Logo
আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ম্যারাডোনা বেঁচে থাকলে খুশি হতেন: মেসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩০৯জন দেখেছেন

Image

 স্পোর্টস ডেস্ক; বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডটি এখন লিওনেল মেসির। গতকাল রাতে পোল্যান্ডের মুখোমুখি হয়ে প্রয়াত ডিয়েগো ম্যারাডোনার ২১ ম্যাচ খেলার রেকর্ড পেছনে ফেলেছেন তিনি। বিশ্বকাপে মেসির ২২তম ম্যাচে পোল্যান্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার টিকিট পেয়েছে আর্জেন্টিনা।

চারটি বিশ্বকাপ খেলা ম্যারাডোনা বেঁচে থাকলে খুশি হতেন উল্লেখ করে মেসি বলেন, ‘রেকর্ড ভেঙে এগিয়ে চলা আনন্দের বিষয়। আমার মনে হয় ডিয়েগো বেঁচে থাকলে খুব খুশি হতেন। তিনি আমাকে অনেক স্নেহ করতেন।’

প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হারের পর আর্জেন্টিনা দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে পারবে কি না, শঙ্কা জেগেছিল। মেসি মনে করেন, আর্জেন্টিনা একদম ঠিক সময়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রথম গোলটির পর থেকে সবকিছু আমাদের ইচ্ছেমতোই হয়েছে। এরপর আমরা সেই খেলাটা ফিরিয়ে এনেছি, যেটা বিশ্বকাপের শুরু থেকেই খেলার চেষ্টা করছি।’

দ্বিতীয় রাউন্ডে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। আগামী শনিবার অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। এই ম্যাচ সামনে রেখে মেসি বলেন, ‘আমরা জানি, এখন থেকে সবকিছুই কঠিন হবে। প্রতিপক্ষ যে-ই হোক, সহজ হবে না। আমরা সাম্প্রতিক সময়ে নিজেদের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, যে কেউ ভালো খেলে জিততে পারে।’

তবে মেসি ভক্তদের প্রতি আস্থা রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন। অবশ্য সৌদির কাছে হারের পরও ঠিক একই অনুরোধ করেছিলেন তিনি। আর এর প্রতিদানও পেয়েছে ভক্তরা।


আরও খবর



স্যামসাং গ্যালাক্সি এ১৫ ৫জি - দুর্দান্ত সব ফিচার ও অসাম ডিসপ্লে নিয়ে

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১৯৫জন দেখেছেন

Image

প্রযুক্তি ডেস্ক:ক্রেতাদের স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতায় তাক লাগাতে এবার স্যামসাং বাংলাদেশে নিয়ে এলো গ্যালাক্সি এ১৫ ৫জি। ৫,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের সুবিশাল ব্যাটারি ও সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লের মাধ্যমে এ অসাম ডিভাইস নিশ্চিত করবে দিনভর গেমিং ও স্ট্রিমিংয়ের দারুণ অভিজ্ঞতা! 

এ বিষয়ে স্যামসাং ইন্ডিয়া ইলেক্ট্রনিকস প্রাইভেট লিমিটেডের বাংলাদেশ ব্রাঞ্চ অফিসের হেড অব এমএক্স বিজনেস মো. মূয়ীদুর রহমান বলেন, “দেশে গ্যালাক্সি এ১৫ ৫জি আনতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আশা করি এই ডিভাইস ব্যবহারকারীদের জীবন আরও আনন্দদায়ক করে তুলবে। এ১৫ এর শক্তিশালী ক্যামেরায় প্রিয়জনদের সাথে অথবা পছন্দের জায়গাগুলোর ছবি তোলা যাবে, যত ইচ্ছা তত। সাথে, এর সুবিশাল ব্যটারি ফোনটিকে দিনভর চালু রেখে আপনার জীবনের রোমাঞ্চকর মুহূর্তগুলোকে করে তুলবে আরও রোমাঞ্চকর।”

