Logo
আজঃ বুধবার ১৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

কক্সবাজারে কুরবানীর ঈদ উপলক্ষে শতাধিক পশুরহাট বসছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ জুন ২০23 | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ৩৬৬জন দেখেছেন

Image

আমান উল্লাহ, কক্সবাজার:মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আয্হা আগামি বৃহস্পতিবার  ২৯ জুন উদযাপিত হবে ।মুসলমানদের জন্য  ঈদের প্রধান কাজ সামর্থ অনুযায়ি পশু কোরবানি করা। জেলায় এবারের কোরবানির ঈদে ছোট-বড় ৯০টি পশুর  হাট বসছে। এরমধ্যে ৪৮টি স্থায়ী হাট এবং ৪২টি বসছে শুধুমাত্র কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে। বাজারে ক্রেতা বিক্রেতা ও সর্বসাধারণের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে  এবারও ৩ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসন ।এ ছাড়াও নেয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বাজারে কোরবানির পশু পরীক্ষার জন্য প্রাণী সম্পদ দপ্তরের পক্ষ থেকে পশু টেষ্ট মেডিকেল টিম। জাল নোট সনাক্তকরণে বাজারে থাকছে বিশেষ জালনোট সনাক্তকরণ মেশিন। ছিনতাইকারিদের দৌরাত্ব্য বন্ধে এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে পুলিশের বিশেষ টিম।কোরবানির বাজারে নিরাপত্তা ও সার্বিক বিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (জেনারেল) বিভীষণ কান্তি দাশ জানান, কোরবানির পশুর হাটে নানা বিষয় নিয়ে প্রস্তুতি সভায় ব্যাপক আলোচনা হয়। ক্রেতা-বিক্রেতাদের র্নিবিঘ্নে বেচাকানার  জন্য প্রতিটি বাজারে নিরাপত্তা জোরদারের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। সর্বসাধারণ যাতে নির্বিঘ্নে কেনাবেচা  করতে পারে সে ব্যাপারে পুলিশকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রতিটি বাজারে পুলিশের মোবাইল টিম কাজ করবে। পাশাপাশি সাদা পোশাকেও বিশেষ পুলিশ সদস্যরা আলাদাভাবে নিয়মিত টহলে থাকবে । জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাকে পশু নিরোগ ও সঠিকতা যাছাই করতে দিক নিদের্শনা দেয়া হয়েছে।এ বছর জেলায় ৯০টি পশুর হাট বসছে। যার মধ্যে সদরে ১৭টি, রামুতে ১৫টি, চকরিয়ায় ২০টি, পেকুয়ায় ৮টি, উখিয়ায় ৮টি, টেকনাফে ১৩টি,মহেশখালী ৯টি, কুতুবদিয়ায় ৬টি পশুর হাট রয়েছে। তবে বেসরকারি হিসাবে বাজারের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়ে যেতে পারে ।কক্সবাজার সদর উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান, সদরে ১৭টি কোরবানির পশুর হাট বসছে। এরমধ্যে স্থায়ী বাজার রয়েছে ৫টি। পৌরসভায় নতুন করে অনুমতি দেয়া হয়েছে ১টি।জেলার বৃহত্তম বাজারটি খরুলিয়া বাজার। গতবছর খাস কালেকশানে হলেও এবছর বাজারটি ইজারা দেয়া হয়েছে। সরকার সদরের বাজার থেকে আশানুরুপ রাজস্ব আদায় করেছেন। সদরের সব বাজারের ইজারাদারদের জন্য শৃংখলা, নিরাপত্তা, ক্রেতা বিক্রেতাদের জন্য সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারে পুলিশি বেষ্টনি থাকবে। জালনোট সনাক্ত করতে সোনালী ব্যাংকের আলাদা টিম থাকবে। সদরের ঐতিহ্যবাহী বৃহত্তর পশুর হাট খরুলিয়া বাজার এ বছর ইজারা  দেয়া হয়েছে ২ কোটি ৬৭ লাখ টাকায় । এছাড়া সদরে বসছে ঈদগাহ বাজার। ডাক হয়েছে ২ কোটি ১৭ লাখ টাকায়। অন্যান্য বাজার হলো কালিরছড়া বাজার, পোকখালী মুসলিম বাজার, পিএমখালী জুমছড়ি বাজার।