Logo
আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম
যাত্রাবাড়িতে ছিনতাই হতে যাওয়া মালামাল উদ্ধার করলেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর পবিত্র বিশ্বাস টাঙ্গাইলের মধুপুরে নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানের গন সংবর্ধনা নবীনগরে ভেকু দিয়ে মাটি কাটতে গিয়ে বৈদ্যুতিক তাঁর ছিঁড়ে একজনের মৃত্যু যাত্রাবাড়ীতে অঞ্জাত ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার রূপগঞ্জে নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিব বাংলাদেশে আবারো শুরু হচ্ছে বার্সা একাডেমির ট্রেনিং ক্যাম্প রেলপথ মন্ত্রী কতৃক মাগুরার নির্মানাধীন রেলপথ নির্মান প্রকল্প পরিদর্শন প্রচারণায় জমে উঠেছে আত্রাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট

রাণীশংকৈলে প্রাথমিক স্তরে নতুন বই বিতরণ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৩৩জন দেখেছেন

Image
রাণীশংকৈল ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় সোমবার ( ১ জানুয়ারি) ২০২৪ প্রতি বছরের মতো এবছরও শিশু শ্রণি, প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরে ৩৭৫৮০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে নতুন বছরের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম ‘বই বিতরণ উৎসব-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

এ উপলক্ষে এদিন সকাল ১১ টায়  রাণীশংকৈল মডেল ও ভান্ডারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাঠে অনুষ্ঠানিক ভাবে বই বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না, ইউএনও রকিবুল হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক সইদুল হক,
ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা ও শেফালী বেগম,প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রাহিমউদ্দিন,সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ঘনশ্যাম রায়,জাহিদ হোসেন, সীমান্ত বসাক, পৌর আ'লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত বসাক, অভিভাবক গোলাম সারওয়ার বিপ্লবসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। 

২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক স্তরে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের অংশ হিসাবে উপজেলার ১৫৬ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় , বেসরকারি ৩২ টি, এনজিও পরিচালিত স্কুল ৩ টি ও শিশুকল্যাণ স্কুল ১ টিসহ মোট ২৩৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩৭ হাজার ৫ শত ৮০ জন শিক্ষার্থীকে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৩০ টি নতুন বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। অপরদিকে একইদিনে উপজেলার মাধ্যমিক স্তরের সকল স্কুল, মাদ্রাসা ও ভোকেশনাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে।

আরও খবর



সিরাজগঞ্জে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৩৮জন দেখেছেন

Image
রাকিব সিরাজগঞ্জ থেকে:সিরাজগঞ্জে জেলা পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক কর্মশালা বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরা ব্যবসায়ী,খাদ্য ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধি,সুধীজন, গণমাধ্যম কর্মী ও সরকারি কর্মকর্তাগণদেরকে নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 
বুধবার ( ১৫ মে) সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ.কে শহিদ শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় জেলা পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক কর্মশালায়  সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এর সভাপতিত্বে শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নিরাপদ খাদ্য সিরাজগঞ্জ জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মো. আতিকুর রহমান। 

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নিরাপদ খাদ্র বিষয়ক জনসচেতনতামূলক দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন,সদস্য বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ শোয়েব। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ শোয়েব তিনি বলেন,নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে অবশ্যই ভালো ও উন্নত মানের বীজ তৈরি করতে হবে। কৃষি বিভাগের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে খাদ্য ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগর মাধ্যমে নিয়ম কানুন বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে। কৃষি ক্ষেত্রে কীটনাশকের প্রয়োগ কমাতে হবে। জৈব সারের প্রয়োগ বাড়াতে হবে। ক্ষতিকারক পোকামাকড় দমনে কীটনাশকের বিকল্প হিসেবে পোকা দমন ফাঁদ ব্যবহার করতে হবে। প্রতিনিয়ত মনিটরিং এবং হোটেল রেস্তোরা মালিক কর্মচারীদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। সর্বপরি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে যে আইন আছে তা প্রয়োগ করতে হবে এবং শাস্তির আওতায় আনতে হবে। কর্মশালার সভাপতি জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন,খাদ্য যদি নিরাপদ না হয় তাহলে তা খাদ্য নয়। খাদ্যকে নিরাপদ হওয়া উচিত সবার আগে। কারণ খাদ্য থেকে বিরত থাকার কোন উপায় নেই। তবে খাদ্য নিয়ে আমাদের মাঝে অসচেতনতা আছে। জনসচেতনতাই পারে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে। অনিরাপদ খাদ্যের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। স্মার্ট খাদ্য গ্রহণ করতে হবে তবেই স্মার্ট নাগরিক গড়ে উঠবে।

