Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

কার্তিকের মাসিক বাড়ি ভাড়া ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা!

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ২৪৮জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: মায়ানগরীতে নায়কদের মধ্যে বিরোধিতার খবরই বেশি প্রচার পায়। তবে বন্ধুতাও রয়েছে। এই যেমন শাহিদ কপূর এবং কার্তিক আরিয়ান। দু’জনেই এই মুহূর্তের চর্চিত তারকা। এ বারে শাহিদের বাড়িতেই থাকতে শুরু করলেন কার্তিক। একটু খোলসা করা যাক।

সম্প্রতি মুম্বইয়ের জুহুতে এক বহুতলে একটি ফ্ল্যাট ভাড়ায় নিয়েছেন কার্তিক। ওই বাড়িটির মালিক শাহিদ। সূত্র বলছে, বাড়িটি তিন বছরের জন্য ভাড়ায় নিয়েছেন ‘ভুলভুলাইয়া ২’ খ্যাত অভিনেতা। চুক্তিপত্রে রয়েছে কার্তিকের মা মালা তিওয়ারি এবং শাহিদের স্ত্রী মীরা রাজপুতের নাম।

তা হলে শাহিদকে বাড়ি ভাড়া বাবদ মাসিক কত টাকা দিতে হবে কার্তিককে? টাকার অঙ্কের পরিমাণ নেহাত কম নয়। প্রতি মাসে কার্তিককে দিতে হবে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা! শুধু তা-ই নয়, চুক্তিপত্র বলছে প্রতি বছর ৭ শতাংশ হারে বাড়বে বাড়ি ভাড়ার পরিমাণ। অর্থাৎ দ্বিতীয় বছর বাড়ি ভাড়া হবে ৮ লক্ষ ২০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় বছরে সেই ভাড়ার পরিমাণ হবে ৮ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা।

শাহিদ ও মীরা সম্প্রতি তাঁদের বিলাসবহুল বাড়িতে থাকতে শুরু করেছেন। ২০১৮ সাল থেকে কার্তিকের ভাড়া নেওয়া বাড়িতেই সপরিবারে থাকতেন পর্দার ‘কবীর সিংহ’। প্রায় ৪ হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট। রয়েছে দুটো আলাদা গাড়ি রাখার ব্যবস্থা।উল্লেখ্য, গোয়ালিয়র থেকে মুম্বই আসার পর মু্বইয়ের ভারসোভা অঞ্চলে একটি ছোট্ট ফ্ল্যাটে ভাড়ায় থাকতেন কার্তিক।

২০১৯ সালে প্রায় দু’কোটি টাকায় সেই ফ্ল্যাটটি কিনে নেন কার্তিক। এ বারে শাহিদের বাড়িতে তিনি কবে পা রাখেন সেটাই দেখার। আগামী মাসে মুক্তি পাবে কার্তিক অভিনীত ‘শেহজ়াদা’।



আরও খবর



তানোরে তামান্না হিমাগারে রাখা আলুতে গাছ মজুদ ভারতীয় আলু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৮৮জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার কালিগঞ্জ বাজারে অবস্থিত তামান্না হিমাগারে রাখা কৃষকের আলুতে গাছ গজিয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সেই সাথে ভারত থেকে আমদানি করা আলু সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মজুদ করে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে হিমাগার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। আমদানি করা আলু রাতের আধারে ঢুকানো ও বাহির করার কারনে গ্যাস সংকট। মুলত একারনেই আলুতে গাছ বের হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন কৃষকরা । এতে করে অধিক টাকা খরচে কৃষকের রক্ত ঘামের আলু নষ্ট হওয়ায় মাথায় পড়েছে হাত। ফলে হিমাগার কর্তৃপক্ষের এমন কর্মকান্ডের কারনে ক্ষতিগ্রস্থ শতশত কৃষকরা। যার কারনে কৃষি বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তুলেছেন কৃষকরা।

কৃষকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার দুপুরের পরে সরেজমিনে হিমাগারে গিয়ে দেখা যায়, আলু রাখা সেটে বাছাই প্রক্রিয়া চলছে। সেখানে আলু রাখা একাধিক ব্যক্তিরা বলেন, আলুতে ট্যাক বা গাছ গজানো দেখতে হলে সকালের দিকে আসতে হত। আলু সেটে ঢালার পর প্রায় আলুতেই এক ইঞ্চি থেকে দেড় ইঞ্চি করে গাছ গজিয়েছে। প্রায় আলুর গাছ পরিস্কার করা হয়েছে। এজন্য এখন কম দেখা যাচ্ছে। গাছ গজানো আলু বিক্রি করা কষ্টকর এবং বাজার দামও কম হবে। কি কারনে গাজ গজিয়েছে জানতে চাইলে তারা জানান ভারত থেকে আমদানি করা আলু হিমাগারে রাখছে আবার সেই আলু বাহির করছে। যার কারনে ঠিকমত গ্যাস দিতে পারেনি। মুলত একারনেই আলুতে গাছ গজিয়েছে। এটার জন্য দায় হিমাগার কর্তৃপক্ষ।  তারা আমদানি করা আলুতে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে  অধিক লাভের কারনে সাধারণ কৃষকের আলুর এই অবস্থার সৃষ্টি করেছেন । তালন্দ ইউনিয়ন ইউপির আলু রাখা এক কৃষক সেখানেই ছিলেন, তিনি বলেন হিমাগার কর্তৃপক্ষই আলু নিয়ে মহা সিন্ডিকেট করে থাকেন প্রতিনিয়তই। আলু বিক্রি করার জন্য সকালের দিকে  সেটে ফেলার পর প্রতিটি আলুতে গাছ গজিয়ে পড়েছে। দেখে চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে পড়েছে। আলু ভালো থাকার জন্য হিমাগারে রাখা হয় অথচ ভালো থাকার পরিবর্তে গাছ গজাচ্ছে। ঈদুল ফিতরের পর ও গত সপ্তাহের দিকে ভারত থেকে আমদানি করা আলু হিমাগারে রাখার কারনে গ্যাস সংকট, সে কারনেই আলুতে গাছ গজিয়েছে। তিনি আরো জানান, তামান্নাতে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বস্তা ভারতীয় আলু রাখা আছে এবং বায়ার হিমালয় ও রাজেও রাখা আছে ভারতীয় আলু। 
আলু রাখা সেট থেকে যাওয়া হয় ম্যানেজারের চেম্বারে। সেখানে ম্যানেজার আব্দুল মান্নান ও  তার পাশে আরেকজন বসে ছিলেন। ম্যানেজার আব্দুল মান্নানের কাছে হিমাগারে রাখা আলুতে গাছ গজানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান এসব বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নাই।  ভারত থেকে আমদানি করা আলু আপনার হিমাগারে মজুদ আছে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। তার পাশে থাকা আরেক ব্যক্তি বলেন, হিমাগারের বিষয়ে কিছু জানতে হলে তামান্নার হেড অফিসে চলে যেতে হবে।

সেখান থেকে বের হয়ে সেটে আসলে কালিগঞ্জ এলাকার এক কৃষক জানান সকালের দিকে শুনতে পেয়েছি হিমাগারে রাখা আলুতে গাছ গজিয়েছে, আলু বিক্রি করব। কিন্তু গাছ গজালেতো দাম কম হবে। হিমাগার গুলো মহা সিন্ডিকেট শুরু করেছে। এহিমাগারে নাকি ভারত থেকে আমদানি করা আলু মজুদ আছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ট্রাকের ট্রাক ভারতীয় আলু মজুদ রাখা আছে। তিনি আরেক বেপারিকে ডেকে বলেন ভারতীয় আলু কত বস্তা হতে পারে তিনি জানান নিম্মে হলেও ১০ হাজার বস্তা ভারতীয় আলু রাখা আছে। স্থানীয় ওই কৃষক আরো জানান, আমাদের  গ্রামের শ্রমিকরাই ভারতীয় আলু বাছাই করেছে।

তানোর পৌর এলাকার এক কৃষক মোবাইলে জানান, আলু বিক্রি করার জন্য সকালের দিকে তামান্না হিমাগারে যায়। গিয়ে দেখি যে সব আলু বের করে সেটে ঢেলেছে প্রায় আলুতে গাছ গজিয়েছে। গাছ গজানো আলু বাজার দর থেকে কম।  আমি বীজের আলুও রেখেছি, সে সবেও গাছ গজিয়েছে।

বেশকিছু প্রান্তিক আলু চাষীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে সব আলু গাছ গজিয়েছে ওই সব আলু সেটে ঢালার পর বাছাই করে বিক্রি করতে হবে। এজন্য গুনতে হবে বাড়তি টাকা।  
হিমাগারে ভাড়া লুজ, প্রতি বস্তা ৩২৫ টাকা,  কন্ট্রাক বুকিং প্রতি বস্তা ২৫০-৬০ টাকা, পেট বুকিং ২৩০-৪০ টাকা, লেবার খরচ প্লাটল বাবদ প্রতি বস্তা ২৫ টাকা, সেট খরচ প্রতি বস্তায়  ৩০ টাকা, লোড প্রতি বস্তায়  ৬ টাকা, ওজন প্রতি বস্তায় ৫ টাকা,কৃষক কে ঋন দিলে হিমাগার ২৮% সুদ নেয়, বাজার দর থেকে বাকিতে কৃষকের কাছ বস্তা প্রতি ৩০ টাকা বাড়তি নেয়।

