আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃজেলার নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের এক সাবেক চেয়ারম্যানের বিরোদ্ধে উচ্চ বিদ্যালয়ের ও সরকারী রাস্তার জায়গা দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গ্রামের আব্দুল ছত্তর,প্রদুন্ন,গেলমান মিয়া,রশিদ মিয়া,সামসুল হক ও সুহেল মিয়া ছয় জনে মিলে গত ৪ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে এক লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগে জানা গেছে স্কুলের নামে খারিজ করা ১১শতাংশ জায়গা সাবেক চেয়ারম্যান দখল করে ব্যক্তিগত ভাবে লাভবান হচ্ছে। অপরদিকে বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এমদাদ মোল্লা সাবেক এ চেয়ারম্যানের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে অবৈধভাবে লাভবান হচ্ছে।স্কুলের জায়গা ছাড়াও রামকৃষ্ণ মিশনের জায়গা,সরকারী রাস্তা দখল করে দোকান নির্মানের অভিযোগ ছাড়াও আরো নানান অভিযোগ রয়েছে ওই চেয়ারম্যানের বিরোদ্ধে।তাছাড়াও দেখা গেছে স্কুলের জায়গাতেই চলছে ইউনিয়ন পরিষদের কাজ।স্কুলের জায়গা দখলে নিয়েই নির্মান করা হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের ঘর। নাসিরনগর সহকারী কমিশনার ভুমি অফিসের লোকজন গিয়ে সরকারী রাস্তার উপর নির্মিত দোকান ঘর ভাঙ্গার জন্য লাল ক্রস চিহ্ন এটে দিয়ে এসেছেন।
মুঠোফোনে কথা হয় চেয়ারম্যান পুত্রের সাথে।তিনি জানান তার বাবা অসুস্থ থাকার কারনে সু-চিকিৎসার জন্য তার বাবাকে ঢাকা নেয়া হয়েছে।চেয়ারম্যান পুত্র আরো জানান,আল্লাহ আমার বাবাকে যথেষ্ট টাকা পয়সা অর্থ সম্পদ আর সম্মান দান করেছেন।আমার বাবা প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা গরীব অসহায় মানুষকে দান করে থাকেন।আমরা কারো এক আঙ্গুল জায়গা আত্মসাৎ করতে চাইনা।আমাদের কাছে কোন জায়গা পাওনা থাকলে আমার যে কোন সময় তা ছেড়ে দিতে বাধ্য আছি।
সরেজমিন এলাকায় গেলে স্থানীয়রা জানায়,শুধু চেয়ারম্যান নয় এলাকার আরো বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যাক্তিও সরকারী রাস্তার উপরে দোকান ঘর নির্মান করে ভাড়া দিয়ে ও নিজেরা ব্যবসা করার কারনে সরকারী রাস্তাটি সরু হয়ে যাওয়া যানবাহন চলাচলে বিঘ্নতার সৃষ্টি হচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ সামসু মিয়া সহ স্থানীয়দের দাবী সকল অবৈধ দখলকারীদের কাছ থেকে শুধু রাস্তা উদ্ধার নয় স্কুলের জায়গা থেকে ইউনিয়ন পরিষদের ঘরটিকে ও সরিয়ে নিয়ে উচ্চ বিদ্যালটিকে অবৈধ দখলকারীদের হাত থেকে অবমুক্ত করার দাবী জানান তারা।এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু দৃষ্টিও কামনা করেন তারা।
মুঠোফোনে একাদিক বার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নাসিরনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)মোঃ মোনাব্বর হোসেন হয়তো ব্যস্ততার কারনে ফোন রিসিভ করেননি।
অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে কুন্ডা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন শুধু সাবেক চেয়ারম্যান নয় আরো অনেক প্রভাবশালীরাই আমাদের সরকারী জায়গা দখল করে রেখেছেন।আমরা তাদের তালিকা করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাটিয়েছি।অনুমতি পেলেই সব ভেঙ্গে সরকারী জায়গা উদ্ধার করা হবে।
-খবর প্রতিদিন/ সি.ব