Logo
আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

মধুপুরে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে উপজেলা প্রসাশনের বাজার মনিটরিং

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ২৩২জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:টাঙ্গাইলের মধুপুরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পবিত্র মাহে রমজান  উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল  রাখতে পৌর শহরের দৈনিক বাজার পরিদর্শন করেন মনিটরিং কমিটি। বৃহস্পতিবার(২৩মার্চ)দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা ইয়াসমীন এর নেতৃত্বে মধুপুর দৈনিক বাজার পরিদর্শন করেন বাজার মনিটরিং কমিটি। এ সময় বাজারের ব্যবসায়ীদের মাঝে লিফলেট বিতরণসহ প্রতিটি দোকানে মূল্য তালিকা টানানো এবং অতিরিক্ত দামে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি)   জাকির হোসাইন, পৌর মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারুনর রশীদ, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বেশর আলী ফকিরসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার  সাংবাদিকবৃন্দ। বাজার মনিটরিং করার সময় উপজেলা কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমীন  জানান, পবিত্র মাহে রমজানকে পুঁজি করে কোন অসাধু ব্যবসায়ী যদি খাদ্য  দ্রব্যের মুল্য বৃদ্ধি করে বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, লোভ ও ভোগবিলাস পরিহার করে সমাজে শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ, আত্মশুদ্ধির এ মাসে অনৈতিক উপায়ে অধিক মুনাফা অর্জনের পথ পরিহার করতে উদ্বুদ্ধকরণ, মজুতদারদের রমজান মাসের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন পণ্য সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, পাইকারী ও খুচরা পণ্য বিক্রয়ের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীগণ বাধ্যতামূলক ভাবে মূল্য    তালিকাপ্রদর্শনকরণ, হোটেল/রেস্তোরাঁ গুলোতে পঁচাবাসি, ভেজাল খাদ্যদ্রব্য পরিবেশন ও বিক্রি করা থেকে বিরতকরণ, শাক সবজি, ফল, মাছসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে ক্ষতিকারক  ফরমালিন ব্যবহার প্রতিরোধকরণের লক্ষ্যে এই অভিযান ধারাবাহিক ভাবে অব্যাহত থাকবে  বলে জানান তিনি।

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



সরকার ২৩ নাবিককে উদ্ধারে অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১২০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে ভারত মহাসাগরে ২৩ নাবিকসহ জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত করার বিষয়ে সরকার অনেক দূর এগিয়েছে,বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, আমরা যোগাযোগের মধ্যে আছি। নাবিকদেরকে রিলিজ করার করার জন্য আমরা নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছি। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, নাবিকদের আনহার্ট (কোনো ক্ষতি যেন না হয়) অবস্থায় উদ্ধার করা এবং একইসঙ্গে জাহাজটা উদ্ধার করা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে করা ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খাদ্য সংকট অতীতে যখন জাহাজ হাইজ্যাক হয়েছে তখনও হয়নি। তিন বছর ছিল তখনও হয়নি, ১০০ দিন ছিল তখনও হয়নি। আশা করি এক্ষেত্রেও হবে না।

এদিকে, সীমান্ত হত্যা বন্ধে আগেই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতকে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ২ বাংলাদেশি ভারত সীমান্তে অবৈধভাবে ঢুকে পড়েছিল, তাই বিএসএফ গুলি করে। বিজিবি এর প্রতিবাদ জানিয়েছে, পতাকা বৈঠক হয়েছে। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ ঘটনায় এখনো কোনো প্রতিবাদ জানানো হয়নি বলে জানান মন্ত্রী।


আরও খবর



সৎ মায়ের কাছে বেড়াতে এসে লাশ হল বেনাপোলের শিশু জোনাকি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৪জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:সৎ মায়ের কাছে বেড়াতে এসে লাশ হল বেনাপোলের নয় বছরের শিশু জোনাকি। যশোর শহরের রেলগেট মডেল মসজিদের পিছেনের ডোবা থেকে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে।

শিশুটি বেনাপোল পোর্ট থানার পুড়াবাড়ি গ্রামের শাহিন তরফদারের মেয়ে। শিশুটি বেনাপোল থেকে গত ৭দিন আগে যশোর শহরে তার সৎ মায়ের কাছে বেড়াতে আসে। এরপর গতকাল সোমবার সকাল ১০টা থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল। পরিবারের অভিযোগ শিশুটির সৎমা কোহিনুর বেগম তাকে হত্যা করে লাশ ডোবায় ফেলে রেখেছে।


বিস্তারিত আসছে----


আরও খবর



ভুটানের রাজার আমন্ত্রণে ভুটান সফরে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৯জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার: ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক এর আমন্ত্রণে ভুটান সফর করছেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

এর আগে বাংলাদেশ সফররত ভুটানের রাজার আমন্ত্রণে গতকাল (২৮ মার্চ) বিকেলে তাঁর সঙ্গে কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে সড়কপথে ভারত হয়ে ভুটান যান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। এদিন ভুটানের দক্ষিণাঞ্চলীয় গেলেফু সিটিতে অবস্থান করেন ভুটানের রাজা ও বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। সেখানে অবস্থানকালে ভুটানের রাজা বেশকিছু সময় ধরে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীকে সাথে নিয়ে গেলেফু সিটি ঘুরে দেখান এবং সেখানে শান্তিপূর্ণ, পরিবেশবান্ধব, পরিচ্ছন্ন ও সৌন্দর্যমন্ডিত আইকনিক সিটি গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা জানান।

আজ শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে গেলেফু সিটি থেকে ভুটানের রাজার সঙ্গে বিমানযোগে ভুটানের পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। বিমানবন্দরে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক ও বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে স্বাগত জানান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে ও ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শিবনাথ রায়। পরে পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে যান ভুটানের রাজা এবং বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

ভুটান সফর শেষে রবিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

আরও খবর



আক্কেলপুরে বিয়ের প্রলোভনে স্কুল ছাত্রীর সাথে শারিরীক সম্পর্ক: অত:পর আত্মহত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ২৪জন দেখেছেন

Image
আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৯ম শ্রেণিতে পড়–য়া ১৫ বছর বয়সী এক স্কুল ছাত্রীর সাথে শারিরীক সম্পর্কের পরে বিয়ে করতে অস্বীকার করায় ওই স্বুল ছাত্রীর আত্মহত্যার অভিযোগ ওঠেছে। ঘটনাটি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নে ঘটেছে। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা ধর্ষণের অভিযোগ এনে মঙ্গলবার রাতে আক্কেলপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযুক্ত রিয়াদ (১৯) উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের কালঞ্জ গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তবে ঘটনাটি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন রিয়াদের মা ।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৮ মাস পূর্বে রিয়াদের সাথে ওই শিক্ষার্থীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই শিক্ষার্থী সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে রিয়াদ। কিছুদিন পর অভিযুক্ত রিয়াদের অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হলে সে ওই শিক্ষার্থীকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এর পরেই ওই শিক্ষার্থী গত সোমবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা মঙ্গলবার রাতে রিয়াদ তার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে বলে আক্কেলপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে।   

শিক্ষার্থীর বাবা জানান, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। আমার মেয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমি ধর্ষক রিয়াদের যথাযথ শাস্তি চাই।

এবিষয়ে অভিযুক্ত রিয়াদের বাড়িতে গেলে তার মা নূর নাহার বলেন, আমার ছেলে বাড়িতে নেই, কাজে গেছে। এরকম কোন ঘটনা আমাদের জানা নেই।

অভিযুক্ত রিয়াদ ও তার বার সাথে ঘটনার বিষয়ে যোগাযোগ কার জন্য মুঠোফোন নাম্বার চাইলে তা দিতে অপারগতা জানায় অভিযুক্ত রিয়াদের মা।

আক্কেলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নয়ন হোসেন বলেন, এঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে। আইনি পক্রিয়া চলমান রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর



চাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠ মীরপুর শাহআলী ও দারুসছালামবাসী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৫২জন দেখেছেন

Image

ডেক্স রিপোর্টঃচাঁদাবাজদের অত্যচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত এলাকা মিরপুর-১, দারুসসালাম থানা এলাকার কাঁচাবাজারে আড়ৎসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যবসায়ীরা, বিশেষ করে রাস্তার পাশে ফুটপাথে বসা ব্যবসায়ী যেন ভোগান্তির শেষ নেই। বাদ পড়ছেন না বিভিন্ন মার্কেটে পজিশন নিয়ে বসা ব্যবসায়ীরাও। এমনকি টেম্পু স্ট্যান্ডগুলো চাঁদাবাজদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না মালিক ও চালকরা । এইসব নিয়ন্ত্রণ করছেন মোহাম্মদ খাইরুল, মোহাম্মদ রতন ও মোহাম্মদ জনি । তারা যুবলীগের নেতা বলে জানা গেছে।


এই তিন চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট মিলে প্রতিদিন ওইসব এলাকা থেকে এক লাখ টাকা চাঁদা উঠায় এবং মাসে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা উঠায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এইসব চাঁদার টাকা উঠানোর জন্য ওই তিন সিন্ডিকেট ১০ থেকে ১৫ জনকে নিয়োগ করেন। নিয়োগকৃত সদস্যরা প্রতিদিন এক লাখ টাকা চাঁদা উঠায়ে তিন সিন্ডিকেটের প্রধান রতনের কাছে টাকাগুলো জমা দেন বলে তাদের নিয়োজিত একজন সদস্য জানায় । এভাবে তাদের চাঁদাবাজি চলতে থাকে মাসের পর মাস বছরে পর বছর । তারা এমপি ও স্থানীয় প্রভাবশালী সরকারদলীয় নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে এইসব চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে যাচ্ছে তারা এইসব অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীদের মাধ্যমে।


মিরপুর বেড়িবাঁধের কাঁচামালের আড়ৎদের ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলেন এখানে প্রায় ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০ আড়ৎদার রয়েছেন । ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সাবধানে নেন এমনকি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এখানে মাল ক্রয় করতে আসলে তাদের কাছ থেকেও চাঁদা আদায় করে থাকেন। ওই চাঁদাবাদ সন্ত্রাসীদের নিয়োজিত সদস্যরা প্রতিটি রিকশা ভ্যান থেকে ও পিকআপ ভ্যান থেকে এমন কি ট্রাক থেকে ৩০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করেন। সাদা টাকা না দিলে ওই ব্যবসায়ীদের উপরে অমানবিক নির্যাতন শুরু করে চাঁদাবাজ সদস্যরা। তখন ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে তাদেরকে চাঁদা দিতে হয়। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ এইসব চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কেউ ব্যবস্থা নিচ্ছে না ।


ওইসব চাঁদাবাজদের চাঁদা দিতে গিয়ে দ্রব্যমূল্য জিনিসের দাম বেড়ে যায়। ব্যবসায়ীরা আরও অভিযোগ করেন, দীর্ঘকাল ধরে এলাকার নেতা ও তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা মাস্তানদের চাঁদা এবং পুলিশকে ঘুষ দিয়েই কাঁচামালের আড়ৎদের, ফুটপাথে ব্যবসা ও টেম্পু স্ট্যান্ড গুলো ব্যবসা করতে হচ্ছে এছাড়া আমাদের কোন প্রকার উপায় নেই। নাইমেন তৈয়ব আলী জানান, চাঁদাবাজ খাইরুল, রতন ও জনি তার কাছ থেকে প্রতিমাসে ৭ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে না হলে তাকে লাইন চালাইতে দিবে না। এমনকি তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদর্শন করেন ওই চাঁদাবাজরা। তাদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিলে বিভিন্ন ধরনের অমানবিক নির্যাতন শুরু করে চাঁদাবাজদের সদস্যরা তাই ব্যবসায়ীরা নিরুপায় হয়ে তাদেরকে চাঁদা দিতে বাধ্য হচ্ছেন।


যেখানে চাঁদাবাজদের সঙ্গে প্রশাসন লোকজন জড়িত রয়েছে। তাই প্রশাসনের কাছ থেকে বিচার দিয়ে কি আর লাভ হবে। ব্যবসায়ী আবুল বাশার জানান খাইরুল, রতন ও জনি তারা কিশোর গ্যাংয়ের লিডার এবং তাদের মাধ্যমে মিরপুর বিভিন্ন এলাকায় কিশোরগ্যাংয়ের সদস্যরা বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে তাদের মাধ্যমে তারা এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। টেম্পু চালক আতিফুর রহমান জানান ওইসব চাঁদাবাজদের অত্যাচারে টেম্পু স্ট্যান্ডে যাত্রী রাও আসতে ভয় পায়। প্রতিদিনই চাঁদাবাজ সদস্যদের সাথে আমাদের কথা কাটাকাটি হয় এমনকি আমাদেরকে মারধর করে।


ব্যবসায়ী মোহাম্মদ কাউসার মিয়া জানান চাঁদাবাজরা যেসব চাঁদা টাকা উঠায় সেগুলো আবার মিরপুর ১ নাম্বার প্রিন্স বাজার মার্কেটের দ্বিতীয় ও সপ্তম তলা বসে তারা ভাগাভাগি করে নেয় । তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে গেলে উল্টো তাদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে থাকেন। এইসব অবকর্মীর দেখার কেউ নেই? ওইসব চাঁদাবাজরা এমপি ও স্থানীয় সরকার দলীয় নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি সহ অন্যান্য অপকর্ম করে যাচ্ছে কিন্তু নেতারা জানার পরেও কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না কেন। এর শেষ কোথায় কবে জানব।


