Logo
আজঃ বুধবার ০৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের দূতকে জোরালো ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ২৫৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;রোহিঙ্গা সঙ্কটের মূল কারণ উদ্‌ঘাটন ও মোকাবিলায় জাতিসংঘের বিশেষ দূতকে আরও জোরালো ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত নোলিন হেজারকে রাখাইনে রোহিঙ্গা পরিস্থিতির উন্নয়নে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি অন্যান্য সব অংশীদারদের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা আরও বাড়ানোর অনুরোধ করেন তিনি।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে বিশেষ দূতের সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আজ বুধবার জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এ তথ্য জানায়।

রোহিঙ্গা বিষয়ে সাধারণ পরিষদ এবং নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত বিভিন্ন রেজুলেশনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশেষ দূতকে রোহিঙ্গাদেরকে তাদের নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বহুমুখী কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে এবং আসিয়ান নেতৃত্বসহ সব বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে আরও সম্পৃক্ত থাকার আহ্বান জানান।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, সুযোগ দেওয়া হলে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের সমাজের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হতে পারে এবং তাদের আর্থ-সামাজিক সমৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে।

কক্সবাজার ও ভাসানচরে অবস্থিত অস্থায়ী ক্যাম্পে মিয়ানমারের পাঠ্যক্রমভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম প্রবর্তনসহ রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন মানবিক উদ্যোগ ও দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচীসমূহের কথা তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বিশেষ দূতকে রোহিঙ্গাদের জন্য তাদের সবচেয়ে জরুরি চাহিদা যেমন, খাদ্য, শিক্ষা, আশ্রয় ও স্বাস্থ্যসেবা মেটাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে পর্যাপ্ত তহবিল সংগ্রহ করতে কাজ করার আহ্বান জানান।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড বার্ডেন শেয়ারিং’ নীতির আওতায় জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো যাতে বাংলাদেশে মানবিক আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখে, সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐক্য ও সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর গুরত্বারোপ করেন। তিনি বিশেষ দূতের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও ভূমিকা গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্বীকার করেন এবং তাকে বাংলাদেশের পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন। বিনিময়ে বিশেষ দূত পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী নেদারল্যান্ডসের রাজা উইলেম-আলেকজান্ডার এবং তাজিকিস্তান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি ইমোমালি রহমানের সঙ্গে জাতিসংঘের সদরদফতরে একটি উচ্চ পর্যায়ের নৈশভোজে যোগদান করেন।

উল্লেখ্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২২-২৪ মার্চ নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদফতরে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।


আরও খবর



স্বর্ণের দাম আরও কমল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশের বাজারে আবারও দুই দিনের ব্যবধানে কমেছে স্বর্ণের দাম। বৃহস্পতিবার (২ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে।

শুক্রবার (৩ মে) থেকে নতুন এ দর কার্যকর হবে।

এর আগে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ৪২০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১১ হাজার ৪১ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস। এ নিয়ে টানা ৮ দফায় স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে মোট ১০ হাজার ২৬৫ টাকা।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮৭৮ টাকা কমিয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৯ হাজার ১৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮০৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৪ হাজার ১৯৪ টাকা করা হয়েছে। আর ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫৫২ টাকা কমিয়ে ৮৯ হাজার ৩১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৪ হাজার ২৭৬ টাকা।

প্রসঙ্গত, ২৯ এপ্রিল ভরিপ্রতি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ১১৫ টাকা, ২৮ এপ্রিল ৩১৫ টাকা, ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২ হাজার ৯৯ টাকা এবং ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমানো হয়।


আরও খবর



গোদাগাড়ীতে ঈদ আনন্দ মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ১৩২জন দেখেছেন

Image

গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃরাজশাহীর গোদাগাড়ীতে প্রথমবারের মত পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেদার ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক প্রকৌশলী এরশাদ আলী আকাশের উদ্যোগে ঈদ আনন্দ মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা অনুষ্টিত হয়েছে।শনিবার সকাল ১০টায় দুইশতাধিক মোটর সাইকেল যোগে গোদাগাড়ী পৌর শহরে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে। এ সময় সাধারন মানুষের সাথে কুশল বিনিময় করে আনন্দ উৎসব সবাই । শোভাযাত্রাটি গোদাগাড়ীর শহরের বিভিন্ন সড়ক এসে সুলতানগঞ্জ বাজারে এসে শেষ হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেদার ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক ও লেস ফুটওয়্যার বিডির চেয়ারম্যান গোদাগাড়ীর কৃতিসন্তান প্রকৌশলী এরশাদ আলী আকাশ বলেন,ঈদ ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকলের জীবনে আনন্দের বার্তা বয়ে নিয়ে আসে। ঈদের আনন্দ আমাদের সবার।” তিনি বলেন, ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে মুসলমানদের আত্মশুদ্ধি, সংযম, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মেলবন্ধন পরিব্যাপ্তি লাভ করুক- এটাই হোক ঈদ উৎসবের ঐকান্তিক কামনা। তিনি আরো বলেন,দলমত নির্বিশেষে আমি সবার পাশে থেকে সেবা করে যেতে চাই। তাই আপনার আমার জন্য দোয়া করবেন যে আপনারদের পাশে সব সময় থাকতে পারি।


