Logo
আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

রাণীশংকৈলে আবাদ তাকিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ক্লাস বন্ধ রেখে পালন করলেন জন্মদিন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১২৩জন দেখেছেন

Image
মাহাবুব আলম, রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে স্কুল চলা কালে,ক্লাস বন্ধু রেখে জন্মদিন পালন করলেন শিক্ষক এমন অভিযোগ উঠেছে। গত ৫ মার্চ উপজেলার পৌর শহরের আবাদ তাকিয়া মোহাম্মাদিয়া কামিল মাদ্রাসায় স্কুল চলা কালে ১০ শ্রেণির ৬ষ্ট ঘন্টায় ক্লাস রুমে জমকালো আয়োজনের ছাত্রীদেরকে নিয়ে এ জন্মদিন পালন করা হয়।অভিযুক্ত শিক্ষক ঐ মাদ্রাসার জীববিজ্ঞানের সহকারী শিক্ষক তারিকুল ইসলাম। তিনি ১৭ তম নিবন্ধনে নিয়োগ পেয়ে ঐ মাদ্রসায় যোগদান করেছেন। 

বিষয়টি এতদিন ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুক মাধ্যমে কয়েক সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ হয়েছে। 

এ নিয়ে সামাজিক,স্থানীয় ব্যাক্তি বর্গ ও স্থানীয় সুশীল সমাজের লোকজন বলেন,একজন মাদ্রাসার শিক্ষক হয়ে কি-ভাবে জন্মদিন পালন করেন?তাও আবার স্কুল চলা কালে ক্লাস বন্ধ রেখে।এটি কোন মতোই কাম্য নয়।

এ বিষয় ঐ মাদ্রাসার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, সে নিবন্ধনে নিয়োগ পেয়ে ঐ মাদ্রসায় যোগদান করেছেন। 
এবং নিজেকে অনেক কিছু মনে করেন। আমরা যাঁরা সিনিয়র শিক্ষক রয়েছি তাঁদেরকে কোন তোরক্কা করে না। ক্লাস চলা কালে জন্মদিন পালন করেছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এটি আইন বহিভূর্ত কাজ করেছে। এটি ঠিক না। বা এমনি করা ঠিক হয়নি তাঁর। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গে মুঠো ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। 

এ প্রসঙ্গে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার আয়ুব আলী বলেন,সে ক্লাস চলা কালে জন্মদিন পালন করেছে আমি জানিনা। এটি করা ঠিক হয়নি। আমি কথা বলে দেখি। 


আরও খবর



মাগুরাসহ দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলে প্রচন্ড তাপদাহে জনজীবন দূর্বিসহ হাসপাতালে প্রচন্ড রোগীর ভীড়

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৮৫জন দেখেছেন

Image

মাগুরা থেকে সাইদুর রহমান:মাগুরাসহ অতিরিক্ত তাপ দাহে জ্বলছে দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের কয়েকটি জেলার মানুষ।  মাগুরা জেলায় অসহনীয় অবস্থায় পড়েছে দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষগুলা। যেখানে সরকার কর্তৃক নির্দেশনা এসেছে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া এই খরতাপে ঘর থেকে বের হওয়া যাবেনা।সেখানে এই নিন্মআয়ের খেটে খাওয়া মানুষগুলা গরমের জ্বালার থেকেও পেটের জ্বালা অনেক বড় হয়ে উঠায় এই তাপদাহের মধ্যেও নিজেদের রোজগারের আশাতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রচন্ড গরমকে উপেক্ষা করে।

মাগুরা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক গুলো যেখানে অতিরিক্ত যানজট নাস্তানাবুদ অবস্থা লেগেই থাকতো। সেখানে শহরগুলো একেবারে জনশুন্য হয়ে পড়েছে। আর একারনে শহরের দোকানপাট খুলে বেচাকেনার আশায় বসে থাকা ব্যবসায়ীরাদের বেচাকেনা  আশাঅনুরূপ হচ্ছেনা। আর যারা  রিক্সা চালিয়ে,ভ্যান চালিয়ে দিনমজুরের মাধ্যমে নিজেদের দৈনন্দিন ও পারিবারিক চাহিদা মেটাত তারা পড়েছে মহা সংকটে।তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা। শহরে লোক না থাকলে তাদের রিকসায় উঠবে কারা। তারপরও

