স্পোর্টস ডেস্ক:মেহেদী হাসান মিরাজ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ থেকেই আভাস দিচ্ছেন , এবার কিছু একটা করে দেখাবেন। মিরাজ সেই পথেই রইলেন। দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে অর্ধশতক তুলে নেওয়া মিরাজ ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন মূল মঞ্চেও।
শুধু ব্যাটেই নয়, বল হাতেও প্রতিপক্ষকে কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছেন এই ডান হাতি অলরাউন্ডার। মিরাজ যেন নিজেকে নতুন করে চেনাতেই বেছে নিয়েছেন এবারের বিশ্বকাপকে। বার্তা তো তেমনই দিয়ে রাখলেন।
বল হাতে ৯ ওভারে ৩টি মেডেন, ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেওয়ার পর তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে খেলেছেন ৫৭ (৭৩) রানের ইনিংস। ব্যাটে-বলে ম্যাচটাকে মিরাজের ম্যাচ বলাই যায়।
আফগানিস্তানের দেওয়া ১৫৬ রানের মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ১৫.২ ওভার হাতে রেখে ৬ উইকেটে। এর আগে দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ৫ রান করে ফিরেন রান আউট হয়ে। এরপর লিটন দাসকে বোল্ড করে ১৩ রানে ফেরান ফজল হক ফারুকি।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর আর ভুল করেননি মিরাজ-শান্ত। দুজনের ৯৭ রানের জুটিতে বাংলাদেশ পৌঁছে যায় জয়ের দ্বারপ্রান্তে। মিরাজের বিদায়ের পর শেষটা করে আসতে পারতেন সাকিব-শান্ত মিলে। তবে জয় থেকে মাত্র ১১ রান দূরে থাকতে দলীয় ১৪৬ রানের মাথায় সাকিব বিদায় নেন ১৪ রান করে। শান্ত খেলেন ৮৩ বলে ৫৯ রানের অপরাজিত ইনিংস।
আফগানিস্তানের পক্ষে ১টি করে উইকেট নেন ফজল হক, নাভিন উল হক এবং আজমতুল্লাহ ওমরজাই।
এর আগে ধরমশালার হিমাচল প্রদেশ স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও শেষ পর্যন্ত সাকিব-মিরাজদের বোলিং তোপে ৩৭.২ ওভারেই অল-আউট হয়ে যায় আফগানিস্তান।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ। এছাড়া সমান ২২ করে রান করেন ইবরাহিম জাদরান ও আজমতুল্লাহ।
বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব-মিরাজ নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। দুটি উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। ১ উইকেট করে নেন তাসকিন ও মোস্তাফিজুর রহমান।