
নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। কয়েকটি স্থানে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। গতকাল শনিবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য দেয়া হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এতে বলা হয়, আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ একাধিক জেলায় কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তা গণেশ কুমার দাস জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র পর্যন্ত একটি গভীর অক্ষরেখা বিস্তৃত আছে। বিহার, ছত্তিশগড়ের দিকে এ সংক্রান্ত সামান্য আভাস পাওয়া গেছে। ধীরে-ধীরে তা পশ্চিমবঙ্গের দিকে আসছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়, এদিন পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, মেদিনীপুর, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মালদাহ, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের কয়েকটি জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হতে পারে। পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদের কয়েকটি জায়গায় ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে।
এদিকে পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ শুক্রবার তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে ১৫ মার্চ থেকে ১৯ মার্চের সম্ভাব্য কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও তীব্র বজ্রপাত সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ঝড়ের কারণে উল্লিখিত সময়ে দেশের সব জেলায় বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। তবে কালবৈশাখী ঝড়ের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি থাকবে রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট ও রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর ওপর। সবচেয়ে বেশি বজ্রপাতের ঝুঁকি রয়েছে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের সব জেলায়, ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ, চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়।
ওই সময়ে ঢাকা শহরের ওপর দিয়েও কালবৈশাখী ঝড় অতিবাহিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জেলায় ৩০ থেকে ৭০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু সম্ভাব্য কালবৈশাখী ঝড়টি এই মৌসুমের প্রথম ঝড় হবে, তাই সম্ভাব্য এই ঝড় থেকে বৃষ্টি অপেক্ষাকৃত কম হবে, তবে প্রচণ্ড রকমের ধূলিঝড় হতে পারে। সবচেয়ে বেশি ঝড় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ১৭ ও ১৮ মার্চ। ১৫ মার্চের আগেই ২-১টি জেলায় বিচ্ছিন্নভাবে কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে।