Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

শিশু আয়ানের মৃত্যু, পরবর্তী শুনানি রোববার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ১৬৪জন দেখেছেন

Image

ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজে চিকিৎসায় গুরুতর অবহেলায় শিশু আয়ানের মৃত্যুর বিষয়ে পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ আদেশের পরবর্তী শুনানি আগামী রোববার (২৮ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তদন্তের কোনো অগ্রগতি প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা না দেওয়ায় এ দিন ঠিক করেছেন আদালত।

হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম।

ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজে চিকিৎসায় গুরুতর অবহেলায় আয়ানের মৃত্যুর অভিযোগে শিশুর পরিবারকে পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে জারি করা রুল ও আয়ানের মৃত্যুর ঘটনা অনুসন্ধান করার নির্দেশনার বিষয়ে হাইকোর্টে শুনানির কথা ছিল। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তদন্তের কোনো অগ্রগতি প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা না দেওয়ায় এ বিষয়ে শুনানি হয়নি। তদন্ত প্রতিবেদন জমা ও আদেশের জন্য আগামী রোববার নতুন দিন ঠিক করেছেন আদালত।

এর আগে, চিকিৎসায় গুরুতর অবহেলায় আয়ানের মৃত্যুতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে শিশুটির পরিবারকে পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এছাড়া হাসপাতালে সুন্নতে খতনা করে এক সপ্তাহ ধরে চিকিৎসাধীন থাকার পর আয়ান নামে পাঁচ বছরের এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনা কীভাবে, কোন কারণে ঘটেছে তা যথাযথ অনুসন্ধান করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এক সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে (ডিজি) প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসকদের অবহেলা পেলে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও বলেন হাইকোর্ট।

শিশুর বাবা শামীম আহমেদের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১৫ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে সেদিন রিটের পক্ষে শুনানিতে রিটকারী আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম নিজেই শুনানি করেন। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। এ সময় শিশুটির বাবা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এরও আগে জনস্বার্থে স্বপ্রণোদিত হয়ে ৯ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম রিটটি দায়ের করেন।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রজন্মকে দক্ষতা ও যোগ্যতায় স্মার্ট মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চান-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৮১জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের এ প্রজন্মকে দক্ষতা ও যোগ্যতায় স্মার্ট মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চান।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরের দিকে খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে জেলা প্রশাসন আয়োজিত ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ, বিজ্ঞান মেলা এবং ৮ম জাতীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রী ও সুধিজনদের উদ্দেশে এ কথা বলেন।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান-এর সভাপতিত্বে  খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, পিপিএম(বার) খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. সরাফত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, সারা দুনিয়া এখন প্রযুক্তি নির্ভর। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মই আমাদের হাতিয়ার, আমাদের সম্পদ। বিজ্ঞানমনস্ক এ প্রজন্মই আগামিতে দেশ পরিচালনা করবে। দেশ ও জনগণের কল্যাণে আগামি প্রজন্মকে নিবেদিত হতে হবে। দেশে নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবনসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, নিজেকে একজন যোগ্য, দক্ষ ও স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। মন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, যার যার জায়গা থেকে প্রত্যেকের কর্মদক্ষতা ও দেশপ্রেমই গড়ে তুলতে পারে স্মার্ট বাংলাদেশ। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য ইংরেজি ভাষা শিখার পাশাপাশি চীনা, জাপানি, কোরিয়ান, ফ্রান্স, জার্মানি ভাষা শেখার তাগিদা দেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশের ছেলেমেয়ে অন্যদের চেয়ে কোনো অংশে পেছনে নেই।

আলোচনা শেষে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বিজ্ঞান মেলায় ছাত্রছাত্রীদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তিসমূহ পরিদর্শন করেন। 

আরও খবর



পহেলা বৈশাখে হামলার শঙ্কা না থাকলেও সতর্ক ডিএমপি

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বৈশাখের বর্ষবরণের আয়োজনে সুনির্দিষ্ট কোনো হামলার শঙ্কা নেই, তবুও অতীতের সবকিছু মাথায় রেখে নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) রমনা বটমূলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতিসত্তার অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রকাশ। এ কারণে বার বার এ আয়োজনে আঘাত হানা হয়েছে, জঙ্গি হামলা হয়েছে। তাই সবকিছু মাথায় রেখেই আমাদের নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো হামলার শঙ্কা নেই।

পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে দিনটি সারাদেশে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় পালিত হবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রমনা বটমূল, সংসদ ভবন এলাকা, হাতিরঝিল, রবীন্দ্র সরোবরসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। ডিএমপির পক্ষ থেকে সব অনুষ্ঠান ঘিরেই ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

যেসব জায়গায় অনুষ্ঠান হবে সিসিটিভি দিয়ে পুরো এলাকার নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়া, ওয়াচ টাওয়ার, ড্রোনের মাধ্যমে আশে-পাশের এলাকায় নজরদারি করা হবে। পুরো এলাকা এসবির ইক্যুইপমেন্ট ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে সুইপিং করা হবে, এরইমধ্যে এসব কাজ শুরু হয়েছে। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে, তারা মহড়া করেছে।

এ অনুষ্ঠান ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রমনা এলাকায় আজ সন্ধ্যা থেকে যান চলাচল কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। কিছু জায়গায় ডাইভারশন দেওয়া হবে। যারা গাড়ি চালাবেন তাদের প্রতি অনুরোধ, যেন পুলিশকে সহায়তা করেন।

তিনি আরও বলেন, রমনার প্রবেশমুখে আর্চওয়ে মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। ভেতরে-বাইরে সাদা পোশাকে ডিবি, এসবি, অন্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তৎপর থাকবে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত রমনা পার্কে প্রবেশের সুযোগ পাবেন, এরপর কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। সন্ধ্যার আগে অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে।

পর্যটকদের সহায়তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের টিম থাকবে, লেকে নৌপুলিশের টিম, মেডিক্যাল টিম, লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টার, রক্তদানের বুথ থাকবে। এছাড়া, ডিএমপির পক্ষ থেকে বিনামূল্যে সুপেয় পানির ব্যবস্থা থাকবে।


আরও খবর



বগুড়ার শাজাহানপুর ইউএনও অফিসে রহস্যজনক চুরি

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৬১জন দেখেছেন

Image
লতিফ-বগুড়া-বিশেষ প্রতিনিধি:বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় অফিসে রহস্যজনক চুরির ঘটনা ঘটেছে।

ইউএনও বিদায় আগের দিন তার অফিস থেকে ৪টি হার্ডডিস্ক,১ টি ল্যাপটপ সহ ২টি সিসি ক্যামেরা উধাও হয়েছে বলেছে জানা গেছে।রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে শাজাহানপুর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করতে উপজেলা প্রশাসনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম থানায় অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন, থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম।

সম্প্রতি ইউএনও তাহমিদা আক্তারকে নানা সমালোচনার মুখে শাজাহানপুর উপজেলা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলায় বদলী করা হয়েছে।গত সোমবার (৮ এপ্রিল) রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার মাঠ প্রশাসন শাখা থেকে সিনিয়র সহকারী কমিশনার প্রিয়াংকা দাস স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য পাওয়া যায়।স্থানীয় সচেতন এলাকাবাসী জানায়, ইউএনও বিদায়ের আগেরদিন অনিয়ম দুনীতি তথ্য মুছে ফেলতে তার রুমে অফিস থেকে ৩ টি কম্পিউটার হার্ডডিস্ক,১ ল্যাপটপ ও ২টি সিসি ক‍্যামরাসহ হার্ডডিস্ক উধাও হওয়ার মিথ্যা অভিযোগ উঠতে পারে।সঠিক তদন্তের দাবী জানিয়েছে তারা।

আরও খবর



মাগুরায় বোরোধান কাটা শুরু, উৎপাদন হবে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৭৭ মেট্রিক টন ধান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ৩০জন দেখেছেন

Image
সাইদুর রহমান, মাগুরা থেকে:মাগুরায় বোরোধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষকরা প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে। তাপদাহের কারনে ধান কাটা শ্রমিকের সংকট দেখা দিয়েছে। সামনে বৃষ্টির আশংকায় ধান কেটে ঘরে তুলতে তারা সমস্যার মধ্যে পড়েছে। গত ৬ মে সোমবার সন্ধ্যায় হটাৎ বিষ্টি আসলেও তা সামান্য যা ধানের কোন ক্ষতি করতে পারেনি। মাগুরার জেলায়    বোরো মৌসুমে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৭৭ মেট্রিক টন। আর এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জেলার ৪ উপজেলায় ৩৯ হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে।

 জেলায় বোরো ধানের উৎপাদন ও চাষ বাড়াতে কৃষি প্রণোদনা পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় ২৪ হাজার কৃষককে বিনামূল্যে বোরো বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস এ তথ্য জানায়। অফিস আরো জানায়, গত বছর ও ৩৯ হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছিল। দেখা যায়  কৃষি প্রনোদনা কর্মসুচির মাধ্যমে কৃষকদের বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষে  প্রনোদনা দেয়া হলেও বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধি পায়নি। তবে কোন দুর্যোগ দূর্বিপাক না হলে উৎপাদনের লক্ষমাত্রা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে কৃষি বিভাগ জানায়।

 কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড, মোহাম্মদ ইয়াছিন আলী জানান, উৎপাদনের লক্ষমাত্রা অর্জনে মাগুরা জেলায় আবাদকৃত ৩৯ হাজার ৩৫  হেক্টর জমির মধ্যে মাগুরা সদর উপজেলায়  ২৬ হাজার ৮৫০ হেক্টর,  শ্রীপুর উপজেলায় ১ হাজার ৬০৫ হেক্টর, শালিখা উপজেলায় ১৩ হাজার৫৭০ হেক্টর, মোহাম্মদপুর উপজেলায় ৭ হাজার২০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছে। জেলা কৃষি বিভাগ থেকে  জেলার কৃষকদের বোরো ধান চাষে উৎসাহিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছিল বলেও জানান তিনি। তিনি আশা করেন জেলায় এবার ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৭৭ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে।

আরও খবর



বাংলাদেশ সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বদা প্রস্তুত: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্তব্য করেছেন,যেকোনো বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রামের হালিশহরে আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্সের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন শেষে ভাষণে একথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বৈদেশিক নীতির মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে ‘সকলের সিঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়’। প্রতিবেশী সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য। কিন্তু যে কোন আগ্রাসী বহিঃশত্রুর আক্রমণ হতে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমরা সদা প্রস্তুত ও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে সেনাসদস্যরা দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠা নিয়ে কাজ করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা সক্ষম হব, ইনশাআল্লাহ।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। এজন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে হতে হবে তথ্য-প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন-স্মার্ট।

প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থাশীল ও অনুগত থেকে কঠোর অনুশীলন, পেশাগত দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে তাদের গৌরব সমুন্নত রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি সেনাবাহিনীর সার্বিক উন্নয়নে তার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা সংক্ষেপে বর্ণনা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আধুনিকায়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে অত্যাধুনিক বিমান, হেলিকপ্টার, ইউএভি, চতুর্থ প্রজন্মের ট্যাংক, আধুনিক এপিসি, ট্যাংক বিধ্বংসী মিসাইল ও অন্যান্য যুদ্ধ সরঞ্জাম।

প্রধানমন্ত্রী দেশের কল্যাণে সেনাবাহিনীর সার্বিক কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, আজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতির আস্থার প্রতীক হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত।

তিনি বলেন, কর্মনিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের কারণে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও আজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রশংসিত। জাতিসংঘ মিশনে আমাদের সৈনিকদের সামর্থ্য এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সম্প্রতি অত্যাধুনিক লাইট আর্মাড ভেহিক্যাল ও মাইন রেসিস্ট্যান্ট এ্যাম্বুস প্রটেক্টেড ভেহিকেল সংযোজন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স উদ্বোধন শেষে কমপ্লেক্সে আর্টিলারি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি জাদুঘরে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অতি বাস্তব প্রতিকৃতি, মহান মুক্তিযুদ্ধে মুজিব ব্যাটারীর প্রথম গোলাবর্ষণকারী ঐতিহাসিক ৩.৭ ইঞ্চি হাউইটজার, আর্টিলারি রেজিমেন্টে ব্যবহৃত গোলাবারুদ ও সকল কামানের প্রতিরূপ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে গোলন্দাজ বাহিনীর উল্লেখযোগ্য অপারেশনসমূহের গৌরবময় ইতিহাস দেখেন।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানে মুজিব ব্যাটারির ওপর নির্মিত একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, তিন বাহিনী প্রধান, সংসদ সদস্য, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন পদবির অফিসার, জেসিও, অন্যান্য পদবির সেনা কর্মকর্তা এবং মিডিয়া ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর