Logo
আজঃ বুধবার ১৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রিফুয়েলিং সিস্টেম চালু

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ২৪৮জন দেখেছেন

Image

কক্সবাজার প্রতিনিধি:আমান উল্লাহ, কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার আগেই রিফুয়েলিং সিস্টেম চালু করে নতুন মাইল ফলক অর্জন করলো কক্সবাজার বিমান বন্দর। গত রোববার ঢাকা থেকে আসা একটি উড়োজাহাজে জ্বালানি তেল সরবরাহের মাধ্যমে শুরু হলো এই যাত্রা।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামীতে রিফুয়েলিংয়ের হাব হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে কক্সবাজার বিমান বন্দরকে। বড় পরিসরে যার প্রথম গত রোববার থেকে শুরু হল।গত রোববার (০৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় দেখা যায়, কক্সবাজার বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিকমানে উন্নীতকরণের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। একদিকে সাগর ছুঁয়ে দেশের দীর্ঘতম রানওয়ে বাস্তবে রূপ পাচ্ছে, ঠিক তেমনি এগিয়ে চলছে টার্মিনাল নির্মাণের কাজ। যার কারণে এই বিমান বন্দরের ব্যস্ততা বেড়েছে বহুগুণে।দুপুর ২টা না বাজতে দেখা যায়, কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়েতে একের পর এক নামছে উড়োজাহাজ। কর্তৃপক্ষ বলছে, বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭৮৭ ফ্লাইট থেকে শুরু করে বেসরকারি বিমান সংস্থার প্রতিদিন ৪০টি ফ্লাইট ওঠানামা করছে কক্সবাজার বিমান বন্দরে।এদিকে দুপুর দেড়টার দিকে প্রথমবারের মতো বড় পরিসরে কক্সবাজার বিমান বন্দরে উদ্বোধন করা হয়েছে উড়োজাহাজে রিফুয়েলিং কার্যক্রম। পদ্মা অয়েল কোম্পানী লিমিটেড কর্তৃক কক্সবাজার বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজে ১২’শ লিটার জ্বালানি তেল সরবরাহের মাধ্যমে রিফুয়েলিং কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ।এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজারের অধিনায়ক (পরিচালন শাখা) এয়ার কমডোর মোঃ আসিফ ইকবাল, পদ্মা অয়েল কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মাসুদুর রহমান, মহাব্যবস্থাপক (বিপণন), মহাব্যবস্থাপক (পরিচালন ও পরিকল্পনা) এবং উপ-মহাব্যবস্থাপক (এভিয়েশন) সহ পদ্মা অয়েল কোম্পানীর কর্মকর্তাবৃন্দ। এছাড়াও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ, বেসরকারী বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন বেসরকারি এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধিবৃন্দ এ উদ্বোধনী রিফুয়েলিং কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন।পদ্মা অয়েল কোম্পানী লিমিটেড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উদ্বোধনী দিনে কক্সবাজার বিমান বন্দরে সিলেট ও ঢাকাগামী ৩টি ফ্লাইটে সরবরাহ করা হয়েছে ৬ হাজার ৪০০ লিটার জ্বালানি। এখন প্রতিদিনই কক্সবাজার বিমান বন্দরে এ কার্যক্রম চালু থাকবে।এদিকে আগামীতে এ অঞ্চল রিফুয়েলিংয়ের হাব হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে এমনটিই জানিয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ।তিনি জানান, কক্সবাজার হচ্ছে পর্যটনের হাব। এই পর্যটনের সঙ্গে বিমান বন্দরের যোগাযোগ এটি সারাবিশ্বে স্বীকৃত। সে লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ সরকার কক্সবাজার বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হিসেবে ঘোষণা করেছে। উন্নীতকরণের কাজও চলমান রয়েছে। আর আগামী বড় বড় বিমান আসবে কক্সবাজার বিমান বন্দরে। যে কারণে এখানকার চাহিদা আগামী অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে; বিশেষ করে উড়োজাহাজের জ্বালানি। সেই দৃষ্টি মাথায় রেখে উড়োজাহাজের রিফুয়েলিংয়ের একটি নতুন যাত্রা শুরু হয়েছে।বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ জানান, পদ্মা অয়েল কোম্পানী লিমিটেড বহু বছর ধরে রিফুয়েলিং কার্যক্রম জড়িত রয়েছে। তাদের দক্ষতা নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই। তাই কক্সবাজার বিমান বন্দরে উড়োজাহাজের রিফুয়েলিং ম্যানেজমেন্ট কার্যক্রমের দায়িত্বটা তাদের কে দেয়া হয়েছে। সে দায়িত্বটা গত রোববার পূর্ণাঙ্গভাবে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি কক্সবাজারের অর্থনৈতিক যে হাব বা বলতে পারি পর্যটনের হাব অথবা উন্নয়নের যে যাত্রাটা আগামীতে হতে যাচ্ছে সেটাকে কাভারেজ করতে গেলে এটা খুবই প্রয়োজন।বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ আরও জানান , কক্সবাজার বিমানবন্দর বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় রিফুয়েলিং হাব হিসেবে গড়ে উঠবে। পাশ্চাত্য থেকে প্রাচ্যে বা প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্যে যত প্লেন যাবে তাদের রিফুয়েলিংয়ের জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক জায়গা হবে কক্সবাজার। কারণ একেক সময় পৃথিবীর একেকটি জায়গা উঠে আসে। এক সময় হংকং তারপর সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক এখন দুবাই। কিন্তু বলতে পারি যে, ভবিষ্যতে কক্সবাজারই হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। কেননা খুব স্বল্প সময়ে এখানে বিমান এসে নামতে, রিফুয়েলিং করতে এবং যেতে পারবে।এদিকে দীর্ঘদিনের দাবি হিসেবে কক্সবাজার বিমান বন্দরে রিফুয়েলিং সিস্টেম চালু হওয়ায় দারুণ খুশি বেসরকারি বিমান সংস্থার কর্মকর্তারা। তারা জানান, সময় ও অর্থ দুটির অপচয় রোধ হবে।বেসরকারি বিমান সংস্থা এয়ার অ্যাস্ট্রা’র কক্সবাজারস্থ সহকারি স্টেশন ম্যানেজার শহিদুল আলম চৌধুরী জানান, উড়োজাহাজে ঢাকা থেকে অতিরিক্ত জ্বালানি নিলে অনেক সময় সেটা সমস্যা হয়ে যায়। কিন্তু এখন ঢাকা থেকে কম জ্বালানি নিয়ে কক্সবাজার বিমান বন্দরে এসে রিফুয়েলিংটা করলে অনেক সুবিধা হবে। আবার অনেক সময় বৈরী আবহাওয়া থাকলে উড়োজাহাজে জ্বালানির সংকট হয়। আগে এই বিমানবন্দরে যা রিফুয়েলিং করা যেত না। কিন্তু এখন রিফুয়েলিংয়ে কার্যক্রম চালু হওয়ায় জ্বালানির সমস্যাটা দূর হবে।বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস বাংলার কক্সবাজারস্থ স্টেশন ইনচার্জ মুসা আহমেদ জানান, কক্সবাজার বিমান বন্দরে উড়োজাহাজ রিফুয়েলিং কার্যক্রম চালু হওয়ায় সময় ও অর্থ দুটির অপচয় রোধ হবে। একই সঙ্গে যাত্রী সেবার মানটাও বাড়বে। 


আরও খবর



প্রতিবারই হজ ব্যবস্থাপনা উন্নত করছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:হজযাত্রীদের জন্য যে ব্যবস্থাপনা সেটা সরকার প্রতিবারই উন্নত করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে সেটা আরও ‍উন্নত করা হবে,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা এবং হজযাত্রীদের দোয়া কামনা করছি।

বুধবার (৮ মে) দুপুরে রাজধানীর আশকোনা হজক্যাম্পে এবারের হজ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন ঘরে বসে আমরা হজের সব কাজ সম্পন্ন করতে পারছি। এটা সম্ভব হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ফলে। আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে, তখন হজযাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়বে।

তিনি বলেন, হজযাত্রীদের সুবিধার জন্য আশকোনা হজক্যাম্প এবং বিমানবন্দর রেল স্টেশন থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সঙ্গে একটি আন্ডারপাস করে দেওয়া হবে। এতে হজযাত্রীদের সুবিধা আরো বাড়বে।

এ সময় বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য সৌদি আরব কর্তৃপক্ষের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, ১৯৮৪ সালে তিনি প্রথম ওমরা করেন এবং ১৯৮৫ সালে প্রথম হজ করেন। প্রতিবারই গিয়ে যে যে সমস্যা দেখেছেন সেটা সৌদি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন এবং তারা এসব বিষয়ে তাকে গুরুত্ব দিয়েছে।

হজযাত্রীদের জন্য তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে শেখ হাসিনা বলেন, জেদ্দা বিমানবন্দরে আমরা ছাউনি ভাড়া নিয়েছি। আমি দেখেছি, আগে সেখানে কষ্ট হতো। সরকারে এসে আমি আলাদা জায়গার ব্যবস্থা করি। এখন আর জেদ্দা বিমানবন্দরে ভোগান্তিতে পড়তে হয় না।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৯ মে) থেকে শুরু হচ্ছে এবারের হজ ফ্লাইট। প্রথম হজ ফ্লাইটটি ৪১৯ জন যাত্রী নিয়ে বুধবার দিনগত রাত ৩টায় সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশে যাত্রা করবে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে ৮৩ হাজারের বেশি হাজী হজ পালন করবেন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজব্রত পালন হতে পারে।


আরও খবর



ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা ও আগ্নেয়গিরির লাভায় নিহত বেড়ে ৩৭, নিখোঁজ বহু

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:আকস্মিক বন্যার পাশাপাশি আগ্নেয়গিরির ঠাণ্ডা লাভার "লাহার" প্রবাহে পশ্চিম ইন্দোনেশিয়ায় নিহতের সংখ্যা বেড়েছে। এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১৮ জন। এছাড়া শতাধিক বাড়িঘর, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানায়, ঠাণ্ডা লাভায় অন্তত পাঁচটি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। শনিবার (১১ মে) রাত থেকে পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশের আগাম ও তানাহ দাতার অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে পুরো অঞ্চলটি লাভার স্রোতে সৃষ্ট কাদায় প্রায় ডুবে গেছে। এতে বাড়িঘর, মসজিদসহ শতাধিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পশ্চিম সুমাত্রা দুর্যোগ সংস্থার মুখপাত্র ইলহাম ওয়াহাব বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, অনুসন্ধান অভিযানে স্থানীয় উদ্ধারকারী, পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবীরা যোগ দিয়েছেন। নিখোঁজদের সন্ধান করতে এবং আশ্রয়কেন্দ্রে লোকদের নিয়ে যাওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারীদের একটি দল এবং রাবার বোট পাঠিয়েছে।

স্থানীয় সরকার দুটি ক্ষতিগ্রস্ত জেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় উচ্ছেদ কেন্দ্র এবং জরুরি আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন করেছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি স্থানীয় বাসিন্দা রিনা দেবিনার উদ্ধৃতি করে প্রতিবেদনে বলেন, ‘আমি বজ্রপাত এবং ফুটন্ত পানির মতো শব্দ শুনেছি। এটি মারাপি পর্বত থেকে বড় বড় পাথর পড়ার শব্দ ছিল। পিচ কালো থাকায় আমি আমার মোবাইলটি টর্চ হিসেবে ব্যবহার করেছি। রাস্তা কাদায় ডুবে যাওয়ায় আমি বারবার ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি। তিন সন্তানের এই জননী বলেন, বড় পাথরের চাপায় তার চার প্রতিবেশী মারা গেছেন।

উল্লেখ্য, বর্ষাকালে ভূমিধস ও বন্যার ঝুঁকিতে থাকে ইন্দোনেশিয়া। গত দুই মাস আগেই মারাত্মক বন্যার কবলে পড়ে এই অঞ্চল।

সূত্র:দ্য গার্ডিয়ান


আরও খবর



‘আদম’ সিনেমার তরুণ নির্মাতার হঠাৎ মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ১৭৯জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:গত বছর ‘আদম’ নামের একটি ছবি মুক্তি দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। এরপর আরও কয়েকটি ছবিও নির্মাণে হাত দিয়েছিলেন। তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি এর মধ্যেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন তরুণ নির্মাতা আবু তাওহীদ হিরণ। সোমবার (১৫ এপ্রিল) ভোরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৩৮ বছর।

রাজধানীর নিউ ইস্কাটনের বাসায় মৃত্যু হয় এই তরুণ নির্মাতার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাসাটির কেয়ারটেকার গাজী নজরুল ও হিরণের প্রতিবেশী ইকরাম। ওই বাসাটির দ্বিতীয় তলায় তরুণ এই পরিচালক ভাড়া থাকতেন। গাজী নজরুল জানান, আজ সকাল ৬টার দিকে হিরণ তাকে কল দিয়ে জানান, তিনি স্ট্রোক করেছেন। পরে দ্রুত নজরুল ওপরে ছুটে যান। তবে রুম ভেতর থেকে বন্ধ থাকার কারণে তিনি রুমে ঢুকতে ব্যর্থ হন। পরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে তাকে মৃত অবস্থায় পান।

ঢাকায় হিরণের পরিবারের তেমন কেউ নেই বলে জানা গেছে। তবে ইতোমধ্যে তার খুলনার বাড়িতে খবর দেয়া হয়েছে। শিগগির তার মরদেহ খালিশপুরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই তাকে দাফন করা হবে।

চলচ্চিত্র নির্মাণ নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল আবু তাওহীদ হিরণের। প্রবল চেষ্টায় বানিয়েছিলেন ‘আদম’ ছবিটি। যেখানে অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান, জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী, রাইসুল ইসলাম আসাদ, শহীদুজ্জামান সেলিমের মতো অভিনয়শিল্পী। গত বছরের রোজার ঈদে এটি মুক্তি পায়।

এরপর হিরণ নির্মাণ করেছেন ‘রং রোড-অধ্যায় আদুরী’ নামের একটি ছবি। যেটির নাম ভূমিকায় আছেন মানসী প্রকৃতি। এটি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে আরও একটি ছবির ঘোষণা দেন এই তরুণ। ‘দ্য পাপ্পি’ নামের সেই ছবির গল্প কুকুরকে ঘিরে। কিন্তু কাজ আর সেরে যেতে পারলেন না।

আরও খবর



ওয়ার্ল্ড স্কলার্স কাপের গ্লোবাল রাউন্ডে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ৪৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আঞ্চলিক রাউন্ডে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করায় ওয়ার্ল্ড স্কলার্স কাপের গ্লোবাল রাউন্ডের জন্য নির্বাচিত হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা (আইএসডি)। গ্রেড ৮-১০ এ অধ্যয়নরত ১৩ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত ৬টি টিমকে বিভিন্ন একাডেমিক বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে পরীক্ষা করা হয়।

ওয়ার্ল্ড স্কলার্স কাপ একটি বার্ষিক দলগত অ্যাকাডেমিক প্রতিযোগিতা, যেখানে প্রতি বছর ৬৫টিরও বেশি দেশের ১৫ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে থাকে। প্রোগ্রামটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিতর্ক ও যোগাযোগ, সমালোচনামূলক চিন্তা (ক্রিটিকাল থিংকিং), গবেষণা এবং সহযোগিতা সহ অন্যান্য দক্ষতা বিকাশের সুযোগ তৈরি করে। ২০২৪ সালে সারা বাংলাদেশ থেকে ৩৬০ জন শিক্ষার্থী এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন।

আইএসডি থেকে অংশগ্রহণকারী ছয়টি টিমকে শিল্প ও সঙ্গীত, সাহিত্য ও মিডিয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সামাজিক বিজ্ঞান এবং ইতিহাস সহ অন্যান্য একাডেমিক বিষয়ে পরীক্ষা করা হয়।

অংশগ্রহণকারীরা টিম ডিবেট, কোলাবোরেটিভ রাইটিং, স্কলারস চ্যালেঞ্জ ও স্কলারস বোল এই চারটি রাউন্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ডিবেট শোকেস ইভেন্টে অংশগ্রহণের জন্য সেরা বিতার্কিকদের মধ্যে থেক দু’জন আইএসডি শিক্ষার্থীকে নির্বাচিত করা হয়। ইভেন্টে আটজন শীর্ষ বিতার্কিক দর্শকদের সামনে মঞ্চে বিতর্ক করেন।