ভিশন বুস্টার সহ ৬.৫-ইঞ্চি এফএইচডি+ সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে সমৃদ্ধ স্যামসাং গ্যালাক্সি এ১৫ ৫জি ফোনে সকল কনটেন্ট দেখা যাবে একদম ঝকঝকে – এমনকি সরাসরি সূর্যের আলোতেও ফোনের ব্যবহারকারীদের কনটেন্ট দেখতে কোন অসুবিধা হবে না। ফোনটির ডিসপ্লেতে রয়েছে ৯০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট। ঘরের বাইরেও স্ট্রিমিংয়ে চমৎকার ছবি নিশ্চিত করতে এতে ৮০০ নিট পর্যন্ত ব্রাইটনেস বাড়ানো সম্ভব। এর পাশাপাশি, রাতে অথবা কম আলোতে ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতা আরও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক করতে এতে আছে আই কমফোর্ট শিল্ড, যা ক্ষতিকারক নীল রশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করে।

স্মার্টফোনটির ব্যবহারকারীদের দেশ অথবা বিদেশ ভ্রমণকে আরও উপভোগ্য করে তুলবে ডিভাইসটির ৫,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। পাশাপাশি, এর ২৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং ফোনকে দ্রুত চার্জ করে ব্যবহারকারীদের রাখবে দুশ্চিন্তামুক্ত।

৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি লেন্স, ৫ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা ওয়াইড ও ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো ক্যমেরায় সমৃদ্ধ এই স্মার্টফোনে যেকোন মুহূর্ত অথবা জায়গার দুর্দান্ত ছবি ক্যামেরাবন্দি করা যাবে অনায়াসেই। বন্ধুদের সাথে সকল স্মৃতি ধরে রাখতে এতে আরও থাকছে ১৩ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা।

স্যামসাংয়ের এই নতুন সংযোজনে যথেষ্ট স্পেস ও স্পিড নিশ্চিত করে ব্যবহার করা হয়েছে মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৬১০০+এসওসি ও মালি জি৬৭-এমপি২ জিপিইউ। তিনটি ভার্সন-এ  গ্যালাক্সি এ১৫ পাওয়া যাবে: ৬/১২৮জিবি , ৮/১২৮জিবি এবং ৮/২৫৬জিবি। ইন্টার্নাল স্টোরেজ মাইক্রো এসডি কার্ড ব্যবহার করে ১ টিবি পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। অ্যান্ড্রয়েড ১৩ এর ওপর ভিত্তি করে ওয়ান ইউআই ব্যবহার করা হয়েছে এই স্মার্টফোনে। চতুর্থ প্রজন্মের ওএস আপগ্রেড ও ৫ বছরের সিকিউরিটি মেইন্টেনেন্স উপভোগ করতে পারবেন এই ডিভাইসের ব্যবহারকারীরা। পাসওয়ার্ড, পিন ও প্যাটার্নের মতো ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে সার্টিফায়েড ইএএল৫+ স্যামসাং নক্স ভল্ট এর সুরক্ষা রয়েছে এই স্যামসাং গ্যালাক্সি এ সিরিজের নতুন এ ডিভাইসটিতে।

আপনার দৈনন্দিন জীবনকে আরও রঙিন করে তুলতে গ্যালাক্সি এ১৫ ৫জি পাওয়া যাবে দুর্দান্ত রঙ ও ডিজাইনে । প্রাইস শুরু ৩১,২৯৯ টাকা থেকে!


আরও খবর



স্বাচ্ছন্দ নিরাপদ ঈদযাত্রা জনগণকে উপহার দিবো: হাইওয়ে এআইজিপি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪৭জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:সড়কে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে হাইওয়ে পুলিশের এডিশনাল আইজিপি শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, নিরাপত্তার দিক থেকে বাংলাদেশ পুলিশ সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে প্লান করে প্রস্তুত রয়েছে। আশা করি বিগত ২-৩টা ঈদযাত্রা যেমন সুন্দর, নিরাপদ ও যানজটমুক্ত হয়েছে, এবার তার চেয়ে আরেকটু ভাল ঈদযাত্রা করার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সবাই মিলে যেন এবারের ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘœ করতে পারি, সে প্রচেষ্টা আমাদের আছে। আশা করি এবার আমরা সুন্দর একটা স্বাচ্ছন্দ নিরাপদ যানজটমুক্ত ঈদযাত্রা জনগণকে উপহার দিবো।

তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় টকিং ড্রোনের কার্যক্রম উদ্বোধন ও পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন- হাইওয়ে পুলিশের এডিশনাল আইজি মাহফুজুর রহমান, এডিশনাল ডিআইজি মোস্তাফিজুর রহমান, গাজীপুর হাইওয়ে পুলিশ সুপার সীমা রানী, এডিশনাল পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান সাকিব, কালিয়াকৈর থানার ওসি এএফএম নাসিম, নাওজোড় হাইওয়ে থানার ওসি শাহাদাত হোসেনসহ আরো অনেকে।

এআইজিপি আরও বলেন, এক দেড় মাস আগে থেকে ঈদকে সামনে রেখে মহাসড়কে যতধরণের প্রতিবন্ধকতা থাকে। যেমন কোথাও মেরামতের প্রয়োজন হয়, কোথাও হাটবাজার বসে একধরণের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। সেগুলো আমরা সম্প্রসারণের কাজ করে যাচ্ছি। মেরামতের কাজও হয়েছে। কোথাও কোথাও নতুন রাস্তা, মহাসড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। সে সমস্ত জায়গাতে এমনভাবে রাখা হয়েছে, যাতে প্রতিবন্ধকতা না হয়। এবারের ঈদযাত্রার জন্য সমম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছি। আমরা ওয়াচ টাওয়ার করেছি। পুলিশের সাথে বডি অন ক্যামেরা থাকবে। সেই সাথে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। যা কন্ট্রোলরোম থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এবার ড্রোনের সংখ্যা ও তার মানও বাড়িয়েছি। এবারের ড্রোন দিয়ে কথা বলে ট্রাফিক নিদের্শনা দিতে পারবো। ফলে সহজেই যানজট রোধ করা সম্ভব হবে।তিনি বলেন, এবারের ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে অন্যবারের মতোই বাংলাদেশ পুলিশ, হাইওয়ে, জেলা, মেট্রোপলিটন পুলিশ সমন্বিত নিরাপত্তা মুলক একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এবারের ঈদযাত্রা যাতে ঘরমুখো মানুষ গন্তব্যে তাদের স্বজনের কাছে যেতে পারে। সে যাত্রা যেন নিরাপদ, স্বাছন্ন ও আনন্দদায়ক হয়, সেজন্য আমাদের সরকার সব সময় গুরুত্ব আরোপ করে থাকে। সরকারী সকল সংস্থাগুলোর মধ্যে একটা সমন্বয় হয়। এরকম অনেকগুলো সমন্বয় মিটিংয়ের মাধ্যমে সড়ক সংশ্লিষ্ট সকলের তরফ থেকে মহাসড়কগুলোতে কোথায় কোথায় চ্যালেঞ্জ আছে? যানজট হতে পারে। সেগুলো আমরা চিহিৃত করে সেই যানজটের জায়গাগুলোতে সমস্যা সমাধান কল্পে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন এআইজিপি।


আরও খবর



যারা আমাদের কৃতদাস বানাতে চায়,তাদের বিরুদ্ধে আমরা লড়বো: রিজভী

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪৪জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:যারা আমাদের কৃতদাস বানাতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা লড়বো মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির আহমেদ রিজভী বলছেন, ১৮ কোটি দেশের মানুষ আমরা একবারও দূর্বল নই। সরকার দূর্বল হতে পারে, আমরা দূর্বল নই। আমাদের যে আত্নশক্তি, আমাদের যে সাহস, আমাদের যে জনগণের লড়াই করার ইতিহাস এবং ঐতিহ্য সবকিছু নিয়েই আমাদের উপর যারা খবরদারী করে আমাদের যারা কৃতদাস বানাতে চায়। তাদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়বো। সরকার কোন অবস্থাতেই আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না। 

আজ রবিবার (৭ এপ্রিল) সকালে উত্তরায় দুঃস্হদের মাঝে এক ঈদ উপহার সামগ্রী শাড়ী লুঙ্গি বিতরণকালে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম কফিল উদ্দিন আহমেদের উদ্যোগে দক্ষিণখান থানা বিএনপির আহবায়ক মোতালেব হোসেন রতন এর সভাপতিত্বে তার উত্তরার  ফায়দাবাদের বাসভবনে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। 

