Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

নারায়ণগঞ্জ বন্দরে মৃত্যু, মৃত্যু যন্ত্রণা এবং প্যালিয়েটিভ কেয়ার বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ১৪২জন দেখেছেন

Image
ইউসুফ আলী প্রধানঃ‘মমতাময় নারায়ণগঞ্জ’ প্রকল্পের আওতায় আয়াত এডুকেশনের আয়োজনে মৃত্যু, মৃত্যু যন্ত্রণা এবং প্যালিয়েটিভ কেয়ার বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৪ মার্চ) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার উত্তর নোয়াদ্দা কমিউনিটি ক্লিনিক প্রাঙ্গণে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিউনিটি ক্লিনিকের কোষাধ্যক্ষ হাজী মোঃ তমিজ উদ্দিন’র সভাপতিত্বে ও কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার মঞ্জুর মুর্শেদ’র সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. ফয়সাল কবীর। 

সভায় মৃত্যু, মৃত্যু যন্ত্রণা বিষয়ক গুরুত্ব ও মূল বক্তব্য উপস্থাপনা করেন আয়াত এডুকেশন প্রকল্প সমন্বয়কারী সুমিত বণিক। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের সমাজে সাধারণত মৃত্যু এবং মৃত্যু যন্ত্রণা সম্পর্কে কথা বলা অস্বস্তিকর একটি বিষয় বলে মনে করা হয়। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে পরিবার, কমিউনিটির মানুষ, এবং আমাদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের সাথে মৃত্যু, মৃত্যু যন্ত্রণা, এবং মৃত্যু পরিকল্পনা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনা আমাদের মৃত্যু বা প্রিয়জনের মৃত্যুতে নিজেদের মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে সাহায্য করে থাকে। তাই এ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতে সকলের অংশগ্রহণ দরকার। মৃত্যু সম্পর্কে ভাবা বা কথা বলা অনেকক্ষেত্রে ভীতিকর মনে হতে পারে, তবে এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, এটি মানব জীবনের একটি স্বাভাবিক অংশ। অবশ্য ভালো বা খারাপ মৃত্যু নিয়ে ধারণা ব্যক্তিভেদে এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। তবে আমরা কমিউনিটির মানুষ হিসেবে একজন প্যালিয়েটিভ কেয়ারের রোগী বা মৃত্যু পথযাত্রী যেকোন মানুষের জন্য আমরা অনেক কিছু করতে পারি। তাই আমাদের সকলের উচিত, তাদের পাশে থাকা এবং তাদের এই কঠিন সময়ে একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া।’

সভার সভাপতি হাজী মোঃ তমিজ উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, ‘আজকের আগে আমি মৃত্যু নিয়ে এমন ধরণের সভার আয়োজন দেখিনি। এটি আমার কাছে নতুন মনে হয়েছে। আমার কাছে প্যালিয়েটিভ কেয়ার নিয়ে কাজ করাকে সমাজসেবামূলক কাজ মনে করি। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ এসব বিষয় নিয়ে অবগত না থাকলেও, উন্নত দেশে শিশু ও বয়স্করা প্যালিয়েটিভ কেয়ার নিয়ে অনেক সচেতন।’

সভার সঞ্চালক মঞ্জুর মুর্শেদ বলেন, ‘আমি ইতোমধ্যে প্যালিয়েটিভ কেয়ার নিয়ে একাধিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছি। আমার কাছে মনে হয়ে এ বিষয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষকে আরো বেশি সচেতন করা প্রয়োজন। আজকের সভায় সাধারণ মানুষ হিসেবে মৃত্যু বিষয়ে আপনারা যেভাবে স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে কথা বলেছেন, নিজেদের ভাবনাগুলো ব্যক্ত করেছেন, সেটা দেখে আমিও অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমি মনে করি, আমরা যদি সমাজে মৃত্যু নিয়ে এভাবে খোলামেলা নিজেদের ভাবনাগুলো শেয়ার করতে পারি, তাহলে এ নিয়ে আমাদের ভয়-ভীতিগুলো দূর হয়ে যাবে, সেই সাথে অন্য অসহায় মানুষের মৃত্যুযন্ত্রণাকে প্রশমিত করতে সহায়তা করতে পারবো।    

