Logo
আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

কুড়িগ্রামের বিভিন্ন গ্রামঞ্চলে গ্রামীণফোনে নেটওয়ার্ক না থাকায় বিপাকে গ্রাহকরা সচলের দাবী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃদেশের উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলা ভিন্ন স্থানে গ্রামীণফোনের নেটওর্য়াক না পাওয়ায় অকেজো হয়ে পড়েছে গ্রাহকদের গ্রামীণফোন। গ্রামীণ নেটওয়ার্ক সমস্যায় যেসব এলাকা উল্লেখ করা হচ্ছে রৌমারী উপজেলার মহসড়কে পূর্ব অঞ্চটিতে ভোগান্তিতে রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার গ্রাহক। পাশাপাশি চর রাজিবপুর উপজেলায়একইভাবে মহাসড়কের পূর্ব অঞ্চলটি বরাবরই গ্রামীণ নেটওর্য়াক বঞ্চিত রয়েছে প্রায় ২০ হাজার গ্রাহক। প্রতিকারের জন্য বার বার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি প্রতিকারকদের কাউকেই। ফলে রৌমারী এবং চর রজিবপুর মিলে প্রায় লক্ষাধিক গ্রাহক গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক বঞ্চিত রয়েছে। দীর্ঘ ৮ থেকে ৯ মাস যাবৎ নেটওয়ার্ক না থাকায় বিভিন্ন কোম্পানির সিমকার্ড ব্যবহারে বাধ্য হচ্ছে বলেও গ্রামীণফোনের গ্রাহকদের বরাত দিয়ে জানা গেছে। এদিকে মহাসড়কের পূর্বঅঞ্চলটিতে বিভিন্ন কোম্পানির কয়েকটি টাওয়ার স্থাপন করায় গ্রামীণ নেটওয়ার্ক পির্যয় দেখা দিয়েছেন।

এঅঞ্চলে থাকা গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যারা গ্রামীণফোন ব্যবহার করছেন, তাদের কেউই এখন আর নেটওয়ার্ক পাচ্ছেন না। নেটওয়ার্ক বিপর্যয়ের বিষয়, ফেসবুক পেইজে গ্রামীণফোন অফিসকে অবগত করা হলেও কোন কাজে আসছেনা।

গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক বঞ্চিত এলাকা গুলো পরির্দশন করে জুররী ভিত্ততে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন এমন প্রত্যাশা করছেন গ্রামীণফেনের গ্রাহকরা। অপরদিকে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্কের দায়িত্বে থাকা কোনপ্রকার কর্মকর্তা কর্মচারিদের কাউকেই খোজে পাওয়া যাচ্ছেনা ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের।


আরও খবর



তিতাস গ্যাসের সিবিএ সভাপতি মরহুম কাজিম উদ্দিন প্রধানের স্মরনসভা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ১০৭জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃতিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ) সভাপতি প্রয়াত কাজিম উদ্দিন প্রধানের স্মরনসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়ন এর উদ্যোগে ২৪ এপ্রিল বুধবার সকাল ১১ টায় কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে এ স্মরনসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।এতে সভাপতিত্ব করেন তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়ন সিবিএ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ.কে.এম কামাল উদ্দিন। স্মরণ সভায় শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন ক্বারী মোঃ আবুল কালাম আজাদ। এ সময় প্রয়াত সভাপতির স্মরনে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।  শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন তিতাস গ্যাসের সিবিএ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আয়েজ উদ্দিন আহমদ। এ সময় প্রয়াত সভাপতির কর্মময় জীবনের নানান বিষয় তুলে ধরেন সৈয়দ আয়েজ উদ্দিন আহমেদ। স্মরণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হারুনুর রশিদ মোল্লাহ, জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর কুতুব আলম মান্নান,সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কে এম আযম খসরু, সিনিয়র সহ-সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, কার্যকরী সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়া,আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এইচএম মোতালেব, তিতাস গ্যাস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ সেলিম মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম তারেক, পেট্রো বাংলার সিবিএ নেতা মোঃ লিয়াকত আলী, পেট্রোবাংলা ফেডারেশন লীগের সভাপতি সাহেব আলী মিয়া,তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের কর্মচারী ইউনিয়ন সিবিএ সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রী রতন বসু, অর্থ সম্পাদক মোঃ ফারুক হোসেন শেখ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ তাজুল ইসলাম,  প্রয়াত সভাপতি মরহুম কাজীম উদ্দিন এর বড় ছেলে মোঃ সাজ্জাদ উদ্দিন অপু ।

স্মরন সভায় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশিদ মোল্লাহ সিবিএর প্রয়াত সভাপতি মরহুম কাজিম উদ্দিন প্রধানের স্মৃতিচারণ করে বলেন, সিবিএ সভাপতি মরহুম কাজিম উদ্দিন প্রধান ছিলেন একজন অনন্য চরিত্রে অধিকারী, সিবিএ ম্যানেজম্যান্টের সাথে যে ব্যাবহার করে তিনি তা করতেন না, কখনও আমাকে বলেননি যে এটা করতেই হবে, বিনয়ের সাথে বলতেন স্যার এই কাজটি করলে কোন সমস্যা হবে কি না, আসলে তিনি ছিলেন একজন অমায়িক মানুষ, মানুষ কে তিনি খুব ভালো বাসতেন, আমার আড়াই বছরের তিতাস গ্যাসের এমডি থাকা অবস্থায় তিনি এমন কোন কাজ করেননি যা কষ্টদায়ক,অত্যন্ত ভালো একজন বক্তা ছিলেন তিনি।

এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন তিতাস গ্যাসের বিভিন্ন আঞ্চলিক অফিসের কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও নেতা কর্মীরা। স্মরণ সভায় প্রয়াত সভাপতি কাজিম উদ্দিন প্রধানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন বাইতুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মোঃ মিজানুর রহমান।


আরও খবর



চিনির উৎপাদন বৃদ্ধি সময়ের দাবি: ধর্মমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৯৫জন দেখেছেন

Image
লিয়াকত হোসাইন লায়ন,জামালপুর:ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, বিশ্বজুড়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য গ্রহণের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিনির ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ এবং বাজার স্থীতিশীল রাখার জন্য চিনির উৎপাদন বৃদ্ধি এখন সময়ের দাবি। 

মন্ত্রী বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় চিনি শিল্প ভবনের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ চিনিকল আখচাষী ফেডারেশনের পক্ষ হতে তাঁকে দেয়া সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, সারা পৃথিবীতেই চিনির চাহিদা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। অধিকাংশ দেশেই যতটুকু চিনি। খেতে বলা হয় তার চেয়ে বেশি চিনি খাওয়া হচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল সুগার অর্গানাইজেশন(আইএসও) এর তথ্য মতে, ২০০১ সালে বিশ্বব্যাপী চিনি খাওয়ার পরিমাণ ছিলো ১২৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন যা বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮ সালে দাঁড়ায় ১৭২ দশমিক ৪ মিলিয়ন টন। গত ৫ দশকে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য গ্রহণের প্রবণতা বৃদ্ধির কারণে চিনি গ্রহণের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। 

তিনি আরো বলেন, বছরে আমাদের চিনির চাহিদা প্রায় ১৮ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে আমরা উৎপাদন করতে পারি মাত্র ৮০ হাজার মেট্রিক টন। চিনি উৎপাদনের এই চিত্রটি আমাদের জন্য নিতান্তই হতাশাব্যঞ্জক। এদেশের চিনি শিল্প ও আখচাষীদেরকে বাঁচাতে হলে আমাদেরকে এখনই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলোচনা করবেন বলে চিনিকল আখচাষী ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করেন।

বাংলাদেশ চিনিকল আখচাষী ফেডারেশনের সভাপতি ও পঞ্চগড়-১ সাবেক সংসদ সদস্য  মজাহারুল হক প্রধানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান শেখ শোয়েবুল আলম, পরিচালক এটিএম কামরুল ইসলাম তাং, খোন্দকার আজিম আহমেদ, মোঃ আতাউর রহমান খান, ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী বাদশা প্রমূখ।

আরও খবর



গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৪৪জন দেখেছেন

Image

মুক্তার হোসেন,গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃআগামী ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রাজশাহীর গোদগাড়ী উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে রাজশাহী জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে প্রার্থীদের উপস্থিতিতে জেলা নির্বাচন অফিসার শাহিনুর ইসলাম প্রামানিক প্রতীক বরাদ্দ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন। গোদাগাড়ী উপজেলায় থেকে ৫ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এদের মধ্যে বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম প্রতীক পেয়েছেন কাপ-পিরিচ। গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল আলম এর প্রতিক-আনারস। উপজেলা যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও সদ্য পদত্যাগকৃত দেওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল এর প্রতিক- দোয়াত কলম। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক সুনন্দন দাস এর প্রতিক- মোটরসাইকেল। রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক সাজেদুর রহমান খান মার্কনি এর প্রতিক- ঘোড়া। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন ৪ জন। গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেনের প্রতীক- চশমা। উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম সরকার এর প্রতীক- তালা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি সালমান ফিরোজ ফয়সাল এর প্রতীক- টিয়া পাখি, আদিবাসী নেতা হুরেন মুর্মু এর প্রতিক- টিবয়েল।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দি¦তা করছেন ২ জন। উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুফিয়া খাতুন মিলি এর প্রতক-প্রজাপতি। উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রীমতি কৃষ্ণা দেবী এর প্রতিক- ফুটবল। প্রতীক পেয়েই গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমি ৫টি বছর উপজেলার পরিষদ সুষ্ঠ ভাবে চালিয়ে সরকারের সকল উন্নয়ন করেছি। সকল মানুষের সুখে দু:খে পাশে ছিলাম এবং আগমীতে আবারও জয়ী হয়ে জনগণের জন্য যা যা করা দরকার সেসব সেবা করার কথা জানান। আনারস প্রতীকের প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল আলম বলেন, আগামীকাল থেকে ভোট প্রার্থীনায় জনগণের দ্বারে দ্বারে যাবো। এবারের নির্বাচনে সকলেই স্বতন্ত্র প্রার্থী আশাকরি দলীয় কোন প্রভাব থাকবে না। এতে আমাদের মধ্যে হিংসা বিবাদ থাকবে না। আমরা মনে করে সাধারণ মানুষকে ভোটমুখি করতে পারবো।

