Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম
সুনামগঞ্জে মাদক,কয়লা ও মোটর সাইকেলসহ ৩ জন গ্রেফতার সারা দেশে পাওয়া যাচ্ছে ইনফিনিক্সের বাজেট ফোন স্মার্ট ৮ প্রো শিল্পী সমিতির নির্বাচন: ডিপজলের দায়িত্ব পালনে স্থগিতাদেশ জারি আগরবাতি তৈরি করে ১০ হাজার নারীর ভাগ্য বদল ইরানের অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন মোহাম্মদ মোখবের রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২২ মাগুরায় মহানবী (সাঃ)কে কুটুক্তি করায় দুটি বাড়িতে আগুন সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশতাধিক মিরসরাইয়ে আবারো মিললো অবিস্ফোরিত গ্রেনেড, পরে ধ্বংস শীঘ্রই বাজারে আসছে টেকনো ক্যামন ৩০ সিরিজের ফোন হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত : ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ছাড়াও যারা মারা গেলেন

বিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৮১জন দেখেছেন

Image

মিজানুর রহমান মিজান,বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ২০২৪ইং সালের ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ১ম পর্যায়ে বুধবার ( ৮ মে) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো.পারভেজ কবীর, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান মোছা: উম্মে কুলসুম বানু ও ভাইস-চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে মো. আতাউর রহমান বেসরকারীভাবে নির্বাচিন হয়েছেন।

বুধবার (৮ মে) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ভোট গণনা শেষে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার (ভারঃ) ও  সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জোবায়ের হোসেন। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জোবায়ের হোসেন জানান, বিরামপুর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৫১ হাজার ৬৪৬ জন। এর মধ্যে মধ্যে বৈধ ভোটরে সংখ্যা ছিল ৭৫ হাজার ৭ শত ৭৪টি।

বিরামপুর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে ৪২ হাজার ৯'শত ৬৭ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বিরামপুর আ’লীগের যুগ্ম-সাধারণ আলহাজ্ব মো.পারভেজ কবীর । তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আলহাজ্ব মতিউর রহমান পেযেছেন ৩২ হাজার ৮'শত ৭ ভোট। মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে হাঁস মার্কা প্রতীকে উম্মে কুলসুম বানু ২৯ হাজার ৮'শত ৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আমেনা বেগম বৈদ্যুতিক পাখা মার্কা নিয়ে ভোট পেয়েছেন ২২ হাজার ৪'শত ২৩টি। ভাইস-চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে মো. আতাউর রহমান চশমা মার্কা প্রতীকে ৩২ হাজার ৬'শত ১৫ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিন হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খোরশেদ আলম মানিক টিউবওয়েল মার্কা পেয়েছেন ১৭ হাজার ১'শত ৮৩ টি ভোট।

নির্বাচন বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসার (ভারঃ) ও  সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জোবায়ের হোসেন জানান, এই নির্বাচনে উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি অন্যান্য প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সার্বিক সহযোগিতা পেয়েছি। কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুন্দর ও সুষ্ঠু ভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই সঙ্গে বেসরকারিভাবে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করেছি।


আরও খবর



সিরাজগঞ্জে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৪০জন দেখেছেন

Image
রাকিব সিরাজগঞ্জ থেকে:সিরাজগঞ্জে জেলা পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক কর্মশালা বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরা ব্যবসায়ী,খাদ্য ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধি,সুধীজন, গণমাধ্যম কর্মী ও সরকারি কর্মকর্তাগণদেরকে নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 
বুধবার ( ১৫ মে) সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ.কে শহিদ শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় জেলা পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক কর্মশালায়  সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এর সভাপতিত্বে শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নিরাপদ খাদ্য সিরাজগঞ্জ জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মো. আতিকুর রহমান। 

