Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

প্রানীসম্পদ সেবাসপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৭৬জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী)  প্রতিনিধি:সৈয়দপুরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে। সৈয়দপুর রেলওয়ে ফাইভ স্টার মাঠে আয়োজিত প্রদর্শণীতে প্রাণি সম্পদ ও প্রাণীজ উপকরণ প্রদর্শন করা হয়।

বৃহস্পতিবার(১৮এপ্রিল) সকাল সারে ১১ টায় দিনব্যাপি ওই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন নীলফামারীর -৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সিদ্দিকুল আলম। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ নুর- ই আলম সিদ্দিকির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন,সহকারি কমিশনা( ভুমি) মোঃ আমিনুল ইসলাম,  সৈয়দপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজমল হোসেন, সানজিদা বেগম লাকী ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শ্যামল কুমার রায় প্রমুখ।

প্রধান অতিথি এমপি আলহাজ্ব সিদ্দিকুল আলম বলেন, সরকার প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটাতে বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সারাদেশে স্বাস্থ্যসম্মত পরিচ্ছন্ন পরিবেশে মাংস বিক্রির জন্য আধুনিক মাংস বিক্রয় কেন্দ্র ও স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী কসাইখানা নির্মাণ হচ্ছে। এতে করে আমিষ সরবরাহ নিশ্চিত হবে। পরে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।

প্রদর্শনীর ৫০টি স্টলে দর্শনার্থীদের ভিড় লক্ষ্যণীয়। তবে ২৬টি ষ্টলই ফাঁকা দেখা যায়। শহর ব্যাপি প্রচার প্রচারনা না থাকায় অনেক খামারিই জানতেন না দিন ব্যাপি খামার প্রদর্শনের কথা। উপস্থিত খামারির মধ্যে আফতাব ডেইরি ফার্মে ১৫০০ কেজি ওজনের একটি বিশাল আকৃতির গরু প্রদর্শন করা হয়। একই সাথে তিনি প্রদর্শন করেন প্রায় ১০০ কেজি ওজনের একটি খাসি। পাশাপাশি লোকমান খামারি তার ষ্টোলে ২৪ মন ওজনের ২ টি মহিষ প্রদর্শন করেন। সন্তোস নামের এক খামারি উপজেলার বোতলাগাড়ি ৩ নং ওয়ার্ড থেকে এক গরুর জমজ ২ বাচ্চা নিয়ে ওই মেলায় প্রদর্শন করেন। 

খামারি আফতাব উদ্দিন বলেন, শ্যামল কুমার সাহেব শুধু মাত্র পদপদবিতেই প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা। তিনি খামারিদের কোনদিনই খোজখবর রাখেন নাই। তিনি খামারিদের নিয়মিত খোঁজখবর রাখলে প্রানী পালন করে প্রতিটি খামারিই লাভবান হতো। তার অবহেলার কারনেই অনেক খামারি লোকসানের কবলে পড়েন বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

এবিষয়ে প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা শ্যামল কুমার রায় বলেন, খামারিদের অভিযোগ সত্য নয়। সময় ও সুযোগ পেলে প্রায় প্রতিদিনই খামারিদের খামার তদন্ত করা হয়। 


আরও খবর



ছয়মাস আগেই জানা যাবে বন্যার আগাম পরিস্থিতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ২৮৭জন দেখেছেন

Image

মিঠুন দাস মিঠু, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, নিটার:বাংলাদেশের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও কুড়িগ্রামসহ উওর-পূর্বাচঞ্চলের জেলাগুলো গতবছরের মে-জুনে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার স্বীকার হয়। পাহাড়ি ঢল ও অতি ভারী বৃষ্টিতে নদনদী ও হাওরের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে এবং পানিবন্দি হয়ে পড়ে সিলেট-সুনামগঞ্জের প্রায় ৪০ লাখ মানুষ। সম্প্রতি, সেই বন্যা পরিস্থিতির আগাম সংবাদ ছয়মাস পূর্বেই জানার এক প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেছেন সাভারে জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-নিটার এর শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সমন্বিত একটি দল।