কোন প্রভাবশালী যদি বাধা-বিঘœ করে আমাদের তরফ থেকে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা করতে চাইনা। এক্ষেত্রে মিডিয়া ও প্রশাসন দেখবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন নির্বাচন সুষ্ঠ হবে আর নির্বাচিত হতে পারলে সুষ্ঠভাবে উপজেলা পরিষদ চালানো ও সরকারি বরাদ্দ বিগত দিনে যা হয়েছে তার চেয়ে সুষ্ঠ ভাবে আমি করবো বলে জানান। দোয়াত কালি প্রতীকের প্রার্থী বেলাল উদ্দীন সোহেল জয়ে শতভাগ আশা ব্যক্ত করে বলেন, আমি স্মার্ট উপজেলা পরিষদ গড়ে তুলবো। এছাড়াও শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে অধিক গুরত্ব দেওয়ার কথা জানান এই প্রার্থী। ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক সাজেদুর খান মার্কনী বলেন, আমি সারা জীবন বিএনপি করে এসেছি এবং তা ভবিষ্যতেও করতে চাই। আমি জনগণের সেবার উদ্দেশ্যে ভোট করতে চাই।


আরও খবর



বিমানবন্দর এলাকায় নির্মাণ হচ্ছে বহুতল ভবন, দুর্ঘটনার আশংকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী)প্রতিনিধি:সৈয়দপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই রানওয়ের ৪০০ গজ উত্তরে নির্মাণ হচ্ছে বহুতল ভবন। নুর ইসলাম নামের এক ব্যাক্তি ওই ভবন নির্মাণ করলেও আইনি কোন পদক্ষেপই নিচ্ছেন না এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।  বিমানবন্দরের ২৫ নটিকেল মাইল এলাকার মধ্যে বহুতল ভবন নির্মাণের অনুমতি না থাকলেও শুধুমাত্র পৌর কর্তৃপক্ষের নকশা অনুমোদন নেয়ার কথা বলে নির্মাণ কাজ চলছে বহুতল ভবনের। এ নিয়ে বিমান দুর্ঘটনায় আতঙ্কিত বিমান কর্তৃপক্ষ। 

বিমান কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্ষা মৌসুমে বা আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটলে যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তায় বিপদসীমার অনেক নিচে দিয়ে ৪৫ ডিগ্রী এ্যাঙ্গেলে উড়ন্ত বিমান অবতরণ করা হয় বিমানবন্দরে। ওই সময় ঘন মেঘের কারণে বিমান পাইলট সামনের কোন উঁচু স্থাপনা বা টাওয়ার ভালোভাবে দেখতে পান না। যার ফলে পাইলট বারবার বিমান বন্দর টাওয়ারের কাছে জানতে চান অবতরণ বিমানের সামনে কোন বহুতল ভবন, টাওয়ার বা গাছপালা আছে কিনা। থাকলে সেখানে আঘাত লেগে বিমান ক্রাশের সম্ভাবনা থাকে শতভাগ। এ কারণে শুধুমাত্র বিমান ক্রাশের ভয়েই বিমানবন্দরের ২৫ নটিকেল মাইলের মধ্যে কোন প্রকার বহুতল ভবন বা টাওয়ার স্থাপনে অনুমতি দেয়া হয় না। বিমান ও যাত্রীদের নিরপত্তায় ওই নির্দেশনা দেয়া না হলেও সৈয়দপুর বিমানবন্দরের উত্তর পার্শে সহ কয়েক স্হানে নির্মাণ করা হচ্ছে বহুতল ভবন। 