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নিরাপদ খাদ্র বিষয়ক জনসচেতনতামূলক দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন,সদস্য বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ শোয়েব। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ শোয়েব তিনি বলেন,নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে অবশ্যই ভালো ও উন্নত মানের বীজ তৈরি করতে হবে। কৃষি বিভাগের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে খাদ্য ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগর মাধ্যমে নিয়ম কানুন বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে। কৃষি ক্ষেত্রে কীটনাশকের প্রয়োগ কমাতে হবে। জৈব সারের প্রয়োগ বাড়াতে হবে। ক্ষতিকারক পোকামাকড় দমনে কীটনাশকের বিকল্প হিসেবে পোকা দমন ফাঁদ ব্যবহার করতে হবে। প্রতিনিয়ত মনিটরিং এবং হোটেল রেস্তোরা মালিক কর্মচারীদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। সর্বপরি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে যে আইন আছে তা প্রয়োগ করতে হবে এবং শাস্তির আওতায় আনতে হবে। কর্মশালার সভাপতি জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন,খাদ্য যদি নিরাপদ না হয় তাহলে তা খাদ্য নয়। খাদ্যকে নিরাপদ হওয়া উচিত সবার আগে। কারণ খাদ্য থেকে বিরত থাকার কোন উপায় নেই। তবে খাদ্য নিয়ে আমাদের মাঝে অসচেতনতা আছে। জনসচেতনতাই পারে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে। অনিরাপদ খাদ্যের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। স্মার্ট খাদ্য গ্রহণ করতে হবে তবেই স্মার্ট নাগরিক গড়ে উঠবে।

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) গনপতিরায়, সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. রামপদ রায়,জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ প্রতিদিন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক, সিনিয়ার সাংবাদিক ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশ রেস্তোরা মালিক সমিতি সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম,জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.হারুনর রশিদ প্রমুখ।

আরও খবর



‘প্লাটিনাম’ গ্রেডে লিড সার্টিফিকেট পেলো নিপা গ্রুপের ২ সহ প্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মে ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ২২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য মো. খসরু চৌধুরী সিআইপি প্রতিষ্ঠিত নিপা গ্রুপের সহ প্রতিষ্ঠান কেসি জ্যাকেট ওয়্যার কোম্পানি ও কে সি বটম এন্ড শার্ট ওয়্যার কোম্পানিকে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে ‘প্লাটিনাম’ গ্রেডে লিড (লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিজাইন) সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে।  

রবিবার দুপুরে ইউএসজিবিসি প্রতিনিধি দলের সমন্বয়ক শান্তনু কুমার দত্ত নিপা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খসরু চৌধুরী সিআইপির হাতে এ সার্টিফিকেট তুলে দেন।

লিড সার্টিফাইড পোশাক কারখানা বলতে বোঝায়, ওই কারখানায় নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে এবং উৎপাদন কার্যক্রমে তুলনামূলক কম কার্বন নিঃসরণ করছে। এ দুটি প্রতিষ্ঠান রাজধানীর দক্ষিণখান ও উত্তরখানে অবস্থিত।

‘প্লাটিনাম’ গ্রেডে লিড সার্টিফিকেট অর্জনের পর নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে নিপা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য মো. খসরু চৌধুরী বলেন, ‘এটি আমার জন্য এক বিশাল অর্জন ও একই সঙ্গে গর্বেরও বিষয়। আমার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানীগুলো পোশাকের গুণগত মান প্রতিনিয়ত উন্নয়ন করতে কাজ করে যাচ্ছে। আশাকরি নিপা গ্রুপের সহ প্রতিষ্ঠান কেসি জ্যাকেট ওয়্যার কোম্পানি ও কে সি বটম এন্ড শার্ট ওয়্যার কোম্পানি দেশের সম্মান বৃদ্ধিতে আরও যত্নশীল হবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিখাতে আরও অবদান রাখবে।


আরও খবর



মেহেরপুরের বাজারে অপরিপক্ক লিচু বিক্রি হচ্ছে

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১১০জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরের বাজারে উঠতে শুরু করেছে রসালো ফল লিচু। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ঝরে পড়ায় পরিপক্ক হবার আগেই বাগান থেকে লিচু সংগ্রহ করছেন চাষিরা। ফলে লিচুর আসল স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ভোক্তারা। অপরিপক্ক লিচু না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকগন। অপরদিকে লিচুর গুণগত মান ঠিক রাখার জন্য আরও কয়েকদিন পর লিচু সংগ্রহের পরামর্শ দিয়েছে কৃষি বিভাগ।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় ৮০০ হেক্টর জমিতে লিচুর বাগান রয়েছে। শুরুতে ৬০ শতাংশ গাছে মুকুল এসেছিল। এ সব বাগানে, আটি লিচু, মোজাফ্ফর বোম্বাই, চিলি বোম্বাই, আতা বোম্বাই ও চায়না-থ্রি জাতের লিচু উৎপাদন হয়ে থাকে।

