Logo
আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

মালয়েশিয়ায় থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে আটক ১৭১ বাংলাদেশি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫৮জন দেখেছেন

Image

প্রবাস ডেস্ক:মালয়েশিয়ায় কাজের সন্ধানে গিয়ে প্রতারিত হওয়ায় থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৭১ জন বাংলাদেশি শ্রমিক। দেশটির জহুর রাজ্যের একটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। খবর- বারনামাডটকম।

গত ২০ ডিসেম্বর ১৭১ বাংলাদেশিকে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন কোটা টিংগি জেলার পুলিশ প্রধান সুপ্ত হুসেন জামোরা। এ ঘটনায় মালয়েশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীকে (এমএএফ) একই দিন একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছিল।

সুপ্ত হুসেন জামোরা জানান, এমএএফ কর্মীরা যাদের আটক করা হয়েছে তারা সবাই পুরুষ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তারা তাদের হোস্টেল থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বেউ দামাই থানার দিকে যাচ্ছিল। বিদেশি এসব শ্রমিক তাদের এজেন্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে থানায় যাচ্ছিল। তাদের অভিযোগ, গত তিন থেকে ছয় মাসেও এজেন্ট তাদের কাজে নিয়োগ দেয়নি।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) এ ব্যাপারে তিনি বলেন, তাদের সবাইকে আটক করা হয়েছে, কারণ তারা গন্তব্য না জেনে তেলুক রামুনিয়া বায়ু দামাই মোড়ের সামনের এলাকায় হাঁটছিল। বড় জমায়েত দেখে স্থানীয়রা ভয় পেয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে যে তারা থানায় যাচ্ছিল। তাদের সবার কাছে বৈধ নথি ছিল। এ থেকে বোঝা যায়, আটকদের এজেন্টরা এখনও তাদের জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থান খুঁজে পায়নি।

হুসেন আরও বলেন, আটকরা সবাই ১৮ থেকে ৪৩ বছর বয়সের। আমাদের অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ১৫(১)(সি) এর অধীনে অতিরিক্ত অবস্থানের কারণে অভিবাসন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অধিকতর তদন্তের জন্য তাদের সবাইকে জোহর বারুর সেটিয়া ট্রপিকা ইমিগ্রেশন বিভাগে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর

সাফল্য অর্জনকারী ৫ জয়িতার গল্প

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪




এলপিজি ব্যবহারে মন্ত্রণালয়ের সতর্কবার্তা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সতর্কবার্তা জানিয়েছে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়,বাসাবাড়িতে এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহারের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের প্রতি ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) এক বার্তায় মন্ত্রণালয় জানায়, এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহার সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে বিভিন্ন স্থানে কিছু প্রান্তিক ব্যবহারকারী অগ্নিদুর্ঘটনা ও গ্যাস বিস্ফোরণের সম্মুখীন হচ্ছেন।

এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহারের ক্ষেত্রে রান্না শেষে রেগুলেটরের সুইচ অন থাকলে গ্যাস লিক হয়ে ঘরে জমা হতে পারে। এলপি গ্যাস বাতাস থেকে ভারী বলে কোনো লিক বা সংযোগের ত্রুটির কারণে নিঃসৃত গ্যাস ঘরের মেঝেতে জমা হয়। এ অবস্থায় গ্যাসপূর্ণ ঘরে আগুন জ্বালালে বা স্পার্ক করলে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। সিলিন্ডার আগুনে বা অন্যভাবে গরম হলে তরল এলপিজি দ্রুত গ্যাসে রূপান্তরিত হয়ে অস্বাভাবিক চাপ বৃদ্ধির ফলে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হতে পারে। সিলিন্ডার কাত করে রাখলে বা চুলার উপরে রাখলে রান্নাঘরে অগ্নিকাণ্ড বা বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।

এমতাবস্থায়, এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্বসাধারণকে নিম্নলিখিত সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে-

১. রান্না শেষে চুলা ও এলপিজি সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ অবশ্যই বন্ধ করুন। সিলিন্ডার কোনোভাবেই চুলার/আগুনের পাশে রাখবেন না।

