Logo
আজঃ মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
মলি আক্তার রিতার উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ রাশিদা আক্তার শান্তার উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা যশোরে সর্বোচ্চ ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হিলি সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত জয়পুরহাটে আব্দুর রহমান হত্যা মামলায় ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড তাহিরপুরে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কোটি টাকার মালামাল পাচাঁরের অভিযোগ ডোমার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৮জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর দৌড়ঝাঁপ টিপু-প্রীতি হত্যা: ৩৩ জনের বিচার শুরু থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী

নিটারিয়ানদের কেমন কেটেছে পহেলা বৈশাখ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫৬জন দেখেছেন

Image

মিঠুন দাস মিঠু, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, নিটার:বৈশাখ আর বাঙালি মিলেমিশে একাকার। তাই-তো পহেলা বৈশাখ নিয়ে উচ্ছ্বাসের শেষ নেই আপামর বাঙালির। নতুন বর্ষকে বরণ করে নিতে ভোরের নতুন সূর্য ওঠার মধ্য দিয়ে ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম প্রভাতেই নানা এলাকায় নানান ধরনের আয়োজন হয়ে থাকে।

আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ,  ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন। এ দিনটির মধ্য দিয়েই বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন আরেকটি বছর। এ দিনটিকে জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (নিটার) এর শিক্ষার্থীরা কিভাবে দেখছেন, কিভাবে উপভোগ করেছেন বৈশাখি উৎসব তা তুলে ধরেছেন খবর প্রতিদিনের নিটার প্রতিনিধি- মিঠুন দাস মিঠু

                                                                             ‘‘পহেলা বৈশাখ: বাঙালির এক সার্বজনীন উৎসব”
বাঙালির আদি সাংস্কৃতিক পরিচয় বহনকারী অসাম্প্রদায়িক উৎসব পহেলা বৈশাখ, যা বাংলাদেশের জাতীয় উৎসব হিসেবেও পালন করা হয়ে থাকে। পহেলা বৈশাখ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য সর্বজনীন সাংস্কৃতিক আনন্দ-উৎসব। বাংলা নববর্ষের সঙ্গে ধর্মীয় কোনো অনুষঙ্গ নেই। সর্বজনীন লোকউৎসব হিসাবে পরিচিত পহেলা বৈশাখের এই দিনটি এই শোভাযাত্রা, মেলা, পান্তাভাত খাওয়া, হালখাতা খোলা, বর্ষবরণ করে পালন করা হয়। ষোড়শ শতাব্দীতে মুঘল যুগ থেকে শুরু হয় এই উৎসবের চল যখন সম্রাট আকবর ফসল কাটার মরশুমের উপর ভিত্তি করে ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করেন, যা ছিল ইসলামি ও হিন্দু ক্যালেন্ডারের সমন্বয়। বাংলা ক্যালেন্ডারের সঙ্গে আর্থিক বছর মিলিয়ে দেওয়ায় আকবরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এইদিন পরবর্তীকালে উৎসবে পরিণত হয়। বর্তমান পহেলা বৈশাখের এই দিনে আমাদের দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আয়োজিত ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রায়” গ্রামীণ জীবন এবং আবহমান বাংলাকে ফুটিয়ে তোলা হয়। জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনক্রমে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩০শে নভেম্বর বাংলাদেশের ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’’ কে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। এইদিনে বাঙালি ব্যবসায়ী, দোকানদার বছরের সমস্ত হিসাব-নিকাশ শেষ করে নতুন হিসাবের খাতা খোলেন। বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাদের মধ্যে ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিজু উৎসব এইদিন পালিত হয়। গ্রামগঞ্জে বৈশাখী মেলা বসে। কৃষিজ পণ্য, কুঠির শিল্প দ্রব্য, মৃৎ ও হস্তশিল্প দ্রব্য, আসবাবপত্র ইত্যাদি ক্রয়-বিক্রয়ের ধুম পড়ে সেসব মেলায়। যদিও তার প্রসার এখন কমে গিয়েছে। মেলার সময় নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা, কুস্তির আসর, এমনকি মেলায় ষাঁড়ের লড়াই, মোরগের লড়াই, বলী খেলা ইত্যাদি বিনোদন ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান বসতো। তবে করোনার পরবর্তী বছর গুলোতে আয়োজিত অনুষ্ঠান গুলোয় ভাটা পড়লেও বাঙালির আনন্দ থেমে থাকেনি। সর্বজনীন এই উৎসবের এই দিনটি উদযাপন করার মাধ্যমে পুরনো বছরের সমস্ত দুঃখ গাঁথা কষ্টকে বিদায় জানিয়ে নতুনত্ব কে সাদরে গ্রহণ করে পৃথিবীর সকল প্রান্তে থাকা সকল বাঙালি।
অপরাজিতা অর্পা, ডিপার্টমেন্ট ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                               ‘‘রঙ্গে ভরা বৈশাখ আবার আইলোরে”
ঋতুরাজ বসন্তের রঙের আভা যেতে না যেতেই গ্রীষ্মের শুরু। গ্রীষ্মের শুরু বলতেই মাথায় আসে পহেলা বৈশাখ। বছর ঘুরে নতুন সূর্যোদয়ে পুরোনো বছরের, পুরোনো দিনের সকল গ্লানি, সকল জড়া ধুয়ে মুছে নতুন্যত্বর বরণ। সম্রাট আকবরের সময়কাল থেকে ‘‘পহেলা বৈশাখ” উদযাপনের সূচনা। কালপরিক্রমায় যা একটি সামাজিক অনুষ্ঠানের রূপ নেয়। নববর্ষের অন্যতম প্রধান রীতি ‘‘হালখাতা”। প্রকৃতপক্ষে হালখাতা হল বাংলা সনের প্রথম দিনে দোকানপাটের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া। নতুন বছরের উৎসবের সঙ্গে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতির নিবিড় যোগাযোগ। গ্রামে মানুষ ভোরে ঘুম থেকে ওঠে, নতুন জামাকাপড় পরে এবং আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে বেড়াতে যায়। কয়েকটি গ্রামের মিলিত এলাকায়, কোন খোলা মাঠে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলার। মেলাতে থাকে নানা রকম কুটির শিল্পজাত সামগ্রীর বিপণন, থাকে নানারকম পিঠা পুলির আয়োজন। ইলিশ মাছ দিয়ে পান্তা ভাত খাওয়া ছাড়াও পুরনো একটি সংস্কৃতি হলো গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন। এর মধ্যে নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা কিংবা কুস্তি খেলা যার সবচেয়ে বড় আসরটি হয় চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে, যা ‘‘জব্বারের বলি খেলা” নামে পরিচিত। সোনারগাঁওয়ে ব্যতিক্রমী এক মেলা বসে যার নাম বউমেলা, এটি স্থানীয়ভাবে ‘‘বটতলার মেলা” নামেও পরিচিত।

রাজধানী ঢাকায় রমনা বটমূলে পহেলা বৈশাখে সূর্যোদয়ের পর পর এ অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের শিল্পীরা সম্মিলিত কণ্ঠে গান গেয়ে নতুন বছরের সূর্যকে আহ্বান জানান। স্থানটির পরিচিতি বটমূল হলেও প্রকৃতপক্ষে যে গাছের ছায়ায় মঞ্চ তৈরি হয় সেটি বট গাছ নয়, অশ্বত্থ গাছ। বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পহেলা বৈশাখের উৎসবের মূল কেন্দ্র ‘‘ডিসি হিল পার্ক”। নগরীর অন্যান্য নিয়মিত আয়োজন শিশু প্রতিষ্ঠান ফুলকি’র তিনদিন ব্যাপী ‘‘ছোটদের বৈশাখী উৎসব” যার প্রারম্ভ হয় পহেলা বৈশাখের দুদিন আগে এবং শেষ হয় বৈশাখের প্রথম দিন সন্ধ্যায়।
অংকিতা পোদ্দার তিথি, ডিপার্টমেন্ট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                            ‘‘পহেলা বৈশাখ আসে আমাদের বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্যকে নিয়ে”
সৌর পঞ্জি অনুসারে বাংলা মাস পালিত হতো অনেক প্রাচীনকাল থেকেই। সম্রাট আকবর বেশি আলোচিত হলেও, বাংলা পঞ্জির উদ্ভাবক ধরা হয় আসলে ৭ম শতকের রাজা শশাঙ্ককে।  প্রধানত কৃষকদের খাজনাপাতি দেয়ার সুবিধার্থে এই সনের প্রবর্তন করা হয়। এ কারণে এই সনের আরেক নাম ‘‘ফসলি সন”। প্রথমে আকবরের পঞ্জিকার নাম ছিল “তারিখ-এ-এলাহী”। ধারণা করা হয় যে, বাংলা বারো মাসের নামকরণ করা হয়েছে বিভিন্ন নক্ষত্র থেকে। যেমন: বিশাখা নক্ষত্র থেকে বৈশাখ, জায়ীস্থা থেকে জৈষ্ঠ্য, শার থেকে আষাঢ়, শ্রাবণী থেকে শ্রাবণ এমন করেই বাংলায় নক্ষত্রের নামে মাসের নামকরণ হয়। এইদিন আব্বু বাসায় অনেক বড় বড় মাছ আনে। আব্বুর মতে, বছরের শুরুটা ভালো খাবার দিয়ে শুরু করলে সারা বছর ভালো খাবার খাওয়া যায়। চারদিকে ‘এসো হে বৈশাখ’, ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’, ‘নোঙর ছাড়িয়া নায়ের দে রে মাঝি ভাই’ সহ বিভিন্ন গান শোনা যায়। নববর্ষের সময় মঙ্গল শোভাযাত্রা মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে নতুন বছরকে আমন্ত্রণ জানায়। আমি ও আমার আম্মু লাল পাড় এর সাদা সাড়ি এবং আব্বু ও আমার ছোট ভাই পাঞ্জাবি পরে। এইদিন আমরা সকালে পান্তা ভাত, ইলিশ মাছ ভাজা, হরেক রকম ভর্তা দিয়ে খাই। বাংলা নববর্ষের ঐতিহ্যবাহী শুভেচ্ছা বাক্য হল “শুভ নববর্ষ”। যেটা আমারা সবাই সবাইকে বলি। আগে নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা। এটি পুরোটাই অর্থনৈতিক এবং গ্রামে-গঞ্জে ব্যবসায়ীরা নতুন বছরের শুরুর দিনে তাদের পুরনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে হিসাবের নতুন খাতা খুলেন। এই উপলক্ষ্যে তারা তাদের নতুন-পুরনো খদ্দেরদেরকে আমন্ত্রণ জানান মিষ্টি মুখ করাতে। এই আমন্ত্রণ গ্রহন করতে এসে অনেক খদ্দের তাদের পুরনো দেনার পুরোটা বা কিছু অংশ শোধ করে নতুন খাতায় হিসাব হালনাগাদ করে। আমরা পুরো পরিবার বিকেলে মেলাতে যাই মেলাতে বিভিন্ন ধরনের দোকান বসে, তার মধ্যে হাতের নাকশা করার দোকান আমার সবচেয়ে প্রিয়। আমি সেখানে সবসময় হাতে নকশা করাই। তাছাড়াও সেখানে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঐতিহ্যবাহী খাবার পাওয়া যায় যেমন মুড়ি-মুরকি, খাজা-গজা, চিনির তৈরি হাতি, ঘোড়া, মাছ, পাখি আকৃতির নানা রকম মিষ্টি, হরেক রকমের পিঠা। মেলায় মুল আকর্ষন থাকে নাগরদোলা। যেটায় প্রতিবার আমি উঠি। মেলায় রং বেরঙের খেলনা পাওয়া যায়। খেলনা গুলো এতো সুন্দর যে যেটা দেখি সেটাই কিনতে ইচ্ছা করে। মেলায় আঞ্চলিক ও লোকগানের আসর, যাএাপাল, পুতুল নাচ। বাঁশিবিক্রেতা বাঁশি বাজিয়ে মুখর করে তোলে মেলা প্রাঙ্গণ। এছাড়াও গান, নাচ, আবৃত্তি, নাটক সহ সংস্কৃতিক আনুষ্ঠান হয়ে থাকে। বিকালে বিভিন্ন ধরনের খেলার ব্যবস্থা করা হয়। খেলা গুলোর মধ্যে নৌকাবাইচ, গরু-মোষের লড়াই, কাবাডি, মোরগ লড়াই থাকে। এভাবেই আমি পহেলা বৈশাখ উদযাপন করি। প্রায় সময় আমরা ভুলে যাই আমরা বাঙালি, আর আমাদের সংস্কৃতির কথা। তাই প্রতি বছর পহেলা বৈশাখ এসে আমাদের ঐতিহ্যকে মনে করিয়ে দেয় ।
আফরোজা আলম তানি, ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                                      ‘‘এসো হে বৈশাখ : ১৪৩১ বঙ্গাব্দ”
পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির সর্বজনীন একটি উৎসব। এই উৎসবে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালি অংশ নিয়ে থাকে। এই উৎসবের সময় দেশ নতুন করে সাজে, দোকানপাট থেকে শুরু করে বাসা বাড়ি রঙিন করে সাজানো হয় নতুন বছর বরণ করার জন্য। এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রা কে ইউনেস্কো ২০১৬ সালে ‘‘মানবতার অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য” হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। এছাড়াও, প্রতি বছর রমনা বটমূলে ঘটা করে মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে । সেখানে মাটির পুতুল, শাড়ি ও বিভিন্ন দেশীয় ঐতিহ্যবাহী খাবার বিক্রি করা হয়। সবার কামনা থাকে, নতুন বছরটি যেন সুখময় ও শান্তির হয়। পহেলা বৈশাখের আয়োজন গুলোর মধ্যে অন্যতম ‘‘হালখাতা”। এদিনে গ্রাহকেরা দোকানিদের বাকি টাকা মিটিয়ে থাকে। তবে বর্তমানে বাংলা নববর্ষের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকটি হল বৈশাখী মেলা। বিভিন্ন অঞ্চলে বৈশাখী মেলা আয়োজন করা হয়, গ্রামে গ্রামে আয়োজন করা হয় কবিগান, কীর্তন, গম্ভীরা গান, পুতুল-নাচের।
মো: লতিফুর রহমান লিহাদ, ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)


আরও খবর



জয়পুরহাটে জুয়ার টাকাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাত, থানায় মামলা, আটক -১

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

এম শফিকুল ইসলাম জয়পুরহাট প্রতিনিধি:জয়পুরহাটের ঐতিহ্যবাহী তেঘরবিশা মেলায় জুয়ার আসর কে কেন্দ্র করে দু-পক্ষের হামলায় ছুরিকাঘাতে যুবলীগের দুই কর্মী আহত হয়েছে। 

শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টায় উপজেলার মোহাম্মদাবাদ ইউনিয়নের আজাদ অটো রাইস মিলের সামনে এই ঘটনা ঘটে।   এ  ঘটনায় গত  ২০ এপ্রিল রাতে জয়পুরহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আহতরা হলেন- জেলা যুবলীগের কর্মী শহরের আদর্শপাড়া এলাকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে খোরশেদ আলম মন্ডল ও একই এলাকার কাজেম উদ্দিনের ছেলে ফারুক হোসেন।

মামলার আসামী হলেন- জয়পুরহাট কলেজ শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ও শহরের আদর্শপাড়া এলাকার বাবুর ছেলে পিয়াস আহমেদ পৃথিবী (২৮), একই এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে আল আমিন (২৫), ওসমান আলীর ছেলে রুহুল আমিন (২৪), হানিফের ছেলে হাসিব (২২), রফিকুল ইসলামের ছেলে রঞ্জু (২৮)। এই মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪ থেকে ৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।

স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, সনাতন ধর্মালম্বীদের শিবপূজা উপলক্ষে তেঘরবিশায় মেলা বসে। প্রতিবছর উপজেলা প্রশাসন দরপত্র আহবান করে মেলাটি ইজারা দেয়। এ বছরও দরপত্র আহবান করা হয়েছিল। তবে কেউ দরপত্রে অংশ নেয়নি। উপজেলা প্রশাসন মেলা থেকে খাস আদায় করে। মেলাটি গত ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়। মেলা শুরুর পর থেকেই স্থানীয় প্রভাবশালী আ.লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা অশ্লীল নৃত্য ও জুয়ার আসর চালু করে। দুদিন পর অশ্লীল নৃত্য বন্ধ হলেও চলতে থাকে জুয়া। মেলায় পুলিশের পাহারাও ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই জুয়া চালিয়ে গেছেন প্রভাবশালীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, মেলায় জুয়া চলার সময় গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ছাত্রদলের পিয়াস নামের এক নেতা তার কিছু ছেলেপেলে নিয়ে মেলায় জুয়া বোর্ড হইতে টাকা দাবি করে এবং ভিডিও ধারনের চেষ্টা করে। এসময় জুয়া বোর্ডের পাশে অবস্থিত দোকানদার তাকে বাধা দিলে পিয়াস দোকানদারকে চড় থাপ্পড় মারেন এবং ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে খোরশেদ তাদের ডেকে নিয়ে শাসিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করে মেলা থেকে বের করে দেন। এরপর রাতে বাড়ি ফেরার পথে খোরশেদ ও ফারুকের গতিরোধ করে ছুরিকাঘাত করার ঘটনার ঘটে।

মামলার বাদী মোসলেম উদ্দীন বলেন, আমার ছেলে খোরশেদ ও ভাতিজা ফারুককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে খোরশেদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বগুড়া মেডিকেলে রেফার্ড করেন। আর ফারুক হোসেন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরেন। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছি।

 জয়পুরহাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল জান্নাত শাহ্ বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলার পর রুহুল আমিন নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ভিজিএফ এর চাউল বিতরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পবিএ ঈদ- উল ফিতর উপলক্ষে খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদের ১হাজার ৮শ'৩৩জন  অসহায় দু:স্থ হতদরিদ্রদের মাঝে  প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ভিজিএফ এর চাউল বিতরণ করা হয়েছে। 

বুধবার (৩ এপ্রিল)  দুপুরের দিকে মাটিরাঙ্গা সদর ইউপি কার্যালয়ে সদর ইউনিয়নের নয়টি ওয়ার্ডে ১ হাজার ৮ শ' ৩৩টি  অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে পবিএ  ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ১০কেজি করে চাউল বিতরণ কার্যত্রুম উদ্বোধন করেন
মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেমেন্দ্র ত্রিপুরা।

এসময় তদারকি কর্মকর্তা উপজেনা প্রোগ্রামার রাজীব রায় চৌধুরী, মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো.রফিকুল ইসলাম, মাটিরাঙ্গা প্রেস-ক্লাবের সাধারন সম্পাদক মো.মুজিবুর রহমান সহ ইউপি সদস্য ও উপকার ভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



পৌর মেয়রের অপসারণ দাবীতে ১৪ কাউন্সিলর সহ হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ৫০জন দেখেছেন

Image
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:অনিয়ম, দূর্ণীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও অদক্ষতার অভিযোগ তুলে সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবীর  অপসারনের দাবীতে একাট্টা হয়েছেন প্যানেল মেয়র সহ পরিষদের ১৪ কাউন্সিলর। তারা গত ২৩ মার্চ স্হানীয় সরকার,  পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী বরাবরে লিখিত অভিযোগ করে, এরপর ৩১ মার্চ শহরের ওয়াবদা মোড়ে বেলা ১২ টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই দাবী তুলে ধরে পৌরবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন। 

এর আগে ২০ মার্চ  রংপুর বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক বরাবরেও একই আবেদন করেছেন কাউন্সিলররা। স্ব স্ব কার্যালয়ে গিয়ে এই অভিযোগ জমা দিয়েছেন তারা।দুর্নীতিগ্রস্ত মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবির বিরুদ্ধে বারবার বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কার্যকর ব্যবস্হা না নেয়ায় ২৮ এপ্রিল সকাল সারে ১১ টা থেকে বেলা সারে ১২ টা পর্যন্ত ১৪ কাউন্সিল সহ প্রায় ৮ শতাধিক নারী পুরুষদের নিয়ে শহর ব্যাপি বিশাল বিক্ষোভ করার পর স্হানীয় প্রেসক্লাব চত্বরে পথসভার আয়োজন করে। সেখানে মেয়রের সকল  দুর্নীতি কর্মকাণ্ড তুলে ধরে অপসারণ দাবী করেন। 

প্যানেল মেয়র শাহীন হোসেনের ওই বিক্ষোভ ও পথসভার আয়োজন করেন। এতে তিনি নিজে সভাপতিত্ব করে মেয়রের অপসারণ দাবীতে বক্তব্য রাখেন ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জোবায়দুর রহমান শাহীন, ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহীন আকতার, ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এরশাদ হোসেন পাপ্পু, ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল খালেক সাবু প্রমুখ। 
বক্তারা বলেন, মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবি,২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় পর থেকেই বেহায়াপনা চালচলন করতে থাকে।২০২৩ সালে তার আপত্তিকর ভিডিও যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর চলতি বছরেও একাধিক অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল হয় তার।
পৌরসভার উন্নয়নে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও শহর উন্নয়নে কোন কাজই করেন নাই তিনি। নামে বেনামে তিনি প্রতিমানে ১৫ জনের বেতন উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে চলেছেন।প্রতিমাসে যে ৬/৭ টাকা টোল উত্তোলন করা হয়, সে টাকাটাও আত্মসাত করে আসছেন ৩ বছর থেকে মেয়রের সকল অশ্লীল কর্মকান্ড, ভিডিও ও দুর্নীতির তদন্ত সাপেক্ষে স্হানীয় সরকার মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবী করেন তারা।  

অন্যান্য কাউন্সিলরদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্যানেল মেয়র-২ ও ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহানারা বেগম, ১৩, ১৪ ও ১৫ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর রুবিনা সাকিল, ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর ইয়াসমিন পারভীন, ১০, ১১ ও ১২ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর ইয়াসমিন সুলতানা, ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরহাদ হোসেন, ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মানিক, ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জোবায়দুল ইসলাম মিন্টু, ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মঞ্জুর আলম।

আরও খবর



মাগুরার মাগুরা সদর ও শ্রীপুর উপজেলায় ২৯ প্রার্থীর মনোনয়নপত্রই বৈধ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৬২জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের ১ম ধাপে মাগুরা সদর ও শ্রীপুর উপজেলায় ২৯ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। বুধবার ১৭  এপ্রিল মনেনয়নপত্র বাছাইয়ে সকল প্রার্থীর মনেনয়নপত্র বৈধ হিসেবে বিবেচিত হয়।মনেয়নপত্র বাছাই করেন সংশ্লিষ্ঠ রিটার্নিং অফিসার মাসুদুর রহমান।  জেলা নির্বাচন অফিসে এ মনেনয়নপত্র বাছাইকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কলিমুল্লাহসহ প্রার্থীদের অনেকে উপ।স্থিত ছিলেন। নির্ধারিত তারিখে জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে প্রার্থীরা শশরীরে ও অনলাইনে এ মনোনয়নপত্র দাখিল করেন । 

মাগুরা সদরে দাখিলকৃত মনোনয়ন ছিল মোট ১৫টি। তার মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৭জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৪জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৪জন। দাখিলকৃত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক এএইচএম জাহিদুর রেজা, সাংগঠনিক সম্পাদক রানা আমীর ওসমান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. নবীব আলী, আওয়ামী লীগ সমর্থিত মীর আব্দুল কুদ্দুস, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা উত্তম কুমার বিশ্বাস ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক মো. রেজাউল ইসলাম। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ নেতা বাহারুল ইসলাম, আওয়ামী সমর্থিত আপেল মাহমুদ, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-সম্পাদক সুমন কুমার ঘোষ ও জামায়াত সমর্থিত মো. ফারুক হোসেন। মহিলাসহ ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মোসা. সোনিয়া সুলতানা, রুখসানা ইয়াসমিন নাজু, মিনতী রানী দত্ত ও শারমিন আক্তার রোজী। 

অপরদিকে, শ্রীপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। জেলা নির্বাচন অফিসার মাসুদুর রহমান বলেন, গত সোমবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত মাগুরা সদর ও শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।  দাখিলকুত সকল মনোনয়নপত্র বৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ১৮-২০শে এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১শে এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২২শে এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ ২৩শে এপ্রিল ও ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৮ মে ২০২৪।

আরও খবর



যামিনীপাড়া ২৩ বিজিবি জোনের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৩জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:বর্ণিল আয়োজনের মধ্যে দিয়ে খাগড়াছড়ি,র মাটিরাঙ্গা উপজেলার ২৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন যামিনীপাড়া জোনের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী  উদযাপন করা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) ২৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন যামিনীপাড়া জোনের ৪৮তম  প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে  দুপুরে আমন্ত্রিত অতিথিরা একে একে উপস্থিত হয়ে যামিনীপাড়া জোনের জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো.আলমগীর কবির পিএসসির  হাতে ফুলের তোড়া ও উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

পরে আমন্ত্রিত অতিথিদের সাথে নিয়ে ২৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন যামিনীপাড়া জোনের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিন পূর্ব রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার অতিরিক্ত মহা-পরিচালক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজেদুর রহমান, বিজিবিএম, 

 এসময় গুইমারা ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড এর  রিজিয়ন কমান্ডার,ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম, এসপিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি,বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ,
গুইমারা সেক্টর কমান্ডার,কর্নেল এস এম আবুল এহসান, পিবিজিএম, পিএসসি, খাগড়াছড়ি ডিজিএফআই ডেট কমান্ডার,কর্নেল আব্দুল্লাহ মো. আরিফ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

অন্যান্যের মাঝে মাটিরাঙ্গা জোনের জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো.কামরুল হাসান পিএসসি, খেদাছড়া ব্যাটালিয়ন ৪০ বিজিবি পলাশপুর জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, পিএসসি, মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.রফিকুল ইসলাম, মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চত্রুবর্তী সহ বিভিন্ন সামরিক, বেসামরিক পদস্থ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, হেডম্যান, শিক্ষক, সাংবাদিকবৃন্দ  উপস্থিত ছিলেন।

সন্ধ্যায় ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে  মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রধান অতিথি,র বক্তব্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিন পূর্ব রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার অতিরিক্ত মহা-পরিচালক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজেদুর রহমান, বিজিবিএম
এসময় তিনি বলেন, বিজিবি সদস্যরা সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি দুর্গম পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারকে সহযোগিতা করছে। দেশকে এগিয়ে নিতে তাদের এ সহযোগিতা অব্যহত থাকবে।

আরও খবর