এছাড়াও যে সব কৃষকরা একজনের নামে বুকিং কেটে ১০ জন মিলে হিমাগারে ৫ হাজার বস্তা আলু রাখলে মজুদদার হিসেবে হিমাগার কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের কাছে তাদের তালিকা দিয়েছে । অথচ যারা ফড়িয়া ব্যবসায়ী হাজার হাজার বস্তা আলু মজুদ করে রেখেছে তাদের তালিকা দেয়নি হিমাগার কর্তৃপক্ষ। 

সুত্র জানায়, আলুর বাজার লাগামহীন হওয়ার কারনে এবং বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে ভারত থেকে আলু আমদানি করেছেন সরকার । কিন্তু তামান্না হিমাগারের ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্টরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার অস্থির করার কারনে ভারতীয় আলু মজুদ করেছে বলে মনে করছেন প্রান্তিক আলু চাষীরা। 

উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, আমরা তামান্না হিমাগার কে একাধিক বার সতর্ক করেছি। কিন্তু আমাদের তো অভিযান দেয়ার ক্ষমতা নেই। বিষয় টি নিয়ে নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে কৃষি বিভাগের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর



দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৫০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তির ইস্পাত কঠিন ঐক্যের বিকল্প নেই,বলেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থকে উপেক্ষা করে দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে।

শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ৮ম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে রাষ্ট্রপ্রধান এ কথা বলেন।

তিনি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রেখে উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে এবং সর্বস্তরে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে ৭১ এর পরাজিত শক্তি ঘাতক-দালালদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে বেড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার কথাও বলেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন বলেন, এ লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তির ইস্পাত কঠিন ঐক্যের বিকল্প নেই। ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থ উপেক্ষা করে দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে।

রাষ্ট্রপতি সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুর দর্শন, ধর্মনিরপেক্ষতা ও অসাম্প্রদায়িকতার বোধ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ারও তাগিদ দেন।

তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ডিজিটাল মাধ্যম ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করুন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়ুন, বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও আদর্শ সম্পর্কে জানুন। মনন, বোধ ও জীবনাচরণে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বুকে লালন করে বাঙালির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরুন।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ২১ বছর পর ১৯৯২ সালে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে শুরু হয়ে এ আন্দোলনের প্রাজ্ঞ নেতারা প্রায় ৩৩ বছর ধরে নানা চড়াই-উতরাই, ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে এ সংগঠনকে আজকের জায়গায় নিয়ে এসেছেন।

রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, কেবল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারই নয়, মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এ মহাসংগ্রামের প্রকৃত ইতিহাস পৌঁছে দিয়ে তাদের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে দীক্ষিত করার ক্ষেত্রেও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

তিনি আশা করেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সহনশীল ও মানবিক সমাজ এবং রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আগামী দিনগুলোতেও ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও ঘাতক-দালাল চক্র মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাসহ আমাদের সাফল্য ম্লান করে দিতে অবিরাম অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

যুদ্ধাপরাধী বা মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ সম্পন্ন হলেও ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কাজ কখনো শেষ হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির ভূমিকা অতীতের মতো ভবিষ্যতে উজ্জ্বলভাবে কার্যকর থাকবে।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচার আজ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও প্রশংসা অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক ও তথ্য-প্রযুক্তির নানা সূচকে বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল দৃষ্টান্তে পরিণত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সাফল্যের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে যাত্রা শুরু করেছি আমরা। এ অগ্রযাত্রার পথে সরকারের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল মৌলবাদ ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ। প্রধানমন্ত্রীর সাহসী নেতৃত্ব এবং জঙ্গিবাদের প্রতি তার সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কারণেই জঙ্গিবাদ দমনে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশও ডিজিটাল বিপ্লবের পাশাপাশি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে।


আরও খবর



বগুড়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তরুণ আহত ও কলেজছাত্রী নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৩৯জন দেখেছেন

Image
বগুড়া বিশেষ প্রতিনিধি:বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আফসানা আক্তার (২০) নামের এক কলেজছাত্রী নিহত হয়েছেন। শনিবার (১১ মে) দুপুর একটার দিকে বগুড়া সদর উপজেলার পীরগাছা- মহাস্থানগড় সড়কের পীরগাছা বন্দরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আফসানার বন্ধু ও মোটরসাইকেলের চালক তাওসিফ হোসেন (২২) নামের এক তরুণ আহত হন। তিনি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিসাধীন। নিহত আফসানা আক্তার বগুড়া শহরের সুলতানগঞ্জ পাড়ার রুইল শেখের মেয়ে। তিনি সরকারি আজিজুল হক কলেজের ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রনি কুমার দাস। তিনি জানান, আফসান ও তাওসিফ সম্পর্কে বন্ধু। আজ তারা ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। পীরগাছা এলাকায় তাওসিফের মোটরসাইকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলে মাথায় আঘাত পেয়ে আফসানার মৃত্যু হয়।

স্থানীয়রা তাওসিফকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে পাঠান। এদিকে নিহত আফসানার মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

আরও খবর



সুনামগঞ্জে পৃথক ঘটনায় ২জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জে গত ২৪ ঘন্টায় পৃথক ঘটনায় ২জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ পৃথক স্থান থেকে মৃতদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মৃতরা হলো- জেলার সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের সুরেশ রবি দাস (৪০) ও তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের মানিকখিলা গ্রামের নুর হোসেন (২৮)।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টায় সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নতুন হাসন নগর ভুবির পয়েন্ট এলাকায় মাহিন্দ্র ট্রাক ও সিএনজি চালিতো অটোরিক্সার মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাঁধে। এঘটনায় সিএনজিতে থাকা যাত্রী সুরেশ রবি দাস ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এঘটনায় আহত হয় চালক জীবন মিয়া (২০) ও যাত্রী কৃঞ্চ রবি দাস (৩২)। তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে রাতেই সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর মৃত সুরেশ রবি দাসের লাশ ময়না তদন্তে জন্য মর্গে পাঠানো হয়।

অন্যদিকে এদিন সন্ধ্যা ৭টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত যুবক নুর হোসেনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।

এর আগে গত রবিবার (১৪ এপ্রিল) রাত ৮টায় তাহিরপুর উপজেলার সন্তুষপুর গ্রামের পূর্ব বিরোধের জের ধরে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নুর হোসেনসহ ১৫জন আহত হয়। তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ৫জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আর নুর হোসেনের অবস্থা আশংকাজন হওয়ার কারণে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে পরদিন সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে সিলেট পাঠানো হয়। এঘটনায় এঘটনা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১জনকে গ্রেফতার করে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত নুর হোসেনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি খালেদ চৌধুরী ও তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন পৃথক ঘটনায় ২জনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর



কোয়ালিটির ক্ষেত্রে বাংলাদেশে নাম্বার ১ স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৬৩জন দেখেছেন

Image

প্রযুক্তি ডেস্ক:গুণগতমানের দিক থেকে বাংলাদেশের শীর্ষ ব্র্যান্ড হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে তরুণদের জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি। ২০ হাজার টাকার বাজেটের মধ্যে তরুণ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কাছে রিয়েলমি একটি ভরসার নাম- এমন তথ্য উঠে এসেছে স্বনামধন্য বৈশ্বিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্ট টেকনোলজি মার্কেট রিসার্চ (সিটিএমআর) এর করা এক সমীক্ষায়। স্মার্টফোন কেনার সময় পণ্যের গুণগতমান বা কোয়ালিটি নিয়ে গ্রাহকরা কী ভাবেন- শীর্ষক বিষয় নিয়ে বাংলাদেশে এই গবেষণাটি পরিচালনা করেছে সিটিএমআর।

কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ স্টাডি অনুসারে, বাংলাদেশের ৭৭ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, স্মার্টফোন কেনার সময় পণ্যের কোয়ালিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্মার্টফোন বিল্ড কোয়ালিটির ওপর ভিত্তি করে শীর্ষ ব্র্যান্ড হিসেবে রিয়েলমিকে বাছাই করেছেন ৫৪ শতাংশ উত্তরদাতা। এছাড়াও, পণ্যের মান অনুযায়ী অন্য স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের রিয়েলমি’র ফোন কেনার প্রতি জোর পরামর্শ দেন ৮৩ শতাংশ উত্তরদাতা।

কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের ত্রৈমাসিক স্মার্টফোন শিপমেন্ট ট্র্যাকার অনুযায়ী, বাংলাদেশের স্মার্টফোন বাজারের ক্ষেত্র আরও বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে স্মার্টফোনের বাজারের ৮০ শতাংশের দামই ছিল ২০ হাজার টাকার মধ্যে, যেখানে ফোনের গড় বিক্রয় মূল্য (এএসপি) ১৮ হাজার টাকা।

রিয়েলমি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যালেন চেন বলেন, “তরুণ ফোন ব্যবহারকারীদের চাহিদা বুঝতে সব সময়ই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রিয়েলমি, যাতে তাদের একটি ব্যতিক্রমী নির্ভরযোগ্য ও মানসম্পন্ন স্মার্টফোনের অভিজ্ঞতা দেওয়া সম্ভব হয়। আমরা শুধু মুখের কথার উপর নির্ভর করতে চাইনি; আমরা সত্যিই বুঝতে চেয়েছিলাম ব্যবহারকারীরা তাদের ডিভাইস থেকে কী চায়। আমরা সর্বদা ডিভাইসের কোয়ালিটি রক্ষার চেষ্টা করেছি, এবং সমীক্ষায়ও দেখা গেছে, ব্র্যান্ডগুলো ব্যবহারকারীদের প্রত্যাশিত গুণগত মানসম্পন্ন ফোন সরবরাহ করলে তারাও বিষয়টিকে মূল্যায়ন করে। এই কারণে দাম অনুযায়ী পণ্যের কোয়ালিটির জন্য রিয়েলমি শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে৷ এই কৃতিত্ব ব্যবহারকারীদের চাহিদা বুঝতে সক্ষম এমন আরও ভালো প্রযুক্তি ব্র্যান্ড তৈরির জন্য আমাদের উত্সাহ জোগাবে।”

কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ এর সিনিয়র এনালিস্ট আরুশি চাওলা বলেন, “দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠার কারণে ডিভাইসের কোয়ালিটি ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। শুধু ডিভাইসের নির্ভরযোগ্যতা ও দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করার জন্য পণ্যের কোয়ালিটি থাকা জরুরি নয় বরং পরবর্তীতে বিক্রয়ের সময়ে যাতে এর মূল্যমান ঠিক থাকে, তার জন্যও এটার প্রয়োজন রয়েছে। স্মার্টফোনের কোয়ালিটি মূল্যায়নের জন্য ক্যামেরার কোয়ালিটি, ব্যাটারি লাইফ, প্রসেসর, বিল্ড কোয়ালিটি ও ডিসপ্লের মতো বিষয়গুলো বাংলাদেশের গ্রাহকদের কাছে প্রধান বিবেচ্য বিষয়। বিশেষ করে তরুণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে অন্যান্য ব্র্যান্ডের তুলনায় রিয়েলমি’র স্মার্টফোনের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। এর কারণ হলো, রিয়েলমি বাংলাদেশী মার্কেটের উপযোগী একটি সুপরিকল্পিত পোর্টফোলিও প্রদান করে। তাছাড়া, এর উদ্ভাবনী সফটওয়্যার ও বিশ্বস্ত বিল্ড কোয়ালিটির কারণে স্মার্টফোন গ্রাহকদের কাছে পছন্দের শীর্ষে রয়েছে রিয়েলমি।”

বাংলাদেশে সিটিএমআর এর সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে জরিপটি পরিচালনা করেছে রিয়েলমি বাংলাদেশ। এই জরিপে এক হাজারেরও বেশি স্মার্টফোন গ্রাহক অংশগ্রহণ করেছেন। সমীক্ষায় সকল শ্রেণির গ্রাহকের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে ইংরেজি ও বাংলায় প্রশ্ন ব্যবহার করে বহুভাষিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে, জরিপটিতে অনলাইন এবং অফলাইন উভয় পদ্ধতিই ব্যবহার করা হয়।

সিটিএমআর হলো একটি বৈশ্বিক গবেষণা সংস্থা যা টিএমটি (টেকনোলজি, মিডিয়া ও টেলিকম) খাতের পণ্যের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। তারা বিভিন্ন বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এবং আর্থিক সংস্থাকে মাসিক প্রতিবেদন, কাস্টমাইজড প্রকল্প এবং মোবাইল ও প্রযুক্তি মার্কেটের বিশদ বিশ্লেষণ সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে সেবা প্রদান করে থাকে। এই প্রতিষ্ঠানের  মূল বিশ্লেষকরা হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিতে বিশেষ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন।

রিয়েলমি বাংলাদেশ সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য, অনুগ্রহ করে রিয়েলমি বাংলাদেশ এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ  https://www.facebook.com/realmeBD/ -এ ঘুরে আসুন।


আরও খবর