লাভজনক হওয়ায় এ জেলায় লিচুর আবাদ বাড়ছে। এখানকার লিচু রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে।

চলতি মৌসুমে একটু দেরী করেই গাছে মুকুল এসেছিল তাও অনেক কম। উপরন্ত প্রচন্ড তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে গাছ থেকে ঝরে গেছে অনেক লিচু। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের। কৃষকরা বলছেন, বৈরি আবহাওয়ার কারণেই পরিপক্ক হবার আগেই গাছ থেকে লিচু পেড়ে ফেলতে হচ্ছে। কারণ গাছ থেকে লিচু ঝরে পড়ছে। গাছে লিচু ফেটে যাচ্ছে। কাক্সিক্ষত দাম না থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের। উৎপাদন খরচ তুলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। 

তবে লিচুর আবাদে চাষিরা লোকসান গুনলেও লাভবান হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। পরিপক্ক হবার আগেই লিচু বাজারে আসায় লিচুর স্বাদও কমছে বলে জানান ভোক্তারা। বাজারে লিচু কিনতে আসা আজমাইন হোসেন জানান, বাজারে নতুন ফল এসেছে। তাই বাড়ির ছেলে মেয়েদের জন্য কিনেছেন। যদিও একটু স্বাদ কম। আরো কিছুদিন গাছে থাকলে লিচু পুষ্ট হতো স্বাদও পাওয়া যেতো। 

লিচু চাষি শওকত আলী জানান, তার বাগানে শতাধিক লিচু গাছ থাকলেও ফল এসেছে অর্ধেক গাছে। আবার গত বছরের তুলনায় সেই গাছ গুলোতে লিচু দাঁড়িয়েছে কম। আর রোদ্রের তাপে গাছ থেকে লিচু একাই ঝরে পড়ছে। গাছে গোড়াই পানি দিয়েও তেমন একটা ফল পাওয়া যাচ্ছে না। আবার যেগুলো গাছে আছে, তা আবার আকারে ছোট। যার কারণে এবারে বাগানে যা লিচু পাওয়া যাবে তা তিন ভাগের এক ভাগ।

ক্রেতা সেলিম রেজা জানান, বাজারে প্রকারভেদে লিচুর দাম এবার একটু চড়া। প্রতি ১০০ লিচুর দাম হাঁকা হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত, প্রতি পিস হিসেবে যার দাম আসছে দুই টাকা পঞ্চাশ পয়সা থেকে তিন টাকা পর্যন্ত। এ বছর লিচুর দাম একটু বেশি হলেও মৌসুমি ফল হিসেবে ক্রেতারা এ লিচু কিনছেন বেশি দামে। এক পন (৮০) টি লিচু কিনলাম ১৯০ টাকায়। আরও বেশি নেয়ার ইচ্ছে ছিল তবে টক ও তুলনামূলক আঠির আকার বড়, রয়েছে পোকার আক্রমণও তাই বেশি কেনা হয়নি।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক এম কে রেজা জানান,হাইপোগ্লাইসিন এ সাধারণত কাঁচা বা আধা পাকা অর্থাৎ পাকা নয়, এমন লিচুতে পাওয়া যায়। এটি একটি অ্যামিনো অ্যাসিড, যা মারাত্মক বমি বমি ভাব সৃষ্টি করে। অন্যদিকে মিথাইলিন-সাইক্লো-প্রোপাইল-গ্লাইসিন উপাদানটি গ্রহণের ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ দ্রুত কমে যায়। এর কারণে বমি, অচেতন এবং দুর্বল হয়ে পড়ে রোগী। কাঁচা বা আধা পাকা লিচু খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিৎ। এ বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে সচেতনতাও বাড়াতে হবে।

গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন জানান, লিচুর গুণগত মান ধরে রাখার জন্য আরও কয়েকদিন পর লিচু বাজারজাত করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে কৃষকদের। শিলাবৃষ্টি এবং ঝড় ছাড়া বর্তমানে যে আবহাওয়া বিরাজ করছে তা লিচুর জন্য উপযোগী। অপরিপক্ক লিচু খেলে ভোক্তরা লিচুর পুষ্টিমান পাবে না। লিচুর স্বাদ থেকেও বঞ্চিত হবে। এমনকি লিচুর যে ওজন হওয়ার কথা তাও হবে না।