প্রধান অতিথি মো. ফয়সাল কবীর তার বক্তব্যে বলেন, ‘সমাজ সেবা বিভাগ নিরাময় অযোগ্য রোগীদের কল্যাণে কাজ করছে। আপনারা মমতাময় প্রকল্পের অধীনে যারা সেচ্ছাসেবক আছেন, তারা দুঃস্থ মানুষদেরকে সমাজ সেবা বিভাগের সেবা পেতে সহযোগিতা করার সুযোগ রয়েছে।’

আলোচনা সভায় অন্যান্যের মাঝে আরো বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক পান্না আক্তার, সংবাদকর্মী ইউসুফ আলী প্রধান, কমিউনিটি মবিলাইজার অনন্যা রহমান প্রমুখ। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও যুব স্বেচ্ছাসেবকসহবৃন্দ। সভায় আয়াত এডুকেশনে পক্ষ থেকে এ্যাসিস্ট্যান্ট ফিল্ড অফিসার সারোয়ার আলম, কমিউনিটি মবিলাইজার ফাহিম হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপনে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৪৫জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমারে সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়” এর শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় বিদ্যালয় হলরুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল আলম।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ডোমার পৌর কাউন্সিলর আখতারুজ্জামান সুমন এর সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, ১৯১৯ সালে ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৯ সালে বিদ্যালয়টির বয়স শত বছর হলেও বিভিন্ন কারনে সেই সময় শত বছর উদযাপন করতে পারেনি। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পরামর্শে বিদ্যালয়ের শত বছর উদযাপনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। আগামী ঈদুল আযহা এর ৩য় দিনে শতবর্ষ উদযাপন করা হবে। বর্তমানে রেজিস্ট্রেশনের কাজ চলছে যার শেষ সময় আগামী ২০ মে পর্যন্ত। শতবর্ষ উদ্যাপনের রেজিস্ট্রেশন ফি ১৯১৯-২০১৫ ব্যাচ ১০০০ টাকা। ২০১৬/২০১৭/২০১৮ ব্যাচ ৭০০ টাকা এবং ২০১৯ থেকে ২০২৪ ব্যাচ ৫০০ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে। অনুষ্ঠান সফল করতে কেউ চাইলে নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন ফির অতিরিক্ত দিতে পারবেন, সেক্ষেত্রে যত টাকা দিবেন সেই পরিমান রশিদে লিখে রশিদ সংগ্রহ করতে হবে।যারা আগে ৩০০ টাকা দিছে তারা রশিদ সহ বুথে বা প্রতিনিধির নিকট রেজিস্ট্রেশন করবে, রশিদ না থাকলে স্কুলে গিয়ে

রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। ফরমের সাথে ছবি ও মোবাইল নম্বর সহ নির্ধারিত ফর্ম নিজ দায়িত্বে পুরন করে জমা দিতে হবে।বর্তমানে স্কুলে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী ৫০০ টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে। এ সময়ের বিদ্যালয়ের সকল বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আহ্ধসঢ়;বান জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে শতবর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্ধসঢ়;বায়ক ও অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক রুহুহুল আমিন, কমিটির সহযোগী শিক্ষক হারুন অর রশিদ, ম্যােিনজিং কমিটির সদস্য বেলাল হোসেন, উজ্জল কাঞ্জিলাল, মামুনুর রশিদ বসুনিয়া সজিব, প্রাক্তন শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



সাহিত্যের আলো ছড়াচ্ছে বরিশাল থেকে প্রকাশিত অবেলার ডাক

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ১০৭জন দেখেছেন

Image
বরিশাল প্রতিনিধিঃঅবেলার ডাক সবার জন্য সাহিত্য ম্যাগাজিন নামে একটি লিটল ম্যাগাজিন গত ২০২৩ সালের মাঝামাঝি থেকে বিভাগীয় শহর বরিশাল থেকে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। এরই মধ্যে ম্যাগাজিনটি দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সাহিত্য প্রেমীদের কাছে হয়ে উঠেছে অনেক বেশি জনপ্রিয়। দেশের অসংখ্য লেখক, কবি ও সাহিত্যিকরা তাদের লেখনির মাধ্যমে অবেলার ডাক ম্যাগাজিনের প্রসারে কাজ করে যাচ্ছেন। এর আগে ম্যাগাজিনের ৫ম সংখ্যা প্রকাশ করেছে। ম্যাগাজিনের প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ রিসালাত মীরবহর এর কাছে ম্যাগাজিনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, নিজ ব্যাক্তিগত উদ্যোগে বাংলা সাহিত্য কে আরও বিস্তারের লক্ষ্যে প্রকাশনা ও সম্পাদনার কাজে আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি আরও জানান, এতো অল্প সময়ে এতো বেশি লেখকের কাছ থেকে সাড়া পেয়ে সত্যিই তিনি অনেক কৃতজ্ঞ। এছাড়া তিনি আরও জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে ম্যাগাজিন প্রাকাশনা ও সম্পাদনার কাজটি ছিল আমার জন্য অনেক বেশি কঠিন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য লেখক এই সময়ে তাকে বিভিন্ন পরামর্শ ও নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে অবেলার ডাক ম্যাগাজিন প্রকাশের বিষয়ে ব্যপক অবদান রাখেন। এ বিষয়ে বলতে গিয়ে সম্পাদক রিসালাত মীরবহর বলেন, সত্যিই আমি অনেক বেশি কৃতজ্ঞ এসব গুণী লেখক, কবি ও সাহিত্যিকদের নিকট। ম্যাগাজিনের প্রসারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, অবেলার ডাক সবার জন্য সাহিত্য ম্যাগাজিনে নতুন লেখকের সংখ্যা আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া এর পাশাপাশি নিয়মিত লেখক সংখ্যাও পূর্বের তুলনায় অনেক বেড়েছে। যারা প্রতি সংখ্যায় নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন। ভবিষ্যতে আরও নতুনত্ব নিয়ে সবাইকে সাথে করে পথ চলতে চায় সবার জন্য সাহিত্য ম্যাগাজিন অবেলার ডাক। এজন্য সকল লেখক ও কবিদের কাছে সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি।

আরও খবর



যশোরে সর্বোচ্চ ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:চলতি মৌসুমে যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে ৩টায় জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করে যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির আবহাওয়া দফতর। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৯ শতাংশ।

আবহাওয়া অফিস জানায়, খুলনা বিভাগে তীব্র তাপদাহ বেশকিছু দিন ধরেই চলছে।বিশেষ করে এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়। প্রতিদিনই তাপমাত্রা বাড়ছে এক ডিগ্রি করে।

বৈশাখের তপ্ত গরমে বিপর্যস্ত সারাদেশের সাথে যশোরের মানুষ।  তীব্র তাপপ্রবাহে আগুন ঝরা রোদ থেকে রক্ষা পেতে যশোরের মানুষ একটু ছায়া খুঁজছেন।

চরম ভোগান্তি নেমে এসেছে যশোরের সাধারণ মানুষের জনজীবন। ভোগান্তিতে চরমে রয়েছেন শ্রমজীবী মানুষেরা। তাছাড়া  শহরের বেশ কয়েকটি সড়কের পিচ গরমে গলে উঠে গেছে। সূর্যের তাপ এতই বেশি যে, বাতাসেও গরম অনুভূত হচ্ছে। এতে ছাতা মাথায় দিয়ে তাপ থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন অনেকেই।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এ তাপদাহ আরও কিছুদিন বিরাজ করবে। এতে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।


