Logo
আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

নাসিরনগরে জাতীয় পার্টির নির্বাচন বর্জন স্বতন্ত্র প্রার্থী একরামুজ্জামানকে সমর্থন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ২১৭জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান:৭ জানুয়ারী ২০২৪ অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ সংসদীয় ২৪৩ নাসিরনগর আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এ কে একরামুজ্জামান সুখনকে সমর্থন দিয়েছেন জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী শাহানুল করিম গরীবুল্লা সেলিম।রোববার দুপুরে নাসিরনগরস্থ একরামুজ্জামানের নিজ বাস ভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশিষ্ট শিল্পপতি এস এ কে একরামুজ্জামানকে সমর্থন জানান জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহানুল করিম গরিবুল্লাহ সেলিম।

সমর্থন জানানোর সময় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী একরামুজ্জামানের কলারছড়ি প্রতীকে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের ভোট দেয়ার আহবান জানান। সমর্থন অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহানুল করিম গরিবুল্লাহ সেলিম বলেন, আমি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হলেও এখন পর্যন্ত প্রচারনা চালায়নি। এ নিবার্চনে সৈয়দ একরামুজ্জামানকে সমর্থন দিচ্ছি। আজ থেকে কলার ছড়ি প্রতীকের বিজয়ের জন্য আমরা কাজ শুরু করবো। জাতীয় পার্টির প্রতিটি কর্মী সৈয়দ একে একরামুজ্জামানকে বিজয়ী করতে প্রচারণা চালিয়ে যাবে।

পাশাপাশি ভোটও দেবে। এ সময় উপজেলা ও ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের স্বাগত জানিয়ে সৈয়দ একে একরামুজ্জামান বলেন,জাতীয় পার্টির সমর্থন পেয়ে আমি তাদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ। আমাকে নির্বাচিত করলে এলাকার উন্নয়ন ও মূল্যায়নের ধারাবাহিকতা থাকবে। অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার, গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাজী তারেক মিয়া প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। 

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



ছয়মাস আগেই জানা যাবে বন্যার আগাম পরিস্থিতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ২৬৯জন দেখেছেন

Image

মিঠুন দাস মিঠু, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, নিটার:বাংলাদেশের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও কুড়িগ্রামসহ উওর-পূর্বাচঞ্চলের জেলাগুলো গতবছরের মে-জুনে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার স্বীকার হয়। পাহাড়ি ঢল ও অতি ভারী বৃষ্টিতে নদনদী ও হাওরের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে এবং পানিবন্দি হয়ে পড়ে সিলেট-সুনামগঞ্জের প্রায় ৪০ লাখ মানুষ। সম্প্রতি, সেই বন্যা পরিস্থিতির আগাম সংবাদ ছয়মাস পূর্বেই জানার এক প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেছেন সাভারে জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-নিটার এর শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সমন্বিত একটি দল।

ভয়াবহ এ বন্যার পিছনে বেশকিছু কারণকে দায়ী করা হয় এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণগুলো: অস্বাভাবিক জলবায়ু পরিবর্তন, ভারতের ইচ্ছেমতো বাধ ব্যবহার, পানি-পলি ব্যবস্থায় অব্যবস্থাপনা,  অপরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ, নদীদখল ও যত্রতত্র বালু উওোলন।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে ভারতের চেরাপুঞ্জি অঞ্চলে। বঙ্গোপসাগরে থেকে আসা জলীয় বাষ্প মেঘালয়ের পাহাড়ের সাথে ধাক্কা লেগে ওপরে উঠে যায় এবং পরবর্তীতে ভারী হয়ে বৃষ্টি আকারে পড়তে শুরু করে। অন্যদিকে, সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্ত থেকেই ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি এলাকার শুরু হয়েছে এবং সেখানকার বৃষ্টির পানি  সরাসরি ছয় থেকে আট ঘন্টার মধ্যে তাহিরপুর হয়ে হাওরে এসে মেশে। সিলেট-সুনামগঞ্জের এ ভয়াবহ বন্যার পেছনে চেরাপুঞ্জির এই প্রবল  বৃষ্টিপাতকে প্রধান কারন বলে ধারণা করা হয়। অপরদিকে, উজান থেকে আসা পলি-পাথর, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় বেষ্টনী পদ্ধতির ব্যবহার, অপরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ, নদীদখল-নদীভরাট, যত্রতত্র বালু উওোলনের ফলে নদীগুলোর পানি বহনের ক্ষমতা কমে যায় এবং পানিবন্দি হয়ে পড়ে লাখ লাখ মানুষ। এছাড়া নদীর নাব্যতা নষ্টের জন্য ভারত অংশে অপরিকল্পিত পাথর উওোলনকে ও দায়ী করা হয়, উজানে পাথর উওোলনের ফলে মাটি আলগা হয়ে নদীতে চলে আসে এবং নদীর তলদেশ ভরে যায়। এই কারণেই মেঘালয়, আসাম বা চেরাপুঞ্জিতে বেশি বৃষ্টিপাত হলেই সিলেট, সুনামগঞ্জ বা কুড়িগ্রাম এলাকায় বন্যার তৈরি হয়।