আরও খবর



এমভি আবদুল্লাহ ২৩ নাবিকসহ দেশের পথে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১২২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে সোমালিয়ান জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ । সোমবার (২৯ এপ্রিল) মধ্যরাতে ২৩ নাবিককে নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর ত্যাগ করে জাহাজটি।

এর আগে ওই বন্দরে জাহাজে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর বোঝাই করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, দস্যুমুক্ত হওয়ার পর ২৩ নাবিকসহ ২১ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে নোঙর করে এমভি আবদুল্লাহ। সেখানে কয়লা খালাস করে জাহাজটি ২৭ এপ্রিল মিনা সাকার বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এরপর মিনা সাকার থেকে ৫৬ হাজার চুনাপাথর লোড করে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে জাহাজটি। মুক্ত হওয়া ২৩ নাবিকও আসছেন একই সঙ্গে। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর কুতুবদিয়া চ্যানেলে জাহাজ থেকে কার্গো খালাস করা হবে।

প্রসঙ্গত, ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতের আল–হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর তারা জাহাজটিকে সোমালিয়া উপকূলে নিজেদের ডেরায় নিয়ে যায়। ৩১ দিনের জিম্মি জীবন পার করার পর ১৩ এপ্রিল ছাড়া পান ওই ২৩ নাবিক।

মুক্ত হওয়ার পর পরই ১ হাজার ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় এমভি আবদুল্লাহ। কড়া নিরাপত্তা দিয়ে জাহাজটিকে ঝুকিপূর্ণ জলসীমা পার করে দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুইটি যুদ্ধজাহাজ ও তিনটি টহল জাহাজ।

এর আগে, ২০১০ সালের ডিসেম্বরেও আরব সাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল একই মালিকপক্ষের জাহাজ এমভি জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। পরে ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


আরও খবর



তীব্র গরমে পল্লবী থানা পুলিশের দেওয়া পানিতেই তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৩৬জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার , স্টাফ রিপোর্টার:তীব্র গরমে পল্লবী থানা পুলিশের দেওয়া পানিতেই তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ তীব্র তাপদাহে পথচারী, রিকশাচালক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেছে পল্লবী থানা পুলিশ। এর আগে খেটে খাওয়া মানুষসহ সড়কে থাকা নারী-পুরুষ সবাইকে এ গরম থেকে কিছুটা প্রশান্তি দেওয়ার লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপির) উদ্যোগে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হয়।

তারই ধারাবাহিকতায় পল্লবী থানার অফিসার্স ইনচার্জ এর উদ্যোগে  দিনভর রাজধানীর পল্লবী থানা  এলাকার বিভিন্ন সড়কে থাকা প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করা মানুষদের মধ্যে বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হয়। এ সময় পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অপূর্ব হাসান  বলেন, ডিএমপি কমিশনার স্যারের নির্দেশক্রমে পল্লবী থানা এলাকায় পথচারী, অসহায় ও শ্রমজীবী মানুষের মাঝে বিনামূল্যে সুপেয় পানি পান করানো হচ্ছে। এই প্রতিকূল আবহাওয়া ও প্রচণ্ড দাবদাহ থেকে সাধারণ মানুষের কষ্ট কিছুটা নিবারণ করার উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই বিশুদ্ধ পানি সাধারণত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় পথচারী ও অন্যান্যদের মধ্যে সরবরাহ করার উদ্যোগ নেওয়া নিয়েছি। তাপদহ যতদিন চলবে আমরাও আমাদের এই কার্যক্রম চালিয়ে যাবো ইনশাল্লাহ। 

সরেজমিন দেখা যায়, ভ্রাম্যমান গাড়ির উপরে তৈরি করা হয়েছে 'ওয়াটার বুথ'। আর এই বুথ থেকেই পথচারী, রিকশাচালক, শিক্ষার্থী ও শ্রমিকসহ সব পেশার মানুষ বিনামূল্যে সুপেয় পানি পান করছেন সকলে। প্রয়োজনে দেওয়া হচ্ছে ওরস্যালাইনও। এ বুথেও সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন পল্লবী থানার বিভিন্ন পুলিশ সদস্যরা।

আরও খবর