এদিকে ঈদের বাজারের শুরুতেই গত কয়েকদিনে  খরুলিয়া বাজারে পাচঁ শতাধিক গরু বিক্রি হয়েছে। আজ বুধবার নিয়মিত হাটবারের পাশাপাশি কোরবানির পশুর হাট বসবে। ইতিমধ্যে খরুলিয়া বাজারে কয়েক হাজারের মত গরু মহিষ বাজারে তোলার জন্য মজুদ রাখা হয়েছ।এছাড়াও  সদরের ঈদগাঁও বাজার, পিএমখালীর জুমছড়ি বাজার, রামুর কলঘর বাজার , মিঠাছড়ির কাটির মাথা বাজার , উখিয়ার রুমখাঁ বাজারসহ প্রায় সবকটি বাজারে গরু মজুদ করেছে ব্যবসায়ীরা ।হাট সমুহে ক্রেতা সাধারণের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে  পুলিশি টহল জোরদারের পাশাপাশি নতুন করে সাজানো হয়েছে হাটসমুহকে। সকাল থেকে রাত অবধি যেন নির্বিঘ্নে কেনাবেচা  করা যায় এজন্য সার্বক্ষনিক বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কয়েকটি বাজারের ইজারাদার ।এদিকে সদর উপজেলার তথা জেলার সর্ব বৃহৎ পশুর হাট খরুলিয়া বাজারসহ ৪টি হাটই সড়কের উপর হওয়ায় দূর্ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বৃহত্তম কোরবানির হাট খরুলিয়া বাজারের ইজারাদার মোঃ সরওয়ার জানান, আমরা ২ কোটি ৬৭ লাখ ৭০ হাজার টাকায় বাজারটি ইজারা নিয়েছি। কিন্তু চকরিয়া থেকে ব্যবসায়িরা গরু নিয়ে কক্সবাজারে আসার পথে চকরিয়া ব্রীজের আগে একটি চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট গরুর গাড়ি আটকিয়ে গণহারে চাঁদা আদায় করে থাকে। টাকা না দিলে গাড়ি আটকিয়ে রাখে বলে তিনি অভিযোগ করেন।এদিকে কোরবানির পশুরহাট ইজারার মাধ্যমে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় করলে ও বাজার সমূহের উন্নয়নে তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় হতাশ ইজারা গ্রহিতারা। ইজারাদার ও স্থানিয় ব্যবসায়িদের অভিযোগ, জেলার বৃহৎ কোরবানির পশুর হাট খরুলিয়া বাজার প্রতি বছর সর্বোচ্চ টাকায় ইজারা হলেও বাজারটির উন্নয়নে তেমন কোন পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। মহাসড়কের উপর প্রতি বছর বাজার বসে। ফলে ঈদুল আযহার সময় গরু কিনতে আসা অনেক লোক সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হয়। বাজার বসার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় ইজারাদাররা নিরুপায় হয়ে সড়কের উপর পশুর হাট বসাতে বাধ্য হন বলে জানান। নির্মান করা হয়নি বিভিন্ন শেডের। প্রতি রবি ও বুধবার সপ্তাহে ২ দিন নিয়মিত পশুর হাট বসলেও ক্রেতা-বিক্রেতা চরম ঝুঁকি নিয়ে সড়কের উপর বেচাকেনা করছেন।  সড়কের উপর বাজার বসার কারনে সড়কের উভয় পাশে মাটি সরে গিয়ে মহাসড়কের মারাত্বক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। অপরদিকে সদরের অপর বৃহৎ কোরবানির পশুর হাট ঈদগাঁও বাজার ও এ বছর ঈদুল আযহায় ইজারা হয়েছে ২ কোটি টাকার বেশি। এ হাটটি ও মহাসড়কের উপর বসার কারনে সড়ক দুর্ঘটনার পাশাপাশি তীব্র যানজট লেগেই থাকে। খরুলিয়া ও ঈদগাঁও বাজারের ইজারাদাররা সড়ক দুর্ঘটনার কবল থেকে ক্রেতা, বিক্রেতা ও সাধারণ পথচারিদের সুবিধার্থে  মহাসড়কের উপর থেকে সুবিধাজনক স্থানে কোরবানির পশুর হাট স্থানান্তরের  জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। 


