শ ও জলবায়ু-সংক্রান্ত ঝুঁকি কমাতে বীমার ওপর গুরুত্বারোপ করে আইফার্মারের প্রধান নির্বাহী ফাহাদ ইফাজ বলেন, “উইনরক ইন্টারন্যাশনালের সাথে এই অংশীদারিত্ব ক্লাইমেট-স্মার্ট কৃষির সঙ্গে সম্পর্কিত আমাদের লক্ষ্যপূরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”এ বিষয়ে বি-পিইএমএস অগ্রযাত্রা ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক নাসির চৌধুরী বলেন,“এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা আরও বেশি জলবায়ু-সহিষ্ণু করে তোলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ঝুঁকিপ্রবণ মানুষদের সাথে গভীরভাবে কাজ করার সুযোগ পাবো।”

প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছে এমন সব স্থানে স্থাপন করা হবে আইফার্মার সেন্টার; যেখান থেকে কৃষকরা প্রয়োজনীয় সবরকম সহযোগিতা পাবেন। এই সহযোগিতা জলবায়ু ঝুঁকিপ্রবণ কৃষক জনগোষ্ঠীর মাঝে আনুষ্ঠানিক আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং জলবায়ুগত অনিশ্চিত পরিস্থিতির ক্ষেত্রে সহিষ্ণুতা বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।


আরও খবর



গাংনী; এক সফল জননী নুরজাহান

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ৩০জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃপঞ্চম শ্রেণিতে পড়ালেখার সময় পরিবারের চাপে মাত্র ১২ বছর বয়সেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়েছিল নুরজাহান খাতুনকে। বিয়ের পর আর বিদ্যালয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি তার। লেখাপড়া শিখতে না পারার কষ্ট বুকে নিয়ে শপথ করেছিলেন ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করবেন। আর সেটাই হয়েছে। নুরজাহান খাতুনের ১০ সন্তান আজ উচ্চ শিক্ষিত ও সকলেই কর্মরত। 

অশিতীপর সংগ্রামী এই মায়ের বাড়ি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাঁড়াডোব গ্রামে। তিনি মরহুম কোবাদ আলী শেখের স্ত্রী।

জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় নুরজাহান খাতুনের স্বামী কোবাদ আলী মারা যান। ১০ ছেলেমেয়ে নিয়ে তখন কিছুটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়লেও তিনি ভেঙে পড়িনি। স্বামীর রেখে যাওয়া অল্প কিছু অর্থ দিয়ে প্রথমে বাড়িতেই কয়েকটি ছাগল পালন শুরু করেন। এরপর ধীরে ধীরে হাঁস-মুরগি ও গরুর খামার করেন তিনি। জীবনের সাথে সংগ্রাম করেই ১০ সন্তানকেই উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। সবাই এখন চাকরিজীবী।

নুরজাহান খাতুনের বড় ছেলে আনিসুর রহমান কুষ্টিয়া জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, মেজো ছেলে আনছারুল হক ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের পরিদর্শক, তৃতীয় ছেলে এসএম আইনুল হক বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি ও বর্তমানে সুইডেনে নাগরিকত্ব অর্জন করে সেখানকার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন, চতুর্থ ছেলে মাসুদুজ্জামান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক, পঞ্চম মেয়ে নাছিমা খাতুন গাংনী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। 

এছাড়াও ষষ্ঠ ছেলে শাহাজাহান আলী গাংনী উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে সিনিয়র অডিটর, সপ্তম ছেলে আলমগীর হোসেন একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার বার্তা সম্পাদক হিসেবে কর্মরত, অষ্টম মেয়ে নাজমা খাতুন মেহেরপুর জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত, নবম ছেলে জিল্লুর রহমান বেসরকারি প্রাইম ইউনিভার্সিটিতে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত। কনিষ্ঠ মেয়ে তাসলিমা আক্তার বিসিএস নন ক্যাডারে কুষ্টিয়া ভূমি অফিসে কর্মরত রয়েছেন।

‘সফল জননী’ হিসেবে নুরজাহান খাতুন গাংনী উপজেলা পর্যায় ও মেহেরপুর জেলা পর্যায় থেকে স্বীকৃতি সরুপ ২০২৩ সালে পেয়েছেন জয়িতা ও রতœগর্ভা পুরস্কার।

নুরজাহান খাতুন জানান, জীবনের সব ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পেয়েছেন। ছেলেমেয়েদের সফলতায় তিনি গর্বিত। তিনি আরো জানান, জীবনে অবহেলিত ও নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করতে এবং সমাজের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিতে সন্তানদেরকে সব সময় পরামর্শ দেন। কঠিন সময়ে ভেঙে না পড়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘যেকোনো কাজে সদিচ্ছা, সততা, স্বচ্ছতা ও চেষ্টা থাকলে মানুষ সফল হবেই। কারো ওপর নির্ভর না করে নিজের জীবন নিজেকেই গোছাতে হবে। সফল হওয়ার পেছনে এটাই হচ্ছে মূলমন্ত্র’।

প্রতিবেশিরা জানান, স্বামী মারা যাবার পর নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে দিনপাত করেছেন তবুও সন্তানদেরকে পড়ালেখা থেকে বিরত রাখেন নি। নিজেই জিবন সংগ্রাম করেছেন আর সন্তানদেরকে মানুষের মত মানুষ করে গড়ে তোলার চেষ্টায় তিনি সফল। তার সন্তানরাও অত্যন্ত ভদ্র ও মার্জিত স্বভাবের। সকলকে এমন মায়ের মত হবার আহবান জানান প্রতিবেশিরা।

তার মেয়ে গাংনী উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার নাছিমা খাতুন বলেন, আমার মা খুব ভালো মানুষ। তিনি সব বাধা পেরিয়ে একজন সফল নারী। আমার বাবা মারা যাবার পর পরিবারে হাল ধরার মতো কেউ ছিল না। মা একাই ১০ ভাইবোনকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করেছেন। বাবা যখন মারা যান আমরা কেউ তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে, কেউ কলেজে, কেউ মাধ্যমিক নয়তো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ি। আমাদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে গিয়ে গ্রামের মানুষের কাছেও তাকে শুনতে হয়েছে নানা ধরনের কটু কথা। তারপরেও তিনি থেমে যাননি। সবকিছু উপেক্ষা করে আমাদের মানুষ করেছেন।


আরও খবর



ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগে বজ্রবৃষ্টির আভাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ১৪৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বুধবারের (১৭ এপ্রিল) আবহাওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি দেশের কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। উত্তরপূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পরেরর দিন বৃহস্পতিবারের (১৮ এপ্রিল) আবহাওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।


আরও খবর



ঢাকা দূষিত শহরের তালিকায় ৩ নম্বরে

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ১০৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ দেশে চলমান তীব্র দাবদাহের মধ্যে বেড়েছে। বিশ্বের  সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশের বায়ুদূষণ বাড়লেও মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হলে শহরটির বাতাসের মানের কিছুটা উন্নতি হয়। তবে বেশ কিছুদিন যাবত বৃষ্টি না হওয়ায় ঢাকার বাতাসের মান আবারও ভয়াবহ দূষণের দিকে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৬১ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৩ নম্বরে উঠে এসেছে ঢাকা। আজ ঢাকার বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এদিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৯০ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু; ১৬৩ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয়, ১৬৪ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহর। এছাড়া ১৫৫ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে চীনের বেইজিং।

একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।


আরও খবর