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিমানবন্দর রানওযের উত্তর পার্শে ৪০০ ফিট্ এর মধ্যে নুর ইসলাম নামের এক ব্যাক্তি সিভিল অ্যাভিয়েশন এর আইনকে তোয়াক্কা না করে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেছেছেন। বিমান কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও পোরসভার নকশা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন কারো অনুমতির দরকার নাই।ভবনটি নির্মানের জন্য উপর মহলের নির্দেশ রয়েছে। প্রথম শ্রেণির পৌরসভা  সৈয়দপুরে দালানকোঠা বা বহুতল ভবন  নির্মাণ হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিমানবন্দরের ২৫ নটিকেল মাইল এলাকা বাদ দিয়ে নির্মাণের জোর তাগিদ দেয়া হলেও তা মানছেন না নুর ইসলাম নামের ওই ব্যাক্তি সহ অনেকেই। 

জানা,গেছে,সৈয়দপুর বিমানবন্দরের পূর্বপাশে সেনাসিবাস, উত্তর ও পশ্চিম পাশে পৌর এলাকা এবং দক্ষিণ পাশে বাঙ্গালীপুর ইউনিয়ন। বিধি অনুযায়ী ২৫ নটিকেল মাইল এলাকা বাদ দিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য সৈয়দপুর পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবরে সিভিল এ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে। ওই চিঠির জবাবে সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আখতার হোসেন বাদল ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুসা উদ্দিন বিমানবন্দরের ২৫ নটিকেল মাইলের মধ্যে বহুতল ভবন নির্মাণের নকশা পাশ করবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দেন বলে জানা যায় । এছাড়াও যদি কোন ভবনের কারণে বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে বা সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ওইসব বহুতল ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন তারা। কিন্তু তারা মারা যাওয়ার পর তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতির কোন কাজই হচ্ছেনা। বর্তমান পৌর পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ কোন কার্যকরী ব্যবস্থা না নেয়ার কারনে বিমান উঠানামায় আতংকের সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানা যায়।সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক শুপ্লব কুমার ঘোষ জানান,বর্তমান সরকারের আন্তরিকতায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরটি আঞ্চলিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত রয়েছে । বর্তমানে এ বিমানবন্দরে প্রতিদিন বাংলাদেশ বিমান,ও ইউএস-বাংলার বিমান চলাচল করছে। যাত্রীসেবাও দেওয়া হচ্ছে শতভাগ। কিন্তু বিমানবন্দরের ২৫ নটিকেল মাইলের মধ্যে উঁচু ভবন থাকায় আতঙ্কে রয়েছে বিমানের পাইলটরা। তিনি বলেন নুর ইসলাম নামের ওই ব্যাক্তিকে রানওয়ে সংলগ্ন ভবন নির্মাণের কোন প্রকার অনুমতি দেয়া হয় নি। অবতরণে আতঙ্কিত ভবনগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পৌর কর্তৃপক্ষ ও সিভিল এ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্শন করেন তিনি । 

সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবি বলেন, নিরাপদে বিমান চলাচলের স্বার্থে রানওয়ে সংলগ্ন বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য কোন নকশা পাস করা হয় নি। যারা রানওয়ের আশপাশ এলাকার বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন তারা এক প্রকার গায়ের জোরেই করছেন। রানওয়ের আশপাশ এলাকার সকল অবৈধ বহুতল ভবন গুড়িয়ে দিতে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি।


আরও খবর



"মুক্তিপণে নাবিকদের উদ্ধারের তথ্য সরকারের কাছে নেই"

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | ১১৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেছেন জলদস্যুরদের মুক্তিপণ দিয়ে নাবিকদের উদ্ধারের তথ্য সরকারের কাছে নেই।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে মিন্টু রোডে প্রতিমন্ত্রীর বাসায় জিম্মি অবস্থার অবসান বিষয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, গতকাল (শনিবার) নাবিক মুক্ত হবার সময় জলদস্যুরা নিরাপত্তার জন্য কয়েকজন নাবিককে জাহাজ থেকে নিয়ে যেতে চেয়েছিল, কিন্তু সরকারের দৃঢ়তায় নাবিকদের নিরাপদ রেখেছে। আমার ধারণা, নাবিকদের দেশে ফিরতে ২০ দিনের মতো সময় লাগতে পারে।

তিনি বলেন, এত কম সময়ে জলদূস্যদের থেকে জিম্মি মুক্তির ঘটনা নজিরবিহীন। নাবিকদের সবাই সুস্থ আছেন। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দেশের পতাকাবাহী জাহাজ যেখানে যায়, সেটি আমরা অবগত থাকি।

খালিদ মাহমুদ বলেন, জাহাজ দখলে নেওয়ার সময় ২০ জন জলদস্যু ছিল। যখন তারা জাহাজ ছেড়ে যায় তখন ৬০ জন জলদস্যু ছিল। তারা জাহাজ ত্যাগের সময় নিরাপত্তার জন্য ৫-৬ জন নাবিককে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু সরকারের দৃঢ়তায় নাবিকদের মুক্ত রাখা সম্ভব হয়েছে।


আরও খবর