Logo
আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

সব ধরনের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা : আইজিপি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পণ্য পরিবহনসহ কোনো সেক্টরে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি বরদাশত করা হবে না। সকল ধরনের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে,বলেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

আইজিপি মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে পবিত্র রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্বকালে এ নির্দেশনা প্রদান করেন।

আইজিপি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি এক্ষেত্রে বাজার মনিটরিং এবং পণ্যবাহী যানবাহনের নির্বিঘ্ন চলাচলের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে কোন ইস্যু তৈরি করে কেউ যেন আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে না পারে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি বলেন, কোনো স্বার্থন্বেষী মহল সাইবার ওয়ার্ল্ডে গুজব ও অপপ্রচারের মাধ্যমে যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট বা অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটাতে না পারে সেজন্য কর্মকর্তাদের তৎপর থাকতে হবে।

আইজিপি বলেন পবিত্র ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সব পুলিশ ইউনিটকে নির্দেশনা প্রদান করেন। বাসের ছাদে বা ট্রাকে যাতে যাত্রী পরিবহন করতে না পারে সেজন্য হাইওয়ে পুলিশকে ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি।

আইজিপি বলেন, রমজানে নিয়মিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ইফতার, তারাবি এবং সেহরির সময় বিশেষভাবে সতর্ক ও সজাগ থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আইজিপি গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিয়ে যেন কোনো ধরনের সমস্যার সৃষ্টি না হয় সেজন্য শিল্প পুলিশকে তৎপর থাকার নির্দেশ দেন।

সভায় অতিরিক্ত আইজিপিগণ, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানগণ এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, র‌্যাব, এটিইউ, পিবিআই, হাইওয়ে পুলিশ, শিল্পাঞ্চল পুলিশ, নৌ পুলিশের প্রধানগণ, মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারগণ, রেঞ্জ ডিআইজিগণ, ডিআইজি (এফডিএমএন), সব জেলার পুলিশ সুপার এবং বিশেষায়িত ইউনিট নৌ, হাইওয়ে, রেলওয়ে, ট্যুরিস্ট ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের মাঠ পর্যায়ের কমান্ডারগণ ভার্চুয়ালি সভায় সংযুক্ত ছিলেন।

সভায় আগামী ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস; ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস এবং ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিতব্য অনুষ্ঠানের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করা হয়।


আরও খবর

সাফল্য অর্জনকারী ৫ জয়িতার গল্প

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪




মাগুরা গন কমাটির উদ্যোগে জীবন সংগ্রামী ওহিদুল হক মিয়ার স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৪জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরার বিশিষ্ট সমাজকর্মী, প্রগতিশীল ব্যক্তিত্ব, তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি মাগুরা জেলার আহ্বায়ক, আজীবন সংগ্রামী ওহিদুল হক মিয়া গত ১৪ মার্চ ২০২৪ মৃত্যুবরণ করেন।  ২০ এপ্রিল ২০২৪ শনিবার সকাল ১১টায় সৈয়দ আতর আলী পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে গণকমিটি মাগুরা জেলার উদ্যোগে ওহিদুল হক মিয়া স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। গণকমিটি মাগুরা জেলার আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ জাসদের মাগুরা জেলা শাখার সভাপতি এটিএম মহব্বত আলীর সভাপতিত্বে এবং গণকমিটি মাগুরা জেলার সদস্য সচিব ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ মাগুরা জেলা শাখার আহ্বায়ক প্রকৌশলী শম্পা বসুর পরিচালনায় স্মরণ সভায় আলোচনা করেন ওহিদুল হকের স্ত্রী নুরুন্নাহার,বাম গণতান্ত্রিক জোট মাগুরা জেলার সমন্বয়ক এবং বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শিক্ষাবিদ কাজী নজরুল ইসলাম ফিরোজ, বিশিষ্ট সমাজ সেবক কামরুজ্জামান চপল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি মাগুরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এটিএম আনিসুর রহমান, মাগুরা রেডিয়েন্ট স্কুলের পরিচালক, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুত বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি মাগুরা জেলার সদস্য সচিব শরীফ তেহরান টুটুল, বাল্যবন্ধু আশরাফুল ইসলাম, প্রতিবেশী সুজিত দাস, গণফোরাম মাগুরা জেলার নেতা হামিদুল হক ও আব্দুল বারিক বিশ্বাস প্রমুখ। 