২. চুলা থেকে যথেষ্ট দূরে বায়ু চলাচল করে এমন স্থানে এলপিজি সিলিন্ডার রাখুন।

৩. এলপিজি সিলিন্ডার খাড়াভাবে রাখুন, কখনই উপুড় বা কাত করে রাখবেন না।

৪. চুলা সিলিন্ডার থেকে নিচুতে রাখবেন না, কমপক্ষে ৬ ইঞ্চি উপরে রাখুন।

৫. গ্যাসের গন্ধ পেলে দ্রুত দরজা-জানালা খুলে দিন এবং এলপিজি সিলিন্ডারের রেগুলেটর বন্ধ করুন।

৬. অতিরিক্ত গ্যাস বের করার জন্য এলপিজি সিলিন্ডারে তাপ দেবেন না।

৭. রান্নাঘরে স্থাপিত আবদ্ধ কোনো ক্যাবিনেটে এলপিজি সিলিন্ডার রাখবেন না।

৮. রান্না শুরু করার ৩০ মিনিট আগে রান্নাঘরের দরজা জানালা খুলে দিন।

৯. সিলিন্ডারের ভান্তের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রেগুলেটর ব্যবহার করুন।

১০. ত্রুটিপূর্ণ ক্লিপ, হোসপাইপ পরিবর্তন করুন।


আরও খবর

সাফল্য অর্জনকারী ৫ জয়িতার গল্প

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪




কুষ্টিয়ার বটতৈলের রুশিয়া মেম্বারের ইদ উপহার বিতরন

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৪জন দেখেছেন

Image
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃকুষ্টিয়া সদর উপজেলার ৪নং বটতৈল ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা আসন ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার রুশিয়া খাতুনের ঈদ উপহার শাড়ি থ্রি পিস পেলেন এলাকার প্রায় শতাধিক ত্যাগী নারী কর্মি। ৩০ মার্চ ২০২৪ইং শনিবার বেলা ১১ঃ৩০ মিনিটে নিজ বাড়িতে তাঁর নিজস্ব কমীদের মাঝে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঈদের উপহার হিসাবে শাড়ি ও থ্রি পিস বিতরণ করেন । অনুষ্ঠানের অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুষ্টিয়ার সাবেক যুবলীগ নেতা ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এফ এম এনামুল হক, বটতৈল ৮ নং ওয়ার্ড কৃষকলীগের সভাপতি হালিম মোল্লা সহ স্থানীয় নেতাকমীরা।
 
এফ এম এনামুল হক তার মন্তব্যে বলেন, আমরা সবাই গানের ভালো শিল্পী হিসেবে আলোচিত রুশিয়া মেম্বার আজ তার নিজ উদ্যোগে ত্যাগী কর্মীদের মাঝে ঈদের উপহার তুলে দিলেন। এটা একটি সকলের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তার মতো সমাজের যারা প্রতিনিধি আছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান ও অন্যান্য মেম্বার যদি এই রকম উদ্যোগ নেন তাহলে কর্মীদের তাদের কাজের উৎসহ পাবে। রুশিয়া মেম্বার জেলা প্রতিনিধি’কে বলেন,পবিত্র মাহে রমাদান শেষে ঈদের আনন্দ সবার সাথে ভাগাভাগি করতে আমার এই  সামান্য উপহার আমার ভালোবাসার কর্মীদের মাঝে দিতে পেরে সত্যিই আজ আমি নিজেকে মেম্বার হিসেবে মনে করছি। এই কর্মীদের জন্য আজ আমি মেম্বার হতে পেরেছি। তাদের যখনই ডাকি তারা সংসারের কাজ ফেলে আমার সাথে কাজ করে। আমাকে ভালো কাজ করতে উৎসাহিত করে।
 
ঈদ কে সামনে রেখে ঈদ উপহার পেয়ে কর্মিরাও খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়েন। উপহার হিসেবে শাড়ি -থ্রি পিচ পাওয়ার পর কর্মিদের কেউ কেউ তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে রুশিয়া মেম্বারের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তার সমৃদ্ধি ও সফলতা কামনা করেন। এ ছাড়াও ভবিষ্যতে এই ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ারও আহ্বান জানান তারা।

