Logo
আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

মিরসরাইয়ে ২৮৫ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিল শান্তিনীড়

প্রকাশিত:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ২৬৯জন দেখেছেন

Image

এম আনোয়ার হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি:স্বেচ্ছাসেবী সমাজ উন্নয়ন সংস্থা শান্তিনীড়ের ১৪ তম শিক্ষোন্নয়ন বৃত্তির সনদ ও পুরষ্কার বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে মিরসরাই উপজেলা সদরের জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত বৃত্তির সনদ ও পুরষ্কার বিতরণ সংস্থার সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন লায়ন্স জেলা ৩১৫ বি-৪ এর জেলা গভর্ণর লায়ন এমডি এম মহি উদ্দিন চৌধুরী। সংগঠনের সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আইটি বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব রহমান রুহেল। সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুল হাসান নিজামী পলাশের কোরআন তেলওয়াত ও কোষাধ্যক্ষ সবুজ কুমার সেনের গীতা পাঠের পর বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মিরসরাই পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন, মিরসরাই কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল আফছার, নিজামপুর সরকারি কলেজের আয়ন ব্যয়ন কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, শান্তিনীড় পৃষ্ঠপোষক টেকনাফ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, মিরসরাই সরকারী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহি উদ্দিন, শান্তিনীড় উপদেষ্ঠা মীর্জা জসিম উদ্দিন, শান্তিনীড় পৃষ্ঠপোষক শাহাদাৎ হোসেন, ছলিম উল্ল্যাহ, বৃত্তি পরীক্ষার আহবায়ক একরামুল হক, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মৃদুল দাশ প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন লায়ন জেলা ৩১৫ বি-৪ এর জয়েন কেবিনেট সেক্রেটারী লায়ন এ.জেড এম সাইফুল ইসলাম টুটুল, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মিরসরাই উপজেলা শাখার সভাপতি নয়ন কান্তি ধুম, দুর্বার প্রগতি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাসান সাইফ উদ্দিন, উদয়ন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাকছুদ আলম শাহীন, আদর্শ বন্ধু ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দীন মোহাম্মদ, অদম্য যুব সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি নিয়াজ মুহাম্মদ সাজেদ, মধ্যম আমবাড়ীয়া যুব সংঘের সভাপতি আলতাফ হোসাইন, শিক্ষক হোসাইন সবুজ, জামশেদ আলম তপু, নাজমুল হোসেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ১৪ তম শান্তিনীড় শিক্ষোন্নয়ন বৃত্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মিরসরাই, সীতাকুন্ড ও ছাগলনাইয়া উপজেলার ১ম থেকে ১০ম শ্রেণির ২৮৫ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর হাতে প্লাটিনাম, গোল্ড, সিলভার ও ব্রোঞ্জ ক্যাটাগরিতে সনদ, ক্রেষ্ট, নগদ প্রাইজবন্ড তুলে দেন অতিথিরা। এছাড়া শান্তিনীড়ের প্রতি বছরের ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালে নুর এ জাহেদ এবং ২০২৩ সালে ফজলুল করিমকে শ্রেষ্ঠ সংগঠক ক্রেস্ট প্রদান করা হয় এবং নবাগত পৃষ্ঠপোষক সদস্য অশোক কুমার রায়, রেজাউল করিম সোহেল, মিজানুর রহমান, শাখাওয়াত হোসেন, শহিদুল ইসলাম রিপন, জাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া, শরিফুল ইসলামকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন শান্তিনীড়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি নিজাম উদ্দিন, সহ-সভাপতি মুহাম্মদ দিদারুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান চৌধুরী, দুস্থ্য ও ত্রাণ সম্পাদক রায়হান চৌধুরী, সমাজকল্যাণ সম্পাদক শওকত হোসেন, প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক আজিম উদ্দিন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রাজিয়া সুলতানা, কার্যনির্বাহী সদস্য রাজু কুমার দে, বৃত্তির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আবু সায়েদ, সদস্য মঈন উদ্দিন, খন্দকার মিলাদুল ইসলাম, জিয়া উদ্দিন, আবু বক্কর রিশাত, ইসমাঈল হোসেন খোকন, আকতার হোসেন, রফিকুল ইসলাম, শায়েস্তা খান পিয়ান, জাকির হোসেন, আবু ফয়সাল, আবদুল আজিজ, সরোয়ার মাহবুব রাব্বী, বদরুদ্দৌজা রুবেল, মেহেদী হাসান, এমরান হোসেন রাসেল, নাজমুল হোসেন, সাগর, আবু সাবের নিজামী ফাওয়াজ, নুর সালমান লিমন, মাসুম সোহান, আহনাফ তাসদিদ, আওসাফ বিন আশরাফ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১১ নভেম্বর একযোগে ১৪ টি কেন্দ্রে ১৪ তম শান্তিনীড় শিক্ষোন্নয়ন বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মিরসরাই, সীতাকুন্ড ও ছাগলনাইয়া উপজেলার ২৭১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ম থেকে ১০ম শ্রেণির ৫ হাজার ৭ শত ৪০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।সংগঠনটি ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে অন্যান্য চলমান সামাজিক কার্য্যক্রমের পাশাপাশি ২০০৭ সাল থেকে শান্তিনীড় শিক্ষোন্নয়ন বৃত্তি কার্য্যক্রম টানা ১৪ বছর অত্যন্ত দক্ষতা ও সফলতার সহিত সম্পন্ন করে আসছে।


আরও খবর



পার্বত্যবাসীর কল্যাণে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল এিপুরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ২৬জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও পার্বত্যবাসীর কল্যাণে নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, উন্নয়ন কাজে চেইন অব কমান্ড অনুযায়ী প্রত্যেকের কাজে সমন্বয় থাকা দরকার। পার্বত্য জেলা পরিষদ, আঞ্চলিক পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সকলের প্রচেষ্টায় সরকারের উন্নয়ন কাজকে গতিশীল রেখে যথাসময়ের মধ্যেই তা বাস্তবায়ন করতে হবে।

বুধবার (১৫ মে)  ঢাকার বেইলি রোডে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র-এর সভাকক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের খসড়া এপিএ’র উপর দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসব কথা বলেন।  

পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, প্রতিবছর সরকারের সার্বিক উন্নয়ন কাজে ভালো পারফরমেন্সের জন্য টার্গেট অনুযায়ী কাজের মান নির্ধারণ বা মেধাভিত্তিক নির্বাচন করে থাকে। তিনি বলেন, মেধাভিত্তিক স্কোর বা মান নির্ধারণ একটি সংস্থা, বিভাগ বা মন্ত্রণালয়ের জন্য বড় পুরস্কার। প্রত্যেক সংস্থাকে যথাসময়ের মধ্যে এপিএ’র কৌশলগত উদ্দেশ্য, কর্মসম্পাদন সূচক, কাজের লক্ষ্যমাত্রা ও প্রক্ষেপণ যথাযথভাবে সম্পন্ন করা উচিত বলে মন্তব্য করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো.মশিউর রহমান এনডিসি-এর সভাপতিত্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম এনডিসি,পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুই প্রু চৌধুরী অপু, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এনডিসি, যুগ্মসচিব সজল কান্তি বনিক, পার্বত্য তিন জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীগণ উপস্থিত ছিলেন। 

সভায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে কার্যপত্র উপস্থাপন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম ও উপসচিব খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম।

এপিএ সংক্রান্ত কর্মশালায় কৃষি, পরিবেশ উন্নয়ন এবং ভৌত অবকাঠামো ও পর্যটন বিকাশ; বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারকরণ ও আত্মকর্মসংস্থানমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে দারিদ্র্য হ্রাসকরণ ও জীবানযাত্রার মানোন্নয়ন; পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতির সংরক্ষণ; শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এরূপ পাঁচটি গ্রুপের কৌশলগত উদ্দেশ্যের মান ৭০ নম্বরের উপর আলোচনা হয়।

এর আগে সকালে একই জায়গায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এপ্রিল ২০২৪ সালের মাসিক উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এডিপিভুক্ত ১৬টি প্রকল্প, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন সহায়তা, পার্বত্য চট্টগ্রাম স্থানীয় সরকার উন্নয়ন সহায়তা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের জন্য উন্নয়ন সহায়তা বাবদ ৭৩৪ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রয়েছে বলে জানানো হয়। যার মধ্যে প্রকল্প সাহায্য থেকে পাওয়া গেছে ৩৪ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা। প্রকল্পসমূহের চলতি বরাদ্দ ও ব্যয়ের সার্বিক অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রকল্প/উন্নয়ন সহায়তা খাতে অনুমোদিত প্রকল্প ১৬টি  এবং উন্নয়ন সহায়তা ৩টির মোট বরাদ্দ ৭৩৪ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকার মধ্যে এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত মোট ব্যয় হয়েছে ৪৯.৭১ শতাংশ। যা একই সময়ে গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ৪১.৪১ শতাংশ।

আরও খবর



আত্রাইয়ে বোরো ধান কাটা-মাড়াই শুরু, আবহাওয়া নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১৬২জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:উত্তর জনপদের শষ্য ভান্ডার হিসাবে খ্যাত নওগাঁর আত্রাইয়ে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে আগাম জাতের বোরো ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। তবে কৃষকেরা বলছে ধান কাটা-মাড়াই পুরোদমে শুরু হতে আরো ৭দিন সময় লাগতে পারে। আবহাওয়া অনুক’লে থাকায় ও কৃষি বিভাগের যথাযথ পরামর্শে যথাসময়ে কৃষকরা ভালো পরিচর্যা করায় এবছর বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকের মুখে এখন হাসির ঝিলিক দেখা দিয়েছে।

একদিকে তাপদাহ অন্যদিকে অতিরিক্ত গরমে কৃষকদের কষ্ট হলেও ভালো ফলন হওয়ায় মনের আনন্দে ধান কেটে মাড়াই এর কাজ করছেন তারা। পাশাপাশি বসে নেই কৃষাণীরাও। তারাও ভালো ফলনে বেজায় খুঁশি। তবে শেষ পর্যন্ত কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াই ঘরে তুলতে পারবে কিনা তা নিয়েই শঙ্কায় রয়েছে কৃষকেরা।

শুক্রবার সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি বছর এ সময় দেশের দক্ষিণ ও উওরাঞ্চল বিশেষ করে নাটোরের লালপুর, ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, পোড়াদহ, চিলাহাটি, ডোমারসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ধান কাটা শ্রমিক এ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আসতে শুরু করেছে। এদিকে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে দিগন্তজুড়ে পাকা ধানের সোনালি রঙের সমারোহ। চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো ধানের ভালো ফলনের বুকভরা আশা নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছে। বাজারে নতুন ধানের আমদানি হওয়ায় কেনা-বেচা শুরু হলেও দাম ভালো থাকায় কৃষকদের মুখে হাসি দেখা দিয়েছে।

উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি রবি মৌসুমে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে প্রায় ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে শাহাগোলা, ভোঁপাড়া, মনিয়ারী, পাঁচুপুর ও বিশা ইউনিয়ে সর্বাধিক পরিমান জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। এবারে বোরো মৌসুমের শুরু থেকেই আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকদের বোরোচাষে কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি। বিশেষ করে বীজতলা থেকে ধান রোপন ও পরিচর্যা সব মিলিয়ে মাঠে মাঠে কৃষকের ধান এখন দর্শনীয় হয়ে উঠেছে। অনেক মাঠে ধান পাকতে শুরু করেছে। উপজেলার প্রতিটি মাঠে এখন পুরোদমে বোরো ধান কাটতেও শুরু করেছে। তারপরও অধিকাংশ মাঠগুলোতে ধানের শীষের সাথে এখন দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। মাঠের পর মাঠ সোনালী রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে। ঈদুল ফিতরের পর থেকেই পুরোদমে শুরু হয়েছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। 

উপজেলার বজ্রপুর গ্রামের কৃষক মো. আব্দুল মজিদ মন্ডল জানান, আমি এ বছর ১১ বিঘা জমিতে  বোরো লাগিয়েছি। কৃষি বিভাগের পরামর্শে যথাসময়ে ভালো পরিচর্যা করায় আমার জমিতে ধান ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যেই ধানকাটা শুরু করেছি, ফলনও ভালোই হচ্ছে। 

এ ব্যাপারে উপজেলার শাহাগোলা গ্রামের কৃষক মো. আজাদ সরদার জানান, আমি এবার ১৬ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছি। ধানকাটা শুরু করেছি, ফলনও ভালোই হয়েছে। আশাকরি বাজারে দামও ভালো পাবো।

উপজেলার ভবানীপুর-মির্জাপুর হাটের ধান ব্যবসায়ী জুয়েল জানান, গত হাটে তেমন ধান আমদানি শুরু হয়নি। তবে টুকটাক বেচা-কেনা হয়েছে। আশা করছি দু-চারদিনের মধ্যে পুরোদমে ধান আমদানি শুরু হবে।

এ ব্যাপারে পাঁচুপুর  ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান জানান, আমরা বিশেষ করে অধিক ফলেন জন্য পরিমিত সার ব্যবহার, পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় কৃষকদের সচেষ্ট হতে আমরা সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে আসছি। এবার আত্রাই উপজেলার কোথাও মাঝড়া পোকার আক্রমণ নেই। এবং উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন, বোরো চাষের শুরু থেকেই ভাল মানের বীজ, জমির উর্বরতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেছি। বর্তমানে উপজেলার প্রতিটি এলাকাতে ধান কাটা মাড়াই শুরুও হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আগামী সপ্তাহ থেকে পুরোদমে বোরো ধান কাটা শুরু হয়ে যাবে। তারপরও যেসব জমির ধান ৮০ ভাগ পেকে গেছে ওই সব জমির ধান দ্রুত কেটে নিতে আমরা কৃষককে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিচ্ছি। 


আরও খবর



ফকিরহাটে কৃষকের ঘরে তৈরি হচ্ছে জৈবসার সহায়তা পেলে গড়ে উঠবে বৃহৎপরিষরে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ৯১জন দেখেছেন