বক্তাগণ স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে ওহিদুল হকের সংগ্রামী জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি আজীবন শোষণমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে গেছেন। সেই শোষণমুক্তির লড়াইয়ে নিজেদের আরও বেশি সক্রিয় রাখার মাধ্যমে ওহিদুল হকের সংগ্রামী জীবনের প্রতি প্রকৃত অর্থে শ্রদ্ধা জানানো হবে বলে আলোচকেরা উল্লেখ করেন।

আরও খবর



নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলায় ইসতিসকার নামাজ আদায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ২৫জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা; নওগাঁ:দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশে বইছে তীব্র তাপদাহ ও খরা। তীব্র তাপদাহের প্রভাব পড়েছে জনজীবনসহ ফসলে। ফসলি জমির মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির। মাটি থেকে উঠছে গরম হাওয়া উঠছে। নওগাঁয় গত কয়েকদিন থেকে সর্বোচ্চ ৩৬ থেকে ৩৮ ও ৩৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। প্রচন্ড গরমে ওষ্ঠাগত প্রাণীকুল। ফসলি জমিতে শ্রমিকরা কাজ করতে গিয়ে হাঁসফাঁস অবস্থা। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল বহুলাংশে কমে গেছে। রোদ থেকে বাঁচতে মোটা কাপড় পরিধান করছেন। কেউ কেউ রোদে চশমা ও ছাতা ব্যবহার করছেন। স্বস্থি পেতে বার বার পানি করতে হচ্ছে। এদিকে আবহাওয়া অফিস থেকে সুখকর কোন বার্তা পাওয়া যাচ্ছে না। এ মাসে বৃষ্টিপাতের তেমন সম্ভাবনা ও নেই। তাই আজ বৃহস্পতিবার সকালে বৃহত্তর কৃষি প্রধান  নওগাঁ জেলার সদর,রাণীনগর,সাপাহার ও পত্মীতলা সহ ৪ উপজেলায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়  এ দিন সকাল ৯টার দিকে নওগাঁ সদর উপজেলার চন্ডিপুর দাখিল মাদরাসা মাঠে নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা নজিবর রহমান এবং দুবলহাটি ইউনিয়নের মাতাসাগর ঈদগাহ মাঠে নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা হুসাইন আহমেদ।

পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পাবলিক মাঠে প্রায় শতাধিক মুসল্লি নিয়ে নামাজ আদায় করা হয়। মোনাজাতের আগে দুই রাকাআত নফল নামাজ আদায় করে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ। নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মুকিম।

সাপাহারের সাপাহার সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদরাসার আয়োজনে মাদ্রাসা মাঠে শত শত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অংশ গ্রহণে বিশেষ এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নামাজের জামাতে ইমামতি করেছেন ওই মাদরাসার হিফযু বিভাগের পরিচালক ও উক্ত মাদরাসার আরবি প্রভাষক মাওলানা মোঃ ওমর ফারুক।

রাণীনগর উপজেলা সদরের পূর্ব বালুভরা পাবলিক ঈদগাহ মাঠের আয়োজনে রাণীনগর শের-এ বাংলা সরকারি কলেজ মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় শতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নেন। এ নামাযে ইমামতি করেন, ঐতিহাসিক কুসুম্বা শাহী মসজিদের খতিব ও বেলঘরিয়া ফাজিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মদ মোস্তফা আল আমিন।

এছাড়াও মহাদেবপুর উপজেলার পাহাড়পুর বাজার মাঠে এ নামাজ আদায় করা হয়। 

সাপাহার সরফতুল্লা ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, চলমান আবহাওয়া থেকে কিছুটা স্বস্থি পেতে গরমের তাপমাত্রা কমে শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির আশায় সালাতুল ইসতিসকার আদায় করা হয়েছে। 


আরও খবর

সাফল্য অর্জনকারী ৫ জয়িতার গল্প

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪




বাকেরগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডাকাত রানাসহ ৩ জন গ্রেফতার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৫জন দেখেছেন

Image
বাকেরগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি:বরিশালের বাকেরগঞ্জে ওসি আফজালের তৎপরতায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডাকাত রানাসহ ৩ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মোঃ রানা খান (২৬), মোঃ সোহেল খান (২৮) ও মোঃ সাব্বির খান (২২)।

সোমবার দিবাগত রাত ১.১৫ টার সময় উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের পশ্চিম শ্যামপুর এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সেখান থেকে তাদের আটক করা হয়।

বাকেরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আফজাল হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত ১.১৫ টার দিকে রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের পশ্চিম শ্যামপুর এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিয়ে থাকা ডাকাতরা পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে ৩ ডাকাতে আটক করে। পুলিশের অভিযান টের পেয়ে পেশাদার ডাকাত কবির চৌকিদারসহ কয়েকজন পালিয়ে যায়। 