আরও খবর



সুনামগঞ্জে একদিনে ৪ জন সহ ৩ দিনে ৫জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১০২জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জে একদিনে ৪ জনসহ গত ৩দিনে ৫জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ পৃথক স্থান থেকে মৃতদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোসহ পরিবারের নিকট হস্থান্তর করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের তেরহাল গ্রামের হাঁসের ধান খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এঘটনায় প্রতিপক্ষের কিলঘুষিতে নোয়াব আলী (৫৮) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া এলাকা থেকে চোরাকারবারী রমিজ মিয়া (৫২) এর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে ওইদিন রাতে মর্গে পাঠায় পুলিশ। সোর্স পরিচয়ধারী আক্কল আলী ও তার ছেলে রুবেল তাদের লোক দিয়ে প্রতিদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চুনাপাথর ভাংগে। তাদের সাথে রমিজের ছেলে সাইদুল ও জড়িত। ভারত থেকে অবৈধ ভাবে পাচাঁরকৃত সেই চুনাপাথর বড়ছড়া শুল্কস্টেশনের কাঠের ব্রিজের পাশে নিয়ে মজুত করে। এছাড়া চাঁনপুর ও টেকেরঘাট সীমান্ত দিয়ে অবাধে কয়লা পাচাঁর করে বিভিন্ন ডিপুতে নিয়ে তারা মজুত করে। এরপর পুলিশ ও সাংবাদিকদের নামে ১টন চোরাই কয়লা থেকে ১হাজার টাকা, বিজিবির নামে ৭টাকাসহ ১ ঠেলাগাড়ি (৫ ফুট) চুনাপাথর থেকে ৩টাকা চাঁদা তুলে সোর্স আক্কল আলী। তার কথা মতো চাঁদা না দিলে ঘটে নানান বিপত্তি, চোরাকারবীদেরকে করা হয় হয়রানী।

এব্যাপারে মৃত রমিজের স্ত্রী জোসনা বেগম বলেন-সোর্স আক্কল আলীর কথা মতো চাঁদা না দেওয়ার কারণে সে সন্ধ্যা ৭টায় টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এএসআই জিয়াউর রহমানকে দিয়ে আমার স্বামীকে আটক করে। আমার স্বামী তাদের প্রতিবাদ করার করণে আক্কল আলী ও এএসআই জিয়া লাটি পেটা করাসহ কিলঘুষি মারে। এঘটনায় রমিজ মিয়ার নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়ে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সোর্স আক্কল আলী পুলিশ নিয়ে মোটর সাইকেল যোগে পুলিশ ফাঁড়িতে চলে যায়। পরে রক্তাক্ত রমিজকে গুরুতর অবস্থায় স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষনা করে।

এব্যাপারে টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই জিয়াউর রহমান সাংবাদিকদের জানান- রমিজ মিয়া একটি মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী। সে আমাদের আসার খবর পেয়ে পালিয়ে যায়। সে পালানোর পর আমরা তাকে আর ধরতে পারিনি। কিছু সময় খোঁজাখুজি করে আমরা চলে আসি। তাকে মারধর করার প্রশ্নই উঠে না। অন্যদিকে এদিন রাত ১০টায় জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালি ইউনিয়নের কলকতখাঁ গ্রামে মায়ের নামের জমির দখল নিয়ে ছোট ভাইয়ের ঘুষিতে আপন বড় ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মৃত ভাইয়ের নাম- হাফিজ উল্লাহ (৩০)। অপর দিকে সন্ধ্যায় পাশের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের মধুরাপুর গ্রামের মালেক নূর (৪৫) ও আব্দুন নূর (৪০) বজ্রপাতের শিকার হয়ে মৃত্যু বরন করেন। তারা হাওরে ধান মাড়াই করার সময় বজ্রপাতের শিকার হয়ে আহত হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষনা করেন।

জামালগঞ্জ থানার ওসি দিলীপ কুমার, দিরাই থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন ও শান্তিগঞ্জ থানার ওসি কাজী মোক্তাদির হোসেন পৃথক ঘটনায় ৫জনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর



কুষ্টিয়া বিএডিসি এডি’র বিরুদ্ধে দূর্ণীতির অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ২৯জন দেখেছেন

