Logo
আজঃ শনিবার ১০ জুন ২০২৩
শিরোনাম

প্লাষ্টিক পণ্যের দাপটে হারিয়ে যাচ্ছে হাঁড়ি পাতিল, ভাল নেই কুমাররা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

আবু মোতালেব হোসেন (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ বাপ দাদার হাতে খুঁটি, হাঁড়ী, পাতিল, সারোয়া, কলস, শ্লিম, পেচি, ব্যাংক, প্লেট, রুটি বানা তাওয়া, চারি, কান্টা, ফুলের টপ, থালা, মাটির খেলনা বানা (তৈরী) শিখছি। এখন স্মামীর সংসারে ২১ বছর থাকি এই কাম (কাজ) করি। স্বামী, বেটি দুইটা ছেলে একটা ওরাও এই কামই করে। তাও সংসার চলে না। কথা গুলো বলেন, নীলফামারী সদরের সোনারায় ইউনিয়নের উত্তর মুসরত কুকাপাড়া গ্রামের কুমার পাড়ার নমিতা পাল (৩৯)।

স্বামী খগেন্দ্র পাল (৪৫) জানান, ‘প্লাস্টিকের ভাড়া পাতিল বের হয়ে হামার মাটির জিনিশ কেউ নেয় না। বছরে একবার পহেলা বৈশাখ, হিন্দুর বিয়া বাড়ী ও বিভিন্ন পুজা পার্বনে একটু বেচাকেনা হয় এখন তাও হয় না। এক সময় এই ব্যবসার যতেষ্ট কদর ছিল। বাড়ীতে এসে পাইকাররা বায়না দিয়ে যেত এখন আর সেই দিন নাই। কামাই খুব হইত। কিন্ত এখন পেটে চলে না।’ 

ওই ইউনিয়নের মুসরত কুকাপাড়ায় রয়েছে এই শিল্পের প্রায় ৬৫ পরিবার। এ ছাড়াও জেলায় বিছিন্নভাবে ২৩০ পরিবার এই পেশায় জীবন যাপন করে। কিন্ত মাটির অভাব, প্রয়োজনীয় পুঁজি ও পরিকল্পিত উদ্যোগের অভাবে চরম অস্তিত্ব সংকটে নীলফামারীর মৃৎশিল্পিরা। উৎপাদিত পণ্য সামগ্রীর ন্যায্য মুল্য না থাকায় এই শিল্পের সাথে জড়িতরা অন্য পেশায় যেতে বাদ্য হ”েছ। সাত পুরুষের ঐতিহ্যবাহী পেশাকে কোন রকমে ধরে রেগেছেন তারা। বাজারে প্রচলিত প্লাস্টিক সামগ্রীর সাথে পাল্লা দিতে না পেরে তারা এখন কোনঠাসা। ফলে গ্রাম বাংলার এই শিল্পের ঐতিহ্য হারানোর পাশাপাশি তাদের দুর্দিন যা”েছ। 

একই গ্রামের মৃৎশিল্পি বিকাশ চন্দ্র পাল (৪০) জানান, ‘পুরুষদের প্রধান কাজ মাটি কিনে সেগুলো কাদা করা ও ভাটায় পোড়ানো। এরপর এসব সামগ্রী নিজ হাতে তৈরী করেন বাড়ীর নারী ও ছেলেমেয়েরা। আর এসব তৈরী সামগ্রী বাজারে বিক্রি করি আমরা। কিন্ত দিন দিন চাহিদা কমে যাওয়ায় এখন হাত পড়েছে কপালে।’ 

জেলা শহরের ওইসব সামগ্রী বিক্রি করতে এসে কৈলাস চন্দ্র পাল (৪৫) বলেন, ‘মাটির তৈরী হাঁড়ি, পাতিল,কলস, সারোয়া, পেচি, তাওয়ার এক সময় খুব চাহিদা ছিল। বাজারে আসার সাথে সাথে ক্রেতা সামলাই যেত না। এখন হাটে আসা যাওয়া ভ্যান ভাড়াই উঠে না। আগে গরমে পানি রাখার একটি কলস বিক্রি হতো ৩০-৪০ টাকা। এখন ফ্রিজ বের হয়ে কলসের কোন চাহিদা নাই। হঠাৎ এক-আধটা বিক্রি হয়, তাও পানির দামে দিতে হয়।’

সদর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা মঞ্জুর মোর্শেদ তালুকদার জানান, ‘কুমারপাড়ার ওই পরিবার গুলো বিছিন্নভাবে বসবাস করায় তাদের কোন সমবায় সমিতি নাই। তাদের এক জায়গায় করে সমবায় সমিতির মাধ্যমে সহযোগিতা করা যেতে পারে। তিনি বলেন, প্লাষ্টিকের উৎপাদিত পণ্যের কাছে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে কুমার শিল্প।’

