বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:টাঙ্গাইলের মধুপুরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে পৌর শহরের দৈনিক বাজার পরিদর্শন করেন মনিটরিং কমিটি। বৃহস্পতিবার(২৩মার্চ)দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা ইয়াসমীন এর নেতৃত্বে মধুপুর দৈনিক বাজার পরিদর্শন করেন বাজার মনিটরিং কমিটি। এ সময় বাজারের ব্যবসায়ীদের মাঝে লিফলেট বিতরণসহ প্রতিটি দোকানে মূল্য তালিকা টানানো এবং অতিরিক্ত দামে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) জাকির হোসাইন, পৌর মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারুনর রশীদ, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বেশর আলী ফকিরসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। বাজার মনিটরিং করার সময় উপজেলা কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমীন জানান, পবিত্র মাহে রমজানকে পুঁজি করে কোন অসাধু ব্যবসায়ী যদি খাদ্য দ্রব্যের মুল্য বৃদ্ধি করে বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, লোভ ও ভোগবিলাস পরিহার করে সমাজে শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ, আত্মশুদ্ধির এ মাসে অনৈতিক উপায়ে অধিক মুনাফা অর্জনের পথ পরিহার করতে উদ্বুদ্ধকরণ, মজুতদারদের রমজান মাসের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন পণ্য সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, পাইকারী ও খুচরা পণ্য বিক্রয়ের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীগণ বাধ্যতামূলক ভাবে মূল্য তালিকাপ্রদর্শনকরণ, হোটেল/রেস্তোরাঁ গুলোতে পঁচাবাসি, ভেজাল খাদ্যদ্রব্য পরিবেশন ও বিক্রি করা থেকে বিরতকরণ, শাক সবজি, ফল, মাছসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে ক্ষতিকারক ফরমালিন ব্যবহার প্রতিরোধকরণের লক্ষ্যে এই অভিযান ধারাবাহিক ভাবে অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
মিজানুর রহমান মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানা পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ২৩০ পিচ এ্যাম্পল ইনজেকশনসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ী আটক করেছে থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ী হলেন, জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ থানার কালিকাপুর গ্রামের ফকির আলীর ছেলে আঃ খালেক (৫৫) ও ময়মনসিংহ জেলার ময়মনসিংহ সদর থানার আকুয়া (আকুয়া মাসকান্দা হামিদ মুন্সির বাড়ি) গ্রামের মনোয়ার হোসেনের ছেলে সোহাগ (৩৪)।
মামলা সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৫ মে) বিকাল ৩টার দিকে বিরামপুর ২নং কাটলা ইউপিস্থ কাটলা বাজারের ব্রীজের পশ্চিম পার্শ্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার মহন্তের নির্দেশনায় এসআই তুহিন বাবু'র নেতৃত্বে সর্ঙ্গীয় ফোর্স ওঁৎপেতে থাকেন। এসময় মাদক ব্যবসায়ী আঃ খালেক (৫৫) ও সোহাগ (৩৪) এ্যাম্পল ইনজেকশন নিয়ে ব্রীজের পশ্চিম পার্শ্বে পৌঁছিলে তাঁদের শরীর তাল্লাশি করিয়া শরীরে বিশেষভাবে ফিটিং অবস্থায় ২৩০ পিচ মাদকদ্রব্য এ্যাম্পল ইনজেকশন উদ্ধারপূর্বক তাঁদের আটক করা হয়।এ ঘটনায় পুলিশ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৭৪ সালের ২৫বি(২)/২৫-ডি বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৪, তাং ০৫/০৫/২৩ইং।
বিরামপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামীদ্বয়কে দিনাজপুর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ প্রক্রিয়াধীন। তিনি আরো জানান, মদক দ্রব্যের বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। মাদক দ্রব্যের নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জুলফিকার আলী,কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি:তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রিপন (৩৭) কে আটক করেছে র্যাব-৬ এর একটি দল। গ্রেফতারকৃত রিপন কলারোয়া পৌর সদরের হাসপাতাল সড়কের গফ্ফার এর ছেলে। সে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। শুক্রবার (১৯ মে) দুপুরে র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা সদর কোম্পানি থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে ১৮ মে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার নিজ বাড়ির খাটের নিচে বিশেষভাবে তৈরি করা সুড়ঙ্গ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত রিপন কলারোয়া হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা। তাকে কলারোয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সূত্র মতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলায় গত ১৮ এপ্রিল বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৪জনকে যাবজ্জীবন ও ৪৪ জনকে ৭ বছর করে কারাদন্ডদেন আদালত। এর মধ্যে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত হন রিপন। তবে তিনি পলাতক ছিলেন। উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সকাল ১০টায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্ষণের শিকার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফেরার পথে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা কলারোয়ায় দলীয় অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস (সাতক্ষীরা-জ-০৪-০০২৯)
রাস্তার ওপরে আড় করে দিয়ে তার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। এতে আওয়ামীলীগের এক ডজন নেতা-কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় করা মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রæয়ারি তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতা-কর্মীকে ৪ থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা দেন সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির। এছাড়া গত ১৪ জুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের অপর দুটি মামলায় চার্জ গঠন করা হয়। যার রায় ঘোষণা করা হয় গত ১৮ এপ্রিল।
বাবুল রানা বিশেষ প্রতিনিধি মধুপুর টাঙ্গাইল:টাঙ্গাইলের মধুপুরে গোলাবাড়ি ব্রিজের পাশে রাস্তার নিচে চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস অটোচালককে খুন করে অটোরিকশা ছিনতাই এর ঘটনার রহস্য উন্মোচনসহ অটোরিকশা উদ্ধার পূর্বক ০৫ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ।
গত (২২ এপ্রিল)২০২৩ ঈদের পরের দিন সকালে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর পৌরসভার কাইতকাই এলাকার টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কের গোলাবাড়ি ব্রীজের পাশে বেগুন ক্ষেতে জনৈক কিশোরের মৃত দেহ পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভিকটিমের বড় ভাই রবিন ভিকটিমের ছবি দেখে মধুপুর থানায় গিয়ে মরদেহ সনাক্ত করে।
উক্ত ঘটনার সংবাদ প্রাপ্তির পর থেকে র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ উক্ত ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত আসামীদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে অধিনায়ক মহোদয়ের নির্দেশক্রমে সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন এর উপস্থিতিতে র্যাবের একটি অভিযানিক দল ১৬/০৫/২০২৩ ইং তারিখ ভোর অনুমান পনে ৬টার দিকে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী থানাধীন বয়রা এলাকা থেকে উক্ত মামলার আসামী ১। মোঃ রকিবুল ইসলাম (১৯), ২। মোঃ আঃ রহিম (২২), ৩। মোঃ ফারুক হোসেন (৩৭), ৪। শফিকুল ইসলাম (৩২), ৫। ফরমান আলী (৪০)’দেরকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, ঘটনার দিন গত ২২ এপ্রিল ২০২৩ খ্রি. তারিখ ঈদের দিন বিকাল ৩ টার দিকে আসামী মোঃ রকিবুল ইসলাম সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিয়া থেকে ভিকটিম মনি‘কে জামালপুর সদর উপজেলার দিকপাইত এলাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভাড়া করে। পথিমধ্যে, আসামী রকিবুল শফিকুল‘কে অটেরিক্সায় উঠায় এবং তারা দুইজন ঘোরাঘুরির জন্য টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর দিকে রওনা করে। পথিমধ্যে চা পান করার বাহানায় উক্ত আসামীদ্বয় আসামী রহিম ও ফারুকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে। ইতোমধ্যে উক্ত আসামী রকিবুল ও শফিকুল সময় ক্ষেপন করার জন্য ভিকটিমকে মধুপুরের উদ্দেশ্য যেতে বলে। ইতোমধ্যে আসামী রহিম ও ফারুক মোটরসাইকেল যোগে অটেরিক্সার কাছাকাছি চলে আসে।
পরবর্তীতে, আসামী রকিবুল ভিকটিম ও আসামী শফিকুলকে নামিয়ে দিয়ে অন্য একজন লোককে ওঠানোর জন্য অটোরিক্সা নিয়ে একাই চলে যায়। রকিবুল আসতে দেরি হলে ভিকটিম মনি আসামী শফিকুলকে চাপ দিতে থাকে। ইতোমধ্যে আসামী রহিম ও ফারুক বাইক নিয়ে চলে আসে এবং ভিকটিম মনি আসামী রহিমকে চিনতে পারে এবং ভয় পেয়ে আসামী শফিকুল, রহিম ও ফারুক প্রথমে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং মুখে আঘাত করে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর পৌরসভার কাইতকাই এলাকার টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কের গোলাবাড়ি ব্রীজের পাশে বেগুন ক্ষেতে ফেলে রেখে যায়। পরবর্তীতে, আসামী রকিবুল ভিকটিমের অটোরিক্সাটি নিয়ে ফরমান সর্দারের নিকট ৪৫,০০০/- হাজার টাকায় বিক্রি করে নিজে ১৮,০০০/- হাজার টাকা রেখে বাকি তিন আসামীকে জনপ্রতি ৭০০০/- টাকা করে দেয় এবং বাকি টাকা আনুষাঙ্গিক খরচ দেখায়।উপরোক্ত ঘটনার মতো যাতে আর কোন ঘটনার না ঘটে সে প্রেক্ষিতে র্যাবের টহল তৎপরতা ও গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত থাকবে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীণ রয়েছে বলে জানা যায়।
অনলাইন ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত জাহাজ দুর্ঘটনায় টাইটানিক নামের যে বিলাসবহুল জাহাজটি সমুদ্রে ডুবে গিয়েছিল এই প্রথম তার একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র পাওয়া গেছে। এসব ছবি আটলান্টিকের তিন হাজার ৮০০ মিটার (১২ হাজার ৫০০ ফুট) নিচে ডুবে থাকা জাহাজটির ধ্বংসাবশেষের প্রথম ডিজিটাল স্ক্যান যা ‘গভীর সমুদ্র ম্যাপিং’ পদ্ধতি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।
এর ফলে পুরো টাইটানিকের ত্রিমাত্রিক বা থ্রিডি অর্থাৎ দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা! এই তিন মাত্রার দৃশ্য পাওয়া যাচ্ছে, যা আগে কখনো দেখা যায়নি। ছবিগুলো দেখলে মনে হয় আটলান্টিক থেকে সব পানি সরিয়ে যেন সমুদ্রের তলদেশে পরিত্যক্ত বিশাল আকারের এই জাহাজটির দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে।
ছবিতে টাইটানিকের খুঁটিনাটি জিনিসও দেখা যাচ্ছে
আশা করা হচ্ছে, ১৯১২ সালে ডুবে যাওয়া এই জাহাজটিতে কী ঘটেছিল এসব দৃশ্য থেকে সে সম্পর্কে নতুন কিছু জানা যাবে। জাহাজটি তার উদ্বোধনী যাত্রায় সমুদ্রে ভাসমান বিশালাকৃতির বরফ বা আইসবার্গের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ার পর ডুবে গিয়েছিল। এ দুর্ঘটনায় দেড় হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। টাইটানিক যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন থেকে যাত্রা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যাচ্ছিল।
টাইটানিক বিশেষজ্ঞ পার্কস স্টিফেনসন বলেন, ‘জাহাজটির বিষয়ে এখনো অনেক প্রশ্ন আছে, মৌলিক কিছু প্রশ্ন। যেসবের উত্তর জানা প্রয়োজন। টাইটানিকের বিষয়ে জল্পনা-কল্পনার ওপর ভিত্তি করে কোনো গবেষণা নয়, বরং তথ্যপ্রমাণ ভিত্তিক গবেষণাকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এই মডেল বড় ধরনের প্রথম কোনো পদক্ষেপ।’
শতাধিক বছর ধরে পানির নিচে পড়ে থাকার পরেও টাইটানিকের সামনের অংশ দেখলেই চেনা যায়
সমুদ্রের তলদেশে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের প্রথম সন্ধান পাওয়া যায় ১৯৮৫ সালে। এরপর থেকে জাহাজটি নিয়ে ব্যাপক গবেষণা হয়েছে। কিন্তু এটি এতো বিশাল ও সমুদ্রের গভীরে এতো অন্ধকার যে ক্যামেরা দিয়ে এতদিন এর যেসব ছবি তোলা হয়েছে সেগুলোর সবই ছিল এই ক্ষয়িষ্ণু জাহাজের কিছু অংশের ছবি বা স্ন্যাপশট। তবে কখনোই ডুবে যাওয়া পুরো জাহাজের ছবি পাওয়া যায়নি। এখন এই নতুন অনুসন্ধানে সমগ্র টাইটানিকের ছবি পাওয়া গেল।
সমুদ্রের তলায় যেভাবে পড়ে আছে
দেখা যাচ্ছে, সমুদ্রের তলায় জাহাজটি দুটো অংশে ভাগ হয়ে পড়ে আছে। জাহাজের অগ্রভাগ যেখান থেকে বাঁকা হতে শুরু করে ওই অংশ এবং জাহাজের পশ্চাদভাগ। এই দুটো অংশের মধ্যে দূরত্ব ৮০০ মিটার (দুই হাজার ৬০০ ফুট)। ভেঙে যাওয়া জাহাজটির আশপাশে প্রচুর ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে।
২০২২ সালের গ্রীষ্মকালে ম্যাগেলান লিমিটেড নামে একটি ডিপ-সি ম্যাপিং কোম্পানি এবং আটলান্টিক প্রোডাকশন্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান যারা এ বিষয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করছে তারা যৌথভাবে এসব ছবি তুলেছে।
নিমজ্জনযোগ্য একটি বিশেষ জাহাজে করে একদল কর্মী এই জরিপ পরিচালনা করেছে যা রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ মিলিয়ে পুরো টাইটানিকে ছবি তুলতে তারা ২০০ ঘণ্টারও বেশি সময় ব্যয় করেছে।
নিমজ্জিত জাহাজের প্রত্যেকটি কোণ থেকে তারা সাত লাখেরও বেশি ছবি তুলেছে যেগুলোর সাহায্যে পুরো টাইটানিকের একটি ত্রিমাত্রিক বা থ্রিডি ছবি তৈরি করা হয়েছে।
জাহাজের পেছনের অংশ
এই অভিযানের পরিকল্পনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন ম্যাগেলান লিমিটেডের গেরহার্ড সেফার্ট। তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত পানির নিচে ছবি তোলার যতো প্রকল্প তিনি পরিচালনা করেছেন তার মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়।
তিনি আরও বলেন, ‘গভীরতা প্রায় চার হাজার মিটার। আমাদের সামনে ছিল এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। একইসঙ্গে সেখানে পানির স্রোতও আছে। আমাদের কোনো কিছু স্পর্শ করার অনুমতি ছিল না, যাতে জাহাজের ধ্বংসাবশেষের আরও ক্ষতি না হয়। আরেকটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আপনাকে প্রত্যেক বর্গসেন্টিমিটারের ম্যাপিং করতে হবে। এমনকি জাহাজের যেসব অংশ আগ্রহ-উদ্দীপক নয় সেগুলোরও। যেমন যেখানে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে সেখানকার মাটির ছবি। কারণ জাহাজের বিভিন্ন অংশকে জোড়া দেওয়ার জন্য এগুলোও ছবি প্রয়োজন।
টাইটানিকের যা কিছু দেখা যাচ্ছে
ছবিতে টাইটানিকের বিশালত্বের পাশাপাশি এই জাহাজের একটি প্রপেলারের সিরিয়াল নম্বরের মতো ছোটখাটো বিষয়ও ধরা পড়েছে। জাহাজটির সম্মুখভাগে মরিচা ধরে ঢাকা পড়ে গেছে। তার পরেও শতাধিক বছর আগে ডুবে যাওয়া এই জাহাজটিকে চেনা যায়। এর ওপরেই রয়েছে জাহাজের ডেক যেখানে একটি গর্ত রয়েছে। সেখান থেকে একটা শূন্যতা দেখতে পাওয়া যায় যেখানে একসময় ছিল জাহাজের বিশাল সিঁড়ি।
আর জাহাজের পশ্চাদভাগে বিভিন্ন ধাতব পদার্থের জঞ্জাল। জাহাজের এই অংশটি সমুদ্রের তলদেশে পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধসে পড়ে। টাইটানিকের আশপাশে বিভিন্ন জিনিস ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। এসবের মধ্যে রয়েছে জাহাজ থেকে খসে পড়া অলঙ্কৃত ধাতব বস্তু, মূর্তি এবং মুখ খোলা হয়নি এরকম শ্যাম্পেনের বোতল। সেখানে ব্যক্তিগত জিনিসপত্রও রয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, সমুদ্রের তলানির ওপর অসংখ্য জুতা পড়ে আছে।