Image
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃকুষ্টিয়া বিএডিসি (সার) অফিসের সহকারী পরিচালক মহিউদ্দিন মিয়া’র বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন কুষ্টিয়া বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন (বিএফএ)’র কুষ্টিয়া জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ ও সাধারন ডিলাররা। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সমন্বয় কক্ষে বিএফএ কুষ্টিয়া জেলা শাখার নেতৃবৃন্দদের সাথে গত ২৮ এপ্রিলে জেলা প্রশাসকের সাথে সমন্বয় মিটিং হয়। উক্ত মিটিংএ ডিলার নেতৃবৃন্দ বাদেও অন্যান্য ডিলারগন উপস্থিত ছিলেন কিন্তু উক্ত মিটিংএ মহিউদ্দিন মিয়া অজুহাত দেখিয়ে উপস্থিত না হয়ে উপস্থিত করেছিলেন যুগ্ন পরিচালক ওসমান গনিকে। উক্ত মিটিংএ জেলার সভাপতি ও কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ অজয় সূরেখা ও সাধারন সম্পাদক আক্কাস আলী জেলা প্রশাসককে জানান, বর্তমান এডি ২০.০৫.২০২২ তারিখে অত্র অফিসে যোগদান করে কিছু অসাধু ডিলারদের সাথে সম্পর্ক তৈরী করে আর্থিক দূর্ণীতি করে যাচ্ছেন। তারই জের ধরে গত বছর এডি লেবারদেরকে উস্কে দিয়ে ডিলারদেরকে শারিরিকভাবে লাঞ্চিত করেছিল যা নিউজ সহ ভিডিও নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। নেতৃবৃন্দরা বলেন, কতিপয় দালাল ডিলারদের সহযোগিতায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকার বাণিজ্য করে যাচ্ছেন। তারা বলেন, গত মার্চ মাসে তিউনিশিয়ার টিএসপি সার কুষ্টিয়া গোডাউনে আসলেও তিনি তার বরাদ্দ দেন নাই। এই সারের ব্যাপক চাহিদা থাকায় গোডাউনের এক কর্ণারে লুকিয়ে রাখে এবং তার দালাল ডিলারদের মাধ্যামে অতিরিক্তি অর্থের বিনিময়ে পে-অর্ডারের মাধ্যমে তা বিতরন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় নজরুল ইসলাম নজু নামের এক ডিলারকে বরাদ্দপত্র বাদেই গত এপ্রিল মাসের ২০ তারিখে গোপনে ঐ সার ট্রাকে লেবারদের দিয়ে তুলে দেওয়ার সময় অন্য এক ডিলার এসে হাতে নাতে ধরে ফেললে তাৎক্ষনিক ভাবে তাকে ৪৫ বস্তা টিএসপি সার দিয়ে ম্যানেজ করেন এডি। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে তোড়পাড় সৃষ্টি হলে দ্রুত কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর থেকে বরাদ্দপত্র এনে ১৫ বস্তা করে সার দেন। প্রেরিত সারের অনুকূলে তিনটি জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অপরিদপ্তর থেকে প্রতিটা জেলার ডিলারদেরকে সার গুলো বিভাজন করে বাজারজাতকরণের জন্য কুষ্টিয়া বিএডিসি অফিসে প্রেরণ করেন। উক্ত বরাদ্দকৃত লিস্ট ডিলারদের হাতে না দিয়ে ফোনে জানিয়ে দেন বর্তমান এডি। এটা অবগত হওয়ার পর বিএডিসি অফিসের অনুকূলে পে-অর্ডার করেও তারা টিএসপি সার পান না বলে অভিযোগ করেন। অন্যদিকে গত ২১ শে এপ্রিল তারিখে অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে ৪০০+৪০০= ৮০০ বস্তা দুই ট্রাক টিএসপি সার মেহেরপুরের এক ডিলারের গোডাউনে আনলোড করার সময় অন্যান্য ডিলারদের হাতে ধরা পড়ে। এভাবে মাসে ২/৩ বার অবৈধভাবে তার সিন্ডিকেটধারী ডিলারদেরকে প্রদান করেন বলে তারা জানান। তারা এটাও বলেন আমরা ডিলাররা তার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছি কারন, বরাদ্দের অনুকুলে প্রতিবস্তা টিএসপি সার নিতে আমাদেরকে দিতে হয় ১৩০ টাকা ও ক্যানাডার এমওপি সার বস্তা প্রতি দিতে হয় ৩০ টাকা করে। উক্ত টাকা নেওয়ার কোন বিধান নেই এই টাকা এডি’র ঘনিষ্ঠ দু’জন অনুসারী গিয়াস ও মহিউদ্দিনের হাতে নগদে দিতে হয় বলে ডিলাররা জানান। এদিকে ডিলার নজু প্রতিদিন সকাল থেকে এডির চেম্বারসহ আশেপাশে থাকেন, তিনি বাড়ী না যাওয়া পর্যন্ত নজু সাথেই থাকেন। তারা এটাও বলেন নজুর নির্দেশে এডি তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যা অন্য কোন ডিলাররা বেশী সময় অবস্থান করেন না। কাজ শেষ হয়ে গেলে বের হয়ে যায়। অফিসের সিসি টিভি ফুটেজ চেক করলেই বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল। কুষ্টিয়ার একাধিক সার ডিলার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা কি ফকিরনির সন্তান নাকি, প্রতিটা সার ডিলাররা অনেক সাবলম্বী। অর্থ না থাকলে সার ডিলারের ব্যবসা করা যায় না। আর এই সকল ডিলারদেরকে তিনি অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করেন। এটা আমরা মেনে নিতে পারছি না। সার ডিলারদের উপরোক্ত অভিযোগের বিষয়ের সত্যতা জানতে কুষ্টিয়া বিএডিসি (স্যার) অফিসের এডি মহিউদ্দিন মিয়া কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি’কে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন । আমাকে জেলা প্রশাসক ডেকেছিল আমি বিস্তারিত বলেছি । তিনি এটাও বলেন, ‘হয় আমি এই অফিসে, থাকবো না হয় ডিলাররা থাকবে’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি কি বিএফএ’র চাকরী করি, আমি চাকরী করি সরকারের। তিনি এটাও বলেন, নীচ তলাতে কি হয় দ্বিতীয় তলার ব্যক্তি সব জানে, মানে যুগ্ন পরিচালক। অন্যদিকে যুগ্ন পরিচালক বলেন, নীচ তলাতে কি হয় আমি জানি না। তিনি কর্কট ভাষায় এটাও বলেন, আমার যা আছে তাতে আমার চাকরী করে খাওয়া লাগবে না। তবে ডিলার নজরুল ইসলাম নজুর বিষয়টি সম্পূর্ণ স্বীকার করেন দুজনেই। তবে জেলা প্রশাসকও তদন্ত করছে বলে জানান উপস্হিত ডিলাররা।
 
ডিলাররা এটাও বলেন, কুষ্টিয়া শহরে ফ্লাট কিনেছেন, ঢাকা কল্যানপুরে জমি কিনেছেন। অঢেল তরল সম্পদের মালিক হয়েছেন, দুই বছরেই তিনি আঙ্গুল ফুঁলে কলাগাছ হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান প্রয়োজন জরুরী ভিত্তিতে। পূর্বের এডি মাহাবুবুর রহমানের বাড়ী ছিল ফরিদপুরে বর্তমান এডি’র বাড়ীও ফরিদপুরে। তবে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষের মিটিং এ ডিলারদের এত অভিযোগর কোন উত্তর দিতে পারেন নাই যুগ্ন পরিচালক ওসমান গনি। অন্যদিকে যুগ্ন পরিচালক ওসমান গনি তার পক্ষে সাফাই গেয়ে বললেন, তিনি জমিদারের সন্তান, তিনি জমি, ফ্লাট কেন আরো কিছু কিনতে পারেন। এ বিষয়ে নাগরিক সমাজের ব্যক্তিরা বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিডিসি)’র চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ ও মাহাব্যবস্থাপক (সার ব্যবস্থাপনা) মো আজিম উদ্দিনের প্রতি জোর দাবী জানিয়ে বলেন, বিষয়টি ডিলারদের সাথে এডি ও ডিডির যে বৈষম্য চলছে তা দ্রুত তদন্তপূর্বক বদলীসহ সমাধান করুন নইলে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে কৃষক সমাজ। ডিলার ও অফিসের এডি মহিউদ্দিন তারা এক অন্যেও উপর ফুঁসে আছে তাতে আরো বড় ধরনের সংঘর্ষ সৃষ্টি হতে পারে।

আরও খবর