নোয়াখালী প্রতিনিধি:দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নিজ আসন নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) এ নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি শুক্রবার পিতামাতার কবর জিয়ারতে করে বির্বাচনি প্রচারনা শুরু করেন।
ভোটের মাঠে নেমেই দলীয় প্রার্থীদের সাবধান করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা। বলেছেন, নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। ফাউল করলে খবর আছে। আমরা কারো জন্য তদবির করবো না।
শুক্রবার বিকেলে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে নির্বাচনী এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় পতাকা ছাড়া শেখ হাসিনা সিলেটে গেছেন, আমরা কেউই ফ্লাগ ব্যবহার করছি না। তিনি (শেখ হাসিনা) সরকারি কোনো সেবা নেন নাই। আমরাও নেই না। নির্বাচনের আচরণ বিধি ভঙ্গ করেননি। যত প্রার্থী আছে সবাইকে আচরণ বিধি মেনে চলতে হনে। ফাউল করলে খবর আছে। নির্বাচনের আচরণ ভাঙলে কারো জন্য তদবির করা হয়নি, হচ্ছে না। যারা নির্বাচন বাধা দেবে তাদের আইনি ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে বাংলাদেশকে বাঁচাতে হবে। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে সংবিধানকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে।
বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি বলেছিলো ২৮ তারিখের পরে নাকি আওয়ামী লীগ পালানোর জায়গা পাবে না। এখন তারা কই। তাদের ৫৪ দল ভুয়া। তারা পল্টন থেকে দৌড়াতে দৌড়াতে পালিয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে আসে নাই, তারা বর্জন করবে। তাদের অবরোধ হরতাল ভুয়া কোনো কাজ হয় না। রাস্তায় জ্যাম আরো বেড়ে গেছে। তারা পারে শুধু মানুষ মারতে। তাদের সব আন্দোলন ভুয়া হয়ে গেছে এখন তারা কি করবে? ফাউল খেলে লালকার্ড নিয়ে তারা পালিয়েছে
বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুলিশ পিটিয়ে হত্যা করে তারা, এটা কি ফৌজদারি অপরাধ নয়? জেলে যাবে না তো কোথায় যাবে তারা, সুখের ঘরে যাবে? যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এরা সবাই ফৌজদারি অপরাধী। যুক্তরাষ্ট্র বলে যারা ভোটে বাধা দেবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে। আজকে কারা ভোটে বাধা দিচ্ছে? দাড়িয়ে থাকা গাড়িতে আগুন লাগিয়ে হেলপারকে হত্যা করা হয়েছে। মায়ের বুক জড়িয়ে থাকা শিশুকে তারা পুড়িয়ে মারছে। এগুলো কি ফৌজদারি অপরাধ নয়? এগুলো যারা করবে তাদের জেলের ভাত খেতে হবে।
বিএনপির অসহযোগ আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির কথা শুনে ঘোড়াও হাসে। তারা নাকি খাজনা দেবে না। এদের বিরুদ্ধেই অসহযোগ আন্দোলন করতে হবে। এখন লন্ডন থেকে হাওয়া ভবনের চোরা বলছে সে নাকি ট্যাক্স দেবে না। সাহস থাকলে দেশে এসে কথা বলেন।
পথসবায় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জাসহ স্থানীয় আওয়ামী ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।