নিজস্ব প্রতিবেদক:ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে দিয়েছেন আদালত। তবে রায় ঘোষণার পরবর্তী তারিখ এখনো ঠিক করা হয়নি।
রোববার (২১ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ-১২ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে মামলাটির রায়ের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তারিখ পিছিয়ে দেন আদালত।
মামলার ২ আসামি হলেন- নাজনীন ফেরদৌস ও জিনাত আক্তার। এদিন তারা আদালতে হাজিরা দেন।
এর আগে ২৭ নভেম্বর ঢাকার ১২তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।
অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। পরে মোবাইল ফোনে নকল করেছে- এমন অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে স্কুলে নিয়ে যেতে বলা হয়। পরবর্তীকালে দিলীপ অধিকারী তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। পরে অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একইরকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরের বাসায় দিলীপ অধিকারী ও তার স্ত্রী দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে।
আলোচিত এ মামলায় ২০১৯ সালের ২০ মার্চ এ ২ শিক্ষককে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার। ওই বছরের ১০ জুলাই ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। মামলাটিতে ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।