স্পোর্টস ডেস্ক:তৃতীয় দফা বৃষ্টির কারণে আর খেলা শুরু হয়নি। ফলে প্রথম ওয়ানডে ডিএলএস পদ্ধতিতে ১৭ রানে জিতেছে আফগানিস্তান। সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে গেল বাংলাদেশ।
এর আগে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান প্রথম ওয়ানডেতে তৃতীয়বারের মতো বাগড়া দেয় বৃষ্টি। ২১.৪ ওভারের পর বন্ধ হয়ে যায় খেলা। যেখানে ২ উইকেটে আফগানিস্তানের স্কোর ৮৩ রান। তবে ডিএলএস পদ্ধতিতে পার স্কোর এ সময় ৬৭ রান। ফলে বৃষ্টির কারণে খেলা আর শুরু হওয়ায় আফগানিস্তান জিতে যায়।
৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে আফগানিস্তানকে মাত্র ১৬৪ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে বাংলাদেশ ৪৩ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৯ রান করলেও ডার্কওয়াথ লুইস পদ্ধতিতে এই লক্ষ্য পায় আফগানরা। ছোট এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে উড়ন্ত শুরু পেয়েছে দলটি। দলীয় ৫৪ রানের মাথায় প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন রাহমানুল্লাহ গুরবাজ (২২)। তাকে ফেরান সাকিব আল হাসান।
এরপর তাসকিন আহমেদের অফ স্টাম্পের বাইরে লাইন ধরে রাখা বলে খোঁচা দিলেন রহমত শাহ, এর আগে দারুণ এক পাঞ্চে হাসান মাহমুদকে চার মেরেছিলেন যিনি। একমাত্র স্লিপে থাকা লিটন দাস ঝুঁকে নিয়েছেন ভালো ক্যাচ। ১৬ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারাল আফগানিস্তান।
এর আগে, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। সতর্ক শুরু পেলেও সপ্তম ওভারে ছন্দপতন হয়। ব্যক্তিগত ১৩ রানে ফজলহক ফারুকির বলে উইকেটরক্ষক রহমানুল্লাহ গুরবাজকে ক্যাচ দেন তামিম ইকবাল (১৩)।
দ্বিতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ৩৫ রানের জুটি গড়েন লিটন দাস। তবে ৬৫ রানের মাথায় মুজিব উর রহমানের বলে ফেরেন লিটন (২৬)। দলের রানে আর ৭ রান যোগ হতে ফেরেন শান্তও (১২)। ইনিংসে প্রথম বল করতে এসেই উইকেট তুলে নেন নবী। সুইপ করতে গিয়ে টপ এজ হয় শান্তর। শর্ট ফাইন লেগে সহজ ক্যাচ ধরেন মোহাম্মদ সালিম। ১৬ বলে ১২ রান করেন শান্ত।
বাংলাদেশের রান ৩ উইকেট হারিয়ে যখন ৮৪, তখন প্রথম দফায় নামে বৃষ্টি। প্রায় ৫০ মিনিট বন্ধ থাকার পর শুরু হয় খেলা। ৭২ রানে শুরুর ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে পথ দেখানোর চেষ্টা করছিলেন সাকিব আল হাসান। তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে ৩৭ রানের জুটি গড়ার পর তিনি আউট হয়ে যান দলীয় ১০৯ রানে। আর ৩ রান যোগ হতে ফেরেন আরেক অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও। ১১২ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
সেই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ফেরেন আফিফ হোসেন। ১২৮ রানের মাথায় তাকে ফেরান রশিদ খান। দলের সঙ্গে আর ১১ রান যোগ হতেই আট নম্বরে ব্যাট করতে নামা মেহেদী হাসান মিরাজকে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন ফজলহক ফারুকী।
১৪৪ রান করার পর আবারও বৃষ্টির হানা। ১ ঘণ্টারও বেশি সময় খেলা বন্ধ থাকার পর নতুন করে খেলা শুরু হয় ৬টা ৫০ এর সময়। তবে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় খেলা বন্ধ থাকায় ৭ ওভার কমানো হয়।
বৃষ্টির পর ১৫৩ রানের মাথায় অষ্টম ব্যাটার হিসেবে আউট হন তাসকিন আহমেদ। ১৬৪ রানের মাথায় নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন তাওহীদ হৃদয়। দলের হয়ে একমাত্র হাফ সেঞ্চুরি করার পর ৫১ রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৪৩ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান করে বাংলাদেশ।