Logo
আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

নৌকার প্রার্থীর জনসভায় জনস্রোত

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৬৮৫জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুর-১ আসনে ভোট প্রার্থনা করে মানুষের ধারে ধারে ঘুরছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীরা। এর ধারাবাহিকতায় সোমবার দুপুরে নির্বাচনী জনসভার আয়োজন করে উপজেলার আটাবহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ।

নৌকার প্রার্থী ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আলহাজ¦ এড. আ. ক. ম মোজাম্মেল হকের আগমন ঘিরে জনসভা যেন জনস্রোতে রূপান্তর হয়। এসময় দলীয় নেতাকর্মীসহ সমর্থকদের মানুষের ঘরে ঘরে প্রধানমন্ত্রীর সালাম পৌঁছানোর অনুরোধ জানান এই মন্ত্রী।

এর আগে দুপুরে উপজেলার গোসাত্রা এলাকায় গোসাত্রা ডাঃ জলিলুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শিশু-কিশোর, নারীসহ বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষ। আটাবহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কেএম ইব্রাহিম খালিদের সঞ্চালনায় জনসভায় সভাপতিত্ব করেন ওই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এমএ আলীম। জনসভায় আরো বক্তব্য রাখেন- কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুরাদ কবীর, গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সিকদার মোশারফ হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তুষার, আটাবহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন শাকিল মোল্লা, উপজেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক বাপ্পী সাহা, আটাবহ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক রানা খাঁনসহ আরো অনেকে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুর জেলা অটোটেম্পু মালিক সমিতির বাড়ইপাড়া শাখার সভাপতি বেনজির আহমেদ সিকদার, সাধারন সম্পাদক মহিদুর রহমান মজনু, গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের বাড়ইপাড়া শাখার সভাপতি শফিউদ্দিন মৃধাসহ স্থানীয় ইউপি সদস্য, আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, তাঁতীলীগ, মহিলা আওয়ামীলীগসহ অংগসংগঠনের নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন এলাকার সাধারণ ভোটার।

নৌকার প্রার্থী আরো বলেন, এই সভাবেশ জনগণের স্বতঃস্পূর্তভাবে অংশগ্রহণে প্রমাণ করে জয়ের ব্যাপারে ইনশায়াল্লাহ আমরা শতভাগ আশাবাদী এবং নিশ্চিত। এটা জনগণই ভাল জানেন, কেন তারা আমাকে ভোট দিবেন? আমি ১৫ বছর অত্যান্ত ন্যায়ভাবে, সততা ও নিষ্ঠার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করেছি। ব্যাপক যে উন্নয়ন করেছি, সব আপনারা দেখেছেন। যেগুলো হয়নি, সেগুলো প্রক্রিয়াধীন আছে। সব সময় সুখে-দুঃখে তাদের পাশে ছিলাম, আছি। এটা জনগণও বিশ্বাস কওে ভবিষতের তাদের পাশে থাকবো। সেই জন্যই তাদেও এতো ব্যাপক জনসমর্থন। মন্ত্রী বলেন, যারা ঝগড়া বা গালিগালাজ, অপ্রপচার, মিথ্যাচার করে করুক। কিন্তু আমরা এখন কোনো জবাব দিবো না।

আপনারা ব্যালটের মাধ্যমে সেসব অপপ্রচার, মিথ্যাচারীদের জবার দিবেন। আর আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয়ী আমাকে করলে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবো।


আরও খবর



ছাতকে সড়ক দুর্ঘটনায় জনপ্রিয় শিল্পী পাগল হাসান সহ ২ জন নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

র‌নি ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতি‌নি‌ধি:ছাতকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী মতিউর রহমান হাসান (পাগল হাসান)। তিনি কালারুকা ইউনিয়নের শিমুলতলা- মুক্তিরগাঁও গ্রামের মৃত দিলশাদ মিয়ার পুত্র। তার সাথে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় থাকা অন্য যাত্রী আব্দুস সাত্তার ও  দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। তিনি শিমুলতলা- মুক্তিরগাঁও গ্রামের আহাদ আলীর পুত্র।

সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত একই গ্রামের লায়েছ মিয়া,রুপন মিয়া ও জাহাঙ্গীর আলমকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে  নিয়ে ভর্তি করা করে। আহতদের মধ্যে দু'জনের অবস্থা আশংকা জনক বলে জানাগেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে ছাতক-দোয়ারাবাজার সড়কের সুরমা ব্রিজ সংলগ্ন  টোল প্লাজা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, দোয়ারাবাজারের  একটি এলাকায় গানের অনুষ্ঠান করে সকালে বাড়ি ফেরার পথে ছাতক গোল চত্ত্বর এলাকায় চা নাস্তা করে আবারো সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে অন্য গাড়িতে ক'জন আত্মীয়দের আগাইয়া দিতে দোয়ারাবাজারের দিকে যাচ্ছিলেন তারা।

এ সময় বিপরীতগামী একটি বাসের (নং মৌলভীবাজার জ- ১১- ০০৪০) সাথে সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুর্ঘটনা ঘটে।
এ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন  মতিউর রহমান হাসান (পাগল হাসান) ও আব্দুস সাত্তার।

ছাতক ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে  নিহত ২ জনের লা*শ উদ্ধার করেছে। পরে লাশ থানায় নেয়া হয়। পুলিশ দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।

ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহ আলম সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। কন্ঠ শিল্পী মোঃ মতিউর রহমান হাসান (পাগল হাসান) "জীবন খাতা" আসমানে যাইয়ো না রে বন্ধু," আমি এক পাপিষ্ঠ বান্দা" রেলগাড়ীর ইঞ্জিন"সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের রচয়িতা ও সুরকার । তার অকাল মৃত‌্যু‌তে শো‌কের ছায়া নে‌মে আসছে। তার মৃত‌্যু‌তে শোক প্রকাশ ক‌রেন ছাতক প্রেসক্লা‌বের সভাপ‌তি গিয়াস উদ্দিন তালুকদার ও সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হো‌সেন র‌নি,সাংগঠ‌নিক সম্পাদক কাজী রেজাউল ক‌রিম রেজাসহ নেতৃবন্দরা।


আরও খবর



তানোরে তামান্না হিমাগারে রাখা আলুতে গাছ মজুদ ভারতীয় আলু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৩৭জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার কালিগঞ্জ বাজারে অবস্থিত তামান্না হিমাগারে রাখা কৃষকের আলুতে গাছ গজিয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সেই সাথে ভারত থেকে আমদানি করা আলু সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মজুদ করে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে হিমাগার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। আমদানি করা আলু রাতের আধারে ঢুকানো ও বাহির করার কারনে গ্যাস সংকট। মুলত একারনেই আলুতে গাছ বের হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন কৃষকরা । এতে করে অধিক টাকা খরচে কৃষকের রক্ত ঘামের আলু নষ্ট হওয়ায় মাথায় পড়েছে হাত। ফলে হিমাগার কর্তৃপক্ষের এমন কর্মকান্ডের কারনে ক্ষতিগ্রস্থ শতশত কৃষকরা। যার কারনে কৃষি বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তুলেছেন কৃষকরা।

কৃষকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার দুপুরের পরে সরেজমিনে হিমাগারে গিয়ে দেখা যায়, আলু রাখা সেটে বাছাই প্রক্রিয়া চলছে। সেখানে আলু রাখা একাধিক ব্যক্তিরা বলেন, আলুতে ট্যাক বা গাছ গজানো দেখতে হলে সকালের দিকে আসতে হত। আলু সেটে ঢালার পর প্রায় আলুতেই এক ইঞ্চি থেকে দেড় ইঞ্চি করে গাছ গজিয়েছে। প্রায় আলুর গাছ পরিস্কার করা হয়েছে। এজন্য এখন কম দেখা যাচ্ছে। গাছ গজানো আলু বিক্রি করা কষ্টকর এবং বাজার দামও কম হবে। কি কারনে গাজ গজিয়েছে জানতে চাইলে তারা জানান ভারত থেকে আমদানি করা আলু হিমাগারে রাখছে আবার সেই আলু বাহির করছে। যার কারনে ঠিকমত গ্যাস দিতে পারেনি। মুলত একারনেই আলুতে গাছ গজিয়েছে। এটার জন্য দায় হিমাগার কর্তৃপক্ষ।  তারা আমদানি করা আলুতে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে  অধিক লাভের কারনে সাধারণ কৃষকের আলুর এই অবস্থার সৃষ্টি করেছেন । তালন্দ ইউনিয়ন ইউপির আলু রাখা এক কৃষক সেখানেই ছিলেন, তিনি বলেন হিমাগার কর্তৃপক্ষই আলু নিয়ে মহা সিন্ডিকেট করে থাকেন প্রতিনিয়তই। আলু বিক্রি করার জন্য সকালের দিকে  সেটে ফেলার পর প্রতিটি আলুতে গাছ গজিয়ে পড়েছে। দেখে চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে পড়েছে। আলু ভালো থাকার জন্য হিমাগারে রাখা হয় অথচ ভালো থাকার পরিবর্তে গাছ গজাচ্ছে। ঈদুল ফিতরের পর ও গত সপ্তাহের দিকে ভারত থেকে আমদানি করা আলু হিমাগারে রাখার কারনে গ্যাস সংকট, সে কারনেই আলুতে গাছ গজিয়েছে। তিনি আরো জানান, তামান্নাতে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বস্তা ভারতীয় আলু রাখা আছে এবং বায়ার হিমালয় ও রাজেও রাখা আছে ভারতীয় আলু। 
আলু রাখা সেট থেকে যাওয়া হয় ম্যানেজারের চেম্বারে। সেখানে ম্যানেজার আব্দুল মান্নান ও  তার পাশে আরেকজন বসে ছিলেন। ম্যানেজার আব্দুল মান্নানের কাছে হিমাগারে রাখা আলুতে গাছ গজানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান এসব বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নাই।  ভারত থেকে আমদানি করা আলু আপনার হিমাগারে মজুদ আছে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। তার পাশে থাকা আরেক ব্যক্তি বলেন, হিমাগারের বিষয়ে কিছু জানতে হলে তামান্নার হেড অফিসে চলে যেতে হবে।

সেখান থেকে বের হয়ে সেটে আসলে কালিগঞ্জ এলাকার এক কৃষক জানান সকালের দিকে শুনতে পেয়েছি হিমাগারে রাখা আলুতে গাছ গজিয়েছে, আলু বিক্রি করব। কিন্তু গাছ গজালেতো দাম কম হবে। হিমাগার গুলো মহা সিন্ডিকেট শুরু করেছে। এহিমাগারে নাকি ভারত থেকে আমদানি করা আলু মজুদ আছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ট্রাকের ট্রাক ভারতীয় আলু মজুদ রাখা আছে। তিনি আরেক বেপারিকে ডেকে বলেন ভারতীয় আলু কত বস্তা হতে পারে তিনি জানান নিম্মে হলেও ১০ হাজার বস্তা ভারতীয় আলু রাখা আছে। স্থানীয় ওই কৃষক আরো জানান, আমাদের  গ্রামের শ্রমিকরাই ভারতীয় আলু বাছাই করেছে।

তানোর পৌর এলাকার এক কৃষক মোবাইলে জানান, আলু বিক্রি করার জন্য সকালের দিকে তামান্না হিমাগারে যায়। গিয়ে দেখি যে সব আলু বের করে সেটে ঢেলেছে প্রায় আলুতে গাছ গজিয়েছে। গাছ গজানো আলু বাজার দর থেকে কম।  আমি বীজের আলুও রেখেছি, সে সবেও গাছ গজিয়েছে।

বেশকিছু প্রান্তিক আলু চাষীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে সব আলু গাছ গজিয়েছে ওই সব আলু সেটে ঢালার পর বাছাই করে বিক্রি করতে হবে। এজন্য গুনতে হবে বাড়তি টাকা।  
হিমাগারে ভাড়া লুজ, প্রতি বস্তা ৩২৫ টাকা,  কন্ট্রাক বুকিং প্রতি বস্তা ২৫০-৬০ টাকা, পেট বুকিং ২৩০-৪০ টাকা, লেবার খরচ প্লাটল বাবদ প্রতি বস্তা ২৫ টাকা, সেট খরচ প্রতি বস্তায়  ৩০ টাকা, লোড প্রতি বস্তায়  ৬ টাকা, ওজন প্রতি বস্তায় ৫ টাকা,কৃষক কে ঋন দিলে হিমাগার ২৮% সুদ নেয়, বাজার দর থেকে বাকিতে কৃষকের কাছ বস্তা প্রতি ৩০ টাকা বাড়তি নেয়।

এছাড়াও যে সব কৃষকরা একজনের নামে বুকিং কেটে ১০ জন মিলে হিমাগারে ৫ হাজার বস্তা আলু রাখলে মজুদদার হিসেবে হিমাগার কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের কাছে তাদের তালিকা দিয়েছে । অথচ যারা ফড়িয়া ব্যবসায়ী হাজার হাজার বস্তা আলু মজুদ করে রেখেছে তাদের তালিকা দেয়নি হিমাগার কর্তৃপক্ষ। 

সুত্র জানায়, আলুর বাজার লাগামহীন হওয়ার কারনে এবং বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে ভারত থেকে আলু আমদানি করেছেন সরকার । কিন্তু তামান্না হিমাগারের ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্টরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার অস্থির করার কারনে ভারতীয় আলু মজুদ করেছে বলে মনে করছেন প্রান্তিক আলু চাষীরা। 

উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, আমরা তামান্না হিমাগার কে একাধিক বার সতর্ক করেছি। কিন্তু আমাদের তো অভিযান দেয়ার ক্ষমতা নেই। বিষয় টি নিয়ে নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে কৃষি বিভাগের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর



রাইডার পার্টনারদের জন্য ফুডপ্যান্ডার ইফতার আয়োজন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১০৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পারস্পরিক সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঢাকার সব জোনে কর্মরত রাইডার পার্টনারদের জন্য ইফতার কর্মসূচির আয়োজন করেছে ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশ। আজকের এই ইফতার আয়োজনে ৩০০ জনের বেশি রাইডার অংশ নিয়েছেন। ঢাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে ‘প্যান্ডা রাইডার গ্র্যান্ড ইফতার ২০২৪’ নামে রাইডার পার্টনারদের জন্য বড় পরিসরে এ আয়োজন করা হয়।

রমজান মাসে ইফতারের জন্য গ্রাহকের পছন্দের খাবার সময়মতো পৌঁছে দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন রাইডার পার্টনাররা। তাদের কাজের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিশেষ এ আয়োজন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। রাইডার পার্টনারদের মধ্যে সৌহার্দ্যবোধ তৈরি ও তাদের কাজের স্বীকৃতির জন্য বিভিন্ন সময় নানা ধরণের উদ্যোগও নেয় ফুডপ্যান্ডা।ইফতারের পর রাইডার পার্টনারদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন গেমসের আয়োজন করা হয় এবং বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারও তুলে দেওয়া হয়।

ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের অপারেশনস ডিরেক্টর আন্দালিব হাসান বলেন, আমাদের রাইডার পার্টনারদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও তাদের দায়িত্বশীলতার প্রতি আমরা গভীরভাবে সম্মান জানাই। বিশেষ করে রমজান মাসে রাইডাররা আরও কঠোর পরিশ্রম করেন। তাদের কাজের প্রতি স্বীকৃতি জানাতে ‘প্যান্ডা রাইডার গ্র্যান্ড ইফতার ২০২৪’ আয়োজন করেছে ফুডপ্যান্ডা। রাইডারদের একত্রিত করা ও তাদের আনন্দ উদযাপনের সুযোগ তৈরির জন্য আমরা আনন্দিত।

জীবিকা নির্বাহের সুযোগ তৈরির পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা, বিমা ও দক্ষতা উন্নয়নে অনলাইন শিক্ষার সুযোগ তৈরির মাধ্যমে রাইডারদের কল্যাণের জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করে আসছে ফুডপ্যান্ডা৷ এছাড়া সম্প্রতি রমজান মাসের প্রতি শুক্রবার রাইডারকে দেওয়া গ্রাহকের ‘টিপ’ এর সমপরিমাণ অর্থ যোগ করে দ্বিগুণ ‘টিপ’ রাইডারকে বুঝিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় অনলাইন ফুড ও গ্রোসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ফুডপ্যান্ডা।


আরও খবর



সরগরম তানোরের নির্বাচনী মাঠ, এগিয়ে ময়না

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৫৪জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:তীব্র তাপদহে প্রার্থীদের দিনরাত প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে রাজশাহীর তানোর উপজেলার নির্বাচনী মাঠ। আগামী ৮ মে বুধবার প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে তানোর উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ। তবে সকাল ১১ টা থেকে বিকেল তিন টা পর্যন্ত প্রচন্ড তাপদহের কারনে প্রার্থীরা প্রচারণা তেমন ভাবে করছেন না। কিন্তু শেষ বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিরামহীন প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে এলেও ভোটারদের মাঝে নির্বাচন নিয়ে তেমন একটা আগ্রহ নেই বললেই চলে। কারন ভোটে ক্ষমতা সীন দলের একাধিক  নেতারাই প্রার্থী হয়েছেন। বিএনপি ও জামায়াত ভোটে অংশগ্রহণ না করার কারনেই তেমন একটা আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। আবার তীব্র গরম ও বোরো ধান কাটা মাড়ায় চলছে ভরদমে।
জানা গেছে, গত নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট করে প্রথমবারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। তবে এবারের নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহন না করার কারনে ক্ষমতা সীন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক বাদ দিয়ে উন্মুক্ত করে দেন ভোটের মাঠ ।। এরই প্রেক্ষিতে এবারে দলীয় প্রতীক ছাড়াই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন।  আগামী ৮ মে বুধবার অনুষ্ঠিত হবে প্রথম ধাপে তানোর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ। চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মধ্যে বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি  লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। তিনি কাপ পিরিচ প্রতীকে নিয়ে ভোট করছেন। ময়না বিগত ২০১১ সালে উপজেলার কলমা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির)  চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে উপজেলা বাসীকে তাক লাগিয়ে দেন। তার সাংগঠনিক দক্ষতা ও জনগণের মাঝে নির্বিঘ্নে সেবা প্রদান করার কারনে ২০১৬ সালে পুনরায় কলমা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির) নৌকা প্রতীক নিয়ে দ্বিতীয় বারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তবে ২০১৯ সালে তার রাজনৈতিক ও সামাজিক দক্ষতার কারনে দলীয় প্রতীক নৌকা প্রতীক পেয়ে প্রথম বারের মত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। 

দলীয় নেতাকর্মী জানান, লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না আওয়ামী লীগের পরিক্ষিত সৈনিক। বিগত স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে কখনো নৌকার বিরুদ্ধে বা দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন নি। যার কারনে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ থেকে শুরু করে সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তার কাপ পিরিচ প্রতীকের পক্ষে ভোটের মাঠে গণজোয়ার সৃষ্টি করেছেন। 

বর্ষিয়ান আওয়ামী লীগ নেতা তালন্দ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, আমি তালন্দ ইউনিয়নের দায়িত্বে আছি। ইউপির প্রায় প্রতিটি পাড়া মহল্লায় গণসংযোগ করেছি। দলমত নির্বিশেষে সবাই কাপ পিরিচ প্রতীকে ভোট দিতে মরিয়া হয়ে আছেন। সবার মাঝে ময়নার আলাদা গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে। আসা করছি ময়নার কাপ পিরিচ প্রতীক বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করবে।
সিনিয়র একাধিক নেতারা জানান, তানোরে আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্বের মুলেই আব্দুল্লাহ আল মামুন। সে সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় বিগত ২০০৯ সালে প্রথম উপজেলা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দল থেকে ওই সময়ের উপজেলা সভাপতি গোলাম রাব্বানী কে চেয়ারম্যান পদে  মনোনায়ন দেয়া হয়। কিন্তু তাকে পরাজিত করতে আব্দুল্লাহ আল মামুন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে রাব্বানীর পরাজয় নিশ্চিত করেন। এভাবেই মামুন দলে ভাঙ্গন সৃষ্টি করেছেন। এখন পদ পদবি হারিয়ে এবার উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। অথচ মামুন কে তানোরের মাটিতে দেখায় যায় না। যারা গত জাতীয় নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতা করেছিলেন তারাও ভুল বুঝতে পেরে ময়নার কাপ পিরিচ কে সমর্থন জানিয়ে ভোটের মাঠে গণজোয়ার সৃষ্টি করেছেন। তাহলে বুঝতে হবে মামুনের গ্রহণ যোগ্য তা কতটুকু। 

কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন, আমি বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। কারন আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আমার পক্ষে ভোটের মাঠে জোরালো ভূমিকা পালন করছেন। মুলত একারনেই আশা করা যায় বিজয়ের ব্যাপারে। তবে কাউকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে উপজেলার আপামর জনতা কাপ পিরিচ প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে বিজয় করবেন।আব্দুল্লাহ আল মামুন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তিনিও বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। 

এছাড়াও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তার মধ্যে একজন সোহেল রানা। তার বাড়ি তানোর পৌরসভার হরিদেবপুর গ্রামে। সে পৌর মেয়র ইমরুল হকের ছোট ভাই। রানা বিগত ২০১৯ সালে চশমা প্রতীক নিয়ে ভোট করে পরাজিত হয়েছিলেন। তিনি এবারের নির্বাচনে তালা প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কলমা ইউপির সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তানভীর রেজা। তার বাড়ি কলমা ইউপির আজিজপুর গ্রামে। তিনি প্রথম বারের মত চমশা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। 

এদিকে মহিলা  ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তাদের মধ্যে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি সোনিয়া সরদার। সে গত ২০১৯ সালে কলস প্রতীক নিয়ে প্রথমবারের মত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এবারো তিনি কলস প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী যুব মহিলা লীগ সভাপতি সাগরী ভৌমিক। তিনি ফ্যান প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। নাসিমা নামের আরেক জন সেলাই মেশিন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। 

আরও খবর



প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেলেন ঢাকার বাইরের দুই মেয়র

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১৩৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা পেলেন ।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেন।

এতে বলা হয়েছে, সরকার এ মর্মে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, স্ব স্ব পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান (লিটন) প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা প্রাপ্য হবেন।

তাদের সম্মানিভাতা ও অন্য সুবিধা স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ অনুযায়ী নির্ধারিত হবে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।


আরও খবর