Logo
আজঃ শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩
শিরোনাম

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | ১২৭জন দেখেছেন

Image

বাসস: আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তদানীন্তন রেসকোর্স ময়দান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক এই ভাষণ পরবর্তীতে স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজমন্ত্রে রূপ নেয়।

এ দিন লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে এই মহান নেতা বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। এছাড়াও এ ভাষণটি পৃথিবীর অনেক ভাষায় অনুদিত হয়েছে।

একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর এই উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিক-নির্দেশনা। এরপরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। ১৯৪৭ সালে ধর্মীয় চিন্তা, সাম্প্রদায়িকতার মানসিকতা ও দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে গঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিসত্ত্বা, জাতীয়তাবোধ ও জাতিরাষ্ট্র গঠনের যে ভিত রচিত হয়। তারই চূড়ান্ত পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর ছাত্র-কৃষক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনে বাঙালি জাতি। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

মাত্র ১৮ মিনিটের ভাষণ। এই স্বল্প সময়ে তিনি ইতিহাসের পুরো ক্যানভাসই তুলে ধরেন। তিনি তাঁর ভাষণে সামরিক আইন প্রত্যাহার, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, গোলাগুলি ও হত্যা বন্ধ করে সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া এবং বিভিন্ন স্থানে হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানান।

বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘ভাইয়েরা আমার, আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, মানুষের অধিকার চাই। প্রধানমন্ত্রীত্বের লোভ দেখিয়ে আমাকে নিতে পারেনি। ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দিতে পারেনি। আপনারা রক্ত দিয়ে আমাকে ষড়যন্ত্র-মামলা থেকে মুক্ত করে এনেছিলেন। সেদিন এই রেসকোর্সে আমি বলেছিলাম, রক্তের ঋণ আমি রক্ত দিয়ে শোধ করবো। আজও আমি রক্ত দিয়েই রক্তের ঋণ শোধ করতে প্রস্তুত। আমি বলে দিতে চাই- আজ থেকে কোর্ট-কাচারি, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সব অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। কোন কর্মচারী অফিসে যাবেন না। এ আমার নির্দেশ।’

বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সর্বশেষ দুটি বাক্য, যা পরবর্তীতে বাঙালির স্বাধীনতার চূড়ান্ত লড়াইয়ের দিক-নির্দেশনা ও প্রেরণার হাতিয়ারে পরিণত হয়। বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এবং সেদিনের সেই সভায় উপস্থিত তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তাঁর চশমাটা সেদিন ডায়াসের উপর রেখে ১৮ মিনিটের যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তার পুরোটাই অলিখিত। একদিকে তিনি পাকিস্তানিদের প্রতি চার দফা শর্ত আরোপ করলেন, অন্যদিকে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে বললেন। ভাতে মারার কথা বললেন, পানিতে মারার কথা বলেন।

তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, ‘সাতই মার্চের আগে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি গিয়েছিলাম। একজন তাঁকে বললেন, জনগণ কিন্তু সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ঘোষণা ছাড়া মানবে না। বঙ্গবন্ধু তাঁকে বললেন, তুমি তোমার কাজ কর। আমি তাঁদের নেতা, আমি তাঁদের পরিচালিত করবো, তাঁরা আমাকে নয়।’

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের শ্রেষ্ঠত্বের কথা তুলে ধরে ইতিহাসের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের পর গোটা বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের পরিবর্তে বাঙালিদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। অনেকে বিভিন্ন জায়গায় পূর্ব পাকিস্তান শব্দ মুছে বাংলাদেশ লেখে। এ ভাষণের পর গোটা দেশ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় চলতে থাকে। এ ভাষণ গুটি কয়েক রাজাকার ছাড়া গোটা বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুধু বাঙালি জাতিকে মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান নয়; এটি ছিল জাতির মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার দিক-নির্দেশনা।


আরও খবর



গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ১০০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।

সব কটি কেন্দ্রেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএমে) মাধ্যমে ভোট নেওয়া হচ্ছে। ভোট সুষ্ঠু করতে সব কটি কেন্দ্রেই স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা। ৪৮০টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হচ্ছে।


আরও খবর



ফেডারেশন কাপ

আবাহনীকে হারিয়ে ১৪ বছর পর চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক:চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী লিমিটেডকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে ১৪ বছর পর ফেডারেশন কাপের শিরোপা জিতল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। মোহামেডানের পাঁচ শটের মধ্যে একটি মিস হয় আর আবাহনীর প্রথম চারটির মধ্যে দুটি মিস করে৷ মোহামেডানের বদলি গোলরক্ষক বিপু দুটি সেভ করেন৷

মূল ম্যাচে ৩-৩ গোলে সমতা থাকার পর খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়। সেখানে দুদল আরও একটি করে গোল করলে ৪-৪ ব্যবধানের সমতার পর ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ায়।

সবশেষ ২০০৯ সালে এই আবাহনীকেই টাইব্রেকারে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মোহামেডান। যেখানে আসরটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১বার ট্রফির স্বাদ পেল সাদা-কালোর দল। ১২বার জিতে শীর্ষে আবাহনী।

আজ মঙ্গলবার কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দুদল। যেখানে ম্যাচের প্রথমার্ধে আবাহনী ২-০ গোলে এগিয়ে যায়৷ খেলার ১৫তম মিনিটে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের গোলে আবাহনী লিড নেয়। এরপর ৪৩তম মিনিটে কোস্টারিকার দানিয়েল কলিন্দ্রেসের গোলে আবাহনী ২ গোলে এগিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতি গেছে তারা।

দুই গোলে পিছিয়ে থাকা মোহামেডান দ্বিতীয়ার্ধের ১৪ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল শোধ দেয়। দলের মালির অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতের প্লেসিং শটে আবাহনীর গোলরক্ষককে পরাজিত করেন৷ মিনিট চারেক পর আরেকটি দুর্দান্ত গোল করে স্টেডিয়াম জাগিয়ে তুলেন সুলেমান।

তবে মোহামেডান সমতা আনার মিনিট পাঁচেক পর আবাহনী আবার এগিয়ে যায়৷ ৬৫ মিনিটে নাইজেরিয়ান এমেকার গোলে আবাহনী ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়৷ কিন্তু ৮৩তম মিনিটে মোহামেডান আবার সমতায় ফেরে ৷ এবার সুলেমান দিয়াবাত হ্যাটট্রিক পূরণ করেন। বা প্রান্ত থেকে কর্ণারে দিয়াবাতে হেডে গোল করেন।

নির্ধারিত সময়ে ৩-৩ গোলে সমতা থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে লিড নেয় মোহামেডান। গোলদাতা সেই সুলেমান দিয়াবাতে। বক্সের মধ্যে আবাহনীর ডিফেন্ডার তাকে ফাউল করলে রেফারি আলমগীর সরকার পেনাল্টির বাঁশি বাজান। পেনাল্টি থেকে গোল করেন দিয়াবাতে। ম্যাচে প্রথমবারের মতো মোহামেডান এগিয়ে যায়। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে আবাহনী রহমতের গোলে সমতা আনে। বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত শটে গোল করেন রহমত। ম্যাচ ৪-৪ গোলের সমতায় টাইব্রেকারে গড়ায়।


আরও খবর



বিপাকে পরিক্ষার্থীরা থানা মোড় পার হতেই নাকাল

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:চলছে এসএসসি পরিক্ষা, তানোর পৌর সদর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র। পরিক্ষায় প্রবেশের সময় ও বের হওয়ার সময় পড়তে হচ্ছে মানুষ ও ছোট বড় যানজটের কবলে। সামান্য কয়েক গজ রাস্তা পার হতেই নাকাল হয়ে পড়ছে পরিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে ছুটির সময় দুপুর একটার দিকে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে পার হতে হচ্ছে। ফলে পরিক্ষা চলা অবস্থায় শুরু ও শেষের সময় ট্রাফিক ব্যবস্থার দাবি উঠেছে জোরালো ভাবে।

সরেজমিনে দেখা যায়,, রবিবার দুপুর একটার দিকে পরিক্ষা শেষ হওয়ার পর অভিভাবকরা স্কুলের মুল গেটে ভিড় করে আছেন। ঠ্যালাঠেলি করে পার হচ্ছে। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার কোন উপায় নেই। দিনভর প্রচুর ভ্যাপসা গরম ছিল। পরিক্ষার্থীরা রাস্তার পশ্চিমে সরু সাইড দিয়ে মুক্তার, মিঠুন ও মাওলানা জয়নালের দোকান ঘেষে যাচ্ছেন। রাস্তার দু পাশে রাখা আছে অটোরিক্সা। একদিক থেকে বাস কিংবা ট্রাক আসলে পারাপারের কোন উপায় নেই। পরিক্ষা শেষের সময় মুন্ডমালা থেকে ট্রাক এসে তিন মাথায় আটকে যায়, উপজেলার দিক থেকে ভটভটি ও গোল্লাপাড়ার দিক থেকে বাস এসে তিন মাথায় আটকা পড়ে। বাইসাইকেল কিংবা বাইক নিয়ে যাওয়ার মত অবস্থা নেই। দীর্ঘ সময় দাড়িয়ে থাকতে হচ্ছে পরিক্ষার্থীদের।

প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, তানোরের প্রান কেন্দ্র থানা মোড়। প্রতি সময় মানুষের যেমন জট, তেমনি ভাবে যানবাহনের জট থাকে। পরিক্ষার সময় ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকলে এত সমস্যাদি হত না। আবার সরু রাস্তা দুপাশে ঘন্টার পর ঘন্টা অটো রাখছে। যার কারনে পরিক্ষার্থীরা নানা ভাবে ইভটিজিং ও যৌন হয়রানির শিকার হন প্রতি নিয়তই। পরিক্ষা শুরুর পর, ছুটির সময়  অনেকে মোড়ে জটের কারনে গরমে পড়ে যাচ্ছেন। সহপাঠী রা মাথায় পানি দেওয়ার পর স্বাভাবিক হলে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রান কেন্দ্রের যদি এঅবস্থা হয় তাহলে কি বলার আছে। থানা মোড়ে গোল চত্বর ও ট্রাফিক ব্যবস্থা সময়ের দাবি হয়ে পড়েছে।

মেয়র ইমরুল হক জানান, থানা মোড়ে গোল চত্বর করার পরিকল্পন আছে, অনেকের সাথে কথা হয়েছে। আবার অনেকেই জায়গা ছাড়তে রাজি না। তবে যতই বাধা আসুক গোলচত্বর করা হবে।
ওসি কামরুজ্জামান মিয়া জানান, পরিক্ষা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুলিশ মোতায়েন থাকে। প্রয়োজনে আরো পুলিশ মোতায়েন করে যাতে পরিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারে সে দিকে বেশি করে নজরদারি করা হবে।


আরও খবর



রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে তৃতীয় দিনের অভিযানে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ১২৭জন দেখেছেন

Image

আবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি:নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে বিআইডব্লিউটিএ এর তৃতীয় দিনের অভিযানে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে । গতকাল ৭ জুন বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার কাঞ্চন বাজার এলাকায়  বিআইডব্লিউটিএয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন ।

অভিযানে পাকা স্থাপনা, টিনসেট আধাপাকা বিল্ডিং, বাঁশের জেটি, টিনশেট ঘর, আধাপাকা ঘর,পাকা সীমানা প্রাচীর, বিল্ডিংসহ  শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রায় ৩ একর জমি উদ্ধার করা হয়। এসময় বিআইডব্লিউটিএ উপ-পরিচালক এহতেশামুল পারভেজ, সহকারী সমন্বয় কর্মকর্তা গাজী মোহাম্মদ আবদুল মোতালিব, উপ-সহকারী প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিআইডব্লিউটিএয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ  বলেন, শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে  অবৈধভাবে স্থাপনা করে নদী দখলে  নিয়েছেন স্থানীয়রা। শীতলক্ষ্যা নদী রক্ষার্থে আমরা ৬ দিন অভিযান পরিচালনা করব।  আজকে তৃতীয় দিনে রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন বাজার এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে শতাধিক অবৈধস্থাপনা উচ্ছেদ করে তিন একর জমি উদ্ধার করতে সক্ষম হই। এ অভিযান আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। 

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য ডিসির আদেশে তানোরে ফসলী জমিতে পুকুর খনন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৬৪জন দেখেছেন

Image
তানোর প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে জেলা প্রশাসক ডিসির আদেশে রাজশাহীর তানোরে কৃষি ফসলী জমিতে পুকুর খনন শুরু হয়েছে। সম্প্রতি বোরো ধান কাটা হয়েছে জমিগুলো থেকে। জমিতেই বাঁশের খুটি পুতে সাটানো হয়েছে সাইনবোর্ড। লিখা আছে রাজশাহী স্বপ্নচাষ সমন্বিত কৃষি সমবায় সমিতি,  নিবন্ধন নম্বর ১৬০৭, পক্ষে জেলা প্রশাসক। এমন সাইনবোর্ড লিখে কৃষি ফসলী জমিতে পুকুর খননের খবর ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, রক্ষক কেন নির্দেশ দাতা, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা কি ভাবে আদেশ দিলেন, কিসের বিনিময়ে জেলা জুড়ে এমন ঘটনার জন্ম দিয়ে কেনই তিনি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়লেন। কি এমন ক্ষমতার বলে সরকার প্রধানের নির্দেশ অমান্য করে  চান্দুড়িয়া ইউনিয়ন( ইউপির) ব্রীজ ঘাটের উত্তরে বন্যা নিয়ন্ত্রিত বাঁধের পূর্বদিকে বিস্তৃর্ণ ফসলী জমিতে পুকুর খনন শুরু করেছেন রাজশাহী স্বপ্নচাষ সমন্বিত কৃষি সমবায় সমিতির সাইনবোর্ডে । সমিতির নিবন্ধন নং ১৬০৭, পক্ষে জেলা প্রশাসক। এতে করে ডিসির এমন কর্মকান্ডে চরম বিব্রত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। ফলে দ্রুত বন্ধ করে কৃষি জমি রক্ষার দাবি উঠেছে জোরালো ভাবে।

তবে জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামিম আহম্মেদের সাথে মোবাইলে বৃহস্পতিবার দুপুরের আগে কথা বলা হলে তিনি বলেন, স্বপ্নচাষ সমন্বিত কৃষি সমবায় সমিতি টি হচ্ছে জেলার বাগমারা উপজেলার চরম পন্থিদের।  সরকারের কাছে আত্ম সমর্পন করেছিল তারা। সরকার তাদের পুনর্বাসনের জন্য সমিতি করে দেয়। আর আমি সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে সমিতি দেখভাল করি। কিন্তু কৃষি ফসলী জমিতে পুকুর খননের কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি। পুকুর খননের জায়গাতে বা কৃষি জমিতে সমিতি যে সাইনবোর্ড মেরেছে সেখানে পক্ষে জেলা প্রশাসক লিখা আছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আপনি কি সাইনবোর্ডের কাছে আছেন, না,  গত মঙ্গলবারে ছবি তুলে নিয়ে এসেছি। ঠিক আছে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, চান্দুড়িয়া ইউপিতে প্রায় জমিতে পুকুর খনন হয়ে গেছে। কৃষি শ্রমিকরা কোন কাজ পাচ্ছে না। বিশেষ করে হাড়দহ বিল হলেও তিনটি করে ফসল হত এবং আশপাশের গ্রামের মানুষ প্রচুর গরু, ছাগল ও ভেড়া লালন পালন করে জীবন পরিচালনা করত। বর্তমানে ৪০-৪৫ বিঘা জমি ফাঁকা ছিল। এবার সেখানে শুরু হয়েছে পুকুর খনন। পুকুর হলে ইউপিতে তেমন ভাবে কৃষি জমি থাকবে না। আবার বর্ষা বন্যা মৌসুমে হড়দহ গ্রামের অনেক মৎস্যা জীবিরা মাছ মেরে জীবিকা নির্বাহ করত। সেটা বন্ধ হয়ে গেছে। যেখানে পুরাতন পুকুর সংস্কার করতে হলে অনুমতি নিতে হয়। আর কৃষি ফসলী জমিতে চারটির মত ভেকু মেশিন দিয়ে দাপটের সাথে পুকুর খনন করা হচ্ছে। অথচ প্রশাসন রহস্য জনক কারনে নিরব।  কারন একটাই সাইন বোর্ডে পক্ষে জেলা প্রশাসক। মুলত এজন্য উপজেলা পর্যায়ের প্রশাসনরা কিছুই করতে পারছেন না।
সুত্রে জানা যায়, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা ও ব্যাপক খাদ্য ঘাটতি চলছে। কিন্তু বাংলার পা ফাঁটা কৃষকদের জন্য দেশে কোন খাদ্য ঘাটতি নেই।

এছাড়াও এউপজেলাকে কৃষি ভান্ডার হিসেবে ধরা হয়। প্রধান চাষ ধান তারপর আলু এরপরেই রয়েছে মাছ উৎপাদন। কিন্তু বিগত ১৪-১৫ বছরে  মধ্যে ব্যাপকহারে কৃষি জমিতে পুকুর হয়েছে। কমেছে প্রচুর কৃষি জমি। এভাবে পুকুর হতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে খাদ্য ঘাটতির আশংকা করছেন কৃষি বিভাগ।সম্প্রতি বোরো ধান কাটা শেষের দিকে, বাম্পার ফলন হয়েছে এবার। যা চাহিদার তুলনায় কয়েকগুন বেশি ধান উৎপাদন হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কৃষি দপ্তর।এবিষয়ে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার রাজস্ব যুগ্ন সচিব ইমতিয়াজ হোসেনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জায়গার লোকেসন নেন এবং সাইনবোর্ড ও কৃষি জমির ছবি হটসআপে চান।  ছবি লোকেসান দেওয়ার পর তিনি বলেন বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।

আরও খবর