বন্যা পরিস্থিতির অবনতির জন্য দায়ী এসকল প্রভাবকের সমন্বয় করে মেশিন লার্নিং, এডভান্সড ডিপ লার্নিং এলগরিদম ব্যবহার করে কিভাবে ছয়মাস আগেই বন্যার আগাম সংকেত জানা যাবে সে সম্পর্কিত একটি গবেষণা পেপার পাবলিশ করেছে নিটারের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং  বিভাগের একদল শিক্ষার্থীরা। "হাইড্রো-ইনফরমেটিক মডেলিং ফর ফ্লাড প্রেডিকশন থ্রো এক্সপ্লেইনেবল এআই টু ইন্টারপ্রেট ওয়াটার ডাইনামিকস ইন-বাংলাদেশ প্রার্সপ্রেক্টিভ" শীর্ষক গবেষণা পেপারটির অথর হিসেবে আছেন নিটারের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হোসেইন মাহির, মোঃ তানজুম আন তাসরিফ, মোঃ আমির হামজা, তওফিকুল হক তামিম। শিক্ষকদের মধ্যে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের লেকচারার দীপাঞ্জলি কুন্ডু এবং একই বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর জনাব আনিসুর রহমান।

সম্প্রতি, গবেষণা পেপারটি মিলিটারি ইন্সটিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) কর্তৃক আয়োজিত ষষ্ঠ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিইইআইসিটি) এ প্রেজেন্টেশনের জন্য গৃহীত হয়।


আরও খবর

সাফল্য অর্জনকারী ৫ জয়িতার গল্প

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪




মাগুরায় দুইমাথা বিশিষ্ট শিশুর জন্ম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরায় দুই মাথা বিশিষ্ট কন্যা শিশুর জন্ম  হয়েছে।মাগুরা জাহান প্রাইভেট হাসপাতালে সোমবার রাতে সিজার করা হলে এ শিশু দেখা যায়। হাসপাতালের মালিক ডাক্তার মাসুদুল হক এর হাতে একটি গর্ভবতী মহিলা সিজার হন।ডাক্তার মাসুদুল হক, গর্ভবতী মায়ের সিজার কার্য শেষ করার পর জানান ।  উক্ত গর্ভবতী মায়ের পেট থেকে কণ্যা সন্তান ভূমিষ্ঠ হয় ।  উক্ত কন্যা একটি হলেও তাার দুইটা মাথা। এবং তাহার দুইটা হাত দুইটা পা স্বাভাবিকভাবে হয়েছে, কিন্তু তাহার পায়খানা এবং প্রস্রাবের রাস্তা একই স্থানে । জাহান হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার মাসুদুল হক জানান । বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের শিশু দেখা যায়। তবে  মাগুরা জেলায় এটাই সর্বপ্রথম এ ধরনের শিশু জন্মগ্রহণ করল।  মা ও শিশুর সুস্থতার ব্যাপারে তিনি জানিয়েছেন তাঁরা উভয়ে সুস্থ আছেন।


আরও খবর



দেশের বৃহৎ দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর- এ শহীদ মাঠে ৬ লাখ মুসল্লির একসাথে নামাজ আদায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

দিনাজপুর প্রতিনিধি:যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, আনন্দ-ও কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দিনাজপুরসহ বিভিন্ন জেলার মুসল্লিদের অংশগ্রহনে উপমহাদেশের বৃহৎ ঈদগাহ ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে দেশের বড় ঈদের জামাতে লাখো লাখো মুসল্লিরা একসাথে নামাজ আদায় করেছেন। রোদের তীব্রতা উপেক্ষা করে শান্তিপূর্ণভাবে দেশের বৃহৎ এই ঈদের জামাতে ৬ লাখ মুসল্লি একসাথে ঈদ-উল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন বলে আয়োজকদের দাবী।