ভয়াবহ এ বন্যার পিছনে বেশকিছু কারণকে দায়ী করা হয় এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণগুলো: অস্বাভাবিক জলবায়ু পরিবর্তন, ভারতের ইচ্ছেমতো বাধ ব্যবহার, পানি-পলি ব্যবস্থায় অব্যবস্থাপনা,  অপরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ, নদীদখল ও যত্রতত্র বালু উওোলন।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে ভারতের চেরাপুঞ্জি অঞ্চলে। বঙ্গোপসাগরে থেকে আসা জলীয় বাষ্প মেঘালয়ের পাহাড়ের সাথে ধাক্কা লেগে ওপরে উঠে যায় এবং পরবর্তীতে ভারী হয়ে বৃষ্টি আকারে পড়তে শুরু করে। অন্যদিকে, সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্ত থেকেই ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি এলাকার শুরু হয়েছে এবং সেখানকার বৃষ্টির পানি  সরাসরি ছয় থেকে আট ঘন্টার মধ্যে তাহিরপুর হয়ে হাওরে এসে মেশে। সিলেট-সুনামগঞ্জের এ ভয়াবহ বন্যার পেছনে চেরাপুঞ্জির এই প্রবল  বৃষ্টিপাতকে প্রধান কারন বলে ধারণা করা হয়। অপরদিকে, উজান থেকে আসা পলি-পাথর, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় বেষ্টনী পদ্ধতির ব্যবহার, অপরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ, নদীদখল-নদীভরাট, যত্রতত্র বালু উওোলনের ফলে নদীগুলোর পানি বহনের ক্ষমতা কমে যায় এবং পানিবন্দি হয়ে পড়ে লাখ লাখ মানুষ। এছাড়া নদীর নাব্যতা নষ্টের জন্য ভারত অংশে অপরিকল্পিত পাথর উওোলনকে ও দায়ী করা হয়, উজানে পাথর উওোলনের ফলে মাটি আলগা হয়ে নদীতে চলে আসে এবং নদীর তলদেশ ভরে যায়। এই কারণেই মেঘালয়, আসাম বা চেরাপুঞ্জিতে বেশি বৃষ্টিপাত হলেই সিলেট, সুনামগঞ্জ বা কুড়িগ্রাম এলাকায় বন্যার তৈরি হয়।

বন্যা পরিস্থিতির অবনতির জন্য দায়ী এসকল প্রভাবকের সমন্বয় করে মেশিন লার্নিং, এডভান্সড ডিপ লার্নিং এলগরিদম ব্যবহার করে কিভাবে ছয়মাস আগেই বন্যার আগাম সংকেত জানা যাবে সে সম্পর্কিত একটি গবেষণা পেপার পাবলিশ করেছে নিটারের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং  বিভাগের একদল শিক্ষার্থীরা। "হাইড্রো-ইনফরমেটিক মডেলিং ফর ফ্লাড প্রেডিকশন থ্রো এক্সপ্লেইনেবল এআই টু ইন্টারপ্রেট ওয়াটার ডাইনামিকস ইন-বাংলাদেশ প্রার্সপ্রেক্টিভ" শীর্ষক গবেষণা পেপারটির অথর হিসেবে আছেন নিটারের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হোসেইন মাহির, মোঃ তানজুম আন তাসরিফ, মোঃ আমির হামজা, তওফিকুল হক তামিম। শিক্ষকদের মধ্যে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের লেকচারার দীপাঞ্জলি কুন্ডু এবং একই বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর জনাব আনিসুর রহমান।

সম্প্রতি, গবেষণা পেপারটি মিলিটারি ইন্সটিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) কর্তৃক আয়োজিত ষষ্ঠ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিইইআইসিটি) এ প্রেজেন্টেশনের জন্য গৃহীত হয়।


আরও খবর



পানি নিষ্কাশনের মুখে নন্দন পার্কের বাঁধ, উৎসবেও জলবদ্ধতায় দুর্ভোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পানি নিষ্কাশনের মুখে ঈদের আগে নন্দন পার্কের মাটির বাঁধে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। ফলে ঈদ ও বৈশাখী উৎসবে পার্কে রমরমা ব্যবসা হলেও চরম দুর্ভোগে পড়েন প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। নিজেরা মেশিন দিয়ে সেচে কোনরকমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলেও বৃষ্টি হলে ঘরে ঘরে আবজনা-ময়লাযুক্ত পানি ঢুকে পড়ার আশঙ্কা করছেন দুর্ভোগে পড়া মানুষ গুলো। এখান থেকে বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান চান গ্রামবাসী। এলাকাবাসী, ভুক্তভোগী পরিবার ও নন্দন পার্ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার আটাবহ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বড়ইছুটি গ্রামে প্রায় দেড়শতাধিক বাড়িতে প্রায় ৫ হাজার লোকের বসবাস। এসব বাসা-বাড়ির আবর্জনা- ময়লাযুক্ত পানি যুগের পর যুগ ধরে কৃষি জমির উপর দিয়ে প্রবাহিত হতো। কিন্তু উপজেলার বাড়ইপাড়া ও বড়ইছুটি এলাকার পাশ^বর্তী ঢাকার সাভার উপজেলার কৃষি জমি ভরাট করে গড়ে উঠেছে নন্দন পার্ক নামে একটি বিনোদন কেন্দ্র। এর মধ্যে বেশির ভাগ জমিই বড়ইছুটি গ্রামের মানুষের। এছাড়াও ওই পার্কের বিরুদ্ধে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কের পাশে বনবিভাগের জমিও জবর-দখলের অভিযোগ রয়েছে। ওই পার্কের পশ্চিম পাশে সীমানা প্রাচীর ঘেষে অবস্থিত বড়ইছুটি গ্রামটি। স্থানীয়দের সহযোগীতায় ওই পার্ক প্রতিষ্ঠা হলেও র্দীঘদিন ধরে পার্কের এক পাশ দিয়ে এসব বাসা-বাড়ির আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানি নিষ্কাশন হয়ে আসছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ঈদের আগে ওই পানি নিষ্কাশনের মুখে উচু মাটির বাঁধ দেয় নন্দন পার্ক কর্তৃপক্ষ। ফলে আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানিতে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। একমাত্র রাস্তাসহ বাসা-বাড়িতে ঢুকে পড়ছে আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানি। ওই পানি ঠেকাতে কেউ ঘরের পাশে দেয় বাঁধ, আবার কেউ উঠানের পানি সেচে ফেলছেন বাইরে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই গ্রামবাসী। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন শিশু ও রোগীরা। সৃষ্টি হচ্ছে মশা, মাছিসহ বিভিন্ন রোগ-বালাই। এর সমধান চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেন গ্রামবাসী। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে কোনো সমস্যার সমাধান করা হয়নি। এর সমাধান চেয়ে বিক্ষোভ করেছে গ্রামবাসী। এরই মধ্যে চলে আসে বড় দুটি উৎসব ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ। এ দুটি উৎসবে ওই পার্কে রমরমা ব্যবসা হলেও পার্কের বাধের কারনে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।দুর্ভোগে পোহাচ্ছেন ওই গ্রামের ইফাজাতুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা, আফাজ উদ্দিন মোল্লা স্কুল এনড কলেজ, মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মসুল্লি ও কারখানার শ্রমিকরা। তাদের ঘরে যেন নেই দুটি উৎসবের আমেজ, আছে চরম দুর্ভোগ আর হতাশা।নিজেদের উদ্যোগে মেশিন দিয়ে সেচে কোন রকমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলেও বৃষ্টি হলে ঘরে ঘরে আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানি ঢুকে পড়ার আশঙ্কা করছেন দুর্ভোগে পড়া মানুষ গুলো।স্থানীয় জালাল উদ্দিন, সিলুম উদ্দিন, ফয়সাল সরকার, লিয়াকত সরকারসহ অনেকেই বলেন, এখানে আমাগো বাপ-দাদার বাড়ি। এ পর্যন্ত ময়লাযুক্ত পানি এ দিক দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ করে নন্দন পার্কের বাঁধের কারণে এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এছাড়াও আগে এ জমি নন্দন পার্কের ছিল না, পরে কিনে নিয়েছে। কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থা না করে বাঁধ দেওয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছি। দুটি উৎসবেও আমাদের মধ্যে কোনো আমেজ নেই। ভাড়াটে মর্জিনা বেগম বলেন, আমি এখানে ৫ বছর ধরে ভাড়া থাকি। আগে এ রকম ময়লাযুক্ত পানির কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু পার্কের বাঁধের কারণে ময়লাযুক্ত পানির জলাবদ্ধতা হচ্ছে। ওই পানি আমাদের একটি ঘরেও ঢুকে যায়। ওই পানি সেচে কোন রকমে ঘরে থাকি। আবার ভরে গেলে আবার সেচে ফেলি। এছাড়া টয়লেট ও টিউবয়েলেও যেতে পারি না। দুর্গন্ধে খাওয়া-দাওয়াও করতে পারছি না। তবে সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগে এই জলাবদ্ধতা থেকে বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান চান গ্রামবাসী।

