Logo
আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম
যাত্রাবাড়িতে ছিনতাই হতে যাওয়া মালামাল উদ্ধার করলেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর পবিত্র বিশ্বাস টাঙ্গাইলের মধুপুরে নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানের গন সংবর্ধনা নবীনগরে ভেকু দিয়ে মাটি কাটতে গিয়ে বৈদ্যুতিক তাঁর ছিঁড়ে একজনের মৃত্যু যাত্রাবাড়ীতে অঞ্জাত ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার রূপগঞ্জে নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিব বাংলাদেশে আবারো শুরু হচ্ছে বার্সা একাডেমির ট্রেনিং ক্যাম্প রেলপথ মন্ত্রী কতৃক মাগুরার নির্মানাধীন রেলপথ নির্মান প্রকল্প পরিদর্শন প্রচারণায় জমে উঠেছে আত্রাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট

পশ্চিম মোমেনবাগ জামে মসজিদের উদ্যোগে ১৪ তম বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৪৮৪জন দেখেছেন

Image

এ আর হানিফঃ 

যাত্রাবাড়ী মাতুয়াইল পশ্চিম মোমেনবাগ জামে মসজিদের উদ্যোগে ১৪ তম বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ৩০ ডিসেম্বর বিকাল ৪ঃ০০ টায় পশ্চিমব মোমেন বাগ বটতলা পানির পাম্প সংলগ্ন স্থানে এ ওয়াজ মাহফিলটি অনুষ্ঠিত হয়। 


উক্ত ওয়াজ মাহফিলের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ৬৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব মোঃ মাসুদুর রহমান মোল্লা বাবুল। প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ৬৫ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব মোঃ শামসুদ্দিন ভূঁইয়া সেন্টু । 


সভাপতিত্ব করেন পশ্চিম মোমেনবাগ জামে মসজিদ এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাজী মোহাম্মদ আব্দুস শুকুর মোল্লা।

ওয়াজ মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কুরআন বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হাফেজ মাওলানা মুফতি ইমামুল হাসান চাঁদপুরী। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হযরত মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন নাঈম (মুফাসসিরে কোরআন গাজীপুর)। বিশেষ বক্তা হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মোমেনবাগ জামে মসজিদ এর খতিব হযরত মাওলানা আব্দুল করিম সিদ্দিকী, পশ্চিম মোমিনবাগ জামে মসজিদ এর ইমাম আলহাজ্ব মাওলানা মুফতি মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম। 


মাহফিল পরিচালনা করেন এস এম ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, রেজাউল করিম, হাজী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, হাজী মোহাম্মদ ফিরোজ মিয়া।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বৃহস্পতিবার

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ড সফর নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) সংবাদ সম্মেলন করবেন। এদিন সকাল ১০টায় গণভবনে সংবাদ সম্মেলন শুরু হবে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস রানা।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় গণভবনে থাইল্যান্ড সফর পরবর্তী প্রেস কনফারেন্স করবেন।

ছয় দিনের থাইল্যান্ড সফর শেষে ২৯ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টায় দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে থাইল্যান্ডের স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১০ মিনিটে দেশটির ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করে বিমানটি।

থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় সফরে গত ২৪ এপ্রিল বিকেলে ব্যাংককে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। থাইল্যান্ডের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে লালগালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার ও গান স্যালুট জানানো হয়।

শেখ হাসিনা এই সফরকে ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কারণ, এটি দুই দেশের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতিকে আরও নবায়নের চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করার ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বৃহস্পতিবার

থাইল্যান্ড সফর নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন সকাল ১০টায় গণভবনে সংবাদ সম্মেলন শুরু হবে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস রানা।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় গণভবনে থাইল্যান্ড সফর পরবর্তী প্রেস কনফারেন্স করবেন।

ছয় দিনের থাইল্যান্ড সফর শেষে ২৯ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টায় দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে থাইল্যান্ডের স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১০ মিনিটে দেশটির ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করে বিমানটি।

থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় সফরে গত ২৪ এপ্রিল বিকেলে ব্যাংককে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। থাইল্যান্ডের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে লালগালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার ও গান স্যালুট জানানো হয়।

শেখ হাসিনা এই সফরকে ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কারণ, এটি দুই দেশের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতিকে আরও নবায়নের চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করার ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।


আরও খবর



ঢাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ২২

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২২ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ছয়টা থেকে রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদের আটক করা হয়।

আটকের সময় তাদের হেফাজত থেকে ১৭০ পিস ইয়াবা, ৪৩ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা, ১২০ গ্রাম হেরোইন, ১২০ বোতল ফেনসিডিল ও ১০ লিটার দেশি মদ উদ্ধার করা হয়।

আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৬টি মামলা রুজু হয়েছে।


আরও খবর



মাগুরায় তীব্র তাপদাহ নিয়ন্ত্রনে হোটেলে কৃত্রিম পানির ফোয়ারা শীতল করছে পরিবেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ১১৮জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরায় তীব্র তাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে  এক হোটেল ব্যাবসায়ীর কৃত্রিম পানির ফোয়ারা এলাকায় সাড়া ফেলেছে।  জেলা শহরের রেজিস্ট্রি অফিসের পেছনে তার হোটেলে কৃত্রিম পানির ফোয়ারা সৃষ্টি করে হোটেল টিকে শীতল করে মানুষের মাঝে  আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। হোটেলের টিনের চালায় ওয়াটার কুলিং সিস্টেম লাগিয়ে কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরি করে হোটেল ঘরের টিনসহ সর্বত্র শীতল পরিবেশ তৈরি করে খাবার হোটেলের ব্যবসা করছে রবিউল ইসলাম। মাগুরায় প্রচন্ড দাবদাহে জনজীবন যেখানে অতিষ্ট এবং বর্তমানে মাগুরায় তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে সেখানে ওয়াটার কুলিং সিস্টেমের কারণে রবিউলের হোটেলের ভিতরের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নামিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে।

তীব্র গরমে যেখানে জনজীবন অতিষ্ট সেখানে প্রাকৃতিক শীতল পরিবেশ পেয়ে রবিউলের হোটেলে খাবারের জন্য আসা মানুষের ভীড় বাড়ছে দিনদিন।  বৃষ্টিহীন দিনে টিনের চালে বৃষ্টির ঝুমঝুম আওয়াজ, এসি নেই, তবুও এই গ্রীষ্ম মৌসুমে হোটেলের ভিতর শীতল পরিবেশ। ঢেউটিন বেয়ে ঝরছে বৃষ্টির মত পানি। আর এমন নির্মল ঠান্ডা পরিবেশে বসে খাবার খাচ্ছেন ক্রেতারা। তারা এখানে এসে আনন্দিত।

হোটেল মালিক রবিউল ইসলাম জানায়, ২৫ হাজার টাকা ব্যায়ে নিমার্ণ করেছেন এই কৃত্তিম বৃষ্টি। তীব্র গরমে কাস্টমাররা ঠিকমতো আসতো না দোকানে। তাই বৃষ্টির চিন্তা মাথায় রেখে এমন ভাবনা আসে মাথায়। এখন নিয়মিতই আসেন কাস্টমার।

দোকানে খাবার খেতে এসে লোকজন জানায়, তারা হোটেলের ভিতরে শীতল পরিবেশ পেয়ে আরামে খাবার খেতে পারছেন। বাইরের গরম অসহ্য। কোথাও বসে খাবার খাওয়ার ঠান্ডা পরিবেশ পাচ্ছিলেন না তারা। তাই রবিউলের দোকানে এসে এমন চিত্র দেখে তারা হোটেলে বসেই একটু শান্তিতে খাবার খেতে পারছেন।

হোটেলের টিনের চালে দেখা যায় কয়েকটি গার্ডেনিং ফোয়ারা। সেখান থেকে পানি বের হয়ে টিনের চাল বেয়ে পানি পড়ছে নিচে। এতে চালের টিন ভিজে ঠান্ডা হচ্ছে রুমের ভিতরে। পাশাপাশি রুমের ভিতরে রয়েছে ফ্যান। এতে গরম ভাব সহজেই দূর হচ্ছে রুম থেকে। দোকানের উপরে টিনে দিয়ে বৃষ্টির মত পানি পড়তে দেখে পথচারীরাও মুগ্ধ হয়ে দেখছে এই দৃশ্য। হোটেলে খাবার খেতে আসা ক্রেতাদের অনেক ভিড়ও হচ্ছে। রবিউলের হোটেলে এমন ব্যাতিক্রমী উদ্দ্যোগ ইতোমধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে শহরজুড়ে।