তাদের পরিবার পরিজনের আহার জোটাতে  এ তাপদাহের মাঝেও বেরহতে হচ্ছে রাস্তায়। অনেক কষ্ট করে চালাতে হচ্ছে তাদের সংসার। জনৈক রিক্সা শ্রমিক জানান, বাড়িতে তিন সন্তান স্ত্রী ছাড়া ও পিতা মাতা রয় সংসারে প্রতিদিন ৮ /৯ শ' টাকার বাজার করা লাগে । তাই ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই। আর গরমে শরীর জ্বলে গেলেও রিক্সা চালাতেই হবে, ইনকাম করতেই হবে।কারণ পেটের জ্বালা সব থেকে বড় জ্বালা।

তাই সরকারীভাবে  ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করলেও  ঘরে থাকার কোন উপায় নেই। একটা দুইটা টিপ মেরে চলছি। চায়ের দোকানে গিয়ে পানি খাই বুক ফেটে যায়। তবে মাগুরায় সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশন গত কয়েকদিন ধরে শহরে পথচারি, রিক্সা অটো শ্রমিকদের মাঝে স্যালাইন ও ঠান্ডা পানি পান করাচ্ছে। অপরদিকে পৌর সভা প্রতিদিন শহরের রাস্তাগুলোতে পানি ছিটিয়ে ঠান্ডা করছে। গ্রাম এলাকার মানুষ ঠান্ডার আশায় ঘরবাড়ি ছেড়ে গাছতলায় আশ্রয় নিয়েছে।  এ অবস্থার মধ্যেও বিদ্যুতের লোডশেডিং মানুষকে নিদারুন সমস্যার মধ্যে ফেলেছে। মাগুরা শহরের কয়েকটি হোটেল মটরের মাধ্যমে পানির ঝরনা সৃষ্টি করে ঘরে চালা ঠান্ডা করেছে। এদিকে গরমে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া হীট স্টোকসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এসব রুগী নিয়ে হাসপাতাল কতৃপক্ষ হীমসিম খাচ্ছে।  গত ২০ এপ্রিল মাগুরায় ৪o.০৬ ডিগ্রী ফারেনাইট তাপমাত্রা ছিল। রবিবার দুপুর সাড়ে তিনটায় টায় মাগুরায় ৩৪ ডিগ্রী ফারেনাইট তাপমাত্রা বিরাজ করে।


আরও খবর



ডোমারে উৎসাহ ও উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে ৩দিন ব্যাপী বাসন্তী পূজা উদযাপন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমারে উৎসাহ ও উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে ৩দিন ব্যাপী গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী বাসন্তী পূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, আরতী প্রতিযোগিতা, প্রসাদ বিতরণ ও বৌ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের নয়ানী বাগডোকরা হরতকীতলা শ্রী শ্রী বাসন্তী পূজা মন্দির কমিটির আয়োজনে বৃহস্পতিবার বৌ মেলার মধ্যদিয়ে দিবসটি সমাপ্ত করা হয়। বৌশাখের বসন্ত ঋতু তিথি অনুযায়ী গত মঙ্গলবার মন্দিরে ভগবত গীতাপাঠ, তুলশি আরতি ও মঙ্গলঘাট স্থাপনের মধ্য দিয়ে দিবসটির শুভ উদ্বোধন করেন বোড়াগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জননেতা আমিনুল ইসলাম রিমুন। এ সময় কমিটির সভাপতি দুলাল চন্দ্র, সাধারণ সম্পাদক সৈরভ অধিকারী, পরিচালক শৈলেন্দ্রনাথ রায়, ইউপি সদস্য আর্শিনী কুমার, জোসনা রানী, সাবেক সদস্য শংকর চন্দ্র রায়, জয় প্রসাদ, হিরম্ব কুমার প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

প্রতিদিন বিকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত উক্ত মন্দিরে বিভিন্ন এলাকার থেকে আগত হাজারো ভক্তবৃন্দের ঢল নামে। মন্দির প্রাঙ্গণ যেনো হিন্দু সম্প্রদায়ের মিলন মেলায় পরিনত হয়েছে। পূজা পাঠ ও অর্চনা শেষে ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ এবং আরতি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। শেষের দিনে বৌ মেলার মধ্য দিয়ে দিবসটি সমাপ্তি ঘটে। মেলায় শতশত মুখরোচড় খাবারের দোকান পরশা সাজিয়ে দোকানীদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের এই ঐতিহ্যবাহী উৎসবটি বিগত শত বছর যাবত তারা পালন করছে বলে কমিটির পরিচালনক শৈলেন্দ্র নাথ জানান।