এইসব ব্যাপারে খাইরুল, রতন ও জনি কে কাছে জানতে চাইলে তারা এসব ঘটনার অস্বীকার করেন তারা এইসব ঘটনায় কিছুই জানেন না। আবার
সম্প্রতি কিছু উঠতি মাস্তানদের দৌরাত্ম্য এতটাই বেড়েছে যে ব্যবসা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে। এসব মাস্তান ২৫-৩০ জন কিশোরকে দলে ভিড়িয়ে একটি গ্রুপ তৈরি করছে। এরপর সংশ্লিষ্ট থানার কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের টাকার বিনিময়ে হাত করে জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে। সম্প্রতি মিরপুর-১ ও দারুসসালাম এলাকায় হকার মোহাম্মদ খলিল ও আলামিন নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে এমনই একটি গ্রুপ।


যারা ওই এলাকার প্রতিটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দিনহারে চাঁদা আদায় করছে। তাদের টাকা দিতে না চাইলে শুরু হচ্ছে হামলা ও নির্যাতন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গেলে দ্বিমুখী সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। পুলিশ অভিযোগ শুনলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। আর এই সুযোগে সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া হয়ে নির্যাতন চালাতে শুরু করে। শাহ আলী এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হোসেনের দোকানে হামলা চালায় তাদের বাহিনীর সদস্যরা। এই ঘটনায় তিনি শাহআলী থানায় একটি জিডি করেন। তিনি বলেন, রাস্তার পাশে ব্যবসা করতে গেলে কয়েকটি ধাপে চাঁদা ও ঘুষ দিয়েই ব্যবসা করতে হয়। এটা এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে।


কিন্তু যখন এর বাইরেও চাঁদা দিতে হয় তখন ব্যবসায়ীদের পুঁজি ভেঙে খাওয়া ছাড়া কোনো পথ থাকে না।তিনি বলেন, ফুটপাথে খুবই কম লাভে পণ্য বিক্রি করতে হয়। এখন প্রচুর দোকান থাকায় খুব বেশি লাভও হয় না। তার মধ্যে থানা, পুলিশ, লাইনম্যান, ঝাড়–দার, সোর্স এবং এলাকার বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের আলাদা আলাদা করে টাকা দিতে হয়। কেউ দিন হিসাবে আবার কেউ সপ্তাহ হিসাবে এসব টাকা নিয়ে থাকে। তার মধ্যে এখন যুক্ত হয়েছে খলিল ও আলামিন বাহিনীর সদস্যরা। কিছু কিশোর ও উঠতি বয়সী যুবকদের সাথে নিয়ে প্রতিটি দোকানে চাঁদা দাবি করছে। না দিলে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হচ্ছে।


কামাল হোসেন নামে অপর একজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, এই দলে সাইদুল, হাসান, সিরাজ, বড় সুমন, মোল্লা ,বাবুসহ ২০-২৫ জন সদস্য রয়েছে। এরা প্রত্যেকে এলাকা ভাগ করে চাঁদা আদায় করছে। কেউ দিতে না চাইলে এরা সবাই একসাথে গিয়ে হামলা চালাচ্ছে। চাঁদা না দেয়ায় তার দোকানে হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করে।এই ঘটনায় তিনি দারুসসালাম থানায় একটি জিডি করেন। তিনি আরো বলেন, এদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয় না। ফলে সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া হয়ে যায়। তিনি বলেন, ফুটপাথে সামান্য লাভে পণ্য বিক্রি করে সংসার চালাতে হয়।


কিন্তু সেই সামান্য লাভের টাকা থেকে যদিও এভাবে বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে ভাগ দিতে হয় তাহলে আর কিছুই থাকে না। এখন দেখা যাচ্ছে পুঁজি থেকেই চাঁদার টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে।তারা আরো অভিযোগ করে বলেন মুক্ত বাংলা মার্কেটে সভাপতি আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জুম্মান মিরপুর বিভাগের পুলিশের ডিসি মো. জসিম উদ্দিনের নামে খলিল ও আলামিন মাধ্যমে চাঁদা উঠায় হকারদের কাছ থেকে। প্রতিদিন তারা্ এই ভাবে পুলিশের নামে হকারদের কাছ থেকে চাঁদার টাকা উঠাচ্ছে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর