Logo
আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

নেইমার ছেলের নাম রাখবেন ‘মেসি’

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ২৬১জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক:ফুটবলে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলকে বলা হয় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। বিশ্বকাপ ফুটবল আসলেই এই দুই দেশের প্রশ্নে ভাগ হয়ে যান ফুটবলভক্তরা। তবে হাল আমলে এই দুই দেশের সবচেয়ে বড় দুই ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি এবং নেইমার জুনিয়রের মধ্যে চরম বন্ধুত্ব। বার্সেলোনায় এই দুজন একসঙ্গে খেলেছেন ৪ বছর, ফরাসি ক্লাব পিএসজিতেও একসঙ্গে ২ বছর মাঠে নেমেছেন।

মেসির সঙ্গে নেইমারের সম্পর্ক কেমন সেটা দেখা গিয়েছিল ২০২১ সালের কোপা আমেরিকার ফাইনাল শেষে। সে সময় মেসিকে জড়িয়ে ধরে নেইমারের কান্না এবং ড্রেসিংরুমে দুজনের আড্ডার ছবি নিয়ে আলোচনা কম হয়নি। বিশ্বকাপ জয়ের পর বন্ধু মেসিকে নিয়ে নেইমারের শুভেচ্ছা বার্তাও মন কেড়েছে ফুটবল ভক্তদের।

পিএসজি থেকে মেসির বিদায়ের সময়ও শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছেন নেইমার। মাঠ থেকে বিদায় তো দিয়েছেনই, মেসির বিদায়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন নেইমার। নেইমার লেখেন, ‘ভাই.. আমরা যেভাবে ভেবেছিলাম তেমন হয়নি কিন্তু আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। তোমার সঙ্গে আরো ২ বছর খেলতে পারা খুব আনন্দের ছিল। তোমার নতুন মঞ্চে শুভকামনা এবং সুখী হও। ভালোবাসি তোমাকে।

নেইমারের কথার জবাব দিতে দেরি করেননি আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। মেসির প্রত্যুত্তরও ছিল যথেষ্ট আবেগঘন।

মেসি লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ নেইমার। সবকিছু বাইরে রেখে, আমরা আবারও একসঙ্গে খেলা উপভোগ করেছি এবং একেকটি দিন ভাগ করে নিয়েছি। তোমার জন্যও শুভকামনা।... তুমি একজন ভালো মানুষ এবং দিনশেষে এটিই মূল জিনিস। আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি নেইমার।

নতুন করে আবারও বন্ধুত্বের অনন্য নজির স্থাপন করলেন নেইমার। সম্প্রতি ব্রাজিলের একটি সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ‘ছেলে হলে কী নাম রাখবেন?’ নেইমার এক শব্দে উত্তর দেন, ‘মেসি’।

ইনস্টাগ্রামে বাবা হওয়ার খবর দিয়েছিলেন নেইমার। তখন ছেলে সন্তান হওয়ার ঘোষণাই দিয়েছিলেন তিনি। পরে প্রেমিকা ব্রুনা বিয়ানকার্দি কন্যা সন্তান হওয়ার ঘোষণো দেন। প্রেমিকা ব্রুনার ভবিষ্যদ্বাণীই সঠিক ছিল। মূলত নেইমার তার ভবিষ্যৎ ছেলে সন্তানের কথা ভেবে ‘মেসি’ নাম রাখার কথা বলেছেন।


আরও খবর

মেসির জোড়া গোলে জিতল মায়ামি

রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪




মাগুরার মাগুরা সদর ও শ্রীপুর উপজেলায় ২৯ প্রার্থীর মনোনয়নপত্রই বৈধ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের ১ম ধাপে মাগুরা সদর ও শ্রীপুর উপজেলায় ২৯ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। বুধবার ১৭  এপ্রিল মনেনয়নপত্র বাছাইয়ে সকল প্রার্থীর মনেনয়নপত্র বৈধ হিসেবে বিবেচিত হয়।মনেয়নপত্র বাছাই করেন সংশ্লিষ্ঠ রিটার্নিং অফিসার মাসুদুর রহমান।  জেলা নির্বাচন অফিসে এ মনেনয়নপত্র বাছাইকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কলিমুল্লাহসহ প্রার্থীদের অনেকে উপ।স্থিত ছিলেন। নির্ধারিত তারিখে জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে প্রার্থীরা শশরীরে ও অনলাইনে এ মনোনয়নপত্র দাখিল করেন । 

মাগুরা সদরে দাখিলকৃত মনোনয়ন ছিল মোট ১৫টি। তার মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৭জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৪জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৪জন। দাখিলকৃত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক এএইচএম জাহিদুর রেজা, সাংগঠনিক সম্পাদক রানা আমীর ওসমান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. নবীব আলী, আওয়ামী লীগ সমর্থিত মীর আব্দুল কুদ্দুস, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা উত্তম কুমার বিশ্বাস ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক মো. রেজাউল ইসলাম। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ নেতা বাহারুল ইসলাম, আওয়ামী সমর্থিত আপেল মাহমুদ, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-সম্পাদক সুমন কুমার ঘোষ ও জামায়াত সমর্থিত মো. ফারুক হোসেন। মহিলাসহ ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মোসা. সোনিয়া সুলতানা, রুখসানা ইয়াসমিন নাজু, মিনতী রানী দত্ত ও শারমিন আক্তার রোজী। 

অপরদিকে, শ্রীপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। জেলা নির্বাচন অফিসার মাসুদুর রহমান বলেন, গত সোমবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত মাগুরা সদর ও শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।  দাখিলকুত সকল মনোনয়নপত্র বৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ১৮-২০শে এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১শে এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২২শে এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ ২৩শে এপ্রিল ও ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৮ মে ২০২৪।

আরও খবর



আপিল বিভাগে তিন বিচারপতি নিয়োগ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:তিন‍ বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তিন বিচারপতি হলেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবিধানের ৯৫ (১) ধারা অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নতুন বিচারপতি হিসেবে তাদের নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

বর্তমানে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে পাঁচজন বিচারপতি রয়েছেন। তিনজনের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আপিল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াবে আটজনে।


আরও খবর



হিলিতে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:চলছে বৈশাখ মাস সারাদেশে প্রচন্ড তাপদহ ও তীব্র গরম। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে রোদ ও গরমের তীব্রতা। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাহির হচ্ছে না সাধারণ মানুষ। ঠিক সেই সময়ে দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলিতে রিকসা,ভ্যান, ইজিবাইক চালক ও পথচারীদের মাঝে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১২ টায় হাকিমপুর উপজেলার চারমাথা মোড়ে প্রায় ২০০ জন শ্রমিক ও পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করেন হাকিমপুর উপজেলা শাখার শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দরা।এসময় সেখানে দিনাজপুর জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সেক্রেটারি মোঃ মোসলেম উদ্দিন,হাকিমপুর উপজেলা শাখার উপদেষ্টা ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম,সভাপতি সবিরুল ইসলাম,সদস্য ডাঃ সাইদুর রহমান, মেহেদী হাসানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

রিকসা চালক মফিদুল ইসলাম বলেন, প্রচন্ড তাপ ও তীব্র গরম এর কারণে ঘর থেকে মানুষ বিনা প্রয়োজনে বাহির হচ্ছে না। পেট তো আর এসব বুঝে না। তাই রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছি। সকাল থেকে যাত্রী ও তেমন পাচ্ছি না। চারমাথা মোড়ে বসে আছি এমন সময় হঠাৎ আমার হাতে পানির বোতল ও খাবর স্যালাইন তুলে দেন। আমি খুব খুশি। আমি তাদের জন্য মন থেকে দোয়া করি আল্লাহ যেন তাদের ভালো করেন।ইজিবাইক চালক নাজমুল হোসেন বলেন,প্রচন্ড রোদ ও তীব্র গরমে তারা পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করছেন। আমি তাদের উদ্যোগকে সাদুবাদ জানাই।হাকিমপুর উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উপদেষ্টা ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, তীব্র গরম ও প্রচন্ড তাপদহে পুড়ছে সারাদেশ।

এসময় সবচেয়ে কষ্টে থাকে রিকসা, ভ্যান, ইজিবাইক চালক ও খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। তাই আমরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার হিলি চারমাথা মোড়ে ২০০ জন শ্রমিক ও পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করেছি। আমি সমাজের বিত্তবান ও সকল রাজনৈতিক এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতি আহবান জানাই তারাও যেন শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ায় !।সভাপতি সবিরুল ইসলাম বলেন,কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা হিলি চারমাথা মোড়ে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করলাম। আমাদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ৩ মে পর্যন্ত শ্রমিকদের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



তীব্র গরমে পল্লবী থানা পুলিশের দেওয়া পানিতেই তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৮৪জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার , স্টাফ রিপোর্টার:তীব্র গরমে পল্লবী থানা পুলিশের দেওয়া পানিতেই তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ তীব্র তাপদাহে পথচারী, রিকশাচালক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেছে পল্লবী থানা পুলিশ। এর আগে খেটে খাওয়া মানুষসহ সড়কে থাকা নারী-পুরুষ সবাইকে এ গরম থেকে কিছুটা প্রশান্তি দেওয়ার লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপির) উদ্যোগে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হয়।

তারই ধারাবাহিকতায় পল্লবী থানার অফিসার্স ইনচার্জ এর উদ্যোগে  দিনভর রাজধানীর পল্লবী থানা  এলাকার বিভিন্ন সড়কে থাকা প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করা মানুষদের মধ্যে বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হয়। এ সময় পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অপূর্ব হাসান  বলেন, ডিএমপি কমিশনার স্যারের নির্দেশক্রমে পল্লবী থানা এলাকায় পথচারী, অসহায় ও শ্রমজীবী মানুষের মাঝে বিনামূল্যে সুপেয় পানি পান করানো হচ্ছে। এই প্রতিকূল আবহাওয়া ও প্রচণ্ড দাবদাহ থেকে সাধারণ মানুষের কষ্ট কিছুটা নিবারণ করার উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই বিশুদ্ধ পানি সাধারণত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় পথচারী ও অন্যান্যদের মধ্যে সরবরাহ করার উদ্যোগ নেওয়া নিয়েছি। তাপদহ যতদিন চলবে আমরাও আমাদের এই কার্যক্রম চালিয়ে যাবো ইনশাল্লাহ। 

সরেজমিন দেখা যায়, ভ্রাম্যমান গাড়ির উপরে তৈরি করা হয়েছে 'ওয়াটার বুথ'। আর এই বুথ থেকেই পথচারী, রিকশাচালক, শিক্ষার্থী ও শ্রমিকসহ সব পেশার মানুষ বিনামূল্যে সুপেয় পানি পান করছেন সকলে। প্রয়োজনে দেওয়া হচ্ছে ওরস্যালাইনও। এ বুথেও সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন পল্লবী থানার বিভিন্ন পুলিশ সদস্যরা।

আরও খবর



তিতাস গ্যাসের চাকরি পেয়ে প্রেমিকাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১৩১জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃতিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের চাকরীতে সম্প্রতি নিয়োগ প্রাপ্ত এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তিতাস গ্যাসে কর্মরত ঐ প্রেমিকের নাম মিজানুর রহমান তৈয়ব। তার গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলার ওমরপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে। তার পিতার নাম মোজাম্মেল হাওলাদার। 

ঘটনা বিবরনে জানা গেছে সে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা শেষ করে চাকরির জন্য ঢাকায় থাকতো। চাকরির এক পরীক্ষার হলে ভুক্তভোগী তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় মিজানের। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। দীর্ঘদিন যাবত প্রেম ও পরে প্রেমিকাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করে মিজান। তিনমাস পূর্বে তিতাস গ্যাস কোম্পানিতে চাকুরি হয় তাঁর। চাকুরির পর থেকে ভুক্তভোগী তরুণীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করে তার মোবাইল নম্বর, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জার ব্লক করে দেয়। কোনভাবে যোগাযোগ করতে না পেরে তরুণী গত ১৭ এপ্রিল প্রেমিকের বাড়িতে এসে অনশন শুরু করেন। মিজানুর রহমান তৈয়ব নামের তিতাস গ্যাসের কর্মীর গ্রামের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে ৫ দিন যাবত অনশন করছেন ঢাকা মিরপুর-১০ থেকে আসা সাদিয়া জান্নাত নামের এই তরুণী। এ ঘটনায় প্রেমিকার উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়েছে প্রেমিক।

ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, আমি অনার্স-মাস্টার্স পাশ করে ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকুরি করছি। মিজানের চাকরির পূর্বে তার প্রতিমাসের খরচ আমার থেকে নিয়েছে। আমি ওকে বিশ্বাস করে নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে ভালো রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় মিজান আমার সাথে প্রতারণা করেছে। আমাদের সম্পর্ক অস্বীকার করতেছে।

তরুণী আরও বলেন, আমি বিয়ের দাবিতে মিজানের বাড়িতে এসেছি। আমাদের বিয়ে হবে না হয় আমি লাশ হয়ে এই বাড়ি থেকে যাবো।

মিজানের বাবা ও বড় ভাই বলেন, আমরা মেয়েকে নিরাপদে আমাদের বাসায় রেখেছি। মিজান পালিয়ে আছে। তার সকল মোবাইল নম্বর বন্ধ করে রেখেছে। আশাকরি অল্প সময়ের মধ্যে তাকে এনে বিয়ের ব্যবস্থা করা হবে।

ওমরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে আমি খবর পেয়ে সেই বাড়িতে গিয়েছি। মেয়ে ও ছেলের পরিবারের বক্তব্য শুনেছি। মিজানকে এনে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করতে তার পরিবারকে কঠোর ভাবে বলা হয়েছে।

চরফ্যাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নওরিন হক বিষয়টি মিমাংসার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিয়েছেন। চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম অনশকারী সাদিয়া জান্নাতকে মিজানের বাবার জি

ম্মায় রেখেছেন।


আরও খবর