আরও খবর



নওগাঁর মান্দায় বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে দর্জি ব্যবসায়ীর মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা,প্রতিনিধি:নওগাঁর মান্দায় বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে এরশাদ আলী (৩০) নামে এক দর্জি ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার পরানপুর ইউপির গোপালপুর বাজারে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এ  দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।

নিহত এরশাদ আলী উপজেলার পরানপুর ইউনিয়নের বান্দাইপুর গ্রামের নওসাদ আলীর ছেলে। গোপালপুর বাজারে ফয়সাল টেইলার্স নামে তার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ী বুলবুল হোসেন বলেন, দর্জি এরশাদ আলী নিজেই কাপড় কেটে ও সেলাই করে পোষাক তৈরি করেন। তার দোকানে কোনো কর্মচারী নেই। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে তৈরি পোষাকে ক্যালেন্ডার করতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হন তিনি। তাকে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষনা করেন। 

এ বিষয়ে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, অভিযোগ না থাকায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



ফকিরহাটে বোর ধানের বাম্পার ফলন কৃষক ঘরে তুলছে সোনালী ধান

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৬০জন দেখেছেন

Image

ফকিরহাট(বাগেরহাট)সংবাদদাতা:বাগেরহাটের ফকিরহাটে চলতি বোর মৌশুমে বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষে করে বাম্পার ফলন হওয়ায় বেজায় খুশি চাষি। অতিমাত্রায় দাবদাহ উপক্ষা করে মাঠ থেকে ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক। দৈনিক ৮শ’ থেকে ১হাজার টাকা দিন হাজিরায় কাজ করছে কৃষাণ। শ্রমিকের মুল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধান কাটতে কৃষককে সহযোগীতা করছে কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এ মৌশুমে ৮হাজার ৪শ’৭১হেক্টর জমিতে বোর ধানের আবাদ হয়েছে। হেক্টর প্রতি প্রায় ৭টন ধান উৎপাদন হয়েছে। ইতমধ্যে ৭৫ ভাগ ধান কাটা হয়েছে।

অঞ্জন ব্যানার্জী, ফিরুজা বেগম, রাজ্জাক শেখসহ স্থানীয় কৃষকরা জানান, বৈরি আবহাওয়ায় হিটইনজুরিসহ ব্লাষ্ট, মাজরা ও কারেন্ট পোঁকার আক্রমন প্রতিরোধে কৃষি বিভাগের পরার্মশ্যে আমরা শতভাগ সফল হয়েছি। সময় মত ব্যবস্থা নেওয়ায় ধানে চিটা হয়েছে অনেক কম তাই ফলন হয়েছে অনেক ভালো।

বেতাগার উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা প্রদিপ জানান, শ্রমিকের মুল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় এ ইউনিয়নের প্রায় ৮০ভাগ জমির ধান যান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাটা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বৈরি আবহাওয়া মোকাবেলায় আমাদের পরার্মশ্য ও কৃষকের প্ররিশ্রম সার্থক হয়েছে। কোন ধরনের ক্ষয় ক্ষতি ছাড়াই বোর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকের ধান ঘরে তুলতে উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে প্রতিটি ইউনিয়নে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধান কাটতে উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় পৃথক পৃথক গ্রুপ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। আগামি এক সপ্তাহের মধ্যে কৃষকের সকল ধান কাটা হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।


আরও খবর

মেহেরপুরে খরার কবলে বোরো আবাদ

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




কৃষি ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী ধারণার জন্য ‘২০২৪ এএফআই ইনক্লুসিভ ফিনটেক শোকেস’ –এ পুরস্কৃত আইফার্মার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সদ্য অনুষ্ঠিত অ্যালায়েন্স ফর ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন (এএফআই) ইনক্লুসিভ ফিনটেক শোকেস -এ বৈশ্বিক বিজয়ী (গ্লোবাল উইনার) হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে আইফার্মার লিমিটেড।

অর্থায়ন পাওয়ার প্রক্রিয়াকে আরও সহজতর, কৃষি সামগ্রী সংগ্রহ আরও সুবিধাজনক, বিশেষজ্ঞ কৃষি- পরামর্শ সেবা প্রদান এবং পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে একটি উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে আইফার্মার। এই উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্মের জন্য পুরস্কৃত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বিজয়ীদের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ছিল আইফার্মার।