Image

ফটিক ব্যানার্জী ফকিরহাট(বাগেরহাট)সংবাদদাতা:বাগেরহাটের ফকিরহাটে টেকসই নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় তৈরি হচ্ছে জৈবসার। কৃষকের উৎপাদিত ভার্মিকম্পোস্ট বা কেঁচোসারের গুনগত মান আনেক ভালো বলে দ্বাবী করেন স্থানিয় চষিরা।

টাউন নওয়াপাড়া গ্রামের কৃষক অঞ্জন ব্যানার্জী বলেন, এসএসিপি প্রকল্পে দেওয়া ট্রেনিং ও জৈবসার উৎপাদনের সরঞ্চাম নিয়ে কোঁচো সার উৎপাদন করা হয়। চলতি মৌশুমে ধান ক্ষেতে জৈব সার ব্যবহার করে ফলন হয়েছে তুলনামুল অনেক ভালো। এছাড়াও বিভিন্ন খামারিদের কাছ থেকে প্রায় ২শ মন জৈবসার সংগ্রহ করে প্রক্রিয়া জাতকরনের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে। বাড়ি থেকে অনেকেই নিয়ে যাচ্ছেন। চাহিদা থাকার পরেও সরকারি ভাবে অনুমতি ও সহায়তা অভাবে তিনি এটি বৃহৎ পরিষরে করতে পারছেন না বলে জানা।

পান চাষি নিজাম মোড়ল বলেন, আগে পান চাষে রাষায়নিক সার ব্যবহার করে লাভের মুখ দেখতে পাইনি। নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পানের লতা ও পাতা নষ্ট হয়ে যেত। কৃষি বিভাগের পরার্মশ্যে অঞ্জন ব্যানার্জীর তৈরি কৃত জৈবসার ব্যবহার করে অভাবনিয় লাভ হয়েছে। সবজি ও মৎস্য চাষি আনোয়ার মোড়ল বলেন, সবজি ও মাছ চাষে এ সার ব্যবহার করে আমিসহ অনেকেই লাভবান হয়েছি।

আরোব আলী, সঞ্জয় চক্রবর্তীসহ জৈবসার উৎপাদন কারি একাধিক ব্যক্তি বলেন, কৃষি বিভাগের দেওয়া জৈবসার উৎপাদনের সরঞ্চাম ও ট্রেনিং আমাদের চাষাবাদে অভাবনিয় পরিবর্তন এনে দিয়েছে।

কৃষি মন্ত্রনালয়ের এআইপি সম্মাননা প্রাপ্ত ফকিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন দাশ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে জৈবসার মাটির প্রাণ সঞ্চার করছে। জলবায়ু পরিবর্তনে মারত্মক প্রভাব ফেলে কৃত্রিম সার। এবিষয়নি মাথায় রেখে আমরা জৈবসার উৎপাদন ও ব্যবহার শুরু করেছি ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে প্রায় দুই দশক আগের থেকে। যা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অনুকরনিয় উদাহরন ও পারস্পরিক শিখনের মাধ্যমে উপস্থাপন করছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, প্রযুক্তির টেকসই ব্যবহারে প্রশিক্ষন ও উদ্ভুদ্ধ করনে আমরা কাজ করছি। জৈবসার উৎপাদন তার মধ্যে একটি। যার ব্যবহারে ফসল উৎপাদনে অভাবনিয় সফলতা পাচ্ছেন কৃষক। 


আরও খবর



পুলিশের ৭ কর্মকর্তা পদোন্নতি পেয়ে এসপি হলেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বুধবার (৮ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা হতে উপসচিব মো. মাহাবুর রহমান শেখের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ৭ জনকে পুলিশ সুপার (এসপি) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। 

পদোন্নতিপ্রাপ্ত ৭ কর্মকর্তা হলেন- দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুমিনুল করিম, সিএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মো. আমিনুল ইসলাম, পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আশ্রাফুজ্জামান, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কবির আহম্মেদ, মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব, পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম ও পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সুফি উল্লাহ।

প্রজ্ঞাপনে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবর পদোন্নতিপ্রাপ্ত পদে যোগদানপত্র প্রেরণ করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ যোগদানের তারিখ থেকে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।


আরও খবর



সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সংশোধিত ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৪৬১৯৯

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৯১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত দেড়টায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা তৃতীয় ধাপের সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে (তিন পার্বত্য জেলা বাদে ২১টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৬ হাজার ১৯৯ জন।

গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।

এর আগে রোববার দুপুরে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। পরে রাতে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, প্রকাশিত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ফলে ত্রুটি ধরা পড়েছে। মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি পরিলক্ষিত হওয়ায় এ দুই সেটের ফল আজ রাত ১২টার পর প্রকাশ করা হবে। সেই সংশোধিত ফল রাতে প্রকাশ করা হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd  -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন।

মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে। গত বছরের ১৪ জুন এ নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়।


আরও খবর