আরও খবর



জয়পুরহাটে পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের বীমাদাবীর ১৫ লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ২৫জন দেখেছেন

Image

এস এম শফিকুল ইসলাম, জয়পুরহাট:পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের জয়পুরহাট অঞ্চলের মেয়াদ উত্তীর্ণ গ্রাহকদের বীমাদাবীর ১৫ লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার (১১মে) সকালে  জয়পুরহাটে পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের সার্ভিস সেল কার্যালয়ে এ  বীমাদাবীর চেক হস্তান্তর ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের একক বীমা প্রকল্পের জয়পুরহাট সার্ভিস সেলের ইনচার্জ মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে মেয়াদ উত্তীর্ণ বীমাদাবীর চেক হস্তান্তর ও প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের একক বীমা প্রকল্পের প্রকল্প ইনচার্জ আফজাল হোসেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পপুলার ডিপিএস প্রকল্পের মহাব্যবস্থাপক (উঃ), একুশে টেলিভিশন ও দৈনিক আজকালের খবরের জেলা প্রতিনিধি এস এম শফিকুল ইসলাম, দাবী বিভাগের জাহাঙ্গীর, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার রাজু সরদার, মহিউদ্দিন, সানজিদা খাতুন জুই, মুক্তি ঘোষ, ও শাহানাজ তালুকদার, ইউনিট ম্যানেজার নার্গিস শাহানাজ সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বৃন্দ। 

সম্মেলন শেষে ১৫ লক্ষ টাকার বীমা দাবীর চেক গ্রাহকদের হাতে হস্তান্তর করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের একক বীমা প্রকল্পের প্রকল্প ইনচার্জ আফজাল হোসেন।


আরও খবর



শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে ডোমার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫জন মহিলা প্রার্থীর প্রচারণা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমারে শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে ৮জন সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচার প্রচারণা, আগামী ৮ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীকে দিন রাত দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা গেছে।

নির্বাচনে জয়ী হতে তারা তাদের কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে হাট, বাজার, পাড়া মহল্লায় পথসভা, উঠান বৈঠক, মিছিল মিটিং করে ব্যস্ত সময় পাড় করছে। পেষ্টারে ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। বিকাল হলেই শুরু হয় প্রার্থীদের নামে গান বাজনার তালে তালে গুনো কির্তন। দোয়া ও আর্শিবাদের পাশাপাশী নিজের মার্কায় ভোট চেয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুড়ছে তারা।

এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৮ জন ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জনসহ মোট ২১ জন বৈধ্য প্রার্থী মাঠে কাজ করছে।

সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন, বেগম রৌশন কানিজ (হাঁস), লাইলী বানু লিলি (ফুটবল), শিল্পী আক্তার বানু (কলস), ফেরৗেসী বেগম (প্রজাপতি), শ্রী সন্ধ্যা রানী (বৈদ্যুতিক পাখা) মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছে। এখন জনমনে অপেক্ষার পালা ৮ তারিখের নির্বাচনে কে হতে পারে সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়ী। উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৭ হাজার ৫শত ৭১। মোট কেন্দ্র ৭৫ এবং বুথ সংখ্যা হবে ৫শত ৮৫টি। বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা নুরে আলম।


আরও খবর



নওগাঁয় দেওয়ালে চাপা পড়ে রাজ মিস্ত্রির মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা ; নওগাঁ:নওগাঁর সাপাহারে মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে আবদুল জলিল (৩৫) নামে এক রাজ মিস্ত্রির মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৪ মে) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার ভাগপাড়ল গ্রামের আবদুস ছাত্তার এর বাড়িতে রাজ মিস্তির কাজ করতে গেলে অসাবধানতাবশত চাপা পড়ে তার মৃত্যু হয়।

নিহত আবদুল জলিল গোপালপুর ময়নাকুড়ি গ্রামের সেন্টু রহমানের ছেলে।        বিষয়টি নিশ্চিত করে নিহতের স্বজনরা জানান, এদিন কাজের উদ্দেশ্যে সকাল ৭টায় বাড়ি থেকে বের হয়ে আবদুস ছাত্তার এর বাড়িতে রাজ মিস্তির কাজ করতে যান।বাড়ি মালিক জানান, মাটির বাড়িতে প্রায় ২ফিট ইট দিয়ে পাকা করার জন্য দেওয়ালের গোড়ার কিছু মাটি কেটে সরানোর হচ্ছিল। এমন সময় হঠাৎ করেই কিছু বুঝে উঠার আগেই সেই দেওয়ালটি ভেঙ্গে আবদুল জলিলের গায়ের (শরীরের) উপরে এসে  পড়ে। এতে দেওয়ালের নিচে চাপা পড়েন তিনি। তাৎক্ষনিক বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে  সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে  দুপুর ১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোফাজ্জল হোসেন তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এবিষয়ে সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  পলাশ চন্দ্র দেব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। পরিবারর  কোন অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়াই নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



আওয়ামীলীগ থেকে বহিষ্কৃত আরাফাতের নেতৃত্বে থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতার উপর হামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ৯৭জন দেখেছেন

Image
রাকিব সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:সলঙ্গা থানার পাঁচলিয়া হাটের ইজারা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে আরাফাত গং। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে সলঙ্গা থানা আওয়ামিলীগের বহিষ্কৃত নেতা আরাফাত রহমানের বিরুদ্ধে। 

অভিযোগসুত্রে জানা যায় ১৪৩১ বঙ্গাব্দের পাঁচলিয়া হাটের সরকারি নিয়মে ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ইজারা পায় আব্দুল মান্নান, জাকের, হাফিজুল, ফিরোজুল, আলতাব ও জহর আলী গং। কিন্তু আরাফাত গং বিভিন্ন সময় ৫ লাখ চাদা দাবী করে ক্ষমতা খাটিয়ে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি ও মারপিট করে প্রকৃত ইজারাদারদের ইজারা বুঝে নিতে দিচ্ছেনা। এমনকি ১৬ এপ্রিল সকাল ৮ টায় ইজারাকৃত টাকা উঠাতে গেলে আরাফাত গং ইজারাদারদের মারধর করে ইজারার টাকা ছিনিয়ে নেয়। 

এরই প্রেক্ষিতে ১৮ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে প্রকৃত ইজারাদারদের প্রতিনিধি মৃত আইনাল হকের ছেলে হাফিজুল রহমানকে (৩৭) কুপিয়ে আহত করেছে আরাফাত গং। হাফিজুল সলঙ্গা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক। 

এ বিষয়ে হাফিজুল অভিযোগ করে বলেন, দুপুর সারে ৩টার দিকে চকমনহারপুর নদী থেকে গোসল করে আসার পথে আরাফাতে নেতৃত্বে মৃত সেরাজুল ইসলামের ছেলে মনারুল ইসলাম, আব্দুল রশিদের (চোলবার) ছেলে মো: সোহেল রানা ও জয়নাল আবেদীনের ছেলে মনসুর আলী সহ অজ্ঞাত ৬ থেকে ৭ জন হাফিজুলের উপর দেশীয় অস্র দিয়ে আঘাত করে। একসময় হাফিজলকে মৃত ভেবে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। এরপর স্থানীয়রা হাফিজলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরন করেন। 

এ বিষয়ে সলঙ্গা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইমরান হাসান লিংকনকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেন নি।আর সলঙ্গা থানা আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান লাভুর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, আমি সব জানি। 

এ বিষয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন রহমান বলেন, জেলা আওয়ামিলীগের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এ বিষয়ে হাফিজুল রহমান বলেন আমি আইনের আশ্রয় নিবো।

আরও খবর



কোয়ালিটির ক্ষেত্রে বাংলাদেশে নাম্বার ১ স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ১৪৮জন দেখেছেন

Image

প্রযুক্তি ডেস্ক:গুণগতমানের দিক থেকে বাংলাদেশের শীর্ষ ব্র্যান্ড হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে তরুণদের জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি। ২০ হাজার টাকার বাজেটের মধ্যে তরুণ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কাছে রিয়েলমি একটি ভরসার নাম- এমন তথ্য উঠে এসেছে স্বনামধন্য বৈশ্বিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্ট টেকনোলজি মার্কেট রিসার্চ (সিটিএমআর) এর করা এক সমীক্ষায়। স্মার্টফোন কেনার সময় পণ্যের গুণগতমান বা কোয়ালিটি নিয়ে গ্রাহকরা কী ভাবেন- শীর্ষক বিষয় নিয়ে বাংলাদেশে এই গবেষণাটি পরিচালনা করেছে সিটিএমআর।

কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ স্টাডি অনুসারে, বাংলাদেশের ৭৭ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, স্মার্টফোন কেনার সময় পণ্যের কোয়ালিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্মার্টফোন বিল্ড কোয়ালিটির ওপর ভিত্তি করে শীর্ষ ব্র্যান্ড হিসেবে রিয়েলমিকে বাছাই করেছেন ৫৪ শতাংশ উত্তরদাতা। এছাড়াও, পণ্যের মান অনুযায়ী অন্য স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের রিয়েলমি’র ফোন কেনার প্রতি জোর পরামর্শ দেন ৮৩ শতাংশ উত্তরদাতা।

কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের ত্রৈমাসিক স্মার্টফোন শিপমেন্ট ট্র্যাকার অনুযায়ী, বাংলাদেশের স্মার্টফোন বাজারের ক্ষেত্র আরও বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে স্মার্টফোনের বাজারের ৮০ শতাংশের দামই ছিল ২০ হাজার টাকার মধ্যে, যেখানে ফোনের গড় বিক্রয় মূল্য (এএসপি) ১৮ হাজার টাকা।

রিয়েলমি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যালেন চেন বলেন, “তরুণ ফোন ব্যবহারকারীদের চাহিদা বুঝতে সব সময়ই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রিয়েলমি, যাতে তাদের একটি ব্যতিক্রমী নির্ভরযোগ্য ও মানসম্পন্ন স্মার্টফোনের অভিজ্ঞতা দেওয়া সম্ভব হয়। আমরা শুধু মুখের কথার উপর নির্ভর করতে চাইনি; আমরা সত্যিই বুঝতে চেয়েছিলাম ব্যবহারকারীরা তাদের ডিভাইস থেকে কী চায়। আমরা সর্বদা ডিভাইসের কোয়ালিটি রক্ষার চেষ্টা করেছি, এবং সমীক্ষায়ও দেখা গেছে, ব্র্যান্ডগুলো ব্যবহারকারীদের প্রত্যাশিত গুণগত মানসম্পন্ন ফোন সরবরাহ করলে তারাও বিষয়টিকে মূল্যায়ন করে। এই কারণে দাম অনুযায়ী পণ্যের কোয়ালিটির জন্য রিয়েলমি শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে৷ এই কৃতিত্ব ব্যবহারকারীদের চাহিদা বুঝতে সক্ষম এমন আরও ভালো প্রযুক্তি ব্র্যান্ড তৈরির জন্য আমাদের উত্সাহ জোগাবে।”

কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ এর সিনিয়র এনালিস্ট আরুশি চাওলা বলেন, “দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠার কারণে ডিভাইসের কোয়ালিটি ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। শুধু ডিভাইসের নির্ভরযোগ্যতা ও দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করার জন্য পণ্যের কোয়ালিটি থাকা জরুরি নয় বরং পরবর্তীতে বিক্রয়ের সময়ে যাতে এর মূল্যমান ঠিক থাকে, তার জন্যও এটার প্রয়োজন রয়েছে। স্মার্টফোনের কোয়ালিটি মূল্যায়নের জন্য ক্যামেরার কোয়ালিটি, ব্যাটারি লাইফ, প্রসেসর, বিল্ড কোয়ালিটি ও ডিসপ্লের মতো বিষয়গুলো বাংলাদেশের গ্রাহকদের কাছে প্রধান বিবেচ্য বিষয়। বিশেষ করে তরুণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে অন্যান্য ব্র্যান্ডের তুলনায় রিয়েলমি’র স্মার্টফোনের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। এর কারণ হলো, রিয়েলমি বাংলাদেশী মার্কেটের উপযোগী একটি সুপরিকল্পিত পোর্টফোলিও প্রদান করে। তাছাড়া, এর উদ্ভাবনী সফটওয়্যার ও বিশ্বস্ত বিল্ড কোয়ালিটির কারণে স্মার্টফোন গ্রাহকদের কাছে পছন্দের শীর্ষে রয়েছে রিয়েলমি।”

বাংলাদেশে সিটিএমআর এর সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে জরিপটি পরিচালনা করেছে রিয়েলমি বাংলাদেশ। এই জরিপে এক হাজারেরও বেশি স্মার্টফোন গ্রাহক অংশগ্রহণ করেছেন। সমীক্ষায় সকল শ্রেণির গ্রাহকের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে ইংরেজি ও বাংলায় প্রশ্ন ব্যবহার করে বহুভাষিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে, জরিপটিতে অনলাইন এবং অফলাইন উভয় পদ্ধতিই ব্যবহার করা হয়।

সিটিএমআর হলো একটি বৈশ্বিক গবেষণা সংস্থা যা টিএমটি (টেকনোলজি, মিডিয়া ও টেলিকম) খাতের পণ্যের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। তারা বিভিন্ন বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এবং আর্থিক সংস্থাকে মাসিক প্রতিবেদন, কাস্টমাইজড প্রকল্প এবং মোবাইল ও প্রযুক্তি মার্কেটের বিশদ বিশ্লেষণ সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে সেবা প্রদান করে থাকে। এই প্রতিষ্ঠানের  মূল বিশ্লেষকরা হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিতে বিশেষ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন।

রিয়েলমি বাংলাদেশ সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য, অনুগ্রহ করে রিয়েলমি বাংলাদেশ এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ  https://www.facebook.com/realmeBD/ -এ ঘুরে আসুন।


আরও খবর