এ ব্যাপারে, নীলফামারী ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের ব্যব¯’াপক (বিসিক) হোসনে আরা খাতুন জানান, এ শিল্পের লোকজনদের সমিতির মাধ্যমে আর্থিকভাবে সহায়তা করা যেতে পারে। তবে আধুনিকতার ছোঁয়ায় মাটির তৈরী জিনিশপত্রের আদলে তৈরী করছেন প্লাস্টিক পন্য নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান। ফলে প্রতিনিয়ত ব্যবহার কমছে মাটির তৈরী পন্য সামগ্রীর। এতে বিপাকে পড়েছে এই শ্রেনী পেশার মানুষ। তিনি বলেন, আমাদের শর্ত পুরণের মাধ্যমে তাদের সহযোগিতা করা যেতে পারে। 

এ ব্যাপারে, জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ জানান, মৃৎশিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারীভাবে কোন ধরনের সহায়তার সুযোগ থাকলে তা অবশ্যই করা হবে। এটি গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য আর ওই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে কুমাররা (মৃৎশিল্পিরা)।



আরও খবর



কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি বাজেটে: কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৭১জন দেখেছেন

Image

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, এ বছরের বাজেটে কৃষিকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। বিনামূল্যে না হলেও কৃষি যন্ত্রপাতি দিচ্ছি। মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করার জন্য এই বাজেটকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

আজ শুক্রবার দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুর রাণী ভবানী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বাজেট নিয়ে বিএনপি নেতারা গত ১৪ বছর ধরে বলে আসছেন- এটা উচ্চ বিলাসী বাজেট, অবাস্তব বাজেট, কল্পনাভিত্তিক বাজেট। কল্পনাভিত্তিক বাজেট হলে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ জাতীয় আয় হতো না। প্রতি বছর আমরা স্মার্ট ও আধুনিক বাংলাদেশ করার লক্ষ্য নিয়ে বাজেট দিচ্ছি। সেই লক্ষ্যে অদম্য গতিতে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বিদেশি বিভিন্ন পত্রিকা বলে অদম্য বাংলাদেশ। আমরা এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। এই গতিকে আমরা আরও বেগবান করব। এই বাজেটের মাধ্যমে উন্নয়নকে আর গতিময় করব।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, কেউ স্যাংশন দিয়ে এ উন্নয়ন ব্যাহত করতে পারবে না। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ব্যাহত করতে পারবে না। আপনারা যত ধরনের স্যাংশনই দেন, তা মোকাবিলা করার যোগ্যতা বাংলাদেশের আছে।

মধুপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফি উদ্দিন মনি, সাবেক পৌর মেয়র মাসুদ পারভেজ প্রমুখ।


আরও খবর



হোঁচট খেয়ে আবারও পড়ে গেলেন বাইডেন (ভিডিও)

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আবারও হোঁচট খেয়ে পড়ে গেছেন। এবার বৃহস্পতিবার কলোরাডো অঙ্গরাজ্যে ইউএস এয়ার ফোর্স একাডেমির স্নাতকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হোঁচট খেয়ে পড়ে যান তিনি।

প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বাইডেনের এভাবে হোঁচট খেয়ে পড়ে যাওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে সাইকেল থেকে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া বিমানের সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সময়ও একবার হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট পড়ে যাওয়ার পর বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা তাকে সাহায্য করতে ছুটে যান। তবে প্রেসিডেন্টকে কারও সাহায্য ছাড়াই তার আসনে ফিরে যেতে দেখা গেছে।

এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন করমর্দন শেষে হেঁটে তার আসনের দিকে ফিরে যাচ্ছিলেন, ঠিক সেই সময় হোঁচট খেয়ে পড়ে যান তিনি। এরপর একাই উঠে হেঁটে যাওয়ার সময় তাকে বালির ব্যাগের দিকে ইশারা করতে দেখা যায়।

৮০ বছর বয়সী বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট। এই বয়সে তিনি ৯২১ জন গ্র্যাজুয়েট ক্যাডেটের প্রত্যেকের সঙ্গে করমর্দন করেছেন। এ জন্য তাকে দীর্ঘ প্রায় দেড় ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।

অনুষ্ঠানের পর হোয়াইট হাউস প্রেসিডেন্টের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে হালনাগাদ দিয়েছে। হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক বেন লাবোল্ট বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ভালো আছেন।

তিনি টুইটারে লেখেন, যখন তিনি ক্যাডেটদের সঙ্গে করমর্দন করছিলেন তখন মঞ্চে একটি বালির ব্যাগ ছিল। সেটিতেই হোঁচট খেয়েছেন তিনি।

এদিকে এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ৭৬ বছর বয়সী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘পুরো জিনিসটিই উন্মত্ত’।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি তিনি আঘাত পাননি। তবে এটি অনুপ্রেরণামূলক নয়।

তিনি আরও বলেন, ‘আপনি চান বা না চান। আপনাকে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে।

 


আরও খবর



ভালো কাজের নাগরিক অনুশীলন প্রকল্পের আওতায় জেলা প্রশাসন কতৃক ম্বীকৃতি পেয়েছেন সাকিব আল হাসান

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | ৮৫জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে: মাগুরা জেলা তথা বাংলাদেশের গর্ব বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার  সাকিব আল হাসান ক্রিকেটাঙ্গনে ধারাবাহিকভাবে অতুলনীয় ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শন করে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে চলেছেন। বিশ্ব ক্রিকেটে অনেকবার এক নম্বর অলরাউন্ডার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পাশাপাশি তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সকল ফরম্যাট মিলে আজ পর্যন্ত মোট ৪০৪ টি ক্রিকেট ম্যাচে মোট ১৪,৭৬৬ রান ও ৬৬০ টি উইকেট অর্জন করেছেন। এছাড়াও তিনি এখন পর্যন্ত ৩১ বার ম্যান অব দ্যা ম্যাচ ও ১৬ বার ম্যান অব দ্যা সিরিজ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন।

এ ধরনের অনন্য নৈপুণ্য প্রদর্শনের মাধ্যমে তিনি আজ বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের রোল মডেলে পরিণত হয়েছেন।বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে ক্রিকেট বিশ্বে ধারাবাহিক শীর্ষ অলরাউন্ডারের কৃতিত্ব অর্জনের মাধ্যমে রোল মডেলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে মাগুরা তথা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিশ্বদরবারে উজ্জ্বল করার জন্য জেলা প্রশাসন, মাগুরার পক্ষ থেকে সম্মাননা জানানো হয়।

জেলা প্রশাসন,মাগুরা প্রত্যাশা করে যে,ক্রীড়াদূত হিসেবে তাঁর ভূমিকা বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে আরও মর্যাদাবান করবে এবং জার্সি নং-৭৫ এর মাধ্যমে ক্রিকেটে বাংলাদেশ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবে।

আরও খবর



সৌদি পৌঁছেছেন ৫০ হাজার হজযাত্রী, মৃত্যু ৪

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৬২জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :চলতি বছর হজ পালনের উদ্দেশে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ১৪ জন যাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। এরমধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৪ জুন) হজ পোর্টাল থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সৌদিতে যাওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯ হাজার ৮৯ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ৪০ হাজার ৯২৫ জন।

এদিকে, হজে গিয়ে সর্বশেষ আলী হোসাইন (৬৭) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চারজনের মৃত্যু হলো। এরমধ্যে পুরুষ তিনজন এবং মহিলা একজন।

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এবার হজের খরচ বেশি হওয়ায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটা খালি রেখেই হজের সার্বিক প্রস্তুতি শেষ করেছে সরকার।

এরপর গত ২১ মে থেকে হজযাত্রীদের প্রথম ফ্লাইট শুরু হয়। শেষ হবে ২২ জুন। হজ পালন শেষে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হবে আগামী ২ জুলাই। ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে ২ আগস্ট।

উল্লেখ্য, চাঁদ দেখাসাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



তানোরে নিয়োগ পরিক্ষার্থীরা মাদ্রাসায় সুপার সভাপতি লাপাত্তা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | ৬৯জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর পৌরসভা দাখিল মাদ্রাসা( আমশো)তে নিয়োগ পরিক্ষার নির্ধারিত দিনে প্রার্থীরা যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত হলেও সুপার মুনসুর রহমান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাবেক যুবলীগ নেতা ইকবাল মোল্লা উধাও হয়ে গেছেন বলে নিশ্চিত করেন প্রার্থী রা। শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে নিয়োগ পরিক্ষার সময় দিলেও দুপুর ১২ টা পর্যন্ত প্রার্থী রা বসে থাকলেও সুপার ও সভাপতির দেখা মিলেনি। এতে করে নিয়োগ পরিক্ষার্থীরা তাদের না পেয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে কাঁদতে কাঁদতে ফেরত যান। ফলে সুপার ও সভাপতির শাস্তির দাবিতে ফু্ঁসে উঠেছেন স্থানীয়রা।শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসার মাঠে নিয়োগ পরিক্ষার্থীরা বসে কান্নাকাটি করছেন। মাদ্রাসার অফিস খোলা রয়েছে। ভিতরে কয়েকজন শিক্ষক কর্মচারী বসে আছেন। তাদের কাছে নিয়োগ পরিক্ষার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, গত বৃহস্পতিবার সুপার জানায় নিয়োগ পরিক্ষা হবে এজন্য শুক্রবার সকালে আসতে বলেন। সে অনুযায়ী আমরা সকাল থেকে বসে আছি। সুপার ও সভাপতি কেউ আসেনি। মোবাইল করলে ধরছেন না। পরিক্ষা না হলেও তো আমাদেরকে বলতে পারে। কারন যারা নিয়োগের জন্য আবেদন করেছেন সবাই আমশো গ্রামের বাসিন্দা। যতই বেলা গড়াচ্ছে গ্রামের লোকজন ততই জড়ো হচ্ছেন। আমরাও অফিস বন্ধ করতে পারছিনা। নিয়োগ পরিক্ষার্থী ও গ্রামের মানুষকে কিছু বলে পাঠাবো সেটাও বলছে না সুপার। কতবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও কত জন আবেদন করেছেন জানতে চাইলে তারা জানান, যে আলমারিতে কাগজপত্র থাকে সেটার চাবি সুপারের কাছে, তিনি ছাড়া কেউ কিছুই বলতে পারবেন না।

নিয়োগ পরিক্ষা বন্ধের বিষয়ে এক শিক্ষক জানান,  আয়া ও নিরাপত্তা পদে দুটি নিয়োগ হওয়ার কথা। কিন্তু সুপার একাধিক ব্যাক্তির কাছ থেকে টাকা আদায় করেছেন। এজন্য সে বেশ কিছুদিন ধরে মাদ্রাসায় আসছেন না। আসলেই পাওনাদারেরা ধরবে।  মুলত এসব কারনেই সুপারের ইচ্ছায় নিয়োগ পরিক্ষা বন্ধ হয়েছে। শুধু চাকুরী দেওয়ার নামে টাকা নেয় না, একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে সুদের উপরে লাখলাখ টাকা নিয়েছেন। গত ৩০ মার্চ চাকুরীর ৪ লাখ টাকা আদায়ের জন্য সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে চাকুরী প্রার্থীর স্বজনরা ধরে সুপারকে থানায় দিতে চান। কিন্তু স্থানীয়দের অনুরোধে তালন্দ ইউপি চেয়ারম্যান বসে মিমাংসা করে দেন এবং দু মাসের মধ্যে টাকা ফেরত দিবে মর্মে লিখাপড়া হয়।এঘটনায় সুপার মুনসুর বলেছিলেন, চাকুরীর টাকা না সুদের উপর টাকা নেওয়া হয়েছিল।জানা গেছে, (আমশো) পৌরসভা দাখিল মাদ্রাসায় নিরাপত্তা ও আয়া পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য চলতি মাসের ১৪ মে শনিবার মাদ্রাসার প্যাডে সুপার মুনসুরের স্বাক্ষরিত নিয়োগ পরিক্ষার জন্য স্বাক্ষাতকার/ প্রবেশপথ দেওয়া হয়।নিরাপত্তা কর্মী পদের আবেদন কারী সাফিউল ইসলাম, আশিক হাসান ও আয়া পদে নাসিমা, শিমানা ও জুথিসহ আরো কয়েকজন জানান, গত ১৪ মে প্রবেশ পত্র দিয়ে বলা হয়েছে শুক্রবার সকাল ৯ টার সময়  লিখিত ও মৌখিক পরিক্ষা হবে। সে মোতাবেক আমরা মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়েছি। তিন ঘন্টা ধরে উপেক্ষা করার পর জানতে পারলাম পরিক্ষা স্থগিত। কিন্তু আমাদেরকে কিছুই বলা হয়নি।

মাদ্রাসা সুপার মুনসুরের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি রাজশাহীতে আছি, সমস্যার জন্য পরিক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিতের বিষয়ে আবেদন কারীরা নাকি কিছুই জানেন না প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন হঠাৎ কর্মকর্তা অসুস্থ এজন্য স্থগিত জানানোর সময় পাওয়া যায়নি। আপনি নাকি একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাবেক পৌর যুবলীগের সভাপতি ইকবাল মোল্লা জানান, রাজশাহীতে নিয়োগ পরিক্ষা শুরু হয়েছে। সুপার বলেছে স্থগিত আপনি কিভাবে বলেন শহরে পরিক্ষা হচ্ছে প্রশ্ন করা হলো উত্তরে বলেন আমি ব্যস্ত আছি পরে কথা বলছি।
একথা শোনার পর পুনরায় সুপার মুনসুরেকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

আরও খবর