এব্যাপারে নন্দন পার্ক কোম্পানি সচিব খাইরুল ইসলাম জানান, আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানি পার্কে ঢুকে যাচ্ছে। এতে পার্কের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এর সমাধানের জন্য দুই বছর ধরে চেষ্টা করতেছি। সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছি। কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। আমাদের জমি এভাবে কতদিন ফেলে রাখবো। তাই মাটি দিয়ে বাঁধ দিয়ে আমাদের জমি উন্নয়ন করতেছি। ইউএনও স্যার পরিদর্শন শেষে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। আমরাও তাদের সাথে আছি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন শাকিল মোল্লা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সব ধরণের বজ্রপানি ঐদিক দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে নন্দন পার্কের বাঁধের কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তবে পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে অফিসিয়াল ভাবে বক্তব্য দিতে রাজি নন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহম্মেদ।


আরও খবর



গোদাগাড়ীতে বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | ৮১জন দেখেছেন

Image

গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃরাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের উদ্যেগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত। রোববার (৭এপ্রিল) উপজেলা সদর ডাইংপাড়া আহলে হাদিস জামে মসজিদের পাশে এছাদের বাদ আসর বাংলাদেশ জমঈয়াতে আহলে হাদিস গোদাগাড়ী উপজেলা শাখার আয়োজনে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। শাহ সুলতান কামিল মাদ্রাসা সাবেক অধ্যক্ষ মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন, বাসুদেবপুর দাখিল মাদ্রাসা সাবেক সুপার মাওঃ আব্দুল্লাহ। আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে আলোচক ছিলেন ড. আব্দুর রহমান মুহসেনী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাও: দুরুল হুদা, মাও: খায়রুল ইসলাম, আব্দুল হাদী ও আব্দুস সালাম প্রমূখ। এসময় প্রধান আলোচক ড. আব্দুর রহমান মুহসেনী বলেন,আমাদের সবাইকে সহিহ সুন্নাহ ভিত্তিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। অতএব দুনিয়া ও আখিরাতে শান্তি ও মুক্তি পেতে হলে কুরআন-সুন্নাহর অনুসরণের বিকল্প কোন পথ নেই। তাই কুরআন-সুন্নাহর আলোকে দ্বীনী ইলম শিক্ষার গুরুত্ব ও ফজিলাত সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়।শেষে তিনি বলেন আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আমি আপনাদের মনোনীত প্রার্থী আমার জন সবাই দোয়া করবেন।


আরও খবর



হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ গ্রামে ভৈরবনগর গ্রামের ৪ প্রবাসী যুবকের

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ১৯জন দেখেছেন

Image
মোহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ্ নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়ীয়া প্রতিনিধি:পরিবারের ইচ্ছে পূরণে এবং নিজেদের  স্বপ্ন ছিল হেলিকপ্টারে চড়ে বাড়ি ফিরেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার  বিদ্যাকুট ইউনিয়ন ভৈরবনগর গ্রামের, কাতার প্রবাসি তিতন মোল্লার পরিবারের চার সদস্য কাতার প্রবাসি দুলাল মিয়া , আব্দুলা , আমির হোসেন , নূর মোহাম্মদ ও পারবেছ । 

মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় কাতার থেকে বিমানে করে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে নামলেন এই চার প্রবাসী । 

এবার তাদের বাড়ি ফেরার গল্পটি সিনেমার মতোই। শত শত উৎসুক মানুষ ভিড় জমায় হেলিকপ্টার ও তাদেরকে দেখার জন্য। গ্রামের চারপাশে ফসলি মাঠ। সবুজ সমারোহের মাঝখানে তৈরি হেলিপ্যাড। দল বেঁধে ফসলি জমির আইল দিয়ে, সড়ক দিয়ে নারী-পুরুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন হেলিপ্যাডের পাশে বাড়ির আঙিনায়।

এমন দৃশ্যটি নবীনগর বিদ্যাকুট ইউনিয়ন ভৈরবনগর গ্রামের, কাতার প্রবাসি তিতন মোল্লা পরিবারের চার সদস্য কাতার  প্রবাসীর । 

