Logo
আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেল ২৭ বস্তা টাকা

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদে এবার ৯ টি দানবাক্স ও ১ টি অস্থায়ী দানবাক্স থেকে ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে, চলছে গণনা। ৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় এ দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

আজ শনিবার সকালে পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। পরে মসজিদের দোতলায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়েছে। তিন মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে ৪ মাস ১০ পরে দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে।

পাগলা মসজিদের টাকা গণনা কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহুয়া মমতাজ, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ মোট ২২০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছেন।

সর্বশেষ এর আগে ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর খোলা হয়েছিল পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স। তখন রেকর্ড ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও পাওয়া যায়।

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স ২০২৩ সালে চারবার খোলা হয়েছিল। চারবারে মোট ২১ কোটি ৮৭ লাখ ৮৫ হাজার ১৮১ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। টাকার পাশাপাশি হীরা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ।


আরও খবর

স্বর্ণের দাম আরও কমল

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




পুঠিয়া উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | জন দেখেছেন

Image
পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃরাজশাহীর   পুঠিয়  উপজেলা নির্বাচনে মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২ মে ) সকালে রাজশাহী জেলা প্রসাশকের সভা কক্ষে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী উপজেলা চেয়ারম্যানের, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানগণদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। 

এদিন রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক (সার্বিক) কল্যান চৌধুরী প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন। এ সময় পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছাড়াও নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পুঠিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন হলেন, জিএম হিরা বাচ্চু (মোটর সাইকেল) প্রতীক, আব্দুস সামাদ মোল্লা (আনারস) প্রতিক, আহসানুল হক মাসুদ (ঘোড়া) প্রতীক। 

ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন হলেন, আব্দুল মতিন মুকুল (চশমা), ফজলে রাব্বি মুরাদ (টিউবওয়েল), জামাল উদ্দিন (তালা) প্রতীক,  ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন হলেন মৌসুমি রহমান (বৈদ্যুতিক পাখা), পরিজান বেগম (ফুটবল), শাবনাজ আক্তার ( হাস) প্রতীক  নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন। 

প্রতীক বরাদ্দ শেষে নির্বাচনী আচরণবিধি বিষয়ে প্রার্থীদের সাথে আলোচনা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এবারের নির্বাচনে পুঠিয়া উপজেলায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার  ৭'শ ২৪ জন ভোটর এর মধ্যে ৮১ হাজার ৪১ জন পূরুষ ভোটার ও ৭৯ হাজার ৬'শ ৮৩ জন মহিলা ভোটার ৬৩টি ভোট কেন্দ্রে ৪'শ ৮১ কক্ষে ভোট প্রদান  করবেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২১ মে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।

আরও খবর



তাহিরপুরে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কোটি টাকার মালামাল পাচাঁরের অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৫১জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলা সীমান্ত দিয়ে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন মালামাল পাচাঁরের খরব পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গতকাল রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাত ১২টা থেকে আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত উপজেলার চাঁনপুর সীমান্তের বারেকটিলা এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে প্রায় ২লাখ টাকা মূল্যের ফুছকা, নাসির উদ্দিন বিড়ি ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে ১৫টি অটোরিক্সা বোঝাই করে নিয়েগেছে চোরাকারবারী বুটকুন মিয়া, জাহেদ আলী ও জাহাঙ্গীর মিয়াগং।

অন্যদিকে এই সীমান্তের কড়ইগড়া ও রাজাই এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী শাহিবুর রহমান, কাজল মিয়া, জয়ধর মিয়া, শফিকুল, নিজাম মিয়া পৃথক ভাবে ৫টি গরু, ২টি ঘোড়া, ১৫০বস্তা চিনি, ২৭৫ বস্তা পেয়াজ পাচাঁর করে।

এছাড়াও নয়াছড়া, গারো ছড়া ও রজনী লাইন এলাকা দিয়ে চোরাকারবারী নজরুল মিয়া, জামাল মিয়া, হারুন, রুসমত আলী, মিলন মিয়া, জম্মত আলীগং প্রায় ২শ মেঃ টন কয়লা পাচাঁর করে অটোরিক্সা ও মোটর সাইকেলে পরিবহন করে পাশে টেকেরঘাট সীমান্তের বড়ছড়া শুল্কস্টেশনের কাঠের ব্রিজ ও তার আশে পাশে নিয়ে মজুত করে। একই ভাবে সোর্স পরিচয়ধারী আক্কল আলী, মহিবুর মিয়া ও রুবেল মিয়াগং ঠেলাগাড়ি দিয়ে প্রায় ৫০ মেঃটন চুনাপাথর ও ১শ মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে একই স্থানে মজুত করেছে। অন্যদিকে পাশের লাউড়গড় সীমান্তে যাদুকাটা নদী, শাহিদাবাদ, পুরান লাউড় ও দশঘর এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারবারী

বায়েজিদ মিয়া, জসিম মিয়া, রফিকুল, নুরু মিয়া, জজ মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং অবাধে কয়লা, পাথর, চিনি, পেয়াজ, গরু, মদ, গাঁজা, ইয়াবা পাচাঁর করলেও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। একই ভাবে চারাগাঁও সীমান্তের লামাকাটা, জঙ্গলবাড়ি, এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া, সাইফুল মিয়া, রিপন মিয়া, লেংড়া জামালগং ১শ টন কয়লা, ৮০ বস্তা চিনি ও ১২০ বস্তা পেয়াজসহ বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য পাচাঁর করেছে। একই সময় এই সীমান্তের কলাগাঁও, চারাগাঁও এলসি পয়েন্ট, বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী বাবুল মিয়া, সোহেল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, দীপক মিয়া, নবু মিয়া ও নজির মিয়াগং প্রায় ৫শ টন কয়লা পাচাঁর করে বিজিবি ক্যাম্পের পাশে অবস্থিত একাধিক ডিপুসহ বিভিন্ন বাড়িঘরের ভিতরে মজুত করেছে। এছাড়া বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে একাধিক মামলার আসামী সোর্স ইয়াবা কালাম, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, হোসেন মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া ও মনির মিয়াগং প্রায় ৪হাজার মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে দুধের আউটা, বানিয়াগাঁও, তেলিগাঁও, লাকমা ও জামালপুর গ্রামের বিভিন্ন বাড়িঘরে মজুত করে রেখেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

এব্যাপারে চাঁনপুর সীমান্তের বাসিন্দা আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউপি মেম্মার কফিল উদ্দিন বলেন- চোরাকারবারীরা সীমান্তের বারেকটিলার আনন্দপুর এলাকা দিয়ে ভারত থেকে প্রায় ২০লাখ টাকার ফুছকা পাচাঁর করে অটোরিক্সা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকা লোক নিয়ে আটক করে, চাঁনপুর ক্যাম্পের কমান্ডার ঈশ^র চন্দ্র পন্ডিতকে বারবার ফোন করার পরও রিসিভ করেনি। পরে চোরাকারবারীরা জোর করে মালামাল নিয়ে চলে যায়। এরপর খোঁজ নিয়ে জানতে পারছি ৫০হাজার টাকা দিয়ে বিজিবিকে ম্যানেজ করা হয়েছে। এছাড়া সীমান্ত দিয়ে পাচাঁরকৃত প্রতি গরু থেকে ১হাজার টাকা, ১ বস্তা চিনি থেকে ১শ টাকা ও ১ বস্তা পেয়াজ থেকে ১শ টাকা ও ১ বস্তা কয়লা থেকে ৫০টাকা করে বিজিবি ক্যাম্পের নামে চাঁদা নেওয়া হয়। সুনামগঞ্জ জেলার সিনিয়র সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া বলেন-রাতে চোরাচালানের খবর পেয়ে লাউড়গড় ও চাঁনপুর বিজিবি ক্যাম্পের সরকারী মোবাইল নাম্বারে ফোন করে বারবার জানানোর পরও কোন পদক্ষেপ নেওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

এব্যাপারে চাঁনপুর ক্যাম্প কমান্ডার ঈশ^র চন্দ্র পন্ডিত বলেন- রাতে আমি ক্যাম্পে ছিলাম, বাহিরে টহল ছিল। চোরাই পথে অবৈধ ভাবে কোন মালামাল পাচাঁরের খবর পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবিষয়ে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনি।


আরও খবর



ডিএমপির নতুন পরিকল্পনা ঈদে ঢাকায় অপরাধ দমনে

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৯৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকায় ঈদের ছুটিতে অনাকাঙ্ক্ষিত যেকোনো ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদে ফাঁকা ঢাকায় বাসাবাড়িসহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চুরি-ডাকাতি রোধে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ সময় সোনার দোকান ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা বেশি ঘটে। তবে, এবার অপরাধীরা সেই সুযোগ পাবে না। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক ও নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। এসব অপরাধের সঙ্গে কোনো নিরাপত্তাকর্মীর সংশ্লিষ্টতা থাকার সম্ভবনা আছে কিনা সেটাও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ডিএমপি সদরদপ্তরের উপকমিশনার (ক্রাইম) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে চুরি ও ছিনতাইসহ ঈদ কেন্দ্রিক সব ধরণের অপরাধ দমনে ৩৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ডিএমপির প্রতিটি বিভাগকে এ নির্দেশনা পালন করতে বলা হয়েছে।

ঈদ ও ঈদ পরবর্তী মহানগরীর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় করণীয় নির্দেশা হলো–

১. নিরাপত্তা পরিকল্পনায় মোতায়েন সব অফিসার ও ফোর্স সন্দেহজনক ব্যক্তির দেহ ও অন্যান্য বস্তু সৌজন্যতার সঙ্গে তল্লাশি করবেন।

২. ঈদগাহ প্রাঙ্গণ ও আশপাশ এলাকায় যেন কোনো ভিক্ষুক ও হকার প্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিত করবেন।

৩. সন্দেহজনক বা জরুরি কোনো বিষয় অবগত হলে তা অতি দ্রুত সময়ে হাইকোর্ট অভ্যন্তরে সাব-কন্ট্রোলরুম বা পুলিশ কন্ট্রোলরুমে জানাতে হবে।

৪. ঈদের ছুটির সময় দৃশ্যমান পুলিশিং নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিদিনই এলাকা ও স্থান পরিবর্তন করে কার্যকর চেকপোস্ট পরিচালনা করতে হবে। এসব চেকপোষ্টে তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।

৫. মোটরসাইকেল বিরোধী অভিযান এ সময় জোরদার করতে হবে। ট্রাফিক ও অপরাধ বিভাগ যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করবেন। তিনজন আরোহী কোনক্রমেই চলাচল করতে পারবে না।

৬. ঈদের ছুটিতে রাজধানী খালি হয়ে যায়। যানচলাচল সীমিত হয়ে পড়ে। এ সুযোগে কিছু যুবক উচ্চ গতিতে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। এ প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক চেকপোষ্ট, তল্লাশি ও গাড়ি চেকিং কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।

৭. ছুটিকালীন সময়ে ব্যাংক, স্বর্ণের দোকানের ছাদ ছিদ্র করে, সিধ কেটে চুরি, ডাকাতির আশংকা থাকে বিধায় ব্যাংক, স্বর্ণের দোকানের ওপরে ও আশপাশের এলাকায় যারা বসবাস করে তাদের প্রতি বিশেষ নজরদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৮. ছুটিকালীন সময়ে বিভিন্ন ব্যাংকের বুথে সংঘবদ্ধ চক্র দ্বারা অনাকাঙ্ক্ষিত চুরি-ডাকাতি, হত্যার ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে বিধায় অনাকাঙ্ক্ষিত চুরি-ডাকাতি, হত্যার ঘটনা প্রতিরোধে সিকিউরিটি গার্ডদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।

৯. বাসাবাড়ি, অফিস-আদালত, মার্কেট, ব্যাংক, স্বর্ণের দোকান ও বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে নিজস্ব প্রাইভেট সিকিউরিটি দ্বারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া তাদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করতে হবে।

১০. প্রতিটি থানা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্টসহ দৃশ্যমান পুলিশি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রাতে থানার মোবাইল প্যাট্রোলসমূহ হুটার বাজিয়ে টহল দিবে। ছুটিকালীন সময়ে বাসা পরিবর্তনের নামে বাসাবাড়ির মালামাল যাতে চুরি না হয় তার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১১. চেকপোস্ট চলাকালীন সময়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি না করার পাশাপাশি সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ছুটিকালীন সময়ে বেপরোয়া যানবাহন চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১২. প্রতিটি থানা থেকে প্রতিদিন তিনটি মোটরসাইকেল মোবাইল টিম টহল ডিউটি করবে। প্রতিটি টিমে এক সঙ্গে তিনটি মোটরসাইকেল থাকবে। প্রতিটি মটরসাইকেলে একজন এসআই, একজন এএসআই অস্ত্রসহ ও একজন কনস্টেবল শর্টগানসহ মোতায়েন করতে হবে।

১৩. ঢাকা মহানগরীর প্রবেশ ও বাহির পথসমূহে ২৪ ঘণ্টা চেকপোস্টের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ঈদ পরবর্তী সময়ে সকল থানা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় চেকপোস্ট কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে হবে।

১৪. নিরাপত্তা ডিউটিতে নিয়োজিত যেকোন ফোর্স মোতায়েন হওয়ার পূর্বে ইনচার্জ অফিসার তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে যথাযথ ব্রিফিং প্রদান করবেন।

১৫. ঈদের দিন থেকে সব বাণিজ্যিক বিপনীবিতান ও স্বর্ণের মার্কেটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার। মার্কেট মালিক সমিতির মাধ্যমে তাদের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও মালিক সমিতি কর্তৃক তদারকি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

১৬. সব ব্যাংক এবং এটিএম বুথের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা। এ সংক্রান্তে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঙ্গে সভা করে তাদেরকে নিরাপত্তা টিপস প্রদান করতে হবে।

১৭. আবাসিক এলাকায় পুলিশের মোবাইল প্যাট্রল গমনা-গমন নিশ্চিত করাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ফুট প্যাট্রলের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। অতিরিক্ত গাড়ি প্রয়োজন হলে উপকমিশনার (পরিবহন) সরবরাহের ব্যবস্থা করবেন।


আরও খবর

স্বর্ণের দাম আরও কমল

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




গরমে তৃষ্ণা মেটাতে চাহিদা বেড়েছে শরবত ও ফলের জুসের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৯২জন দেখেছেন

Image
রাকিব সিরাজগঞ্জ থেকে:সিরাজগঞ্জ সহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে গত কয়েকদিন ধরে মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে। ফলে জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে যারা ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন প্রখর সূর্যতাপে ও ভ্যাপসা গরমে ঘেমে অস্থির হচ্ছেন তারা। গরমে তৃষ্ণা মেটাতে অসংখ্য মানুষকে ফলের জুস ও বরফ মেশানো শরবতের দোকানে ভিড় জমাতে দেখা যায়।

তীব্র গরমের ফলে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলাও বেড়েছে শরবত ও ফলের জুসের দোকান, ঠান্ডা পানিতে লেবুর রস মেশানো শরবতে তৃষ্ণা মেটান অনেক শ্রেণী পেশার মানুষ। স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি তাদের কাছে অনেকটাই অবহেলিত, তাই এই তীব্র গরমে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এ ধরনের ফলের জুস ও শরবতের দোকান। প্রতি গ্লাস শরবতের দাম ১০ টাকা ট্যাং মেশানো গ্লাস ১৫ টাকা, ও ফলের জুস ৪০ টাকা থেকে ১০০ টাকার উপরে পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার(১৮ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে হাট, বাজারে, শপিং মলের সামনে ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার পাশে খোলা ভ্যানের ওপর ফিল্টারের মধ্যে বরফ মেশানো পানিতে লেবুর রস ও সামান্য লবণ মিশিয়ে তৈরি করা হয় শরবত। মাত্র তিনটি উপকরণের মিশ্রণে এ ধরনের শরবত বিক্রি হচ্ছে প্রতি গ্লাস ১০ টাকা, ট্যাং মেশানো ১৫ টাকা। তীব্র গরমে সামান্য তৃপ্তি মেটাতে বাধ্য হয়ে সেগুলো খাচ্ছেন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী থেকে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

সদর উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড় গুলোতে এদের উপস্থিতি থাকলেও হাট, বাজারে ও শপিং সেন্টারগুলোর সামনে এদের বেশি সংখ্যায় দেখা যায়। প্রচণ্ড গরমে জর্জরিত পথচারীদের নোংরা পরিবেশ কিংবা স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা কারও কারও মনে এলেও বরফশীতল লেবুর শরবতের প্রচণ্ড লোভনীয় প্রশান্তির কথা মনে করে সেসব পান করছেন অনেকে। এভাবেই পথের এসব শরবতের দোকানে ভিড়ও লেগে থাকে সারাক্ষণ।

সিরাজগঞ্জ সদরে কয়েক জায়গা ঘুরে দেখা গেছে, এসব লেবুর শরবত তৈরির পদ্ধতি সবারই এক। কাঠ কিংবা লোহার একটি যন্ত্রের মাঝে অর্ধেকটা লেবু রেখে চাপ দেওয়া হয়। এতে রস গিয়ে পড়বে নিচে রাখা গ্লাস কিংবা মগে। এবার তাতে যোগ করা হবে বরফ শীতল পানি আর বিট লবণ।

এই বিষয়ে শরবত বিক্রেতা আব্দুল গনি বলেন, গত বছরের ব্যবধানে এই শরবতের দাম একটু বেশি হয়েছে। লেবু বিট লবণ বরফ এগুলোর দাম  বৃদ্ধি হওয়ার। কারণে। কেউ আবার শরবতের রং সুন্দর করার জন্য মেশায় কৃত্রিম রং, অরেঞ্জ পাউডার। স্বাদ মিষ্টি করার জন্য স্যাকারিন, টেস্টিং সল্টও মেশানো হয়। কেউ এর মধ্যে আপেল ও মাল্টার কুচি দিয়ে ৩০ টাকায় স্পেশাল শরবত বিক্রি করছেন। কেউ তোকমা দানা, ইসবগুল, মেথির মতো উপাদানও মেশাচ্ছেন। 

এ বিষয়ে এক ক্রেতা বলেন, এতো গরমে তৃষ্ণার্ত ও শরীর সতেজ রাখতে লেবুর শরবত ভালো লাগে। আমি মানুষকে প্রতিদিন দেখি শরবত খাই। আজকে আমি নিজে খেলাম অনেক ভালো লাগলো।

আরও খবর



নওগাঁয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image
নওগাঁ প্রতিনিধি:নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে সালাউদ্দিন ওরফে টনি (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০হাজার টাকার অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এই রায় দেন। 

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।  জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল খালেক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। 

আদালত ও মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে নিয়ামতপুর উপজেলার ধানসা গ্রামের আবু কালামের মেয়ে তুকাজ্জেবার (২৪) সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের সালাউদ্দিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সালাউদ্দিন স্ত্রী তুকাজ্জেবার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। ২০২০ সালের ২৯ জুন তুকাজ্জেবা স্বামী সালাউদ্দিনকে নিয়ে বাবার বাড়ি নিয়ামতপুরের ধানসা গ্রামে বেড়াতে আসেন। পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুড়বাড়িতে থাকা অবস্থায় ১জুলাই সালাউদ্দিন তাঁর স্ত্রী তুকাজ্জেবার গলায় কাঁচি দিয়ে খুঁচিয়ে গুরুত্বরভাবে জখম করে। ওই দিন সকাল সাড়ে ৫টার দিকে তুকাজ্জেবা ও সালাউদ্দিনের ঘর থেকে চিৎকারের শব্দ পেয়ে তুকাজ্জেবার বাবা ও মা  বাইরে থেকে ঘরের দরজা খোলার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে প্রতিবেশি রবিউল ইসলাম লাথি মেরে দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে তুকাজ্জেবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় সালাউদ্দিনের হাতে কাপড় কাটার কাঁচি দেখতে পায় তারা। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তুকাজ্জেবাকে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। 

স্ত্রীকে আহত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন সালাউদ্দিনকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় নিহত তুকাজ্জেবার বাবা আবু কালাম বাদীয় হয়ে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে নিয়ামতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে  মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ২০২২ সালের ২২ জুন আদালতে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালতে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দোষী নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল খালেক এবং আসামিপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আতিকুর রহমান। সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল খালেক বলেন, সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করেছেন। রায়ে হাইকোর্ট বিভাগে মৃত্যুদন্ড বহাল রাখা সাপেক্ষে আসামি সালাউদ্দিনকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে। এ রায় হত্যা মামলার ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করেন এই আইনজীবী।

আরও খবর