রিজভী আহম্মেদ বলেন, বাংলাদেশের কোন নিরাপত্তা আর নেই। বাংলাদেশের শাসক কে? এটাও আজ আমরা ঠিক বলতে পারি না। একজন শাসক রয়েছেন, তার কাজ হচ্ছে বিরোধী দলকে দমন করা, বিরোধী দলেরবকোন কর্মসূচি হলেই তা বানচাল কটা এবং তিনি একজন অবৈধ শাসকের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু তার প্রভু আছে, তারাই মূলত শাসকের ভূমিকা পালন করেছেন। কারন আমাদের দেশের লোকদের সীমান্ত হত্যা করছে, অথচ আমাদের দেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী বা সরকার তা প্রতিবাদ করেন নি। প্রতিদিন ১ দিন ২ দিন পরপর হয় লালমনিরহাট, নওগা কিংবা য়শোর, ফেনী,কসবা এই সমস্ত সীমান্তবর্তী এলাকায় বাংলাদেশী মানুষদের হত্যা করা হচ্ছে। এদের জীবনের কেন নিরাপত্তা নেই। 

তিনি বলেন, একটা মানুষ যদি বেআইনি কাজ করে চলাফেরা করে তাকে গ্রেফতার করে বিচারের ব্যাবস্হা আছে। অথচ পাকিস্তানের সাথে ভারতের বর্ডার আছে, নেপালের সাথে বর্ডার আছে, আফগানিস্তানের সাথে সীমান্ত রয়েছে, ভূটানের সাথে সীমান্ত আছে, অথচ আপনারা কখনও শুনছেন না যে, তাদের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে, সেখানে তারা সংঘর্ষ করতে সাহস পায় না। কারন তাদের প্রতিনিধীরা বাংলাদেশ শাসন করছে। তাদের বাংলাদেশের মানুষদের হত্যা করলে তাদের কিছু যায় আসে না। 

রিজভী আহম্মেদ বলেন, ওরা আমাদের পানি কেড়ে নিবে। ওরা একচেটিয়া বানিজ্য করবে। আমাদের কোন পন্য কিনবে না। বাংলাদেশে ওদের পন্যে সয়লাব হয়ে গেছে। আমাদের দেশের কারখানার মালিকরা, আমাদের যে তাত। কত সমৃদ্ধশালী ছিল তাত। সে তাত ধ্বংস করে ভারতের লুঙ্গি শাড়ী কিনতে হয়। তাদের সকল পন্য আমাদের কিনতে হয়। এটার থেকে পরনির্ভরশীল হওয়ার জন্যই তো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পুরো দেশকে আত্মনির্ভরশীল করছেন। জিয়াউর রহমান খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেই বিদেশে চাল রপ্তানি করেছেন। আর শেখ হাসিনা প্রতি নিয়ত প্রতি দিন বাংলাদেশকে ভারতের উপর নির্ভরশীল করার সকল যড়যন্ত্র তিনি করছেন। 