আকাশে ভেসে বেড়ায় হেলিকপ্টারের শব্দ। উৎসুক নারী-পুরুষ ও শিশুরা তাকিয়ে ছিল আকাশের দিকে। সকাল ১০ টার দিকে হেলিকপ্টারে চড়ে ভৈরবনগর গ্রামের ফসলি জমির হেলিপ্যাডে মাঠে নামেন তারা। এসময় প্রবাসী চার ভাইকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসীর পক্ষে বিদ্যাকুট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান,ওবায়দুল হক, শহীদ মেম্বার, নজরুল ইসলাম । 

স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে কাতার প্রবাসি তিতন মোল্লার পরিবারে সচ্ছলতা ফেরাতে কাতার পাড়ি জমান। এর আগে কয়েকবার বাড়িতেও এসেছেন তারা। কিন্তু পরিবারের ইচ্ছা ও নিজেদের শখ ছিল একদিন হেলিকপ্টারে চড়ে গ্রামে ফিরবেন। সেই শখ মেটাতে এবং পরিবারের ইচ্ছে পূরণে এবার তারা এলেন হেলিকপ্টারে চড়ে।

এ সময় তাদের দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন। চার ভাইকে দেখতে আসা বিদ্যাকুট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকারুল হক এর ভড় ভাই মো. ওবায়দুল হক বলেন, তারা খুব ভালো মানুষ। গ্রামের কারও বিপদ আপদে তাদের শরণাপন্ন হলে সাধ্যমতো সহযোগিতা করতে চেষ্টা করেন।

এ সময় কাতার প্রবাসী তিতন মোল্লা  বলেন, আমরা দীর্ঘদিন কাতারে আছি। আমাদের বাবা-মায়ের ইচ্ছে পূরণে ও নিজেদের শখ মেটাতে এবং গ্রামের মানুষ ও আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষীদের মাঝে আনন্দ-উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে দিতে আমরা ব্যতিক্রমভাবে বাড়ি ফিরি। নিজেদের শখ পূরণের পাশাপাশি আমরা সাধ্য মোতাবেক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও এলাকার মানুষের পাশে থাকি। সার্বিক সহযোগিতা করি। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও করবো।

আরও খবর



শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩২জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:শক্তিশালী ভূমিকম্পে তাইওয়ানের পর এবার কেঁপে উঠল জাপান। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬। জাপানের ফুকুশিমা অঞ্চলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। তবে এ থেকে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।

এখনো পর্যন্ত ওই ভূমিকম্প থেকে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ৪০ কিলোমিটার (২৫ মাইল)। রাজধানী টোকিওতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে টেকটোনিক সক্রিয় দেশগুলোর মধ্যে একটি জাপান। সে কারণে দেশটিতে শক্তিশালী ভূমিকম্প সহ্য করতে পারে এমনটা নিশ্চিত করতে তারা ভবনের কাঠামো তৈরির ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম মেনে চলে।

১২৫ মিলিয়ন মানুষের আবাসস্থল এই দ্বীপপুঞ্জ। প্রতি বছর সেখানে প্রায় ১৫০০ ছোট-বড় ভূমিকম্প আঘাত হানে। এদিকে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার আঘাত হানা ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ১ এবং এর গভীরতা ছিল ৪০ দশমিক ১ কিলোমিটার।

এর মাত্র একদিন আগেই প্রতিবেশী তাইওয়ানে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪। এতে এখন পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং আরও এক হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

বুধবার তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলীয় উপকূল এবং রাজধানী তাইপেই ছাড়াও জাপানের দক্ষিণাঞ্চল, চীনের পূর্বাঞ্চল এবং ফিলিপাইনে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহরের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে। এর গভীরতা ছিল ৩৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার।

ওই ভূমিকম্পের পর পরই তাইওয়ান ও এর প্রতিবেশী দেশ জাপান, ফিলিপাইনে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। তবে পরবর্তীতে ওই সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়।

জাপানে এর আগে ২০১১ সালে ৯ মাত্রার অতি শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা ওই ভূমিকম্পের প্রভাবে সুনামির আঘাতে ১৮ হাজার ৫০০ মানুষ নিহত বা নিখোঁজ হয়।


আরও খবর