আটককৃত ডাকাতরা হলেন উপজেলার কবাই ইউনিয়নের বাসিন্দা নুর ইসালম খানের পুত্র সোহেল খান (২৮), একই উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের দাওকাঠী গ্রামের আঃ রাজ্জাক খানের পুত্র রানা খান (২৬) ও মামুন খানের পুত্র সাব্বির খান (২২)।

তাদের কাছ থেকে একটি ছেনা, দুইটি স্কুড্রাইভার, একটি কাটার, একটি ছুরিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র ও দুইটি মোবাইল উদ্ধার করে জব্দ করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, গরু চুরি, হত্যা ও মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।

আরও খবর



তাহিরপুরে চোরাকারবারী ও চাঁদাবাজদের রামরাজত্ব : দেখার কেউ নাই

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া-সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্ত দিয়ে সরকারের কোটিকোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে অবৈধ ভাবে গরু, ঘোড়া, মহিষ, ছাগল, পাথর, কয়লা, পেয়াজ, সুপারী, কসমেটিকস, নাসির উদ্দিন বিড়ি ও চিনিসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী পাচাঁরের পর বিজিবি, পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে লাখলাখ টাকা চাঁদা উত্তোলনের খবর পাওয়া গেছে।

কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এব্যাপারে আইনগত কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে সীমান্ত এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চোরাকারবারী ও চাঁদাবাজরা। আ  এই চোরাচালান করতে গিয়ে গত ৩ মাসে প্রায় ২৫জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তাই এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উপরস্থ কর্মকর্তাদের সহযোগীতা জরুরী প্রয়োজন।

খোঁজ জানা গেছে- আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর রাতে উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের লামাকাটা, জঙ্গলবাড়ি, এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া, সাইফুল মিয়া, রিপন মিয়া, লেংড়া জামালগং ২শ টন কয়লা, ৫শ বস্তা চিনি ও পেয়াজসহ বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য পাচাঁর করেছে। একই সময় এই সীমান্তের কলাগাঁও, চারাগাঁও এলসি পয়েন্ট, বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী বাবুল মিয়া, সোহেল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, দীপক মিয়া ও নজির মিয়াগং গত ২দিনে প্রায় ৫শ টন কয়লা পাচাঁর করে বিজিবি ক্যাম্পের পাশে অবস্থিত একাধিক ডিপুসহ বাড়িঘরের ভিতরে মজুত করেছে। এজন্য ১ বস্তা (৫০কেজি) অবৈধ কয়লা থেকে বিজিবির নামে ১শ টাকা ও অন্যান্য মালামাল থেকে বিভিন্ন হারে চাঁদা উত্তোলন করেছে সোর্স পরিচয়ধারী আইনাল মিয়া, সোহেল মিয়া ও বাবুল মিয়া। অন্যদিকে টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া ও রজনীলাইন এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী আক্কল আলী ১বস্তা চোরাই কয়লা থেকে বিজিবির নামে ৫০টাকা, থানা ও সাংবাদিকদের নামে ১টন অবৈধ কয়লা থেকে ২হাজার টাকাসহ ১ ঠেলাগাড়ি চুনাপাথর (৫০ ফুট) থেকে বিজিবির নামে ১শ টাকা চাঁদা নিয়ে প্রায় ২শ মেঃটন কয়লা ও ৩শ মেঃ টন চুনাপাথর পাচাঁর করে বড়ছড়া-জয়বাংলা বাজার সংলগ্ন কাঠের ব্রিজ ও আশেপাশের একাধিক ডিপুতে মজুত করেছে। একই সময়ে পাশের চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া, গারো ছড়া, রাজাই, কড়ইগড়া ও বারেকটিলা এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী শাহিবুর রহমান, কাজল মিয়া, জয়ধর মিয়া, শফিকুল, নিজাম মিয়া, নজরুল, জামাল মিয়া, হারুন, জম্মত আলীগং ৩শ মেঃ টন কয়লা, ২০টি গরু, ২শ বস্তা চিনি, ৩৫০বস্তা পেয়াজ পাচাঁর করেছে। একই ভাবে এউপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তে দুধের আউটা, লালঘাট, লাকমা এলাকা দিয়ে গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে সোর্স জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির মিয়া, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, হোসেন আলী, ইয়াবা কালাম ও লাউড়গড় সীমান্তে যাদুকাটা নদী, সাহিদাবাদ, দশঘর, পুরান লাউড় এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারবারী বায়েজিদ মিয়া, জসিম মিয়া, রফিকুল, নুরু মিয়া, জজ মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং কয়লা, পাথর, চিনি, পেয়াজ, গরু, মদ, গাঁজা, ইয়াবা পর করে চাঁদাবাজি করলেও দেখার কেউ নাই।