আরও খবর



মাগুরায় তীব্র তাপদাহে উইম্যান ওর্য়াল্ডের শরবত বিতরণ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরা শহরে তীব্র তাপদাহ থেকে কিছুটা স্বস্থির জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মাগুরা শহরে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে শরবত পান করাচ্ছে। বুধবার দুপুরে উইম্যান ওর্য়াডের কর্মকর্তা সোনিয়া পারভীনের নেতৃত্বে নারী সদস্যরা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে শ্রমজীবী ও পথচারিদের মধ্যে শরবত পান করান। মাগুরা জেলা পুলিশ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কলিমুল্লাহ এর নেতৃত্বে শহরে শ্রমজীবা মানুষ ও পথচারিদের  স্যালাইন,  পানি ও শরবত পান করান হয়। এছাড়া মাগুরা পৌরসভা প্রতিদিন শহরের প্রধান সড়কে পানি ছিটিয়ে পরিবেশ শীতল করার কাজ করছে। উল্লেখ্য মঙ্গলবার দুপুরে মাগুরায় সর্বোচ্চ ৪২.০৬ ডিগ্রী তাপমাত্রা ছিল। বুধবার দুপুর দেড়টায় ৪১.২৯ ডিগী তাপমাত্রা বিরাজ করে। তীব্র তাপদাহ থেকে জনজীবনের বিপর্যয়ে কিছুটা স্বস্থি দিতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান।


আরও খবর



তাহিরপুর সীমান্তে আইন আছে প্রয়োগ নেই: বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ১১০জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তে আইন আছে কিন্তু তা প্রয়োগ না করার কারণে দিনদিন বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল। অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত গডফাদার ও তার সোর্সরা চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে গত ৩বছরে হয়েগেছে কোটিকোটি টাকার মালিক। তারা সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ নিজ এলাকায় নির্মাণ করেছে বিলাস বহুল বাড়ি, ক্রয় করেছে একাধিক গাড়ি।

জানা গেছে- গত বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিন বিকেলে জেলার তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট ও চাঁনপুর সীমান্তের রজনী লাইন ও নয়াছড়া এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা ও মাদক পাচাঁর করতে গিয়ে গর্তে পড়ে হোসেন আলী (৩২) নামের আরো এক চোরাকারবারীর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের রজনী লাইন গ্রামের সেকান্দর আলীর ছেলে। এরআগে গত সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৬টায় চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া এলাকা দিয়ে কয়লা ও মাদক পাচাঁর করার সময় চোরাকারবারী বাবুল মিয়া (৩৫) চোরাই কয়লার বস্তা নিয়ে ভারতের ভিতরে গর্তে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পড়ে তার সাথে থাকা সহযোগীরা লাশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসে। মৃত বাবুল মিয়া উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে। অপরদিকে এদিন সকাল ১১টায় ভারত থেকে পাচাঁরকৃত চোরাই কয়লা নিয়ে চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ জজ মিয়া (৪০) নামের চোরাকারবারী ঘটনাস্থলে মারা যায়। এঘটনা দুই পক্ষের আরো ১০জন আহত হয়। তাদের মধ্যে ৩জনকে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের স্থানীয় চিকিৎসক দ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। মৃত চোরাকারবারী জজ মিয়া উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লালঘাট গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে। তারআগে গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ৯টায় বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ও টেকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা দিয়ে অবৈধ ভাবে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে দুই ভায়রা ভাই চোরাকারবারী খাইরুল মিয়া (২৫) ও মুখলেছ মিয়া (২৬) এর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এরআগে গত বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ ) সকাল ৭টায় টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে কয়লা পাচাঁরের সময় চোরাকারবারী আইয়ুব আলী (২৮) ও গত ৫ মার্চ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় চারাগাঁও সীমান্তে কয়লা পাচাঁরের সময় ট্রলির নিচে চাপা পড়ে অনিন্দ্র দাস (১৩) এর মৃত্যু হয়। এছাড়াও গত ৩ মাসে বালিয়াঘাট সীমান্তে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে ৭জনসহ লাউড়গড় সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান করতে গিয়ে বিএসএফের ধাওয়া খেয়ে যাদুকাটা নদীতে ডুবে এই পর্যন্ত অর্ধশতাধিক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এসব মৃত্যুর জন্য দায়ী সীমান্ত চোরাকারবারীদের গডফাদার তোতলা আজাদ ও তার সোর্স বাহিনীর বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি আইনগত কোন পদক্ষেপ।

সীমান্তবাসী জানায়- বর্তমানে সীমান্ত গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে টেকেরঘাট সীমান্তের বড়ছড়া, বরুঙ্গাছড়া ও রজনী লাইন এলাকায় সোর্স আক্কল আলী, কামাল মিয়া, সাইদুল মিয়া ও এই সীমান্তের টেকেরঘাট, লাকমা এলাকায় রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট এলাকায় ইয়াবা কালাম, হোসেন আলী, এই সীমান্তের দুধেরআউটা, ড্রাম্পের বাজার, নতুন বাজার, ঘোড়াঘাট, শ্রীপুর, তেলিগাঁও, বৈঠাখালী এলাকায় জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির হোসেন, নেকবর আলী, চারাগাঁও সীমান্তের জঙ্গলবাড়ি, কলাগাঁও এলাকায় আইনাল মিয়া, রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া, রফ মিয়া ও এই সীমান্তের বাঁশতলা, এলসি পয়েন্ট এলাকা দিয়ে সোহেল মিয়া, বাবুল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, লালঘাট এলাকায় শরাফত আলী, শামসুল মিয়া, পাশের বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের লামাকাটা, সুন্দরবন এলাকায় লেংড়া জামাল, একই সীমান্তের বাগলী এলাকা দিয়ে শেখ মস্তোফা, চাঁনপুর সীমান্তের জম্মত আলী, জামাল মিয়া, নজরুল, হারুন ও লাউড়গড় সীমান্তের বায়েজিদ, জসিম মিয়া, জজ মিয়া, রফিকুল, নুরু মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং ভারত থেকে প্রতিদিন অবৈধ ভাবে পাচাঁরকৃত ১ মেঃটন চোরাই কয়লা থেকে পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে ১হাজার টাকা, বিজিবির নামে ৭শ টাকা, সমিতি ও কাস্টমসের নামে ৫শ টাকা চাঁদা উত্তোলন করাসহ পাচারকৃত পেয়াজ, চিনি, গরু, ঘোড়া, ইয়াবা, মদ, নাসিরউদ্দিন বিড়ি, চুনাপাথর, বল্ডার পাথর, সুপারী, কসমেটিকস, কাপড় ও অন্যান্য মালামাল থেকে প্রতিদিন কোটি টাকার চাঁদা উত্তোলন করছে। তারা গত ১ মাসে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে প্রায় ১০হাজার মেঃটন কয়লা পাচাঁর করেছে বলে জানাগেছে।

এব্যাপারে বড়ছড়া কয়লা ও চুনাপাথর আমদানী কারক সমিতির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য পুলিশ ও বিজিবি প্রশাসানের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের বারবার অবগত করার পরও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়না। এর ফলে আমরা ৩ শুল্কস্টেশনের হাজার হাজার বৈধ ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছি। সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজির বিষয়ে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্প (০১৭৬৯-৬১৩১২৭), চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প (০১৭৬৯-৬১৩১২৬) ও টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৮) নাম্বারে কল করে জানানোর কারণে তারা আমার মোবাইল (০১৭১৫-৬৪৩৮৮৭) নাম্বারটি ব্লক করে দেয়। এই বিষয়ে জানাতে বিজিবি অধিনায়কের সরকারী নাম্বারে বারবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনা। বিএসবির গোয়েন্দা সদস্য ফারুক খান বলেন- সীমান্ত চোরাচালানের বিষয়ে আপনি বিজিবি অধিনায়ককে জানান, আর আমি আমার উপরস্থ কর্মকর্তাকে জানাব।

তাহিরপুর থানার ওসি কাজী নাজিম উদ্দিন বলেন- সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধ করার দায়িত্ব বিজিবির। থানা-পুলিশের কোন সোর্স নাই। যারা সোর্স পরিচয় দিয়ে পুলিশের নাম ভাংগিয়ে চাঁদাবাজি করছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এব্যাপারে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করার পরও ফোন রিসিভ না করার কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



সিরাজগঞ্জ বেলকুচিতে আওয়ামীলীগ নেতার উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৮১জন দেখেছেন

Image
রাকিব সিরাজগঞ্জ থেকে:সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা ও সমাজসেবক হাজী ফজলার রহমান রুমির উপর হামলা-মারপিটের প্রতিবাদে ও হামলাকারিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২১ এপ্রিল) সকালে বেলকুচি উপজেলার তামাই বাজারে গ্রামবাসির উদ্যোগে কর্মসূচিটি পালন করা হয়।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন,পরিকল্পিতভাবে তামাই গ্রামের প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা ও সমাজসেবক ফজলার রহমানের উপর হামলা চালায় লিমন সরকার,জুয়েল সরকার,লিটন সরকার ও এশাদুল সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনী। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হলেও এখনো আসামিদের আটক করা হয়নি। অতি দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যাবস্থা করতে হবে।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন,বেলকুচির ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম ভূইয়া, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা হাজী গোলাম সালেক,আব্দুল গফুর প্রমূখ।

এবিষয়ে বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন,ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এখনো আসামিদের আটক করা হয়নি। অতি দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে ।

আরও খবর