Logo
আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিরামপুর সীমান্তে তিন কোটি টাকার সাপের বিষ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image

মিজানুর রহমান মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃদিনাজপুর জেলার বিরামপুর সীমান্তের নিকটবর্তী এলাকা হতে অবৈধ পথে ভারতে সাপের বিষ পাচারের সময় দুই কেজি ৪৭১ গ্রাম সাপের বিষ উদ্ধার করেছে ২০ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ জয়পুরহাট ব্যাটালিয়ন ( বিজিবি) অধীনস্থ ঘাসুড়িয়া ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা। যার আনুষ্ঠানিক মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা

শুক্রবার (১০ মে) রাত সাড়ে ৩ টার দিকে বিরামপুর সীমান্তের ঘাসুরিয়া সীমান্তে ভারতে পাচারকালে মালিকবিহীন অবস্থায় সাপের বিষগুলো উদ্ধার  করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, জয়পুরহাট-২০ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ব্যাটালিয়ন ( বিজিবি)  অধিনায়ক লে. কর্নেল নাহিদ নেওয়াজ।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, বিরামপুর উপজেলার ঘাসুরিয়া এলাকা দিয়ে কিছু সাপের বিষ  ভারতে পাচার হচ্ছে।  এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে উপ-অধিনায়ক মেজর আফিক হাসানের নেতৃত্বে ঘাসুড়িয়া ক্যাম্পের  বিজিবি সদস্যেদের সমম্বয়ে বিরামপুর সীমান্তের ২৮৯/৪২ পিলার হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে উচা গোবিন্দপুর নামক স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।  এসময় মালিকবিহীন ২টি কাচের জার উদ্ধার করা হয়। যার ভিতরে রক্ষিত অবস্থায় সাদা রংয়ের সাপের বিষ ১ কেজি ২০৩ গ্রাম এবং কালো রংয়ের সাপের বিষ ১ কেজি ৪৭১ গ্রাম উদ্ধার রয়েছে। সর্ব মোট ২ কেজি ৪৭১ গাম সাপের বিষ উদ্ধার করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ৯৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা। এবিষয়ে বিরামপুর থানায় মামলা দায়ের এর প্রস্তুতি চলছে।

উল্লেখ্য ইতিপূর্বেও ১০ এপ্রিল/২৪ইং বুধবার বিরামপুর উপজেলার ঘাসুড়িয়া  সীমান্ত পিলার ২৮৯/১-এস হতে আনুমানিক ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ওসমান মোড়, ঈদগাহ মাঠ নামক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে এক কেজি সাপের বিষ উদ্ধার করা  হয়েছিল।উদ্ধারকৃত সাপের বিষের আনুমানিক মূল্য ছিল এক কোটি বিশ লক্ষ টাকা। চোরাচালান প্রতিরোধে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজিবি'র এই কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন।


আরও খবর



ঢাকায় এসেছেন ডোনাল্ড লু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৭৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকায় এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু দুই দিনের সফরে । বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রথমবার ঢাকা সফরে এলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের জ্যেষ্ঠ এ কর্মকর্তা।

মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা ১১টার পর কলম্বো থেকে ঢাকায় এসেছেন ডোনাল্ড লু।

জানা যায়, ঢাকা সফরের সময় লু সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে হতে যাওয়া বৈঠকগুলোতে ব্যবসা-বাণিজ্য, শ্রম অধিকার, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা ইস্যু, প্রতিরক্ষাসহ নিরাপত্তা ইস্যুতে আলোচনা করবেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান বিষয়গুলো গণতন্ত্র, মানবাধিকারের মতো বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা অব্যাহত রাখবে ওয়াশিংটন।

লু ঢাকা সফরের প্রথম দিনে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের নৈশভোজে যোগ দেবেন। এদিন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময়ের কথা রয়েছে তার। এ ছাড়া একটি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন তিনি।

সফরের দ্বিতীয় দিনে লু প্রথমে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে ও পরে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন। এরপর তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে বলা হয়, ১০ থেকে ১৫ মে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ সফর করবেন ডোনাল্ড লু। তার এ সফরের মধ্যদিয়ে দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার হবে বলে প্রত্যাশা ওয়াশিংটনের। যুক্তরাষ্ট্র যে একটি মুক্ত, অবাধ ও সমৃদ্ধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল দেখতে চায়, ডোনাল্ড লুর সফরে সেটাই গুরুত্ব পাবে।


আরও খবর



রূপগঞ্জে ডাকাতি মালামালসহ ১জন ডাকাত গ্রেফতার

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১২০জন দেখেছেন

Image

আবু কাওছার মিঠু,রুপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ- নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের কিং-ফিশার ডগইয়ার্ডের পাশ থেকে ডাকাতি করা ড্রেজারের মালামাল ও দেশীয় অস্ত্রসহ ওমর ফারুক নামের এক ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে রুপগঞ্জ ইছাপুরা নৌ পুলিশ। আজ ভোরে উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের দড়িকান্দী এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে কিং ফিসার ডকইয়ার্ড পাশ থেকে ইছাপুরা নৌ পুলিশের ইনচার্জ মোস্তফা কামাল অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। 

এসময় ২ টি নৌকা, ৩টি রাম দা, ৩টি কাটার, সাপল, ছুরি, লোহার হকি, হেক্সো ব্লেট, হাতুরি, হামারসহ ডাকাতি করা ড্রেজারের মালামাল জব্দ করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে  ইছাপুরা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জানান, আটককৃত ডাকাত মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর থানার বউ বাজার এলাকার মেহেদী হাসানের ছেলে ওমর ফারুক এবং সে বর্তমানে রুপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার বরাব ছাপড়া মসজিদ এলাকায় ভাড়া থাকেন বলে জানা গেছে, ও আটকৃত ডাকাতের সাথে থাকা আরো ৩জন ডাকাত দলের সদস্য ছিলো তারা পালিয়ে যায়।  

তারা নোয়াপাড়া পিনীষ ঘাট এলাকার মনিরের ছোট ভাই রমজান, তরাবো হাটিপাড়া এলাকার রাব্বি ও যাত্রামুড়া এলাকার মোকতার হোসেন। পরে পলাশ থানার একটি ড্রেজার থেকে ডাকাতি হওয়া মালামাল ও ডাকাতের কাজে ব্যবহৃত অস্ত্রসহ তাকে পলাশ থানায় হস্তান্তর করা হয়।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সেলিম প্রধানের প্রার্থীতার বৈধতার আদেশ স্থায়ীভাবে স্থগিত

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৭৪জন দেখেছেন

Image

আবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)প্রতিনিধিঃক্যাসিনো-কান্ডের আলোচিত এবং অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি সেলিম প্রধানের প্রার্থীতা ও প্রতীক বরাদ্দের জন্য দেয়া উচ্চ আদালতের আদেশের উপর স্থায়ীভাবে স্থিতি অবস্থা জারি করা হয়েছে। ফলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার চেয়ারম্যান প্রার্থীতার বৈধতার আদেশ স্থায়ীভাবে স্থগিত  করেছে আদালত। গতকাল ৬মে সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত উচ্চ আদালতের আদেশের উপর এই স্থিতি অবস্থা জারি করে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান জানান, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন ক্যাসিনো-কান্ডের আলোচিত এবং অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি সেলিম প্রধান । গত ২৩ এপ্রিল যাচাই বাছাই শেষে মানি লন্ডারিং ও দুদকের মামলায় সাজার কারণে রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। পরে মনোনয়নের বৈধতা চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর সেলিম প্রধান আপিল করলে গত ২৮ এপ্রিল জেলা প্রশাসক আপিল খারিজ করে মনোনয়ন বাতিল বহাল রাখেন। ৩০ এপ্রিল উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চে নিজের প্রার্থীতার বৈধতা ও প্রতীক বরাদ্দ চেয়ে রীট করেন সেলিম প্রধান। রীটের প্রেক্ষিতে সেলিম প্রধানের প্রার্থীতার বৈধতা ও প্রতীক বরাদ্দের আদেশ দেয় উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ। গত ২ মে বৃহস্পতিবার সেই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালতে আপিল করেন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান।  আপিলের প্রেক্ষিতে আদালত সেলিম প্রধানের করা রীটের বিষয়বস্তুর উপর স্থিতি অবস্থা জারি করে। গতকাল  ৬মে সোমবার এবিষয়ে শুনানি হয়। এর পরে বিচারক এম এ এনায়েতুর রহিম এ আদেশ জারি করেন।  

রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী পরিষদের সদস্য দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী হাবিবুর রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শুনানি করেন। এসময় তাঁর সহকারী হিসেবে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক উচ্চ আদালতের আদেশের উপর স্থায়ীভাবে স্থিতি অবস্থা জারি করেন। 

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাইল্যান্ডগামী উড়োজাহাজ থেকে নামিয়ে এনে সেলিম প্রধানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর তাঁর বাসা ও অফিসে অভিযান চালিয়ে দেশি-বিদেশি মুদ্রা ও বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ জব্দ করা হয়। তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলেছিল, সেলিম প্রধান বাংলাদেশে অনলাইন ক্যাসিনো বা অনলাইন জুয়ার মূল হোতা। তিনি প্রচুর টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। এ ঘটনায় তখন তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে।


আরও খবর



যামিনীপাড়া ২৩ বিজিবি জোনের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৯৪জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:বর্ণিল আয়োজনের মধ্যে দিয়ে খাগড়াছড়ি,র মাটিরাঙ্গা উপজেলার ২৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন যামিনীপাড়া জোনের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী  উদযাপন করা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) ২৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন যামিনীপাড়া জোনের ৪৮তম  প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে  দুপুরে আমন্ত্রিত অতিথিরা একে একে উপস্থিত হয়ে যামিনীপাড়া জোনের জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো.আলমগীর কবির পিএসসির  হাতে ফুলের তোড়া ও উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

পরে আমন্ত্রিত অতিথিদের সাথে নিয়ে ২৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন যামিনীপাড়া জোনের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিন পূর্ব রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার অতিরিক্ত মহা-পরিচালক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজেদুর রহমান, বিজিবিএম, 

 এসময় গুইমারা ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড এর  রিজিয়ন কমান্ডার,ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম, এসপিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি,বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ,
গুইমারা সেক্টর কমান্ডার,কর্নেল এস এম আবুল এহসান, পিবিজিএম, পিএসসি, খাগড়াছড়ি ডিজিএফআই ডেট কমান্ডার,কর্নেল আব্দুল্লাহ মো. আরিফ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

অন্যান্যের মাঝে মাটিরাঙ্গা জোনের জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো.কামরুল হাসান পিএসসি, খেদাছড়া ব্যাটালিয়ন ৪০ বিজিবি পলাশপুর জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, পিএসসি, মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.রফিকুল ইসলাম, মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চত্রুবর্তী সহ বিভিন্ন সামরিক, বেসামরিক পদস্থ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, হেডম্যান, শিক্ষক, সাংবাদিকবৃন্দ  উপস্থিত ছিলেন।

সন্ধ্যায় ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে  মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রধান অতিথি,র বক্তব্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিন পূর্ব রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার অতিরিক্ত মহা-পরিচালক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজেদুর রহমান, বিজিবিএম
এসময় তিনি বলেন, বিজিবি সদস্যরা সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি দুর্গম পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারকে সহযোগিতা করছে। দেশকে এগিয়ে নিতে তাদের এ সহযোগিতা অব্যহত থাকবে।

আরও খবর



তানোরে কৃষি প্রণোদনায় অনিয়ম, হয়না আউশ চাষ, পেল কারা?

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মে ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৯জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:রাজশাহীর তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। বিগত ২০২৩ সালের ২০ মার্চ সোমবার কৃষি প্রণোদনা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর কাছে কৃষকেরা মৌখিক অভিযোগ করেন। এদিকে ২০২৪ সালের কৃষি প্রণোদনার তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকদের অভিযোগের তীর কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদের দিকে। তবে কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ কৃষকদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কারন উপজেলায় আউশ চাষ হয়না তাহলে কাদের দেয়া হল প্রণোদনা এমন প্রশ্ন প্রকৃত প্রান্তিক কৃষকদের। 

জানা গেছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খরিপ-১ মৌসুমে উপশী আউশ আবাদ  বৃদ্ধির লক্ষে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় উপজেলার ৭ হাজার ৬৫০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের  মাঝে বিনামূল্যে কৃষি প্রণোদনার সার-বীজ বিতরণ করা হয়েছে।এদিকে প্রণোদনা বঞ্চিত কৃষকদের অভিযোগ তালিকা প্রণয়নে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে। একই পরিবারের একাধিক সদস্য এমনকি জমি নাই বা কখানোই আউশের আবাদ করে না। এমন কৃষকদের প্রণোদনা দেয়া হলেও অনেক প্রকৃত আউশ চাষি প্রণোদনা সুবিধা বঞ্চিত হয়েছে। অথচ কৃষি বিভাগ থেকে তালিকা প্রণোয়নে কৃষকদের যাচাই-বাছাই করার কথা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, গত ১১মে শনিবার কৃষি প্রণোদনা বিতরণ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ চত্বরে আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। এদিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদের সঞ্চালনায় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব রাখেন সাংসদ প্রতিনিধি ও উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। 

এদিন উপজেলার  ৭ হাজার ৬৫০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ১০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি পটাশ ও ৫ কেজি করে উচ্চ ফলনশীল ধানবীজ দেয়া হয়েছে। কিন্ত্ত তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের কারনে অবস্থা সম্পন্ন এবং (ভুয়া) কৃষক প্রণোদনা পেলেও প্রকৃত কৃষকেরা বঞ্চিত হয়েছে। আবার একই পরিবারের একাধিক সদস্য প্রণোদনার কৃষি উপকরণ পেয়েছে। কতিপয় কৃষি কর্মকর্তার মদদে আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে প্রকৃত কৃষককে বঞ্চিত করে (ভুয়া) কৃষকের তালিকা করেছেন বলে কৃষকদের মাঝে আলোচনা রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন অধিকাংশ (ভুয়া) কৃষক প্রণোদনার উপকরণ পেয়ে বাজারের এক সার ব্যবসায়ীর দোকানে বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে সরকারের মহতী উদ্যোগ অঙ্কুরেই বিনষ্ট হতে চলেছে। কৃষকদের অভিযোগ কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদের দায়িত্ব  অবহেলার কারণে সরকারের দেয়া সহায়তা থেকে প্রকৃত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকেরা বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি এখানে দায়িত্ব নেবার পর থেকে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ডালপালা মেলেছে। এদিকে কৃষি কর্মকর্তার কাছে প্রণোদনার কৃষকের তালিকা চাইলে তিনি সাংবাদিকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে তালিকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। তবে এসব কৃষকের নামের তালিকা যাচাই-বাছাই করলেই তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের সত্যতা পাওয়া যাবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাঠপর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ইতিপুর্বে উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন পেয়াঁজ চাষের জন্য ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে দুই ধাপে মোট ১৫০ জন কৃষককে ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৩৫০ টাকা প্রণোদনা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে কৃষক প্রতি নগদ ২ হাজার ৮০০ টাকা করে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং কৃষক প্রতি উপকরণ ২ হাজার ৪৪৯ টাকা করে মোট ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৫০ টাকা। কিন্ত্ত সেখানেও কৃষি কর্মকর্তা নানা অনিয়ম করেছেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে।এসব নিয়ে গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিল।

উপকারভোগী একাধিক কৃষকের অভিযোগ, প্রণোদনার তালিকায় কৃষক নয় এমন ব্যক্তিসহ স্বজনপ্রীতি, এবং অল্প কিছু কৃষককে নামেমাত্র প্রণোদনা দেয়া হয়েছিল। তারা বলেন, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের প্রণোদনার প্রকল্পে যেখানে কৃষক প্রতি বরাদ্দ ছিল ৫ হাজার ২৪৯ টাকা। বরাদ্দের টাকা কৃষকদের বিকাশের মাধ্যমে পাঠানো হয়। কিন্তু প্রতিটি কৃষককে বিকাশে ২৮০০ টাকা করে পাঠানোর কথা থাকলেও তালিকার অনেক কৃষক সে টাকা পায়নি। আর তালিকায় নেই প্রকৃত কৃষক। কৃষকরা বলছেন, বরাদ্দের বাকী ২৪৪৯ টাকার মধ্যে বালাইনাশক বাবদ ২১০০ টাকা, নায়লন সুতলি বাবদ ১৫০ টাকা, অন্যান্য খরচ বাবদ ১৪৪ টাকার ভাউচার প্রদান করা হয়। প্রকৃতপক্ষে কৃষককে দেওয়া হয়, ৫০০ টাকার পলিথিন, ৮০ টাকার বালাইনাশক (৫০ গ্রাম অটোষ্টিন), ৪৫ টাকার সুতলি। প্রতিটি কৃষক পায় ৬২৫ টাকার মালামাল। বাঁকী টাকা আত্মসাৎ করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা টাকার পরিমাণ ২ লাখ ৭৩ হাজার ৫০০ টাকা বলেও কৃষকের মাঝে আলোচনা রয়েছে। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কীটনাশক ব্যবসায়ী বলেন, 

কৃষি প্রযুক্তি মেলা আয়োজনের জন্য সরকারিভাবে দুলাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। কিন্তু তার পরেও প্রতিটি কীটনাশক ব্যবসায়ীর কাছে থেকে আনুঃপাতিকহারে চাঁদা আদায় করা হয়েছিল। অথচ তারা দায়সারা আয়োজন করে অতিথিদের নাস্তাও ছিল নিম্নমাণের যা অত্যন্ত দুঃখজনক।  এমনকি উপজেলার দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল না।
 এছাড়াও 

অফিস সময় মেনে অফিস না করা, স্টেশনে না থাকা, সরকারি গাড়ী ব্যবহার করে রাজশাহী থেকে যাতায়াত, অফিসে এসি ব্যবহার ও বিভিন্ন ফসলের প্রদর্শনীতে নানা অনিয়ম নিয়মে পরিণত হয়েছে বলেও জনশ্রুতি রয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, আমি জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, অথচ কৃষি প্রযুক্তি মেলায় আমাকে আমন্ত্রন জানানো হয়েছিল না, এটা শুধু আমাকে নয়, যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন তাদের সকলকে অবজ্ঞার সামিল ছিলো। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম। তিনি বলেন, কেউ সুবিধা না পেলেই নানা অভিযোগ করেন।

আরও খবর