Logo
আজঃ মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর আধুনিকায়নে কাজ করছি: শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১২০জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনী জাতির আস্থার প্রতীক হিসেবে গড়ে উঠেছে। তিনি বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী যেকোন দুর্যোগ মোকাবিলা, অবকাঠামো নির্মাণ, আর্তমানবতার সেবা, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা এবং বিভিন্ন জাতিগঠনমূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন। এভাবে সশস্ত্র বাহিনী আজ জাতির আস্থার প্রতীক হিসেবে গড়ে উঠেছে।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে আজ সোমবার দেয়া এক বাণীতে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পুনরায় সরকার গঠনের পর প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন যুগোপযোগী সামরিক বাহিনী গঠনের লক্ষ্যে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন করছি।

তিনি বলেন, ২০১৬ সালে ‘বাংলাদেশ পিস বিল্ডিং সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করেছি। জাতির পিতা প্রণীত প্রতিরক্ষানীতিকে যুগোপযোগী করে ‘জাতীয় প্রতিরক্ষানীতি, ২০১৮’ প্রণয়ন করেছি। এ্যারোস্পেস ও এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা সিএমএইচগুলোকে অত্যাধুনিক হাসপাতালে রূপান্তরিত করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতার পর একটি আধুনিক ও চৌকস সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন। সেনাবাহিনীর জন্য তিনি মিলিটারি একাডেমি, কম্বাইন্ড আর্মড স্কুল এবং প্রতিটি কোরের জন্য ট্রেনিং স্কুলসহ আরো অনেক সামরিক প্রতিষ্ঠান ও ইউনিট গঠন করেন। তিনি ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঘাঁটি স্থাপন করেন এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে ভারত ও যুগোশ্লাভিয়া থেকে নৌবাহিনীর জন্য যুদ্ধ জাহাজ সংগ্রহ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে সে সময়ের অত্যাধুনিক সুপারসনিক মিগ-২১ যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, পরিবহন বিমান, এয়ার ডিফেন্স রাডার ইত্যাদি বিমান বাহিনীতে যুক্ত করেন। তিনি ১৯৭৪ সালেই একটি প্রতিরক্ষানীতি প্রণয়ন করেন। দুর্ভাগ্য, জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর বাঁধাগ্রস্থ হয় দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা।

তিনি বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আমরা সরকার গঠন করি। নতুন প্রজন্মের নিকট মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরি। সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়নে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করি। ১৯৯৮ সালে ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ’ এবং ‘মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি’, ১৯৯৯ সালে ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং’ এবং ‘আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজ’ প্রতিষ্ঠা করি। আমরাই সর্বপ্রথম ২০০০ সালে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীতে নারী অফিসার নিয়োগ করি।

শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী, সাহসী এবং ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে স্বাধীনতা অর্জন করে।

তিনি বলেন, আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর একটি বিশেষ গৌরবময় দিন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর অকুতোভয় সদস্যরা এ দিনে সম্মিলিতভাবে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের সূচনা করেন। মুক্তিবাহিনী, বিভিন্ন আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা ও দেশপ্রেমিক জনতা এই সমন্বিত আক্রমণে একতাবদ্ধ হন।

শেখ হাসিনা বলেন, দখলদার বাহিনী আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়। হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করে ১৬ই ডিসেম্বর আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করি। মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতির অগ্রযাত্রা ও বিজয়ের স্মারক হিসেবে প্রতি বছর ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করা হয়।

সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জ্বীবিত হয়ে দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাবেন এমন আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা সক্ষম হবো, ইনশাআল্লাহ। বাণীতে তিনি সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সকল শহিদ ও মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

একই সাথে প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।


আরও খবর

১৩ দিন মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী

সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩




পুলিশের আসামী বহনকারী গাড়ির ধাক্কায় নারী নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

এম আনোয়ার হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:মিরসরাইয়ে পুলিশের আসামী বহনকারী গাড়ির ধাক্কায় ফিরোজা বেগম (৫৪) নামে এক নারী নিহত হয়েছে। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জোরারগঞ্জ থানার ঠাকুরদিঘী এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহত ফিরোজা বেগম মিরসরাই উপজেলার ইছাখালী ইউনিয়নের ভূঁইয়া গ্রামের হাজী মুজিবুল হক মিস্ত্রি বাড়ীর এনামুল হকের স্ত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ঠাকুরদীঘি এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগামী একটি মাইক্রো ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে ওই নারী মারা যায়। তিনি বাড়ী থেকে ডাক্তার দেখাতে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। হাসপাতালে যাওয়ার আগেই তিনি দুর্ঘটনায় মারা যান। মাইক্রোটি জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশে হেফাজতে রয়েছে।

মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক মোমিতা রায় জানান, দুর্ঘটনায় কবলিত নারী হাসপাতালে আনার পূর্বে মারা গেছে। শরীরের বেশ কয়েকটি স্থানে আঘাত দেখা গেছে।

জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন বলেন, বুধবার সকালে একটি ভাড়া করা মাইক্রো করে থানা থেকে কয়েকজন আসামী চট্টগ্রাম আদালতে নেওয়া হচ্ছিল। পথিমধ্যে ঠাকুরদীঘি এলাকায় এক নারী রাস্তা পার হওয়ার সময় মাইক্রোর সামনে পড়ে মারা গেছে। পরে আসামীদের আরেকটি গাড়ি করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ইনচার্জ সোহেল সরকার জানান, দুর্ঘটনায় নিহত নারীর মরদেহ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মাইক্রোটি থানা হেফাজতে রয়েছে। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



জাইকা’র সহায়তায় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে জাতীয় নির্দেশিকা উন্মোচন করল এনসিডিসি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৩০জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :সম্প্রতি, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের (এনএইচএন) কারিগরি সহায়তায় উচ্চ রক্তচাপ (হাইপারটেনশন) নিয়ে জাতীয় নির্দেশিকার দ্বিতীয় সংস্করণ উন্মোচন করল নন- কমিউনিকেবল ডিজিস কন্ট্রোল প্রোগ্রাম (এনসিডিসি)। নির্দেশিকাটি বাংলাদেশি চিকিৎসকদের উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে এবং প্রয়োজনীয় ও উচ্চমানের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

বাংলাদেশ নন-কমিউনিকেবল ডিজিস (এনসিডি) রিস্ক ফ্যাক্টর জরিপ ২০২২ অনুযায়ী, ১৮ থেকে ৬৯ বছর বয়সী প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ বিদ্যমান সাধারণত ২৩.৫ শতাংশ, পুরুষদের মধ্যে ২৪.১ শতাংশ এবং নারীদের মধ্যে ২৩.০ শতাংশ। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর চাপ কমাতে এবং সবার জন্য মানসম্পন্ন জীবনযাত্রার উন্নয়নে উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

উচ্চ রক্তচাপ একটি গুরুতর ব্যাধি যা হৃৎপিণ্ড, মস্তিষ্ক, কিডনি এবং অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। বিশ্বব্যাপী অসংক্রামক ব্যাধি ঝুঁকি তৈরির পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ। উচ্চ রক্তচাপের কার্যকর চিকিৎসা থাকা সত্ত্বেও, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে এ রোগ শনাক্ত ও প্রতিরোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে বাংলাদেশে একাধিক বিদেশি নির্দেশিকা দেশে থাকলেও কোন নির্দেশিকাই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় তৈরি করা হয়নি।

এ প্রেক্ষিতে, এনসিডিসি ২০১৩ সালে বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ ব্যবস্থাপনার জন্য জাতীয় নির্দেশিকা (প্রথম সংস্করণ) তৈরি করে। প্রথম সংস্করণ তৈরিতে এনসিডিসি প্রখ্যাত চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের সাথে কাজ করে এবং উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ নিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন নির্দেশিকা পর্যালোচনার ভিত্তিতে এ নির্দেশিকাটি তৈরি করে। মেডিসিনের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক অর্জন এবং হালনাগাদ তথ্য, প্রমাণ ও অনুশীলনের ভিত্তিতে দ্বিতীয় সংস্করণের উন্মোচন করা হয়।

এনসিডিসি প্রোগ্রামের কর্মসূচি বাস্তবায়নসহ উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধে এনসিডিসি’র ব্যবস্থাপনা মডেলের প্রচারণায় এনসিডিসি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে জাইকার কারিগরি সহায়তামূলক প্রকল্প ‘স্ট্রেন্দেনিং হেলথ কেয়ার সিস্টেমস ফর অর্গানাইজিং কমিউনিটিজ,’ যা এসএইচএএসটিও নামে পরিচিত এবং এ প্রকল্প শেষ হয় ২০২২ সালে। অসংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধে গৃহীত প্রচেষ্টার জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে জাইকা প্রকল্পের ফলস্বরূপ জাতীয় এ নির্দেশিকা উন্মোচন নিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেছে। এছাড়াও, জাইকা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অব্যাহত সহযোগিতার ভিত্তিতে এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসে 'অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ প্রকল্প’ নামে একটি নতুন সফল প্রকল্প উন্মোচন করা হয়ে।