তিনি বলেন, আজকে সারা বাংলাদেশ কেন অরক্ষিত? 
আজকে কেন বান্দরবানের সারাচি, রুমাসহ বিভিন্ন থানায় ব্যাংক ডাকাতি হচ্ছে কেন? আজকে অন্য দেশের সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশে আশ্রয় পায় কি করে? এটা কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানেন না। ঠিকই জানেন, কিন্তু তাদের কিছু করার নেই। কারন তারা নতজানু। ওদের কে যেমন তেমন করে বিদেশি প্রভুদের আশ্রয়েই তাদের থাকতে হয়। কারন ওদের কে ভোটে সরকার গঠন হয়নি। কারন তারা ভোটে সরকার গঠন করেনি। জনগণ ভোট দিতে পারেনি। ৭ জানুয়ারির  যে ডামী নির্বাচন সেই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যায়নি। ৯৭% মানুষ ভোট দিতে কেন্দ্রে যায়নি। শুধু আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগের আত্নীয় স্বজনরাই ভোট কেন্দ্রে গিয়েছিল। আর ভোট কেন্দ্র সারাদিন সাহারা মরুভূমির মতো শূন্য হয়ে পড়েছিল। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেছেন, আজকে এই অবৈধ সরকারের ফ্যাসিষ্ট সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় দেখে, জনগণের কাছে তারা কোন জবাবদিহিতা করে না, বাংলাদেশের সকল ক্ষমতার উৎস হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ। এই জনগনই কিন্তু এই অবৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারে এবং আমরা বিশ্বাস করি গত ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচন হয়েছে, একতরফা ডামি নির্বাচন, সেই নির্বাচনে তারা নিজেরা নিজেরই সরকার গঠন করেছে। সেই নির্বাচনকে বাংলাদেশের জনগণ বিনা ভোটে প্রত্যাখ্যান করেছে, আমরা সকলেই জানি বাংলাদেশের প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে কোন মানুষ ভোট দিতে যায়নি, সেটা আমরা সকলেই দেখেছি দৃশ্যমান এবং আমাদের তথ্য মতে, ২% মানুষ ও ভোট দিতে যায়নি এবং  যারা আওয়ামী সমর্থক ছিলেন নির্বাচনে  তারাও ভোট দিতে যায় নাই। 

আমিনুল হক বলেন, আওয়ামী দুঃশাসন  থেকে জাতিকে মুক্ত করতে দেশের গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই চলমান এক দফার আন্দোলন চলবে। 

তিনি বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে পুরো রমজান মাস ধরে আমাদের উত্তর মহানগরীর ৭১ টি ওয়ার্ডে ইফতার মাহফিল ও অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছি এবং আজকে যে আমরা ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করছি, এটাও আমাদের দলীয় কর্মসূচির অংশ। 

৫ শত অসহায় নারী পুরুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণকালে শাড়ি লুঙ্গি  পেয়ে গরিব-দুঃখীদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। এ সময় অসহায়রা বলেন  প্রতিবছরই ঈদ এলে বিএনপি নেতা এম কফিল উদ্দিন আহমেদ ঈদ উপহার শাড়ি লুঙ্গি দেন, এতে আমরা খুব খুশি। 

এ সময় এম কফিলউদ্দিন বলেন, মানুষ আজ খুব অসহায় দিন যাপন করছেন। নিদারুণ কষ্টে চলছে তাদের জীবন।  তাদের জন্য কিছু করতে পারায় সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ভবিষ্যতেও অসহায়দের পাশে থাকার চেষ্টা করব।

ঈদ সামগ্রী বিতরণকালে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আকতার হোসেন ও সদস্য দফতরের দায়িত্বে এবিএমএ রাজ্জাক সহ স্থানীয় বিএনপির  নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

আরও খবর



মাগুরাসহ দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলে প্রচন্ড তাপদাহে জনজীবন দূর্বিসহ হাসপাতালে প্রচন্ড রোগীর ভীড়

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

মাগুরা থেকে সাইদুর রহমান:মাগুরাসহ অতিরিক্ত তাপ দাহে জ্বলছে দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের কয়েকটি জেলার মানুষ।  মাগুরা জেলায় অসহনীয় অবস্থায় পড়েছে দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষগুলা। যেখানে সরকার কর্তৃক নির্দেশনা এসেছে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া এই খরতাপে ঘর থেকে বের হওয়া যাবেনা।সেখানে এই নিন্মআয়ের খেটে খাওয়া মানুষগুলা গরমের জ্বালার থেকেও পেটের জ্বালা অনেক বড় হয়ে উঠায় এই তাপদাহের মধ্যেও নিজেদের রোজগারের আশাতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রচন্ড গরমকে উপেক্ষা করে।

মাগুরা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক গুলো যেখানে অতিরিক্ত যানজট নাস্তানাবুদ অবস্থা লেগেই থাকতো। সেখানে শহরগুলো একেবারে জনশুন্য হয়ে পড়েছে। আর একারনে শহরের দোকানপাট খুলে বেচাকেনার আশায় বসে থাকা ব্যবসায়ীরাদের বেচাকেনা  আশাঅনুরূপ হচ্ছেনা। আর যারা  রিক্সা চালিয়ে,ভ্যান চালিয়ে দিনমজুরের মাধ্যমে নিজেদের দৈনন্দিন ও পারিবারিক চাহিদা মেটাত তারা পড়েছে মহা সংকটে।তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা। শহরে লোক না থাকলে তাদের রিকসায় উঠবে কারা। তারপরও

