Logo
আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

খাগড়াছড়িতে অবৈধ অস্ত্রসহ এক সন্ত্রাসী গ্রেফতার

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ জানুয়ারী 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১২৯জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি জেলার সদর থানা এলাকার ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের গাছবান ২নং প্রকল্প এলাকা আগ্নেয়াস্ত্রর ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজী করার সময় অবৈধ দেশীয় তৈরী অস্ত্র গুলি এবং চাঁদা আদায়ের রশিদ জব্দসহ এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেন থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৩জানুয়ারি) রাত ৪টার দিকে খাগড়াছড়ি সদর থানার  টহল টিম ডিউটিকরা কালীন সময়ে গোপন সূত্রে সংবাদ পায় যে, খাগড়াছড়ি সদর থানাধীন ৫নং ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডস্থ গাছবান ২নং প্রকল্প এলাকার খাগড়াছড়ি টু পানছড়িগামী সড়কে একজন সন্ত্রাসী আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় ভীতি দেখিয়ে  অত্র সড়কে চলাচলকৃত যানবাহন থেকে চাঁদা আদায় করছে।আতঃপর এমন সংবাদের প্রেক্ষাপট খাগড়াছড়ি জেলার  পুলিশ সুপার  মুক্তা ধর, পিপিএম (বার) এর সার্বিক দিকনির্দেশনায় খাগড়াছড়ি সদর থানার একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সুকৌশলে আসামী সোনামনি বৈষ্ণব ত্রিপুরা(৩৯) কে দেশীয় তৈরী অস্ত্র গুলি এবং চাঁদা আদায়ের রশিদসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত আসামী হলেন-সোনামনি বৈষ্ণব ত্রিপুরা(৩৯)খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোন ছড়া ইউনিয়নের  ২নং প্রকল্প গাছবান, এলাকার মৃত নির্মল দাস বৈষ্ণব ত্রিপুরা,র ছেলে উদ্ধার ও জব্দকৃত  এক টি দেশীয় তৈরি অস্ত্র, দুইটি সাদা রংয়ের কার্তুজ, এক টি চাঁদা আদায়ের রশিদ বই।

খাগড়াছড়ি সদর থানা সূত্রে জানান, জেলার অভ্যন্তরীন আইন শৃংঙ্খলা পরিস্থিতি অক্ষুন্ন রাখতে এবং খাগড়াছড়ির সম্মানিত নাগরিকদের একটি ভীতিহীন, শান্তিপুর্ণ সুশীল সমাজ উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে খাগড়াছড়ি জেলায় মাল্টিলেয়ার সুরক্ষা ব্যবস্থা, গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন পুলিশি আইনি কার্যক্রম প্রণয়ন করেছেন। জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের নীতি বাস্তবায়নে জেলা পুলিশের প্রতিটি ইউনিট অত্র জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে নিরন্তরভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মাদক, চোরাচালান, চাঁদাবাজী, সন্ত্রাসী কর্যক্রম বন্ধে খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) এর নেতৃত্বে অভিনব ও যুগোপযোগী কৌশলে প্রতিনিয়ত এই  সকল অপরাধের সাথে জড়িত অপরাধীরা গ্রেফতারসহ আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করছে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ। আসামীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু প্রত্রুিয়াধীন।

আরও খবর



হজের প্রথম ফ্লাইট ঢাকা ছেড়ে গেছে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পবিত্র হজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবের ৪১৯ যাত্রী নিয়ে চলতি বছরের প্রথম ফ্লাইট ঢাকা ছেড়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল ৭টা ২০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর বিজি-৩৩০১ ফ্লাইট ৪১৯ যাত্রী নিয়ে জেদ্দার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ে।

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান উপস্থিত থেকে হজের প্রথম ফ্লাইট উদ্বোধন করেন।

এর আগে, গতকাল বুধবার রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে এবারের হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন হজ হতে পারে। তবে ভিসা কার্যক্রম এখনো শেষ হয়নি। এই কাজ শেষ করতে দ্বিতীয় দফায় আগামী ১১ মে পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এবার জেদ্দা ও মদিনায় পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকায় হজ অফিসে বিমান বোর্ডিং এবং ইমিগ্রেশন কাউন্টারে পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ করা হয়েছে। ঢাকা হজ অফিসে বিমানের সেলস কাউন্টার এ ব্যালটি হাজিদের টিকিট ইস্যু এবং নন-ব্যালটি হাজিদের টিকিট সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানের সুবিধা রাখা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৬ হাজার ৫২৭ জন হজযাত্রী পরিবহন করা হবে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ৫০ শতাংশ হজযাত্রী পরিবহন করবে, যার সংখ্যা ৪৩ হাজার ৮৯৯ জন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস প্রি-হজে মোট ১১৬টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে জেদ্দায় ৮২টি, চট্টগ্রাম থেকে জেদ্দায় ১৭টি, সিলেট থেকে জেদ্দায় ৫টি, ঢাকা থেকে মদিনায় ৯টি, চট্টগ্রাম থেকে মদিনায় ২টি এবং সিলেট থেকে মদিনায় একটি।

এ ছাড়া হজ শেষে পোস্ট হজে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস মোট ১২৫টি ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এর মধ্যে জেদ্দা থেকে ঢাকাতে ৭৩টি, জেদ্দা থেকে চট্টগ্রামে ১৫টি, জেদ্দা থেকে সিলেটে ২টি, এছাড়া মদিনা থেকে ঢাকা ২২টি, মদিনা থেকে চট্টগ্রামে ৯টি এবং মদিনা থেকে সিলেটে ৪টি।


আরও খবর



সমবায়ের ধারণা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে চাই: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মানুষকে নিয়ে যৌথভাবে খাদ্য নিশ্চয়তা, আর্থ সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করাই সরকারের মূল লক্ষ্য। এ জন্য সারা বাংলায় সমবায় ছড়িয়ে দিতে হবে,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দাড়িয়ারকুল একটি বাড়ি, একটি খামার প্রকল্পের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমবায়ের মাধ্যমে কোটালিপাড়া, টুঙ্গিপাড়ার সকল কৃষি জমি একসঙ্গে চাষের আওতায় আনা হবে। যার ভাগ পাবে কৃষক, জমির মালিক ও সমিতি।

তিনি বলেন, মানুষের কষ্টই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সংগ্রামের দিকে ধাবিত করে। তিনি দুঃখী মানুষের কষ্ট সইতে পারতেন না।

পরিবারগুলো ভাগ হয়ে গেলে, জমিতে আইল পড়ে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সমবায়ের মাধ্যমে যা উৎপাদন হবে, সেখান থেকে কেউ সঞ্চয় করতে চাইলেও পারবেন। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এক্ষেত্রে সহায়তা করবে।

দারিদ্র্য বিমোচন করে মানুষের জীবনমান উন্নত করাই আমাদের লক্ষ্য। এ জন্য সরকার অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, বিনা জামানতেও ঋণ দেওয়া হচ্ছে। নেতারা তাদের নিজ নিজ এলাকায় দারিদ্র্য বিমোচন ও ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে সমবায় পদ্ধতি কাজে লাগাতে পারেন।

‘বয়স হয়ে গেলে যেন কেউ কষ্টে না ভোগে সেই উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। পেনশন স্কিম চালালে ভাতার ওপর নির্ভরশীলতা কমানো সম্ভব,’ যোগ করেন তিনি।

বৃক্ষরোপণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু দলের (আওয়ামী লীগ) কর্মী নয়। দেশের প্রত্যেক মানুষের উচিত পহেলা আষাঢ় একটি করে গাছ লাগানো।

কোটালিপাড়া-টুঙ্গিপাড়ায় যত অনাবাদী জমি আছে, সেগুলোতে চাষ করার কথা জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। বলেন, এসব জমি সমবায়ের আওতায় এনে চাষ করা হবে। যার যার জমি তিনি ফসলের ভাগ পাবেন।

পরে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সমিতির সদস্যদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ল্যাপটপ, সেলাই মেশিন, বাইসাইকেল এবং কৃষিবীজ ও উন্নত মানের কবুতর বিতরণ করা হয়।

এর আগে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করে সেখানে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরও খবর



যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতিদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আহত-৫

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ১৩৭জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতিদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছে।শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে কারাগারের নিউ জেলে এঘটনা ঘটে। এসময় সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে দু’কাররক্ষী সামান্য আহত হয়েছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারা অভ্যন্তরে হুইসেল বাজিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনেন। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন খুলনা কারা উপমহাপরিদর্শক অসীম কান্ত পাল। জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টা যশোর কেন্দ্রীয় কারা অভ্যন্তরের নিউজেল এলাকার সামনে যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী ভাইপো রাকিব ও আরেক সন্ত্রাসী সম্রাটের মধ্যে মোবাইলে কথা বলা নিয়ে, কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এ সময় দু’গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। শেষ মেষ তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। সঙ্গে সঙ্গে হুইসেল বাজানো হয়। পরবর্তীতে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার ও জেলার শরিফুল আলম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে খুলনা কারা উপমহাপরিদর্শক অসীম কান্ত পাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এদিকে, কারাগারের অপর একটি সূত্র জানিয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে দু’কারারক্ষী জখম হয়েছেন। তাদেরকে কারা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, আহত হাজতিদেরও সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিক কারাকর্তৃপক্ষ জড়িত সাত-আটজনকে চিহ্নিত করেছেন। এদের মধ্যে কয়েকজনকে পৃথক স্থানে রাখা হয়েছে। তাদের সাথে বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সহকারী সার্জন সাজ্জাদ হোসেন বলেন, দু’কারারক্ষী ও ৬-৭ জন হাজতি কারা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা আশঙ্কামুক্ত ও সুস্থ রয়েছেন।

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার বলেন, ঘটনাটি সামান্য। তবে, আকস্মিকভাবে তাদের একজন কারারক্ষী অ্যালার্ট হুইসেল বাজিয়ে ফেলেন। এতে করে বিষয়টি বড় আকারে রূপ নেয়। তিনি বলেন, মূলত যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে বর্তমানে শহরের দাগী কয়েকজন সন্ত্রাসী রয়েছে। তাদের মধ্যে ভাইপো রাকিব অন্যতম। এদের দু’টি গ্রুপের সদস্যদের বাইরেই কোন্দল ছিল। যা কারাগারের ভেতরে ক্ষোভ মেটানোর চেষ্টা করেছে। যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। তিনি বলেন, কারারক্ষীদের উপর হামলা চালানো হয়নি। মূলত তাড়াহুড়ো করে কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করতে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে জমির বিরোধে হত্যার ঘটনায় ২৪ জনের নামে মামলা, গ্রেফতার ৫

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ১১৯জন দেখেছেন

Image
শেফালী আক্তার রাখি,মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধিঃবাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে জমির বিরোধে এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। শুক্রবার রাতে নিহত কৃষক হাকিম জোমাদ্দারের ভাই হারুণ জোমাদ্দার বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ২৪ জনকে এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে। যার প্রধান আসামি প্রতিবেশি বারেক হাওলাদারের ছেলে শহিদুল ইসলাম হাওলাদার। পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ মামলার ৫ আসামিকে গ্রেফতার করে শনিবার বেলা ১০টার দিকে বাগেরহাট কোর্টে সোপর্দ করেছে। এরা হচ্ছেন, আব্দুস সালাম ফকির, হাসান হাওলাদার, নাজমা বেগম, লাইজু বেগম ও জাহানারা বেগম।

এর আগে, শুক্রবার বেলা ৮টার দিকে গুয়াতলা গ্রামের আইয়ুব আলী জোমাদ্দারের ছেলে আব্দুল হাকিম জোমাদ্দারকে(৬২) পিটিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিবেশি শহিদুল ইসলাম ও তার লোকজন। মারপিটে আরও ৭ জন আহত হন।

জানা গেছে, বারেক হাওলাদার ও হাকিম জোমাদ্দারের মধ্যে ৩.৪২ একর জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে ৪/৫ বছর ধরে। ঘটনার দিন গত শুক্রবার বারেক হাওলাদারের ছেলে শহিদুল হাওলাদারের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি বাহিনী হাকিম জোমাদ্দারের বসতঘরের সামনে থেকে বিাবদমান ওই জমির কিছু অংশে ঘেরাবেড়া দিয়ে দখল করে নেয়। ওই সময় দখলে বাধা দিলে হাকিম জোমাদ্দার ও তার লোকজনদের ওপর হামলা করে শহিদুলের বাহিনী। হামলায় গুরুতর জখমী দুই সন্তানের পিতা হাকিম জোমাদ্দার ঘটনাস্থলেই মারা যান।

হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে মোরেলগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আশিকুর রহমান ও বাগেরহাট জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন(পিবিআই) এর একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও এ হত্যা মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, ঘটনার পর থেকেই এলাকায় পুলিশ অবস্থান করছে। এ পর্যন্ত ৫ জন আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।

আরও খবর



বাকেরগঞ্জে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী ২৮ বছর পর গ্রেফতার

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ২৬জন দেখেছেন

Image
রবিউল ইসলাম বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি:বরিশালের বাকেরগঞ্জে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে প্রায় ২৮ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।

সোমবার (১৪ মে) রাতে পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালি উপজেলার বড়বাসদিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত আনোয়ার হোসেন খান উপজেলার ভরপাশা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের কৃষ্ণকাঠী গ্রামের মৃত গিয়াস খানের ছেলে।

বাকেরগঞ্জে থানার ওসি মোঃ আফজাল হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃত আনোয়ার ১৯৯৬ সালে উপজেলার এক‌ই গ্রামের বাসিন্দা আসমান খান নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করে। এ ঘটনায় আসমান খানের ছেলে হানিফ খান বাদী হয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই হত্যা মামলার প্রধান আসামি আনোয়ার হোসেন ছিলেন। ২০০১ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বরিশাল অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। হত্যার পর থেকেই আসামি আনোয়ার হোসেন পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আরও খবর