আইএসডি থেকে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন বিভাগে (ক্যাটাগরি) বেশ কয়েকটি রৌপ্য এবং স্বর্ণপদক অর্জন করেছে। ১৭জন শিক্ষার্থী নিয়ে গঠিত ছয়টি নির্বাচিত টিম ওয়ার্ল্ড স্কলার্স কাপের গ্লোবাল রাউন্ডে অংশগ্রহণ করবে, যা জুন ও সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাকু, ব্যাংকক, সিউল এবং স্টকহোমে অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তী রাউন্ডে সাফল্য আইএসডি’কে নিয়ে যাবে সরাসরি ‘টুর্নামেন্ট অব চ্যাম্পিয়ন্সে’। সমাদৃত ইউএস আইভি লিগ স্কুল ইয়েল ইউনিভার্সিটি আগামী নভেম্বর মাসে এই রাউন্ড আয়োজন করবে। বাংলাদেশ থেকে মোট ৪০টি দল গ্লোবাল রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে।

আইএসডি থেকে নির্বাচিত একটি টিমের সদস্য ও গ্রেড-৯ এর শিক্ষার্থী এফাজ নূর চৌধুরী বলেন, “ওয়ার্ল্ড স্কলার্স কাপে অংশগ্রহণের সুযোগ আমরা জন্য চমৎকার একটি অভিজ্ঞতা ছিল এবং এই প্রতিযোগিতা আমাকে আমার কমফোর্ট জোনের বাইরে গিয়ে কিছু করতে অনুপ্রাণিত করেছে। এই প্রোগ্রামে আমি আমার চিন্তাশক্তি ও গবেষণা দক্ষতা কাজে লাগিয়ে একটি বিষয়কে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করার সুযোগ পেয়েছি।”আইএসডি’র ডিরেক্টর স্টিভ ক্যাল্যান্ড-স্কোবল বলেন, “ওয়ার্ল্ড স্কলার্স কাপে অংশগ্রহণ এবং গ্লোবাল রাউন্ডের জন্য নির্বাচিত হওয়া আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। আমাদের শিক্ষার্থীরা এ পর্যায়ে পৌঁছাতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করেছে এবং তাদের ফাইনালে দেখতে পাব বলে আমি আশাবাদী।”


আরও খবর



মাগুরায় বিনামূল্যে সার বীজ বিতরণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ১৬৫জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরা সদর উপজেলা কমপ্লেক্স চত্ত্বরে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খরিপ-০১/২০২৪-২৫ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় সদর উপজেলায় বিনামূল্যে উফশী রোপা আউশ ধানের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাগুরার জেলা প্রশাসক,  মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ। মাগুরা সদর  উপজেলা নির্বাহী অফিসার  মো: মিজানুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেণ।  অনুষ্ঠানে কারিগরি আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  ড. মো: ইয়াছিন আলী, উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মাগুরা। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মাগুরা এর আয়োজনে উক্ত অনুষ্ঠানে ২৫০ জন কৃষকের মাঝে এ কৃষি প্রণোদনার সার ও বীজ বিতরণ করা হয়। উপজেলায় ১৯০০ সহ  মাগুরা জেলায় মোট ৬০০০  জন কৃষকের মাঝে ধাপে ধাপে প্রণোদনার এ সামগ্রী বিতরণ করা হবে। বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি বলেন যে, উন্নত জাতের ফসল ফলাতে প্রয়োজন উন্নত জাতের সার ও বীজ যা মাগুরা জেলায় নিয়মিত বিরতিতে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। উক্ত সার ও বীজের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে ফসলের সর্বোচ্চ উৎপাদন নিশ্চিত করতে কৃষকদের প্রতি আহবান জানান তিনি। প্রচলিত ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি উন্নত জাতের সুপারক্রপ চিয়া সিড, কালিজিরা প্রভৃতি উৎপাদনে কর্ষকদের এগিয়ে আসার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়। আগামীতে মাগুরা জেলার কৃষিক্ষেত্রে সমৃদ্ধি আনয়নে জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে মর্মে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন জেলা প্রশাসক।

আরও খবর