আরও খবর



পোরশায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৬০জন দেখেছেন

Image

ডিএম রাশেদ,পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধি:নওগাঁর পোরশায় মনসা(৩৮) নামের এক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মনসা নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার সিরাজপুর গ্রামের খোকার ছেলে। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার সারাইগাছী-আড্ডা সড়কের বন্ধুপাড়া মোড় সংলগ্ন ব্রিজের নিচ থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ছাওড় ইউপির খাতিরপুর গ্রামের আত্মীয়ের বাড়িতে ২দিন আগে বেড়াতে এসেছিলেন মনসা। রোববার সন্ধার পর থেকে হঠাৎ তিনি নিখোঁজ ছিলেন। গতকাল সোমবার সকালে স্থানীয়রা তার লাশ ব্রিজের নিচের পানিতে ভাঁসতে দেখে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমান জানান, আমরা খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করেছি। মনসা মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে বলেও তিনি জানান।


আরও খবর



মেহেরপুরে তীব্র খরা ও অনাবৃষ্টিতে কৃষি খাতে বিপর্যয়ের অশনি সংকেত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৮২জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরে প্রখর রোদে পুড়ছে কৃষকের মাঠ। অনাবৃষ্টি ও খরার হাত থেকে ফসল রক্ষায় কৃষকের সেচ সুবিধা ব্যয় বেড়েছে কয়েকগুণ। তাপদাহে ফসলের লক্ষমাত্রা অর্জন নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকের কপালে। আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া অপরিবর্তীত থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস। তবে ফলন বিপর্যয় ঠেকাতে কৃষকদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষি অফিস।

মেহেরপুর মূলতঃ কৃষি ভিত্তিক এলাকা। এখানকার মাঠে ধানসহ বিভিন্ন উঠতি ফসল ও সব্জীর আবাদ রয়েছে। কিন্তু তীব্র গরম সহ রোদের তাপে পুড়ছে বিস্তীর্ণ মাঠের নানা ধরণের ফসল। খরার কারণে পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়ায় সেচকাজে দেখা দিয়েছে বিপর্যয়। অতিরিক্ত খরার কারণে সেচ কাজে বেড়েছে ব্যয়। স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক গুণ বেশী সেচ লাগছে জমিতে। কৃষি কাজে শ্রমিকও লাগছে বেশী। গরমের কারণে মাঠে ঠিকভাবে কাজও করতে পারছেন না কৃষকরা। কয়েক দিনের মধ্যে ঘরে উঠবে বোর ধান। এছাড়াও প্রচন্ড দাবদাহে শুকিয়ে ঝরে যাচ্ছে আম ও লিচুর গুটি।

জেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ১৯ হাজার ৯৭ হেক্টর ধান, ৫ হাজার ৪৪১ হেক্টর বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করা হয়েছে। এ ছাড়াও ২ হাজার ৩৩৬ হেক্টর আম, ৭১৫ হেক্টর লিচু, ১৬৫ হেক্টর কাঁঠাল ও ৬ হেক্টর জাম বাগান রয়েছে। অপরদিকে পাটসহ অন্যান্য ফসল বপন করা হচ্ছে। বৈরী আবহাওয়ার কারনে ক্ষেতের ধান শুকিয়ে যাচ্ছে। সেচ দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি অফিস।

গাংনীর মানিকদিয়া মাঠের ধানচাষি রফিকুল ইসলাম জানান, প্রচন্ড গরমে মাঠে কাজ করতে পারছেনা। সকাল ১১ টার পর রোদের তাপ বেড়ে যাচ্ছে। বেশি শ্রমিক লাগছে। ৫ জনের কাজ ১০ জন শ্রমিক দিয়ে করাতে হচ্ছে। মাটির নিচ থেকে পাওয়া যাচ্ছে না পানির লেয়ার। যে ক্ষেতে এক ঘন্টায় সেচ করাজ শেষ হয় ওই জমিতে লাগছে অন্ততঃ তিন ঘন্টা।