আরও খবর



রেলওয়ের জমি,কোয়ার্টার ওপানির পাম্প দখল অব্যাহত,রেলকর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩১জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুরে রেলওয়ের জমি, কোয়ার্টার ও পনির পাম্প রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তার ঘুষ বাণিজ্যের কারণে রেলওয়ের কোয়ার্টার ও ভবনসংলগ্ন জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছেই। একই সাথে পানির পাম্প ও দখল করে সেখানে স্হাপনা নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে।  এই দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী রেলওয়ে জমিতে স্থাপনাকারীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে থাকেন বলে দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েও মিলছে না কোনো প্রতিকার। এতে সৈয়দপুর রেলবিভাগ হারাচ্ছে পুরোনো দিনের ঐতিহ্য। যার ফলে প্রায় প্রকাশ্যেই চলছে কোয়ার্টারসহ কোয়ার্টার ভেঙে ঘরবাড়ি নির্মাণ,ভবনসংলগ্ন জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ ও পানির পাম্প দখল। গত ৫০ বছরে সৈয়দপুর রেল বিভাগ দখল হারিয়েছে প্রায় সারে ৪ শত একর সম্পত্তি ও ১২৩৮কোয়ার্টার।

পার্বতীপুর ৭ নং রেলওয়ের কাছারি ফিল্ড কানুনগো সাজ্জাদ হোসেন দখলের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তৎকালীন রেল কর্তৃপক্ষ এ শহরে রেলকে ঢেলে সাজাতে প্রায় ৮৫০ একর ভূসম্পত্তি অ্যাকুয়ার করে নেন। ১৮৭০ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত রেলওয়ের এসব অ্যাকুয়ারকৃত জমি সুরক্ষিত ছিল। এরপর থেকে শুরু হয় রেলওয়ের জমি দখল বিক্রয়। যেসব জমি বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে খতিয়ান ভুক্ত বা দখল হয়েছে,সেগুলির রেকর্ড সংশোধনী মামলা ও দখলদার উচ্ছেদের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। 

রেলওয়ে কারিগরি পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান জানান,  সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কজন কর্মকর্তার ঢিলামি ও সেলামী নেয়ার কারণে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রায় সারে ৪ শত একর জমি ও প্রায় ১২৩৮ কোয়ার্টার বেদখলে চলে যায়। দখলবাজরা ওই কজন রেল কর্মকর্তা রেলের জমি দখল বিক্রয় কারিদের সেলামি নিয়ে লাখ লাখ টাকার মালিক হলেও রেল বিভাগ দখল হারিয়েছে ৪২৭ একর সম্পত্তি ।

শহরের মুন্সিপাড়ার ইসলামিয়া স্কুল সংলগ্ন তন্ময় নামের এক ব্যাক্তি বলেন,ওই এলাকার ফটিক নামের এক ব্যক্তি রেলওয়ের কোয়ার্টার ভেঙে ও পতিত জমিতে একাধিক স্থাপনা নির্মাণ করেছেন এবং তার ছত্র ছায়ায় আশপাশ এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনা নির্মাণ হয়েছে। এসব বিষয়ে অভিযোগ দিয়েও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার পকেট ভারী হওয়ায় প্রতিকার বা লাভবান হয়নি অভিযোগকারীসহ রেল বিভাগ। 

জানতে চাইলে ফটিক নামের ব্যাক্তিটি বলেন,মুন্সিপাড়ার কেউই কোয়ার্টার ভেংগে ঘরবাড়ি বানাতে রেলওয়ের লাইসেন্স বা অনুমতি নেয়নি। সবাই যেভাবে ঘরবাড়ি বানাচ্ছেন,আমিও সেভাবেই নির্মান করছি।

 এ ছাড়া শহরের রেললাইনের দুপাশ, ড্র্রেনসংলগ্ন এলাকা ও অফিসার্স কলোনি, রসুলপুর হাওয়াদ পাড়াও গার্ডপাড়া এলাকায় রেলওয়ের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছেই। একই সাথে বানিজ্যিক বরাদ্দের কাগজ দেখিয়ে পানির পাম্প দখল করে সেখানে নির্মান হচ্ছে পাকা দোকানপাট। 