পার্কস স্টিফেনসন, যিনি বহুবছর ধরে টাইটানিকের ওপর গবেষণা করছেন। তিনি বলছেন, ‘এসব ছবি প্রথমবার দেখে তিনি ‘বিস্মিত’ হয়েছিলেন। আপনি জাহাজের এমন ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাচ্ছেন যা কখনও দেখা সম্ভব হয়নি। এবং আপনি ডুবন্ত পুরো জাহাজটিকে দেখতে পাচ্ছেন। আশপাশের পরিবেশসহ বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে আপনি এটাকে দেখতে পাচ্ছেন। আপনি যা দেখতে পাচ্ছেন এটাই এখন এই জাহাজের সত্যিকারের অবস্থা।
তিনি বলেন, ‘এসব ছবি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখলে ১৯১২ সালের ওই ভয়াবহ রাত্রিতে টাইটানিকের ক্ষেত্রে মূলতই কী ঘটেছিল ওই বিষয়ে নতুন কিছু ধারণা পাওয়া যেতে পারে। আইসবার্গের সঙ্গে কেমন করে সংঘর্ষ হয়েছিল ওই বিষয়ে মূলত আমাদের ধারণা নেই। আমরা এও জানি না, সিনেমাতে যেমন দেখানো হয়েছে সেরকম করে জাহাজের সামনের একপাশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছিল কী না। জাহাজের পেছনের অংশ গবেষণা করলে টাইটানিক কিভাবে সমুদ্রের তলদেশে আঘাত হেনেছিল সে বিষয়েও ধারণা পাওয়া যেতে পারে।’
সমুদ্রের তলায় পড়ে থাকা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ, পেছনের অংশ
সমুদ্রের পানিতে ডুবে যাওয়া জাহাজের ক্ষয় অব্যাহত রয়েছে। পানিতে থাকা অণুজীব বা জীবাণু ক্রমশই এটিকে খেয়ে ফেলছে। এ ছাড়া এর বিভিন্ন অংশ ক্রমশই আলাদা হয়ে খসে পড়ছে।
সমুদ্রে এ রকম একটি দুর্ঘটনার কারণ বুঝতে সময় যে ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে ইতিহাসবিদরা এ বিষয়েও সচেতন। কিন্তু এখন যেসব ছবি পাওয়া গেল, সেখান থেকে জাহাজের খুঁটিনাটি বিষয়ও বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে দেখতে পারবেন। আশা করা হচ্ছে যে এখন হয়তো টাইটানিকের আরও অনেক গোপন বিষয় বের হয়ে আসবে। সূত্র: বিবিসি বাংলা
নিজস্ব প্রতিবেদক: আইনের মাধ্যমে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল হয়ে যায়, সেই মৃত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বিএনপি আবারও জীবিত করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ রোববার দুপুরে বনানীর সেতু ভবনে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি আবারও এক-এগারোর মতো তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়, যেন তারা নির্বাচনে গ্যারান্টি সহকারে জিততে পারে।
একমাত্র পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীতে কোন দেশেই তত্ত্বাবধায়ক নামের কোনো সরকার নেই উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবেই বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচন করবে।
তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় চলমান গভমেন্ট নির্বাচন করবেন। স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা কখনো ছিল না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনাই প্রথম আইনের মাধ্যমে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন সৃষ্টি করেছে। সময়ের বিবর্তনে সেটি আরও ত্রুটিমুক্ত হবে।স্বাধীন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের আওতায় বিএনপি নির্বাচন করতে অসুবিধা কোথায়?
তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে বিদেশি কোনো চাপ নেই জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে বৈঠক করেছে আওয়ামী লীগ। তবে এ বিষয়ে কোনো প্রকার চাপ দেখিনি। শুধু নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরামর্শ ছিল।’
তিনি বলেন, বিএনপির কাছে নিরপেক্ষতার মানেই হলো বিএনপির পক্ষপাতিত্ব করা, নির্বাচনে জয়ী হওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া।
নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা বিএনপির গণতান্ত্রিক অধিকার জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করলে সকল প্রকার সিদ্ধান্ত সংবিধান অনুযায়ী হবে।