এমন তাপদাহ অব্যাহত থাকলে সব ধরনের ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধানচাষি সহড়াবাড়িয়ার শামসুল ইসলাম জানান, তিনি খামারের মাঠে ৬ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে আবাদ করছেন। বর্তমানে মাঠে রয়েছে বোরো ধান। প্রতিটি জমিতেই ধানে ফুল রয়েছে। কিছু ধান দুগ্ধ আর কিছু ক্ষীর অবস্থায় আছে। এ অবস্থায় ক্ষেতে হিটস্ট্রোক দেখা দিতে পারে। বোরো ধান পর্যাপ্ত পানি না পেলে চিটা হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তিনি আরো জানান, তার চার বিঘা জমিতে আম ও লিচু বাগান রয়েছে। আম ও লিচুসহ অন্য ফলে গুটি রয়েছে। তা ঝরে পড়ছে। ফলনেও বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। সবজি চাষি সাহারবাটির আকরামুল জানান, বর্তমানে মাঠে বিভিন্ন ধরনের সবজি রয়েছে। গ্রীষ্মকালীন এ সবজিতে এমনিতেই সেচের পানি দিতে হয়। খরচও বেশি।

কিন্তু চলমান তাপদাহে জমিতে সেচ দেয়ার পরও কোন পানি থাকছে না। রাতে সেচ দিলে সকালে পানি শুকিয়ে যায়। আবারো সেচ না দিলে ক্ষেত শুকিয়ে যায়। ক্ষেত থেকে সবজি তুলে আড়ত পর্যন্ত নিতে সবজি শুকিয়ে কমে যায়। শ্রমিকও লাগছে বেশি।আম বাগান মালিক কাষ্টদহ গ্রামের শরিফুল জানান, গেল বছর গরমে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এবছর সেই ক্ষতি পুশিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করা হয়েছিল। কিন্তু দেরিতে মুকুল আসে। এখন আমের গুটি রয়েছে। অনাবৃষ্টি আর গরমে গুটি শুকিয়ে ঝরে পড়ছে। তার হিসেবে বাগানের ৩০/৩৫ ভাগ গাছের গুটি ঝরে পড়েছে। গুটি ঝরা ঠেকাতে সেচ দিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না। এবার অনেক বেশি লোকসান গুনতে হবে।

আম ব্যবসায়ি নজরুল ইসলাম জানান, গেল বছর প্রাকৃতিক দূর্যোগে আম নষ্ট হয়েছিল। ঝরে পড়ে ছাড়াও পোকার আক্রমণ ছিল। গেল বছরের ক্ষতি পুশিয়ে নিতে এবার কেনা বাগান বেশি পরিচর্যা করা হয়। কিন্তু দেরীতে মুকুল আসে। সেগুলো ঠিক রাখতে সেচসহ বিভিন্ন পরিচর্যা করা হয়। কিন্তু চলমান তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারনে গাছের সিংহভাগ গুটি ঝরে পড়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে গাছে আর আম থাকবে না। মোটা অংকের লোকসান গুনতে হবে।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে, গেল ৫ দিন ধরে চলছে বৈরী আবহাওয়া। আজ ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও ২২ এপ্রিল ৪০.২ ডিগ্রি, ২১ এপ্রিল দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়াও ২০ এপ্রিল ৪২.৪ ডিগ্রি, ১৯ এপ্রিল ৪১.৫ ডিগ্রি, ১৮ এপ্রিল ৪০.৪ ডিগ্রি, ১৭ এপ্রিল ৪০.৮ ডিগ্রি ও ১৬ এপ্রিল ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। প্রচ- গরমের সাথে চলছে গরম বাতাস। যা গেল বছরের তুলনায় বেশি। ইতোমধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর এলাকায় হিট অ্যালার্ট জারী করে সাবধানে চলাচলের পরামর্শ দিয়েছেন।

গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন জানান, তাপপ্রবাহের ক্ষতি থেকে ফসল রক্ষায় জমিতে পর্যাপ্ত পানি ধরে রাখতে হবে। ধানের শিষে দানা শক্ত না হওয়া পর্যন্ত জমিতে অবশ্যই দুই থেকে তিন ইঞ্চি দাঁড়ানো পানি রাখতে হবে। আমগাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত সেচ দিতে হবে। প্রয়োজনে গাছের শাখা-প্রশাখায় পানি স্প্রে করা যেতে পারে। সবজির জমিতে আগামী এক সপ্তাহে মাটির ধরন বুঝে প্রয়োজন অনুযায়ী দুই থেকে তিনটি সেচের ব্যবস্থা করা জরুরি।


আরও খবর