এএফআই কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং আর্থিক নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সদস্যদের মালিকানাধীন এবং পরিচালিত একটি পলিসি লিডারশিপ অ্যালায়েন্স যা স্থানীয়, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক স্তরে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এএফআই ইনক্লুসিভ ফিনটেক শোকেস -এ বিশ্বের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ফিনটেক এবং রেগটেক (রেগুলেটরি টেকনোলজি) উদ্ভাবকদের কাজ প্রদর্শন করা হয়। উন্নয়নশীল দেশ এবং উদীয়মান বাজারে নিম্নআয়ের মানুষদের জন্য বিভিন্ন আর্থিক সেবা আরও সহজলভ্য করতে এবং পরিষেবাগুলোর মান বৃদ্ধিতে অবদান রাখে এই আয়োজন।

এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে এএফআই সদস্য, ফিনটেক খাত বিশেষজ্ঞ এবং বিশেষ অতিথিদের বিবেচনার জন্য ফাইনালিস্ট ১২টি প্রতিষ্ঠান এ বছরের এএফআই ইনক্লুসিভ ফিনটেক শোকেস ইভেন্টের জন্য তাদের উদ্ভাবন উপস্থাপন (ভার্চুয়ালি) করে। এএফআই সদস্য এবং বিচারকদের নম্বরের ভিত্তিতে তিনজন বিজয়ীকে বেছে নেওয়া হয়। এর মধ্যে আইফার্মার প্রথম স্থান, মোসাবি (সিয়েরা লিওন) দ্বিতীয় স্থান এবং রেভফিন (ভারত) তৃতীয় স্থান অর্জন করে। সকল বিজয়ী এল সালভাদোরে অনুষ্ঠিতব্য ২০২৪ এএফআই গ্লোবাল পলিসি ফোরামে আমন্ত্রণ, এক বছরের জন্য এএফআই এর পাবলিক-প্রাইভেট ডায়ালগ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ এবং লুক্সেমবার্গ হাউস অফ ফাইন্যান্সিয়াল টেকনোলজিতে এক বছরের জন্য সদস্যপদ পাবেন।

ইনক্লুসিভ ফিনটেক শোকেস ইভেন্টে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিত্ব করেন আইফার্মারের হেড অফ নিউ বিজনেস অপরচুনিটিস মোহাম্মদ ইখতিয়ার সোবহান। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “কৃষকরা আমাদের সত্যিকারের নায়ক। তাদের জন্য কিছু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। কৃষকদের সহিষ্ণু মনোভাব ও আত্মত্যাগ আমাদের অনুপ্রাণিত করে। তাদের কঠোর পরিশ্রমকে টেকসই প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধিতে রূপান্তর করতে আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।”

আইফার্মারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী ফাহাদ ইফাজ বলেন, “বাংলাদেশ থেকে আমরাই একমাত্র প্রতিষ্ঠান যারা ফাইনালিস্ট এবং বিজয়ী হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছি। এটি আমাদের আনন্দ আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এই অর্জন কৃষকদের জন্য আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং দেশব্যাপী কৃষকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য আমাদের নিরলস পরিশ্রমের প্রতিফলন। আমরা খুবই আনন্দিত যে, কৃষকদের জন্য উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসার প্রয়াস একটি বৈশ্বিক মঞ্চে সমাদৃত হয়েছে। এই স্বীকৃতি আমাদের প্রচেষ্টাকে আরও সুসংহত করার জন্য আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করবে।”

২০২৪ এএফআই ইনক্লুসিভ ফিনটেক শোকেস -এ মোট ১২টি প্রতিষ্ঠান ফাইনালিস্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়।বাকি ফাইনালিস্টদের মধ্যে ছিল - ডটস ফর ইনকর্পোরেটেড (পশ্চিম আফ্রিকা), ইমাইশা পে (আফ্রিকা),জিসেকে+ডেভরিয়েন্ট (জার্মানি), গুডটেক ইনফরমেশন সিস্টেমস ইনকর্পোরেটেড (ফিলিপাইন), হ্যালো ট্র্যাক্টর কেনিয়া লিমিটেড (কেনিয়া), আইফার্মার লিমিটেড (বাংলাদেশ), জুমো (ঘানা), মোসাবি (সিয়েরা লিওন), মাইস্ট্যাশ (নাইজেরিয়া), পারটেন্স (মোজাম্বিক), রেভফিন (ভারত) এবং এক্সচেঞ্জ বক্স সলিউশন (নাইজেরিয়া)।


আরও খবর