তাদের পরিবার পরিজনের আহার জোটাতে  এ তাপদাহের মাঝেও বেরহতে হচ্ছে রাস্তায়। অনেক কষ্ট করে চালাতে হচ্ছে তাদের সংসার। জনৈক রিক্সা শ্রমিক জানান, বাড়িতে তিন সন্তান স্ত্রী ছাড়া ও পিতা মাতা রয় সংসারে প্রতিদিন ৮ /৯ শ' টাকার বাজার করা লাগে । তাই ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই। আর গরমে শরীর জ্বলে গেলেও রিক্সা চালাতেই হবে, ইনকাম করতেই হবে।কারণ পেটের জ্বালা সব থেকে বড় জ্বালা।

তাই সরকারীভাবে  ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করলেও  ঘরে থাকার কোন উপায় নেই। একটা দুইটা টিপ মেরে চলছি। চায়ের দোকানে গিয়ে পানি খাই বুক ফেটে যায়। তবে মাগুরায় সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশন গত কয়েকদিন ধরে শহরে পথচারি, রিক্সা অটো শ্রমিকদের মাঝে স্যালাইন ও ঠান্ডা পানি পান করাচ্ছে। অপরদিকে পৌর সভা প্রতিদিন শহরের রাস্তাগুলোতে পানি ছিটিয়ে ঠান্ডা করছে। গ্রাম এলাকার মানুষ ঠান্ডার আশায় ঘরবাড়ি ছেড়ে গাছতলায় আশ্রয় নিয়েছে।  এ অবস্থার মধ্যেও বিদ্যুতের লোডশেডিং মানুষকে নিদারুন সমস্যার মধ্যে ফেলেছে। মাগুরা শহরের কয়েকটি হোটেল মটরের মাধ্যমে পানির ঝরনা সৃষ্টি করে ঘরে চালা ঠান্ডা করেছে। এদিকে গরমে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া হীট স্টোকসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এসব রুগী নিয়ে হাসপাতাল কতৃপক্ষ হীমসিম খাচ্ছে।  গত ২০ এপ্রিল মাগুরায় ৪o.০৬ ডিগ্রী ফারেনাইট তাপমাত্রা ছিল। রবিবার দুপুর সাড়ে তিনটায় টায় মাগুরায় ৩৪ ডিগ্রী ফারেনাইট তাপমাত্রা বিরাজ করে।


আরও খবর



ওশেন মেরিটাইম একাডেমি’র সাথে ইউসিবি’র চুক্তি স্বাক্ষর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:স্বনামধন্য মেরিটাইম (সমুদ্রবিষয়ক) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ওশেন মেরিটাইম একাডেমির সাথে সম্প্রতি এক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি)। এই চুক্তির আওতায় টিউশন ফি সংগ্রহ, পে-রোল (বেতন) ব্যাংকিং ও এজেন্ট ব্যাংকিং সহ ব্যাংকিং সেবার বিভিন্ন দিক অন্তর্ভুক্ত। দুই প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে কৌশলগত সহযোগিতার লক্ষ্যে ইউসিবি’র করপোরেট অফিসে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

ইউসিবি ও ওশেন মেরিটাইম একাডেমির মধ্যে আয়োজিত এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানে ওশেন মেরিটাইম একাডেমির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মারুফ মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, হেড অব মার্কেটিং আব্দুল মান্নান ও প্রজেক্ট ম্যানেজার নূর মোহাম্মদ। এছাড়া, ইউসিবি’র পক্ষ থেকে এর এসইভিপি ও হেড অব ট্রানজেকশন ব্যাংকিং মো. সেকান্দার-ই-আজম এবং ইভিপি ও হেড অব ব্র্যান্ড মার্কেটিং অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

শিক্ষাখাতে যুগোপযোগী ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মীদের স্বাচ্ছন্দ্য ও কর্মদক্ষতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই চুক্তি করা হয়।


আরও খবর