রাণীশংকৈলে কুলিক নদীতে গোসল করতে গিয়ে ২ শিশুর মৃত্যু
মধুপুরে বদলি হওয়া তিন শিক্ষককে সদর ক্লাস্টারে ফুলেল শুভেচ্ছা
শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
রূপগঞ্জে প্রার্থীতার বৈধতা হরিয়েছেন সেলিম প্রধান, পাচ্ছেন না প্রতীক বরাদ্দ
বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
টেকনো নিয়ে এলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সমৃদ্ধ স্মার্টফোন
প্রযুক্তি ডেস্ক:গ্লোবাল স্মার্টফোন ব্র্যান্ড টেকনো সম্প্রতি লঞ্চ করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সম্পন্ন অপারেটিং সিস্টেম (এআইওএস)। বাংলাদেশের সহ বিশ্বব্যাপি মোবাইল ফোন প্রযুক্তির উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। বিশ্বের অনেক নির্মাতা প্রতিষ্ঠানই এআই প্রযুক্তি তাদের স্মার্টফোনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় টেকনো তাদের সাম্প্রতিক সংযোজনে এআই প্রয়োগ নিশ্চিত করে প্রযুক্তি এবং ভোক্তা অভিজ্ঞতার উন্নয়নে তাদের প্রতিশ্রুতি বজায় রেখেছে।
এআই চালিত সিস্টেমের মাধ্যমে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি বৈশ্বিক বিপ্লব আনয়নের প্রচেষ্টা নিয়ে টেকনোর ডিরেক্টর অব ইঞ্জিনিয়ার, জুড ইউর অধীনে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রচলিত মোবাইল ডিভাইস এবং আধুনিক এআই সক্ষমতার সমন্বয় ঘটিয়ে টেকনোর নতুন এই এআইওএসটি আরো অধিক সুবিধা এবং ভোক্তা অভিজ্ঞতা বর্ধিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
গুগল এবং মিডিয়াটেকের মতো ইন্ড্রাস্ট্রি প্রতিনিধিদের সাথে কৌশলগত সমন্বয় নিশ্চিত করে মোবাইল ব্যবহার অভিজ্ঞতার প্রতিটি স্তরে শীর্ষ পর্যায়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অনুপ্রবেশ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে টেকনো। প্রতিষ্ঠান গুলোর সাথে টেকনোর এই পার্টনারশিপ সুনিশ্চিত করেছে টেকনোর মোবাইল সেট গুলোতে গুগল এআই সুটসের উপস্থিতি যাতে আরো রয়েছে গুগল জেমিনি, ডুয়েট এআই, এবং জিমেইল এআই সুবিধা। এই ফিচার গুলো মোবাইল ফোন ব্যবহারকে করবে আরো সৃজনশীল এবং সুদক্ষ।
সম্প্রতি বাজারে আসা স্পার্ক ২০ প্রো প্লাস স্মার্টফোনটি টেকনোর এআই উদ্ভাবনী প্রচেষ্টার একটি সফল উদাহরণ।প্রতিষ্ঠানটির এই ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইসে রয়েছে ১০৮ মেগাপিক্সেল ধারণক্ষমতা সক্ষম আল্ট্রা সেনসিং মেইন ক্যামেরা এবং শক্তিশালী হেলিয়ো জি৯৯ আল্টিমেট প্রসেসর চিপসেট। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সমৃদ্ধ অরোরা ইঞ্জিন ২.০ এবং ডারউইন ইঞ্জিন ২.০ ফিচার গুলো ফোনের পারফরমেন্সকে করবো আরো সুচারু এবং গেমিং অভিজ্ঞতাকে করবে আরো নির্বিঘ্ন। এছাড়াও টেকনোর এই স্মার্টফোনটিতে রয়েছে এআই ওয়ালপেপার ফিচার। ব্যবহারকারী নিজে টেক্সট কমান্ড বা নির্দেশনা দিয়ে নিজের পছন্দমতো ওয়ালপেপার জেনারেট করে নিতে পারেন। টেকনোর এই স্মার্টফোনটি বর্তমানে বাংলাদেশেও পাওয়া যাচ্ছে যা স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাকে করবে আরো সুন্দর।টেকনোর এআই উদ্যোগটি শুধু হার্ডওয়্যার উদ্ভাবনেই সীমাবদ্ধ থাকে নাই। এতে রয়েছে বহু ভাষা সমৃদ্ধ ‘এলা’ নামক একটি ব্যক্তিগত এআই এসিস্টেন্ট সফটওয়্যার। এই সফটওয়্যারটি ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাকে আরো বেশি সুদক্ষ করে এবং অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করে৷। বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীদের জন্য এই সিস্টেমটি নিশ্চিত করে পরিপূর্ণ সহায়তা এবং বর্ধিত দক্ষতার।
টেকনোর এআই ইকোসিস্টেমে অন্যতম একটি আকর্ষন হলো এর উদ্ভাবনী ফটোগ্রাফি ফিচারসমূহ। এআই পোট্রেইট ইনহ্যানসার এবং এআই ইরেজার ফিচার গুলো ফটোগ্রাফির নান্দনিক ধারণাকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করেছে। ব্যবহারকারীদের বৈচিত্র্যময় চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে এই ফিচার গুলো যেকোনো স্থানে নিশ্চিত করে উচ্চ কোয়ালিটির ছবি এবং ভিডিও ধারণ।
উদ্ভাবন এবং উৎকর্ষের বিকাশে টেকনোর অবদান স্মার্ট জীবনের ভবিষ্যতকে প্রতিনয়ত প্রভাবিত করে আসছে।টেকনোর এই যাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সংযোজন ব্যবহারকারীদের স্মার্টফোন অভিজ্ঞতাকে করবে আরো সুদক্ষ করে ডিজিটাল ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার উন্মোচন করবে।
বাংলাদেশের সাইবার জগতকে আরো নিরাপদ করতে কাজ করে যাচ্ছেন আহনাফ আল মিরাজ
বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
