বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মসজিদ, অটোভ্যান, অটোরিকশা এবং বাসাবাড়ি দোকানপাট থেকে প্রতিনিয়ত ব্যাটারী চুরি হচ্ছে। অটোভ্যান, অটোরিকশার ব্যাটারী চুরি এবং ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে অনেক অটো চালককে জীবন দিতে হয়েছে। এমন ঘটনা শুধু মধুপুর উপজেলাতেই নয়, জেলা শহরেও অহরহ ঘটেই চলছে।
কোথায় বিক্রি হচ্ছে এ সব পাউডার কিংবা এসিড ব্যাটারী?
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মধুপুর পৌরসভাধীন বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে পুরাতন ব্যাটারী ক্রয় বিক্রয় প্রতিষ্ঠান। পুরাতন ব্যাটারী ক্রয় বিক্রয়ের তাদের নেই কোনো বৈধ কাগজপত্র।বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা চুরিকৃত ব্যাটারী এসব দোকানে ক্রয়বিক্রয় হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাঝে মধ্যে শুধু ব্যাটারীর জন্যই অনেক চালককে জীবন দিতে হয়।
মধুপুর পৌরশহরে বেশ কয়েকটি স্থানে পুরাতন ব্যাটারী ক্রয় এবং নতুন ব্যাটারী বিক্রির জন্য দোকান রয়েছে।
তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ব্যাটারী ক্রয়ের ক্ষেত্রে আমরা লোকজন যাচাই-বাছাই করে পড়ে ক্রয় করে থাকি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বিভিন্ন এলাকা থেকে পুরাতন ব্যাটারী আসে। যেকোনো মালামাল ক্রয়বিক্রয় করার ক্ষেত্রে রশিদ প্রদানের নিয়ম থাকলেও তাদের কাছ থেকে কোনো রশিদ নেওয়া হয় না। যেকারণে চুরি বা ছিনতাই করা ব্যাটারী খুব সহজেই তারা বিক্রি করতে পারে।
প্রতারক বা ছিনতাইকারীদের বিভিন্ন কৌশল, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, মাদক, কিশোরগ্যাং সহ বিভিন্ন অপরাধ দমন সম্পর্কে মধুপুর থানা ইনচার্জ মোল্লা আজিজুর রহমান উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরামর্শ দিয়ে আসছেন। তার এই মহৎ উদ্যোগের জন্য সাধুবাদ জানান মধুপুরের সর্বস্তরের জনসাধারণ।
মধুপুর উপজেলাবাসী সহ ভুক্তভোগীদের দাবি, যেসকল লোকজন নামমাত্র মুল্যে চুরিকৃত ব্যাটারী ক্রয় করেন তাদেরকে খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ জানান। তারা বলছেন, এসব ব্যাটারী ক্রয় না করলে অনেকাংশেই চুরি ছিনতাই কমে যাবে বলে তাদের বিশ্বাস।
-খবর প্রতিদিন/ সি.ব