স্থানীয়রা বলেন , সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের আঙুল ফুলে কলাগাছ হলেও রেল বিভাগ যেমন লোকসান ভুগছেন তেমনি অভিযোগকারীরা দখলদারদের হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছেন। তারা বলেন, বাস্তুহারার নামে সৈয়দপুরের কোটি কোটি টাকার মালিকরাও রেলের জমি দখল করে বহুতল ভবন ও মার্কেট নির্মাণ করেছেন। বাস্তুহারাদের বাদ দিয়ে রেলওয়ের ঐতিহ্য রক্ষায় দখল হওয়া সব জমি উদ্ধার করে অপ্রয়োজনীয় সব জমি বিক্রি করা হলে সে টাকা দিয়ে পদ্মা সেতুর মতো সেতু নির্মাণের অর্ধেক অর্থ জোগান দেওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তারা।

শহরের মিস্ত্রি পাড়া মোড়ের বাবু নামের এক ব্যাক্তি বলেন, সেখানকার পানির পাম্প সংলগ্ন কিছু জমি বরাদ্দের জন্য শহীদ সন্তান শেখ জামিল ও নিয়াজ আহমেদ বাবলু পাকশি রেলবিভাগে আবেদন করেন। কিন্ত সেখানে পানির পাম্প বরাদ্দ দেয়া হয় না বলে জানানো হয়। এর পরপরই ঈদের আগে রমজান মাসে সরকারি বেসরকারি সব অফিস আদালত বন্ধ হয়ে যায়। ছুটি শেষে অফিস খোলার আগেই বাবলু নামের ওই যুবদল নেতা বানিজ্যিক বরাদ্দের কাগজ দেখিয়ে পানির পাম্পটি দখল নিয়ে স্হাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে দেন। তিনি আরো বলেন,শেখ জামিল হলেন শহীদ সন্তান। কিন্তু এরপরেও তাঁকে বরাদ্দ না দেয়ায় অভিযোগ দেয়া হয় স্হানীয় উপসহকারী প্রকৌশলীর দপ্তরে। কিন্তু ওই দপ্তরের উপসহকারী আবাসিক প্রকৌশলী সরিফুল ইসলাম  ঘটনাস্থল প্রদর্শন করার পরও কার্যকর কোন পদক্ষেপই নেননি। একজন যুবদল নেতা কিভাবে রেলওয়ের পানির পাম্প ও জমি বরাদ্দ পায়, এবং তার বিরুদ্ধে কিসের স্বার্থে ব্যবস্হা নেয়া হচ্ছে না সেটি ভাবার বিষয়। বিষয় টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা নেয়ার জোড় দাবী জানান তিনি। 

বিষয়টি নিয়ে সৈয়দপুর রেলওেয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী সরিফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল যাই, সেখানে নিয়াজ আহমেদ প্রথমে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে রাজস্ব প্রদানের কাগজ দেখান, এটাকেই তিনি লাইসেন্স মনে করেন। পরে তার বরাদ্দের কাগজ চাইলে  স্হাপনা নির্মাণের একটি বানিজ্যিক লাইসেন্স প্রদর্শন করেন। তিনি আরো বলেন, যেহেতু জায়গাটি রেলওেয়ের এবং সেখানে পানির পাম্প বিদ্যমান,সেহেতু যদি লাইসেন্স দেয়া হয়, তাহলে সেটি বাতিল করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ষ্টেট বিভাগ পাকশির বিভাগীয় প্রধানের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত লাইসেন্স বাতিল করে পাম্প টি রেলওয়ের নিজ দখলে নিতে পারবো না, ততক্ষণ পর্যন্ত ক্ষান্ত হবেন না।  একই সাথে বেদখল হয়ে যাওয়া ভুসম্পত্তি দখলে নেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। 


আরও খবর



ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জের উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে শরবত ও সুপেয় পানি বিতরণ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ২৬জন দেখেছেন

Image
রাকিবুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ থেকে:"পরিচ্ছন্ন- সবুজ বাসযোগ্য ধরণী থেকে আমার অঙ্গীকার" এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত পরিবেশবাদী স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংস্থা "ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জ কর্তৃক তীব্র গরমে রাস্তায় চলাচল করা পথচারী এবং কর্মজীবী মানুষের মাঝে ঠান্ডা শরবত এবং সুপেয় পানি বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে বাজার স্টেশন চত্বরে ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জের আয়োজনে পথচারী ও কর্মজীবী মানুষের মাঝে ঠান্ডা শরবত এবং সুপেয় পানি বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মো.আশিক আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিতরণ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন সিরাজগঞ্জ পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ১ প্যানেল মেয়র -  মো.নুরুল হক, ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জ এর স্থায়ী সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.সাইফুল ইসলাম তালুকদার।

অনুষ্ঠানের  প্রধান অতিথি  সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা তিনি বলেন - ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জ বরাবরই জনকল্যাণকর কাজে নিজেদের নিয়োজিত রাখে। আমি অতীতেও দেখেছি এই সংগঠনটি মানুষের কল্যাণে যেভাবে নিরলস পরিশ্রম করে এমন আরো কয়েকটি সংগঠন যদি সিরাজগঞ্জে থাকতো তবে সিরাজগঞ্জের চেহারা পাল্টে যেত। আমি বিশ্বাস করি ক্লিন সিরাজগঞ্জ একদিন তাদের কাজের মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপী পরিচিত লাভ করবে এবং সিরাজগঞ্জবাসীর মধ্য মনে হয়ে থাকবে। আমি তাদের সকল জনকল্যাণকর কাজের সমর্থন দিয়ে এসেছি ভবিষ্যতেও দেব। 
বিশেষ অতিথির ১ প্যানেল মেয়র নুরুল হক বলেন - ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জ সত্যিকার অর্থে একটি পরিবেশবাদী এবং মানবিক সংগঠন। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা স্নেহের আশিক তার স্বেচ্ছাসেবকবাহিনী নিয়ে সিরাজগঞ্জবাসীর জন্য যে পরিমাণ কাজ করে যাচ্ছে সত্যি তা প্রশংসার দাবিদার। ক্লিন সিরাজগঞ্জের প্রতিটি কাজ সমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, পরিবেশের জন্য আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি এই সংগঠনটির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি এবং প্রত্যাশা রাখি অতীতে ন্যায় বর্তমান এবং ভবিষ্যতে আরো জনকল্যাণকর কাজের মধ্য দিয়ে সিরাজগঞ্জবাসীকে একটি বাসযোগ্য সিরাজগঞ্জ উপহার দেবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জ এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মো. আশিক আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন - আমরা পরিবেশবাদী সংগঠন হলেও সামাজিক এবং মানবিক কাজ কখনোই পিছিয়ে থাকি না। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রতি বছরই এই ধরনের তীব্র গরমের সম্মুখীন হই আমরা। এবং এই গরম থেকে পথচারীদের স্বস্তি দিতে প্রতিবছরই আমরা এই আয়োজন করে থাকি। আজকে আমরা ১০০০ থেকে ১২০০ লোকের মধ্যে এই শরবত এবং সুপ্রিয় পানি বিতরণ করবো। এবং আমাদের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।

আরও খবর



হিলিতে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের খরিপ-১ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় দিনাজপুরের হিলিতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে আউশ ধানের বীজ,গ্রীষ্মকালিন পেঁয়াজ বীজ ও সার বিতরণের উদ্বোধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১২ টায় হাকিমপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে কৃষি প্রশিক্ষণ হলরুমে ৪ শত ৫০ জন কৃষকদের মাঝে এসব বীজ ও সার বিতরণ করা হয়।এসব বিতরণ অনুষ্ঠানে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায়,উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারুল নাহার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা: আরজেনা বেগম, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মেজবাহুর রহমান,পল্লী উন্নয়ন অফিসার গোলাম রব্বানী, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুরাদ ইমাম কবিরসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম জানান,২০২৩-২৪ অর্থ বছরে খরিপ-১ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় আউশ ধান, পাট ও গ্রীষ্মকালিন পেঁয়াজ (নাবী) এর উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরনের উদ্বোধন করা হয়েছে।তিনি আরও জানান,এ বছর হাকিমপুর উপজেলায় ৪০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে প্রতি বিঘার জন্য আউশ ধানের বীজ ৫ কেজি, ১০ কেজি ডিএফপি ও ১০ কেজি এমওপি সার প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ৫০ জন কৃষকের মাঝে প্রতি বিঘা ১ কেজি পাট বীজ বিতরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে সময়ে ৩০ জন কৃষকের মাঝে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ ও সার বিতরণ করা হবে।


আরও খবর