নির্দেশিকা উন্মোচন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিস কন্ট্রোল প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন। তিনি অনুষ্ঠানে সকল অতিথি ও অংশগ্রহণকারীকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটু মিয়া, জাইকা বাংলাদেশের সিনিয়র রিপ্রেজেন্টেটিভ কোমোরি তাকাশি, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আওয়াল (রিজভি) এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।


আরও খবর



সারাদেশে নদীভাঙন রোধে কাজ করছে সরকার : এনামুল হক শামীম

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২৮জন দেখেছেন

Image

মারুফ সরকার,স্টাফ রির্পোটার:  পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, সারাদেশে নদীভাঙন রোধে কাজ করছে সরকার। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্থায়ী প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ অনেকাংশে জলাবদ্ধতা ও নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে। আর এর সুফল কয়েক বছরের মধ্যে মিলবে। সারা দেশের নদী ভাঙন রোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। কোথাও যেন নদী ভাঙন না হয়, সে লক্ষেই আগেই কাজ করা হচ্ছে।  

(শুকবার ) বিকালে ৫৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন শরীয়তপুরের  সখিপুর থানার উত্তর তারাবুনিয়া হতে চরভাগা, কাঁচিকাটা হয়ে পদ্মা নদীর ডান তীর ঘেঁষে ঘড়িষার ইউনিয়নের সুরেশ্বর চরমোহন পর্যন্ত প্রায় ৬.২ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ” সোনার বাংলা এভিনিউ ” এর কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এনামুল হক শামীম বলেন, কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার কারণেই গত ১৫ বছরে সারা দেশে নদী ভাঙনের পরিমাণ কমে এসেছে। এসব সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা করোনাকালে ও বন্যা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিরলসভাবে কাজ করে গেছে। সারাদেশে ভাঙন রোধে কাজ করা হয়েছে। যে কারণে হাওড়ের কৃষকরাও সঠিক সময়ে ফসল ঘরে তুলতে পেরেছেন। কোনো প্রকল্পের কাজে দুর্নীতি যাতে না হয় এবং কাজের ক্ষেত্রে যাতে গুণগত মান বজায় থাকে, সেজন্য নিয়মিত মনিটরিংও করা হয়।  

কাজের ব্যাপারে কোনো ধরনের গাফিলতি, অনিয়ম ও দুর্নীতি সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ার করে শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী প্রজন্ম নিয়ে ভাবেন, সেজন্য তিনি আগামীর বাসযোগ্য বিশ্বমানের সুবিধা সম্বলিত দেশ গড়তে চান। এজন্য তিনি দূরদর্শী পদক্ষেপ নেন। আগামীতে ডেল্টাপ্লান বাস্তবায়ন হলে সারা দেশে নদী ভাঙন ও জলাবদ্ধতার কোনো সমস্যাই থাকবে না। মহাপরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

এনামুল হক শামীম বলেন, আমার প্রথম কাজ ছিলো, নড়িয়া পৌরসভাকে নদীভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করা। আজকে বেড়িবাঁধ হওয়ায় নড়িয়া জমির দামও বেড়েছে। শুধু নড়িয়াই নয়, পদ্মাসেতু থেকে জাজিরা, সখিপুর ও শরীয়তপুর শহরেও কীর্তিনাশাকে ভাঙন হাত থেকে রক্ষায় প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। নড়িয়ার জয়বাংলা এভিনিয়ের মতো এই এলাকায়ও পর্যটন কেন্দ্রে রুপ নিবে। সে লক্ষে আমরা কাজ করছি। শরীয়তপুরকে একটি উন্নত জেলায় পরিণত করতে কাজ করছি আমরা।

উপমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। কারণ, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে বাংলাদেশে যে উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ উন্নয়নে বিশ্বাসী । তারা দূর্নীতিবাজ লুটেরা ও আগুন সন্ত্রাসীদের দল বিএনপিকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। নিশ্চিত পরাজয়ের ভয়ে তারা নির্বাচনে আসেনি। বাংলাদেশের মানুষ উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিও ধারাবাহিকতা রক্ষায় জননেত্রী শেখ হাসিনাকেই আগামীতে ক্ষমতায় আনবে।

এসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব, ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সখিপুর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির মোল্যা, সাধারন সম্পাদক আতিকুর রহমান মানিক সরকার, উত্তর তারাবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুস মোল্যা প্রমূখ।

পরে উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম উত্তর তারাবুনিয়া, দক্ষিণ তারাবুনিয়া, ডিএমখালী, আরশিনগর ও সখিপুরে গণসংযোগ ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।


আরও খবর

১৩ দিন মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী

সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩




মাদরাসা বোর্ডে পাসের হার ৯০.৭৫ শতাংশ

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় পাস করেছেন ৯০ দশমিক ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে পাসের হার ছিল ৯২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। সেই হিসাবে আলিমে পাসে হার প্রায় ১ দশমিক ৮১ শতাংশ কমেছে।

রোববার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট ও স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফল প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা যায়।

জানা গেছে, এ বছর মাদরাসা বোর্ড থেকে ৯৮ হাজার ১৩৯ জন পরীক্ষার্থী আলিম পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করেছিলেন। তাদের মধ্যে পাস করেছেন ৮৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করা হয়।

গণভবনে আয়োজিত ফলপ্রকাশ অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ফল প্রকাশের পর শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে (www.educationboardresults.gov.bd)এবং এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে। এ ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্র ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেও ফল সংগ্রহ করা যাবে।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বোর্ডগুলোর সমন্বিত ওয়েবসাইটে (www.educationboardresults.gov.bd) ঢুকে পরীক্ষার্থীর রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর টাইপ করতে হবে। এরপর পরীক্ষার্থীর ফল পাওয়া যাবে। শিক্ষার্থীরা ওয়েবসাইটের রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে ফলাফল ডাউনলোড করতে পারবে।

মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানতে ঐঝঈ লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২৩ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানা যাবে।

একইভাবে আলিমের ফল পেতে ALIM লিখে স্পেস দিয়ে Mad লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২৩ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।

আর কারিগরি বোর্ডের ক্ষেত্রে HSC লিখে স্পেস দিয়ে Tec  লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২৩ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠালে ফিরতি এসএমএসে ফলাফল জানানো হবে।


আরও খবর

১৩ দিন মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী

সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩




আবারো তৃনমূল বিএনপি ছেড়ে বিএনএম এ যোগ দিলেন সাবেক সাংসদ শাফি মাহমুদ

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৯২জন দেখেছেন

Image

মোঃ আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া:-

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া -১ সংসদীয় ২৪৩ নাসিরনগর আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে কিছুদিন পরই তা ত্যাগ করে  আবারও বিএনএম  দলে যোগদান সাবেক সংসদ এস এম শাফি মাহমুদ।জানা গেছে,গত ১৯ নভেম্বর ২০২৩ রোজ রোববার রাতে তৃণমূল বিএনপির কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার দুইদিন পর গত ২২ নভেম্বর বুধবার তিনি প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।


কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই আবারও তৃণমূল বিএনপি ছেড়ে বিএনএম এ যোগদিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার আশ্বাস প্রদান করেন ওই সাবেক সাংসদ। তিনি বলেন, সতন্ত্র প্রার্থী হলে সকলেই বিরোধীতা করে আমার মনোনয়ন বাতিলের চক্রান্ত করবে তাই যে কোন একটি দল থেকে নির্বাচন করার লক্ষে বিএনএম এ যোগ দিয়েছি।তৃণমূল বিএনপি ছেড়ে দেয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বর্তমানে বিএনএম এ উচ্চ শিক্ষিত ও ভালো মানুষ রয়েছে তাই বিএনএম যোগ দিয়েছি।নাসিরনগর উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়ন নিয়ে  ব্রাহ্মণবাড়িয়া -১ আসনটি গঠিত।


বিএনএম দলের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য এস এম শাফি মাহমুদের পৈতৃক নিবাস উপজেলার ভাটি অঞ্চলের সর্ব বৃহত্তম ইউনিয়ন চাতলপাড়ের বড়নগর গ্রামে।তিনি ১৯৯০ সালে সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বী করেন। ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয় লাভ করে বারো দিনের জন্য সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি প্রথমে ছাত্রলীগ, পরে যুবলীগ তারপর  বিএনপি,জাতীয় পার্টি স্বতন্ত্র করে আবার আওয়ামী লীগ,পরে তৃণমূল থেকে আবারও বিএনএম এ যোগদান করে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর