Logo
আজঃ বুধবার ১৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিরামপুর পৌরসভার পানি ছড়াচ্ছে শীতলতার পরশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ৮১জন দেখেছেন

Image

মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:দেশজুড়ে তীব্র দাবদাহ ও কাঠ ফাটা রোদে জনজীবন হাঁসফাঁস  এবং অনবৃষ্টিতে জনজীবন অতিষ্ঠ জীবজন্তুসহ কষ্ট পাচ্ছে সাধারণ মানুষ জন। বৈশাখের তৃতীয় সপ্তাহেও দেখা মিলেনি বৃষ্টির দিনাজপুর জেলার  বিরামপুর এলাকায়। এ অবস্থায় বিরামপুর পৌরসভার নিজস্ব উদ্যোগে শহরের রাস্তায় রাস্তায় সকাল-বিকাল ছিটানো হচ্ছে পানি। গরমে অতিষ্ট শহরবাসী এতে ধুলি-বালু ও রোগ জীবানু থেকে রক্ষা ও শীতলতার পরশ অনুভব করছেন।

জানা গেছে, প্রচন্ড খরা ও তাপদাহে প্রাণিকূলের ওষ্ঠাগত অবস্থা বিরাজ করছে। শুষ্ক মৌসুমে ধূলি-বালি থেকে নাগরিকদের রক্ষার জন্য প্রথম শ্রেণির বিরামপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে শহরের রাস্তায়-রাস্তায় পানিবাহী গাড়ী দিয়ে প্রতিদিন সকাল বিকাল পানি ছিটানো হয়।এতে রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী লোকজন, রাস্তার দু’পাশের দোকানী ও ক্রেতারা স্বস্তিতে চলাফেরা করতেন। কিন্তু, বৈশাখের তৃতীয় সপ্তাহেরও এই এলাকায় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় শহরবাসী ও প্রাণিকূলের নাভিস্বাশ উঠেছে। এ অবস্থায় শহরবাসীকে শীতলতার পরশ দিতে অধিক পরিমাণে পানি ছিটানো হচ্ছে।

বিরামপুর কলেজ পাড়া মহল্লার বাসিন্দা অটো চালক মিলন হোসেন বলেন, এই প্রচন্ড গরমে রাস্তায় চলাচল করা কঠিন ছিল। পৌরসভার পক্ষ থেকে রাস্তায় পানি ছিটানোর ফলে আমরা ধূলি বালু ও রোগ জীবানু থেকে রক্ষা পাচ্ছি। একই সাথে রাস্তার উত্তাপ থেকে রেহায় পাচ্ছি এবং অনুভব করছি শীতলতার পরশ।

বিরামপুর চাঁদপুর ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক মেফতাহুন নাহার কবিতা বলেন, তীব্র দাবদাহ ও কাঠ ফাটা রোদে জনজীবন  বিপর্যস্ত এবং অনবৃষ্টিতে জনজীবন অতিষ্ঠ, কষ্ট পাচ্ছে  সাধারণ মানুষ ও প্রাণিকুল। এ অবস্থায় পৌরসভার পক্ষ থেকে রাস্তায় পানি ছিটানো একটি মহতী উদ্যোগ। এতে আমরা ধূলিবালু ও রোগ জীবানু থেকে রক্ষা পাচ্ছি। সেই সঙ্গে রাস্তার উত্তাপ থেকে রেহায় পাচ্ছি।

বিরামপুর পৌরসভার মেয়র  অধ্যক্ষ মো: আক্কাস আলী জানান, প্রথম শ্রেণির বিরামপুর পৌরসভার নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির জন্য নানামূখি কার্যক্রম চলমান আছে। এই প্রচন্ড গরম থেকে শহরবাসীকে রক্ষার জন্য পানি ছিটিয়ে শীতলতার পরশ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এর ফলে নাগরিকরা ধূলি- বালু ও রোগ জীবানু থেকেও রক্ষা পাবে। নাগরিকদের স্বস্তি দিতে বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত এই পানি ছিটানোর কার্য্যক্রম অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



সুন্দরগঞ্জে ইউনিয়ন ভুমিকর্মকর্তা ও ইউপি সদস্যর যোগসাজসে রাস্তার গাছকেটে বিক্রি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ১৩৯জন দেখেছেন

Image

সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃসুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ হতে ছাপরহাটী মণ্ডলের হাটপর্যন্ত পাকা রাস্তা সংলগ্ন উত্তর রাজিবপুর মৃত বকুল মেম্বারের ঘরের পার্শ্বে ২টি বড়গাছ রামজিবন ইউনিয়নের বাজারপাড়ার মৃত্যু হাতেম আলির ছেলে জামাল,মৃত্যু আপাজের ছেলে রাজা মিয়া,ওএকই এলাকার মৃত্যু মহির উদ্দিনের ছেলে আনারুলকে দিয়ে গত২৮ মার্চ রাতের আঁধারে কেটে ফেলে বকুল মেম্বারের স্ত্রী জামেনা।বিষয়টি এলাকা বাসির গাছকাটার ভিডিও ফুটেজ সহ এসিল্যাণ্ড বরাবর অভিযোগকরলে এসিল্যাণ্ডের হস্তক্ষেপে কাটাগাছ উদ্ধারততকরে ইউনিয়ন ভুমিকর্মকর্তার জিম্মায় রেখেদেন। 

এঘটনার কয়েকদিন পরে ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা ও স্হানিয় ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় জিম্মায় রাখা গাছ বাজারপাড়ার মৃত্যু আঃজব্বার আলীরছেলে আঃ জলিলের নিকট  বিক্রি করে ফেলে।এঘটনা জানার পরে গাছ বিক্রির বিষয়ে  জিজ্ঞাসা বাদ করাহলে কর্তনকারি/বিক্রয়কারি বলেন,,,, তিনি(জামানা)তহশিলদার জুয়েল ও ইউপি সদস্য শামিমের অনুমতি নিয়ে ব্যবসায়ির নিকট বিক্রি করেছেন।

এনিয়ে ইউপি সদস্য শামিমের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে সে গাছবিক্রির বিষয়ে কিছুই জানেন না, তহশিলদার জুয়েলের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে সে বলে কাটাগাছ তার জিম্মায় ছিল,বকুলমেম্বারের স্ত্রী তাকে না জানিয়েই গাছগুলো সরিয়ে নিয়ে ব্যাপারির নিকট বিক্রি করেছে।এব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা।

একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে আপনি কি ভূমিকা রেখেছেন,,,, জানতে চাইলে গত ৯এপ্রিলে তিনি বলেন,,, আমি মামলা করব। কিন্ত  এরও ৬দিন অতিবাহিত হলেও এপর্যন্ত মামলা হয়নি।


আরও খবর



আক্কেলপুরে বিয়ের প্রলোভনে স্কুল ছাত্রীর সাথে শারিরীক সম্পর্ক: অত:পর আত্মহত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image
আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৯ম শ্রেণিতে পড়–য়া ১৫ বছর বয়সী এক স্কুল ছাত্রীর সাথে শারিরীক সম্পর্কের পরে বিয়ে করতে অস্বীকার করায় ওই স্বুল ছাত্রীর আত্মহত্যার অভিযোগ ওঠেছে। ঘটনাটি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নে ঘটেছে। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা ধর্ষণের অভিযোগ এনে মঙ্গলবার রাতে আক্কেলপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযুক্ত রিয়াদ (১৯) উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের কালঞ্জ গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তবে ঘটনাটি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন রিয়াদের মা ।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৮ মাস পূর্বে রিয়াদের সাথে ওই শিক্ষার্থীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই শিক্ষার্থী সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে রিয়াদ। কিছুদিন পর অভিযুক্ত রিয়াদের অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হলে সে ওই শিক্ষার্থীকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এর পরেই ওই শিক্ষার্থী গত সোমবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা মঙ্গলবার রাতে রিয়াদ তার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে বলে আক্কেলপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে।   

শিক্ষার্থীর বাবা জানান, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। আমার মেয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমি ধর্ষক রিয়াদের যথাযথ শাস্তি চাই।

এবিষয়ে অভিযুক্ত রিয়াদের বাড়িতে গেলে তার মা নূর নাহার বলেন, আমার ছেলে বাড়িতে নেই, কাজে গেছে। এরকম কোন ঘটনা আমাদের জানা নেই।

অভিযুক্ত রিয়াদ ও তার বার সাথে ঘটনার বিষয়ে যোগাযোগ কার জন্য মুঠোফোন নাম্বার চাইলে তা দিতে অপারগতা জানায় অভিযুক্ত রিয়াদের মা।

আক্কেলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নয়ন হোসেন বলেন, এঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে। আইনি পক্রিয়া চলমান রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর



পার্বত্য চট্টগ্রামের বন ঝুঁকিপূর্ণ সংরক্ষণের জন্য এর জরিপ করা প্রয়োজন: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ৮৯জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বন ঝুঁকিপূর্ণ! বর্তমানে পার্বত্য অঞ্চলের বন সংরক্ষণের জন্য জরিপ করা প্রয়োজন। বৃক্ষ নিধন রোধ ও এর সংরক্ষণ করা না হলে পার্বত্য অঞ্চলের অপার সৌন্দর্য্য একদিন রূপকথায় পরিণত হবে।  

গতকাল খাগড়াছড়ি জেলা সদরের পর্যটন মোটেল অডিটোরিয়ামে দ্বিতীয় জাতীয় বৃক্ষ ও বন জরিপ-২০২৪ অবহিতকরণ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এ কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে পানির প্রবাহ ও লেয়ার যেভাবে কমে যাচ্ছে তাতে করে এমন এক সময় আসবে যেদিন পার্বত্য অঞ্চলে পানির ভীষণ ঘাটতি দেখা দিবে। তিনি বলেন, চেঙ্গী নদী, মাতামুহুরী ও মনু নদী একসময় পানির প্রচুর প্রবাহ ছিল। কিন্তু এখন পানির শূন্যতা দেখা দিয়েছে। নদীর নাব্যতা ও গভীরতা নেই বললেই চলে। নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব বেড়েছে। নির্বিচারে গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে। নব উদ্ভাবিত প্রযুক্তি নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে হবে। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, সরকারের বিশেষ উদ্যোগ ও দৃষ্টিভঙ্গি জনস্বার্থে চলমান থাকবেই। নাগরিক হিসেবে পরিবেশের সৌন্দর্য্য রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি আমাদেরও অনেক দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের দায়িত্ববোধের অবহেলা যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে ডোবা-নালা ভরাট করে যাতে বাড়ি ঘর বা ফসলী জমি না গড়া হয় সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যত প্রজন্মকে রক্ষা করতে আমাদের এখনই সচেতন হতে হবে। আগামির প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।

  পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, বন সংরক্ষণের জন্য তৈরি করা জোনগুলোর ব্যবহার যাতে সঠিক ও অক্ষুন্ন থাকে সেদিকে সকলের সতর্ক দৃষ্টি থাকতে হবে। বনাঞ্চলের বৃক্ষ, বন ও বনজ সম্পদের পরিমাণ নির্ধারণ করা এবং বনাঞ্চলে কি কি প্রাণি রয়েছে তা নির্ণয় ও সংরক্ষণের প্রয়োজনে বন জরিপের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। একটি দেশের জন্য ২৫ ভাগ বন থাকা প্রয়োজন। সে জায়গায় আমরা পৌঁছাতে পারলাম কি না তা জানার জন্যও বন জরিপের গুরুত্ব অপরিসীম বলে জানান পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

অবহিতকরণ সভায় রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় পরামর্শক ও ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের বিভাগীয় চেয়ারম্যান ড. নিখিল চাকমা প্রজেক্টরের সাহায্যে বাংলাদেশসহ পার্বত্য অঞ্চলে জোনিং পদ্ধতিতে বৃক্ষ ও বন সংরক্ষণের চিত্র তুলে ধরেন। 

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য নিলোৎপল খীসা-এর সভাপতিত্বে  খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, পিপিএম(বার)  খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. ফরিদ মিঞা, বন সংরক্ষণ কর্মকর্তা সাহেদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



তানোরে চেয়ারম্যান পদে ময়না, ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর রেজা ও চেয়ারম্যান সোনিয়া নির্বাচিত

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ১০৯জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরে বিপুল ভোটে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না ও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে তানভীর রেজা এব মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সোনিয়া সরদার কে বে সরকারী ভাবে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়েছে ।  কাপ পিরিচ প্রতীক নিয়ে লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না  ভোট  পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৩৯৫ টি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন ২০ হাজার ০৭৯  ভোট পেয়েছেন। কাপ পিরিচ প্রতীক কে ২৬ হাজার ৩১৬ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার কামরুজ্জামান। 
 
এদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কলস প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সোনিয়া সরদার ৩০ হাজার ৮৮৬ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বৈদ্যুতিক ফ্যান প্রতীকের প্রার্থী সাগরী ভৌমিক ২৩ হাজার ৪৫৭ ভোট পেয়েছেন। 

অপর জন সেলাই মেশিনের প্রার্থী নাসিমা বেগম ৮ হাজার ২১৭ ভোট পেয়েছেন। ৭ হাজার ৪২৯ ভোট পেয়ে বে সরকারী ভাবে সোনিয়া সরদার কে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।  পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীকের সর্বকনিষ্ঠ  তানভীর রেজা ৩৮ হাজার ৫৩৭  ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তালা প্রতীকের প্রার্থী সোহেল রানা ২৪ হাজার ৬০১ ভোট পেয়েছেন । ১৩ হাজার ৯৩৬ ভোটে বিজয়ী তানভীর কে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় । 

এর আগে বুধবার সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গ্রহণ শেষে উপজেলা পরিষদের হলরুমে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা । এসময় টিএইচও বার্নাবাস হাসদাক, কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ, সমাজ সেবা অফিসার মোহাম্মদ হোসেন, পিআইও এটিএম কাউসার আলী সহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা    বলেন ভোটের দিন যে ভাবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ ও শেষ হয়েছে আমি আসা করব বিজয়ী প্রার্থীরা সেই পরিবেশ বজায় রাখবেন।

আরও খবর



বাঁধের কয়েক হাজার গাছ কেটে সাবাড়! হুমকিতে পরিবেশ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ১০৮জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:বাঁধের কয়েক কিলোমিটার জুড়ে অপরিপক্ক কয়েক হাজার গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলেছে বন বিভাগ। রাজশাহী তানোর সীমান্তবর্তী বিল কুমারী বিলের বাঁধে ঘটে রয়েছে গাছ কাটার ঘটনাটি। এক সাথে এত পরিমান গাছ কাটার কারনে মরু প্রান্তরে পরিনত হয়ে পড়েছে বাধটি। সেই সাথে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে মনে করছেন পরিবেশ বীদরা। এতে করে ওই এলাকা মরু প্রান্তরে পরিনত হয়ে পড়েছে। এভাবে অপরিপক্ক গাছ কাটায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের দাবি তুলেছেন পরিবেশ বীদরা।

জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার বিল কুমারী বিলের বাধটি মোহনপুর সীমানার মধ্যে পড়ে। পৌর এলাকার বুরুজ ব্রীজ ঘাটের উত্তরে বাধের প্রায় দেড় কিলোমিটার এবং ব্রীজ ঘাট থেকে কালিগঞ্জ যাওয়ার বাধের প্রায় আড়াই কিলোমিটার বাঁধে রোপনকৃত কয়েক হাজার গাছ কেটে সাবাড় করেছেন বন বিভাগ। এসব এলাকা প্রচন্ড খরা প্রবন হওয়ার কারনে পরিবেশ বীদরা বেশি বেশি গাছ রোপন করতে বলছেন। কিন্তু বন বিভাগ সেই নির্দেশনা অমান্য করে ছোট বড় কয়েক হাজার গাছ কেটে মরু প্রান্তরে পরিনত করে ফেলেছেন।

গত এপ্রিল মাসের ১৭ তারিখ থেকে টানা তীব্র তাপপ্রবাহ চলমান ছিল। ৪০ থেকে ৪২ ও ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজমান ছিল। তীব্র তাপদহের কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। তাপপ্রবাহের মধ্যেই বাঁধের গাছ কেটেছে বন বিভাগ।পরিবেশ বিদদের দাবি উন্নয়নের কথা বলে পাইকারি ভাবে গাছ নিধন করা হয়েছে। গাছ নিধনের কারনেই পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন হয়েছে। আর বাধের গাছ কাটার কোন প্রয়োজন ছিল না।  অতিরিক্ত তাপপ্রবাহের অন্যতম কারন গাছ নিধন বলে মনে করেন তারা।

বাধ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা জুয়েল, মাসুদ সৈকত, সোহেলসহ অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শ্রমিকরা কাজ করে বাধের গাছের ছায়াতলে বসে আরাম করত। ছোট বড় মাঝারি কয়েক হাজার গাছ কর্তন করেছে। এখন বাধ না মরু ভূমিতে পরিনত হয়েছে। গাছ কাটার পর বাধের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে পড়েছে। অযথা গাছগুলো কেটে পরিবেশের ক্ষতি করা হয়েছে। তাপমাত্রা থেকে বাচতে এবং পরিবেশ রক্ষার জন্য সরকার ও পরিবেশ সংগঠন গুলো বেশি বেশি গাছ রোপন করতে বলছেন। কিন্তু বন বিভাগ তার উল্টো পথে চলছে।

মোহনপুর বন কর্মকর্তা নুরুজ্জামান বলেন, বন বিভাগের সামাজিক কর্মসূচির আওতায় গাছগুলো রোপন করা হয়েছিল। রোপনের পর দশ বছর হলে গাছ কাটতেই হবে। টেন্ডারের মাধ্যমে গাছ কাটা হয়েছে। কত কিলোমিটার বাধের কত হাজার গাছ কাটা হয়েছে এবং টেন্ডারে সর্বোচ্চ দরদাতা কে ছিল জানতে চাইলে তিনি জানান, এসব বিভাগীয় অফিসে গিয়ে তথ্য নিতে হবে, আমার এমুহূর্তে সরন নাই বলে এড়িয়ে যান তিনি । 

বিভাগীয় অফিসের বন সংরক্ষক মেহেদীজ্জামানের সাথে যোগাযোগ  করে গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, অফিসে চা খেতে আসেন সব তথ্য দেয়া হবে।মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়শা সিদ্দিকা বলেন, বন বিভাগের সামাজিক কর্মসূচি থেকে গাছ রোপন করা হয় এবং ওই গাছের দশ বছর বয়স হলে কাটার নিয়ম আছে বলে আমাকে অবহিত করেছে। আরো কিছু তথ্য নিতে হলে বিভাগীয় বন অফিসে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন ইউএনও।

আরও খবর