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) গনপতিরায়, সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. রামপদ রায়,জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ প্রতিদিন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক, সিনিয়ার সাংবাদিক ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশ রেস্তোরা মালিক সমিতি সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম,জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.হারুনর রশিদ প্রমুখ।

আরও খবর



রাণীশংকৈলে ৫ দিন পর মানসিক প্রতিবন্ধির অর্ধ গলিত লাশ ভূট্টাক্ষেত থেকে উদ্ধার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৯৫জন দেখেছেন

Image
রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের রামপুর ব্রিজের পার্শ্বে ভুট্টা ক্ষেত থেকে বৃহস্পতিবার (২মে) মানসিক প্রতিবন্ধির লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। জানাযায়, উপজেলার জওগাঁও গ্রামের আমিরুল ইসলাম (৫৭) ধামালু ভুট্টা ক্ষেতে পানি (সেচ) দিতে গেলে ক্ষেতের ভিতরে লাশ দেখতে পায়। এসময় ধামালুর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন জড়ো হলে ভুট্টা ক্ষেতে অজ্ঞাত নামা লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়।

স্থানীয়রা জানায়, ৫দিন ধরে উপজেলার চেংমারি গোচিয়া এলাকার মৃত আবুল হোসেনের পুত্র মানসিক প্রতিবন্ধি তৈমুল হক (৫৫) বাড়ি থেকে হারিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার কালো রং মাখানো অর্ধ গলিত তৈমুলের লাশ ভুট্টা ক্ষেতে পাওয়া যায়। তবে পরিবারে লোকজনের দাবী তৈমুল কে হত্যা করা হয়নি। সে মানসিক প্রতিবন্ধি ছিল।

এএসপি সার্কেল রেজাউল হক, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা ঘটনা স্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রির্পোট তৈরি করে, লাশ মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

এ প্রসঙ্গে এএসপি সার্কেল রেজাউল হক বলেন, লাশের গায়ে কোন আঘাতের চিহৃ পাওয়া যায়নি। তবে সিআইডি’র একটি চৌকস দল এলেই লাশের মোটিভ আরো কিছুটা পরিস্কার হবে। যেহেতু অর্ধগলিত লাশ তা ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের মাঝে হস্থান্তর করা হবে।

আরও খবর



জয়পুরহাটে বৃষ্টির মধ্যেই তিন উপজেলায় ভোট গ্রহণ চলছে

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image
এস এম শফিকুল ইসলাম জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে দিয়ে জয়পুরহাটের কালাই,ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর  উপজেলায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।বুধবার  সকাল ৮টা থেকে ১০৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এ ভোটগ্রহণ।নির্বাচনে তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

নির্বাচন অফিস জানায়, তিনটি উপজেলায় মোট ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৭৬৯ জন। এর মধ্যে কালাই উপজেলায় এক লাখ ২২ হাজার ৭৩৬ জন, ক্ষেতলালে ৯৫ হাজার ১৯১জন ও আক্কেলপুর উপজেলায় এক লাখ ২২ হাজার ৮৮২ জন ভোটার রয়েছেন। 

এদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে কেন্দ্রগুলিতে আনসার-ভিডিপি ও পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব ও বিজিবি দায়িত্ব পালন করছে।
জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মো. ফজলুল করিম বলেন,  নির্বাচনে এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

আরও খবর



বেনাপোল কাস্টমসে ল্যাগেজ বাণিজ্যে হুমকির মুখে আমদানি বাণিজ্য

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমসে চলছে অবৈধ ল্যাগেজ বাণিজ্য। দেশের অভ্যন্তরে বিনা শুল্কে অবৈধ পণ্য প্রবেশ করায় মারাত্মক হুমকির মুখে আমদানি বাণিজ্য। স্থানীয় ল্যাগেজ পারাপারকারী চোরাই সিন্ডিকেটের সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তাদের রমরমা ঘুষ বাণিজ্য চলতে থাকায় প্রতিদিন সরকার হারাচ্ছে পণ্য চালান বাবদ কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। একই সাথে চলছে যাত্রীপ্রতি ১ হাজার টাকার ট্রাভেল ট্যাক্স ফাঁকির মহোৎসব।

বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ড থেকে ভারতের পশ্চিমবাংলার রাজধানি কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। এখান থেকে দু'দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বিজনেস, ট্যুরিস্ট, মেডিকেল ও স্টুডেন্ট ভিসার সিংহভাগ যাত্রী এ পথেই যাতায়াত করে থাকেন। প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ হাজার যাত্রী যাতায়াতের এই চেকপোস্ট থেকে ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকার রাজস্ব আসার কথা। যা ইমিগ্রেশন এন্ট্রি কাউন্টার থেকে প্রতিদিনের যাত্রী সংখ্যা আর কাস্টমসের রাজস্ব আয়ের হিসাব মেলালে শুভঙ্করের ফাঁকি বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন সচেতনমহল।

সুত্র মতে জানা যায়, ল্যাগেজ পারাপারকারী যাত্রীর কাছ থেকে প্রতিদিন ইমিগ্রেশনে কর্মরত অধিকাংশ ঘুষখোর কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদমর্যাদার মান বুঝে নগদ ঘুষ বাণিজ্য হয় সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত। সেখানে নাম মাত্র দু-একজন ননটেকার নামধারী কর্মকর্তা থাকলেও তাদের বিভিন্ন কাজের মাঝে চুরি করে ল্যাগেজ পণ্য পারাপার করেন এসব টেকার নামধারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এছাড়া দেশের সর্ববৃহৎ স্থল প্রবেশপথ বেনাপোল দিয়ে যাতায়াতে স্ক্যানিং মেশিন থেকে শুরু করে পথে পথে অহেতুক ব্যাগ তল্লাশির নামে হয়রানি করেন এসব কর্মকর্তা। লোভ তাদের এমনভাবে ঘিরে ফেলেছে যেখানে ব্যাগপ্রতি অবৈধ চাহিদার টাকা না দিলে ব্যবহারের জন্য ভারত থেকে নিয়ে আসা সামান্য কেনাকাটার পণ্যসামগ্রী ডিএম করে এবং তা কাস্টমসে জমা দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন অগণিত পাসপোর্ট যাত্রী। এছাড়া তাদের পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। যে কারণে এ পথ দিয়ে প্রতিনিয়ত কমতে শুরু করেছে পাসপোর্ট যাত্রী চলাচল। সরকার হারাতে বসেছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

তথ্যানুসন্ধানে আরো জানা যায়, ভারত থেকে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ ট্রাক আমদানি পণ্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করত। এখন ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের অবাধ বিচরণে তা কমে ২০০ থেকে ৩০০ ট্রাকে পরিণত হয়েছে।

আমদানিকারকরা বলছেন, বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমস দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক ঘুষ লেনদেনে রমরমা ল্যাগেজ বাণিজ্য চলছে। ভারত-বাংলাদেশের সহস্রাধিক চোরাকারবারি বেনাপোল চেকপোস্টের কয়েকটি শক্তিশালী ল্যাগেজ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এ ব্যবসাটি পরিচালনা করছে। এরা কাস্টম সহ কয়েকটি সংস্থার কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে অবৈধ পণ্য পাচার করছে। সেই সঙ্গে যাত্রীপ্রতি ১ হাজার টাকার ট্রাভেল ট্যাক্স জালিয়াতি করে প্রতিদিন সরকারের লাখ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। একই সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তারা সব যাত্রীকে চোরাকারবারি ভেবে তাদের শরীর ও ব্যাগে নোংরাভাবে তল্লাশি করায় হয়রানির ভয়ে এ পথ ছাড়ছেন অনেকে। যে কারণে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে যাত্রী যাতায়াত আগের ৮-১০ হাজার থেকে ৩-৪ হাজারে নেমে এসেছে।

জানা যায়, বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসের স্ক্যানিং মেশিনে কর্মরত সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) নাঈম, ইমরান ও  দিদারের সঙ্গে স্থানীয় ল্যাগেজ সিন্ডিকেটসহ অন্যান্য শুল্কফাঁকি চক্রের ঘুষ চুক্তিতে চলছে এখানকার রমরমা সব অবৈধ বাণিজ্য। সপ্তাহের প্রতিদিন তারা ব্যাগপ্রতি সর্বনিম্ন ৩ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ চুক্তিতে তল্লাশিবিহীন ৫০০ থেকে ৬০০ যাত্রীর ল্যাগেজ পাচার করছে।

বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের এক ব্যবসায়ী নেতা জানান, আমদানিকারকরা সরকারি আমদানিনীতির প্রতিটি শর্ত পূরণ করে পণ্য আমদানি করে। যা বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে ১ থেকে ২ মাস সময় লাগে। বন্দরে আসার পর তা কাস্টমসে পরীক্ষণ, শুল্কায়ন নির্ধারণ, রাজস্ব পরিশোধ, ছাড়করণ, লোড-আনলোড, পরিবহনসহ ইত্যাদি খরচ যোগ হয়, এরপর লভ্যাংশ।তাতে অবৈধ ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের পণ্য প্রায় দুমাস আগেই কমমূল্যে ঢাকাসহ বড় বড় বাজার দখল করে নেয়ায় ব্যবসায় মারাত্মক হিমশিম খেতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। অনেকে লোকসান ঠেকাতে বাধ্য হচ্ছে আমদানি বাণিজ্য বন্ধ করতে। তাতে সরকার হারাচ্ছে শত শত কোটি টাকার রাজস্ব।

সরজমিনে বিষয়টি জানতে স্থানীয় এক সাংবাদিক পাসেপার্ট যাত্রী হয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। এ সময় ল্যাগেজ পণ্য পাচারের মহোৎসব চলতে থাকায় তার ভিডিওচিত্র ক্যামেরায় ধারণ করতে গেলে স্ক্যানিং মেশিনের সামনে থেকে অগ্নিমূর্তি ধারণ করেন এআরও নাঈম, সুপার জাহাংগীর ও সুপার মোখলেছুর রহমান। তিনি হুংকার দিয়ে তেড়ে আসেন এবং এ প্রতিবেদকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে বার বার উদ্ধত হন। পাসপোর্ট সাথে থাকা ছোট একটি ল্যাগেজ ছিনিয়ে নেয়া সহ অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন। এ সময় নীরব দর্শকের মতো তার পাশে তাকিয়ে ছিলেন দায়িত্বরত রাজস্ব কর্মকর্তারা। বিভিন্ন ভঙ্গিতে আরো উপস্থিত ছিলেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা, আনসার সদস্য, ইমিগ্রেশন পুলিশ, ব্যাটালিয়ন পুলিশ এবং বিভিন্ন শ্রেণির দালাল নামধারী বিভিন্ন প্রিন্ট পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা ও বড় বড় টিভি'র সাংবাদিকরা। দালাল নামধারী কতিপয় দুই ব্যক্তি দিনের বেশিরভাগ সময় ইমিগ্রেশন কাস্টমস ভভ্যন্তরে থাকেন বলে স্থানীয়দের অভিযােগ। সে সময় উক্ত সাংবাদিককে শারিরিকভাবে লাঞ্চিতও করা হয়। ইমিগ্রেশন কাস্টমসের সিসি ফুটেজ ঘাটলে বেরিয়ে আসবে কাস্টম কর্মকর্তাদের রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার আসল চরিত্র। কথা হয় বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন কাস্টমসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকলেসুর রহমানের সঙ্গে। তিনি সব অভিযোগ সঠিক না বলে জানান। পরে অবশ্য উক্ত সাংবাদিকের ল্যাগেজ সহ পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেন।


আরও খবর



জয়পুরহাটে ট্রাক্টর - সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত ২ আহত ৪

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৫৭জন দেখেছেন

Image
এস এম শফিকুল ইসলাম জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃজয়পুরহাটে ট্রাক্টর -সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন ধানকাটা শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। তাদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । রবিবার সন্ধ্যায় জয়পুরহাট - আক্কেলপুর সড়কের দাদড়া এলাকায়  এ দূর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন- ধানকাটা শ্রমিক পাঁচবিবি উপজেলার সালুয়া গ্রামের জীতেন বর্মন (৪০)। বড় মানিক গ্রামের ইদ্রিস আলী। 

আহতরা হলেন -  পাঁচবিবি উপজেলার সালুয়া গ্রামের মৃত উতিন মন্ডলের ছেলে  সুনীল বর্মন (৪৫) একই গ্রামের আসির উদ্দিনের ছেলে ইসমাইল (৪৩)তোনসেনের ছেলে  আজিজুল ইসলাম (৪৫) 
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  হুমায়ুন কবির জানান, কয়েকজন শ্রমিক নওগাঁর রানীনগরে ধানকাটা শেষ করে সিএনজি করে  নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। এসময় দাদড়া এলাকায় দ্রুত গামী একটি ট্রাক্টরের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দু'জন ধানকাটা শ্রমিক মারা যান । এ ঘটনায় আহত হন ৪ জন। তাদের ফায়ারসার্ভিস সদস্যরা  উদ্ধার করে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আরও খবর