রুয়েট ও আহসানুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে হুয়াওয়ের ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট
বুধবার ০১ মে ২০২৪
বাংলাদেশ সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বদা প্রস্তুত: প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্তব্য করেছেন,যেকোনো বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রামের হালিশহরে আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্সের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন শেষে ভাষণে একথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বৈদেশিক নীতির মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে ‘সকলের সিঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়’। প্রতিবেশী সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য। কিন্তু যে কোন আগ্রাসী বহিঃশত্রুর আক্রমণ হতে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমরা সদা প্রস্তুত ও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে সেনাসদস্যরা দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠা নিয়ে কাজ করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা সক্ষম হব, ইনশাআল্লাহ।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। এজন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে হতে হবে তথ্য-প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন-স্মার্ট।
প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থাশীল ও অনুগত থেকে কঠোর অনুশীলন, পেশাগত দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে তাদের গৌরব সমুন্নত রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি সেনাবাহিনীর সার্বিক উন্নয়নে তার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা সংক্ষেপে বর্ণনা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আধুনিকায়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে অত্যাধুনিক বিমান, হেলিকপ্টার, ইউএভি, চতুর্থ প্রজন্মের ট্যাংক, আধুনিক এপিসি, ট্যাংক বিধ্বংসী মিসাইল ও অন্যান্য যুদ্ধ সরঞ্জাম।
প্রধানমন্ত্রী দেশের কল্যাণে সেনাবাহিনীর সার্বিক কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, আজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতির আস্থার প্রতীক হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত।
তিনি বলেন, কর্মনিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের কারণে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও আজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রশংসিত। জাতিসংঘ মিশনে আমাদের সৈনিকদের সামর্থ্য এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সম্প্রতি অত্যাধুনিক লাইট আর্মাড ভেহিক্যাল ও মাইন রেসিস্ট্যান্ট এ্যাম্বুস প্রটেক্টেড ভেহিকেল সংযোজন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স উদ্বোধন শেষে কমপ্লেক্সে আর্টিলারি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি জাদুঘরে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অতি বাস্তব প্রতিকৃতি, মহান মুক্তিযুদ্ধে মুজিব ব্যাটারীর প্রথম গোলাবর্ষণকারী ঐতিহাসিক ৩.৭ ইঞ্চি হাউইটজার, আর্টিলারি রেজিমেন্টে ব্যবহৃত গোলাবারুদ ও সকল কামানের প্রতিরূপ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে গোলন্দাজ বাহিনীর উল্লেখযোগ্য অপারেশনসমূহের গৌরবময় ইতিহাস দেখেন।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানে মুজিব ব্যাটারির ওপর নির্মিত একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, তিন বাহিনী প্রধান, সংসদ সদস্য, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন পদবির অফিসার, জেসিও, অন্যান্য পদবির সেনা কর্মকর্তা এবং মিডিয়া ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সিরাজদিখানে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে হেভিওয়েট প্রার্থী আবু বক্কর সিদ্দিক
বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
ঢাকায় পৌঁছেছে ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ
বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
চারাগাঁও সীমান্ত দিয়ে আবারো ২শ টন কয়লা পাচাঁর: নেই অভিযান
মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের একাধিক পথে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে আবারো অবৈধ ভাবে কয়লা ও মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল পাচাঁরের খরব পাওয়া গেছে। সীমান্তের বিভিন্ন বসতবাড়ি ও একাধিক ডিপুতে অভিযান পরিচালনা করলে কোটি টাকার অবৈধ মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত এই সীমান্তে জোড়ালো কোন অভিযান হয়না বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- আজ বৃহস্পতিবার (২রা মে) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামী বাবুল মিয়া বিজিবির নামে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) অবৈধ কয়লা থেকে ৪০টাকা করে চাঁদা নিয়ে প্রায় ৮০মেঃটন কয়লা ভারত থেকে পাচাঁর করে চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন আব্দুর রাজ্জাক, ডালিম মিয়া, নজির মিয়া, মঙ্গল মিয়াসহ আরো একাধিক বাড়িতে মজুত করেছে। এরআগে ভোর রাতে বিজিবি ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত এলসি পয়েন্টে সংলগ্ন চারাগাঁও ছড়া দিয়ে একই ভাবে চাঁদা নিয়ে একাধিক মামলার আসামী সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারবারী সুহেল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, দীপক মিয়া, নবু মিয়াগং ভারত থেকে ১২০মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে সীমান্তের নারী চোরাকারবারী লাবিয়া বেগম, সুজন মিয়া, সোহেল মিয়ার বাড়ি ও ফজলু সদর, কাইয়ুম সর্দারের ডিপুসহ আরো একাধিক স্থানে মজুত করে। অন্যদিকে এই সীমান্তের কলাগাঁও, জঙ্গলবাড়ি ও লামাকাটা এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালান মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া, রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া ও লেংড়া জামালগং ভারত থেকে কয়লা, চুনাপাথর, গরু, সুপারী, চিনি, পেয়াজ, মদ ও গাঁজাসহ বিভিন্ন মালামাল পাচাঁর করলেও পাশের বীরেন্দ্রনগর ও বালিয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে বিভিন্ন স্থানে পাঠায়। পাচাঁরকৃত প্রতিবস্তা কয়লা থেকে ৪০টাকা, প্রতিবস্তা পেয়াজ ও চিনি থেকে ১শ টাকা, ১টন চুনাপাথর থেকে ৫শ টাকা, প্রতি গরু থেকে ২হাজার টাকাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য থেকে বিভিন্ন হারে চাঁদা উত্তোলন করে বিজিবির নাম ভাংগিয়ে। এছাড়াও সাংবাদিক ও পুলিশের নাম ভাংগিয়ে সোর্সরা ও তাদের গডফাদার তোতলা আজাদ গত ৩বছরে চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে হয়েগেছে কোটিপতি। চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার হিসেবে নায়েক সুবেদার খাদেমুল ইসলাম ও বিল্লাল কর্মরত থাকাকালীন সময় এই সীমান্ত চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে ছিল। আটক করা হয়েছে অবৈধ কয়লাসহ বিভিন্ন মালামাল। কিন্তু নায়েক সুবেদার সিদ্দিক যোগদান করার পর থেকে সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে।
এব্যাপারে চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার সিদ্দিক এর সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৬) নাম্বারে কয়েক বার ফোন করার পর, ফোন রিসিভ না করে ব্লক করে দেয়। এবিয়ষে টেকেরঘাট কোম্পানী কমান্ডার কামাল বলেন- চারাগাঁও সীমান্ত আমার কোম্পানীর অধিনে। ওই সীমান্তের চোরাচালানের বিষয়ে ক্যাম্প কমান্ডারের সাথে কথা বলব। এই সীমান্ত চোরাচালানের বিষয়ে জানাতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করার পর তিনিও ফোন রিসিভ করেনি।
মিল্টন সমাদ্দার ভুয়া মৃত সনদ নিজেই তৈরি করতো: ডিবি
বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৩১
বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
পোরশায় ৫টি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই
ডিএম রাশেদ,পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধি:নওগাঁর পোরশায় ৫টি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় উপজেলার নোচনাহার বাজারে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রায় ৩লক্ষাধীক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানাগেছে। জানা গেছে, ঘটনার সময় হঠাৎ করে দোকান ঘরে আগুন দেখে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভায়। এ ঘটনায় বাজারের একটি কাপড়ের দোকান, একটি সুতার দোকান, একটি আতরের দোকান, একটি তেলের দোকান ও একটি পাটর্স এর দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের টিম লিডার মাসুদ রানা জানান, তারা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভায়। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হতে পারে বলে তিনি জানান।
মধুপুরে বদলি হওয়া তিন শিক্ষককে সদর ক্লাস্টারে ফুলেল শুভেচ্ছা
শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
রূপগঞ্জে প্রার্থীতার বৈধতা হরিয়েছেন সেলিম প্রধান, পাচ্ছেন না প্রতীক বরাদ্দ
বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
মেহেরপুরে নার্সিং কলেজ কাজের মেয়াদের সঙ্গে বেড়েছে ব্যয়
মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরে মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে ২০১৯ সালে নার্সিং কলেজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। পাঁচ বছরে প্রকল্পটির মেয়াদ বেড়েছে চার দফা। সঙ্গে বেড়েছে ব্যয়ও। শুরুতে এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। পরে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চতুর্থবারের মতো বাড়ানো কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। এখনো ৪০ শতাংশ কাজ বাকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ঢাকার পিয়াস কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এ কাজ করছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আবদুল মালেক জানান, এই নার্সিং কলেজটি নির্মাণের শুরুতে দেশে করোনা দেখা দেয়। ওই অবস্থায় নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে হয়। পরে নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যায় অনেকাংশে। বড় লোকসানের আশঙ্কায় কাজ ধীরগতিতে করা হচ্ছে। তবে বেশির ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজও চলতি বছরে শেষ করা হবে।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ও মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, অভিজ্ঞ শিক্ষকের মাধ্যমে যোগ্যতা সম্পন্ন নার্স তৈরি করতে একটি নার্সিং কলেজ তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিল মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল। সরকার এ প্রস্তাবে সাড়া দেয়। ২০১৯ সালে ১৮০ আসন বিশিষ্ট নার্সিং কলেজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রথমে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। চতুর্থবারের মতো কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। এখনো অনেক কাজ বাকি। প্রকল্পটির ব্যয়ও বেড়েছে। শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, পরে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে প্রায় ৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ব্যয় আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সরেজমিনে গত ১০ এপ্রিল নির্মাণাধীন কলেজ প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, চারতলা কলেজ ভবনের ভেতরের প্লাস্টার করা হয়নি। জানালার ফ্রেম নেই। বাথরুমের কাজ এখনো হয়নি। মেঝেতে ধুলার আস্তর পড়ে রয়েছে। মাত্র পাঁচজন শ্রমিক কাজ করছেন ঢিমেতালে। শিক্ষার্থীদের আবাসিক ভবনের দশা আরও করুন। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকার কারণে দেয়ালগুলো স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের আলাদা আলাদা কক্ষ করা হয়নি। বাথরুমের কাজও করা হয়নি। প্রকল্প দেখভালের দায়িত্বরত আবদুল মালেক জানান, পিলার ও চারতলা ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হলে বৈদ্যুতিক সংযোগ, পানির লাইন, গ্রিলের কাজ, মেঝেতে টাইলসহ অন্যান্য কাজ করা হবে।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হাসিবুস সাত্তার অভিযোগ করে বলেন, একটি কলেজের নির্মাণকাজে যদি পাঁচ বছর লেগে যায়, তাহলে কীভাবে দ্রুত উন্নয়ন সম্ভব। এত দিন এই এলাকার শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষ করে কাজে যোগ দিতে পারতেন। জেনারেল হাসপাতাল আরও দক্ষ নার্স পেত।এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুল কাদের বলেন, তাঁরা তাগিদ দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ঠিকাদার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সময় বাড়িয়ে নেন। তাঁর আবারও ঠিকাদারকে কাজ শেষ করার তাগাদা দেবেন।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, একটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে নার্সিং কলেজ নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতিতে সেই লক্ষ্য পূরণ করা যাচ্ছে না। দ্রুত কলেজের কাজ শেষ করার দাবি জানাচ্ছেন।
মেহেরপুরে খরার কবলে বোরো আবাদ
বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
মাগুরা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের সাফল্য ১০২ টি মেবাইলসহ নগদ টাকা উদ্ধার
বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4