এব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের মেম্মার কফিল উদ্দিন বলেন- সীমান্ত দিয়ে পাচাঁরকৃত প্রতি গরু থেকে ১হাজার টাকা, ১ বস্তা চিনি থেকে ১শ টাকা ও ১ বস্তা পেয়াজ থেকে ১শ টাকা ও ১ বস্তা কয়লা থেকে ৫০টাকা করে চাঁনপুর বিজিবি ক্যাম্পের নামে চাঁদা নেওয়া হয়। একারণে সীমান্ত চোরাচালান দিনদিন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে ধান কাটার সময় কিন্তু চোরাচালানের কারণে শ্রমিক পাওয়া যায়না। বড়ছড়া কয়লা ও চুনাপাথর আমদানি কারক সমিতির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন- সীমান্ত চোরাচালান দিনদিন বেড়েই চলেছে। এই চোরাচালানের কারণ আমরা প্রায় ৩হাজার বৈধ ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছি। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এব্যাপারে বারবার জানানোর পরও তারা কোন পদক্ষেপ নেয় না।

এব্যাপারে সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজির বিষয়ে জানাতে চারাগাঁও ক্যাম্প কমান্ডার সিদ্দিক এর সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৬), চাঁনপুর ক্যাম্প কমান্ডার ঈশ^র চন্দ্র পন্ডিত এর সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৯) সহ বালিয়াঘাট ক্যাম্পের মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৭) ও টেকেরঘাট ক্যাম্পের মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৮) নাম্বারে বারবার কল করার পর ফোন রিসিভ না করে তারা আমার মোবাইল নাম্বার (০১৭১৫-৬৪৩৮৮৭) ব্লক করে দেয়।

তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন- সীমান্ত চোরাচালান বন্ধের দায়িত্ব বিজিবির। আপনারা বিজিবির সাথে কথা বলুন। এব্যাপারে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনা।


আরও খবর



ফারদিন খান ফিরছেন ১৪ বছর পর নবাবি মেজাজে

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫৩জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিনিধি;নতুনভাবে ১৪ বছর পর ক্যামেরার সামনে ফিরেই চমকে দিলেন অভিনেতা ফারদিন খান। সঞ্জয় লীলা বনশালির ‘হীরামাণ্ডি’র লুকে তাকে দেখে মুগ্ধ অনুরাগীরা। এর আগে গ্ল্যামার দুনিয়ার মূলস্রোতে ফিরেছেন সানি দেওল, ববি দেওল। এরই ধারাবাহিকতায় যুক্ত হলেন ফারদিন খান।

সোনাক্ষী সিনহা, মণীষা কৈরালা, রিচা চাড্ডা, অদিতি রাও হায়দরি, সানজিদা শেখ, শর্মিন সেহগালের মতো অভিনেত্রী রয়েছে ওয়েব সিরিজে। এদের সঙ্গেই অভিনয় করেছেন ফারদিন।

সিরিজে ওয়ালি মহম্মদের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তারকা। চোখে সুরমা লাগিয়ে বেশ নবাবি মেজাজেই দেখা যাচ্ছে তাকে।

বাবা ফিরোজ খানের পরিচালনায় সিনেমার জগতে সফর শুরু করেছিলেন ফারদিন। ১৯৯৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘প্রেম আগন’। এর পর ‘জঙ্গল’, ‘প্যায়ার তুনে ক্যায়া কিয়া’, ‘খুশ’, ‘ভূত’, ‘হে বেবি’র মতো একাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

চকোলেট হিরো হিসেবে একসময় জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন। কিন্তু ২০১০ দশ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দুলহা মিল গ্যায়া’র পর গ্ল্যামার জগৎকে বিদায় জানান অভিনেতা।

রুপালি পর্দা থেকে দূরে চলে যাওয়ার পর যতবারই ফরদিনকে দেখা গিয়েছে, অবাক হয়েছেন তার ভক্তরা। অনেকখানি ওজন বাড়িয়ে ফেলেছিলেন এ অভিনেতা। কিন্তু তার পর আবার চেনা চেহারায় ফিরে চমকে দেন।


আরও খবর