ঈদের দিন বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই বিভিন্ন জেলা-উপজেলাসহ দুরদুরান্ত থেকে আসার ঢল নামে মুসল্লিদের। দুটি বিশেষ ট্রেন সার্ভিসে ছাড়াও মুসল্লিরা বিভিন্ন যানবাহনে ও পায়ে হেঁটে ঈদগাহ মাঠে আসেন। এসময় শহরের সব রাস্তাগুলো যেন একমুখী হয়ে যায়। ঈদের দিন সকাল ৯টায় এই ঈদের জামাতের ইমামতি করেন দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শামসুল ইসলাম কাশেমী। নামাজ আদায় শেষে মোনাজাতে দেশ এবং মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করা হয়।

বৃহৎ এই জামাতে অংশ নেন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি(ভারপ্রাপ্ত) এম ইনায়েতুর রহিম, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহম্মেদ, দিনাজপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র আবু তৈয়ব আলী দুলাল, বিচার বিভাগের কর্মকর্তা, প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনতা।

নামাজ শেষে বৃহৎ এই ঈদগাহ মাঠ ও মিনার নির্মাণের উদ্যোক্তা এবং পরিকল্পনাকারী হুইপ ইকবালুর রহিম জানান, এই জামাতে একসঙ্গে ৬ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি শান্তিপূর্ণভাবে নামাজ আদায় করেছেন। নিরাপত্তার ব্যাপারে ছিল জিরো টলারেন্স। সফলভাবে ঈদের জামাত সম্পন্ন হওয়ায় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি। দিন দিন এই জামাতে মুসল্লীর সংখ্যা বাড়ছে।

এইবার ভারত থেকে নামাজে অংশ নিয়েছেন মুসল্লী। দিনাজপুর ছাড়াও ঢাকা, নীলফামারী, জয়পুরহাট, বগুড়া, ঠাকুরগাঁ, রংপুর জেলাসহ আশেপাশের অনেক মুসল্লি বাস, কার, মাইক্রো, জীপ এবং মোটরবাইকে করে এই ঈদ জামাতে অংশ নেন।

ভারতের গঙ্গারামপুর থানা থেকে আসা ওসমান আলী জানান, টিভি অনলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এতবড় মাঠ ও এত মুসল্লি একসাথে নামাজ আদায় করে। এতে আমারও ইচ্ছা হয়। তাই এবার এখানে নামাজ পড়ার জন্য এসেছি।এত মানুষের একসাথে এটাই আমার প্রথম নামাজ। এখানে নামাজ আদায় করতে পেরে খুব খুশি।

নামাজ আদায় করে একইরকম অনুভূতি প্রকাশ করে ঢাকার রামপুরার বনশ্রী নিবাসী হাজী মোঃ আব্দুল আলী বলেন, এশিয়ার বড় জামাতের কথা শুনে ঈদের নামাজ আদায় করতে এসেছি। এটি আসলেই বৃহৎ জামাত। এতবড় জামাতে নামাজ আদায় করেছি সওয়াবের আশায়।ঢাকা থেকে মোঃ ইমরান কবির ও মোঃ রাতুল বলেন, ঈদের কারণে যানবাহন পেতে সমস্যা হয় দেখে ইচ্ছা থাকলেও অনেকে নামাজ আদায় করতে আসেন না। যদি প্রতিটি জেলা থেকে বিশেষ পরিবহনের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে মুসল্লি আরও বাড়বে। ভবিষ্যতে এখানে মুসল্লিদের সংখ্যা আরও বাড়বে।রংপুর থেকে আসা অলিউল ইসলাম বলেন, এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় ও দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতে নামাজ আদায় করার অন্য অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল। আল্লাহ আজ সে আশা পুরণ করেছে। জীবনে প্রথম লাখ লাখ মুসল্লির সঙ্গে ঈদের নামাজ পড়তে পেরে ভালো লাগছে।

যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্যসহ পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, ডিবি, ডিএসবি, এনএসআই, ডিজিএফআই সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করেন। মাঠে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ ড্রোনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হয়। ছিল ঈদগাহের মাঝে র‌্যাবের ওয়াচ টাওয়ার, প্রবেশের পূর্বে মুসল্লিদের আনা যানবাহন রাখার বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশী ব্যবস্থা। মাঠে মেটাল ডিটেক্টরে তল্লাশির পর প্রবেশ করানো হয় মুসল্লিদের।

উল্লেখ্য, উপমহাদেশের বৃহৎ ঈদগাহ দিনাজপুরের গোর-এ শহীদ বড় ময়দানের আয়তন প্রায় ২২ একর। ২০১৭ সালে নির্মিত ৫২ গম্বুজের এ ঈদগাহ মিনার। এই ৫০ গম্বুজের দুই ধারে ৬০ ফুট করে দুটি মিনার, মাঝের দুটি মিনার ৫০ ফুট করে। ঈদগাহ মাঠের মিনারের প্রথম গম্বুজ অর্থাৎ মেহেরাবের (যেখানে ইমাম দাঁড়াবেন) উচ্চতা ৪৭ফুট। এর সঙ্গে রয়েছে আরও ৪৯টি গম্বুজ। এছাড়া ৫১৬ফুট লম্বায় ৩২টি আর্চ নির্মাণ করা হয়। মিনার সিরামিক্স ইট দিয়ে আচ্ছাদিত। রাতে আলোকিত করতে প্রতিটি গম্বুজ ও মিনারে রয়েছে বৈদ্যুতিক লাইটিং। ২০১৭সাল থেকে প্রতিবছর এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। এই গোর-এ শহীদ মযদানে একসঙ্গে ১০লাখ মানুষ ঈদের জামাত আদায় করতে পারার ব্যবস্থা রয়েছে। উপমহাদেশে এত বড় ঈদগাহ মাঠ দ্বিতীয়টি নেই। এছাড়াও পর্যটকদের কাছেও এটি এখন দর্শনীয়।


আরও খবর

সাফল্য অর্জনকারী ৫ জয়িতার গল্প

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪




আল জাজিরা নিষিদ্ধে ইসরায়েলে আইন পাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫২জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে আইন পাস করেছে। সোমবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আইনটি ৭০-১০ ভোটে পাস হয় এবং তেল আবিব সরকারকে ইসরায়েলে বিদেশি সংবাদমাধ্যমের কার্যালয় বন্ধ করার মতো ক্ষমতা দেয়।

বিলটি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে ইসরায়েলে বহুল প্রচারিত সংবাদমাধ্যমটির সম্প্রচার বন্ধ করার ক্ষমতা দিয়েছে।

সংবাদ সংস্থা এএফপি এবং টাইমস অফ ইসরায়েল-এর বরাতে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বিলটি পাস করার জন্য নেসেটে আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং 'অবিলম্বে আল জাজিরা বন্ধ করার জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি বাহিনী ও গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের চলমান যুদ্ধে হামাসের পক্ষে সংবাদ প্রকাশের অভিযোগেই এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে আল জাজিরার বিরুদ্ধে। গত ১৫ অক্টোবর ইসরায়েলের তথ্য ও যোগাযোগমন্ত্রী শালোমা খারহি অভিযোগ করেছিলেন, চলমান এই যুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যের এই প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমটি নিয়মিত হামাসঘেঁষা সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছে, যা ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে। ইসরায়েলের বেতার সংবাদমাধ্যম আর্মি রেডিওকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরও জানিয়েছিলেন, শিগগিরই এ ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে ইসরায়েলের সরকার।

এর আগে, গত বছর ২০ অক্টোবর ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে আল জাজিরার সম্প্রচার এবং সেটির স্থানীয় কার্যালয় ৩০ দিনের জন্য বন্ধ করতে বিল পাস হয়।


আরও খবর



বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারিকুলাম যুগোপযোগী করার তাগিদ রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়নের জোর তাগিদ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।

বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে সে লক্ষ্যে যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, উচ্চশিক্ষা বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া খুবই জরুরি। তিনি আশা করেন, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম প্রসারে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

শিক্ষার্থীরা যাতে দেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস-ঐতিহ্যসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারে সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার কথা ও বলেন রাষ্ট্রপ্রধান।

সাক্ষাৎকালে উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিকসহ সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।

এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহউদ্দিন ইসলাম ও রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

সাফল্য অর্জনকারী ৫ জয়িতার গল্প

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