Logo
আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

হোমনায় ৩টি ডায়াগস্টিক সেন্টারকে জরিমানা

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫৬জন দেখেছেন

Image

হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:কুমিল্লার হোমনায় অনুমোদনহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অনুমোদন না থাকা এবং প্রশিক্ষিত টেকনিশিয়ান ব্যতীত ল্যাব পরিচালনা করায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার দুলালপুর ও রামকৃষ্ণপুর বাজারের তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে আশি হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইউছুফ হাসান এ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. রহিদ হাসান সূর্য।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার মনিটরিং কার্যক্রমও পরিচালনা করেন। বাজারের ব্যবসায়ীরা হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে ফেলায় ক্রেতা সাধারণকে অতিরিক্ত পেঁয়াজ ক্রয়ে নিরুৎসাহিত করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট।

অভিযানে দুলালপুর ডায়গনস্টিক সেন্টারকে বিশ হাজার টাকা, সাগর মেডিকেল হল ও ডায়গনস্টিক সেন্টারকে ত্রিশ হাজার টাকা ও রামকৃষ্ণপুর বাজারের হলি লাইফ ডায়গনস্টিক সেন্টারকে ত্রিশ হাজার টাকা টাকা অর্থদ- দেওয়া হয়।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইউছুফ হাসান বলেন, অনুমোদনহীন এবং প্রশিক্ষিত টেকনিশিয়ান ব্যতীত ল্যাব পরিচালনা করায় তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আর পেঁয়াজ ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করলেও ব্যবসায়ীদের কাছে বেশী মূল্যে ক্রয় রশিদ থাকায় জরিমানা করার সুযোগ ছিলনা। তবে ক্রেতাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত পেঁয়াজ ক্রয়ে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।


আরও খবর



চেয়ারম্যান ময়নার নির্বাচনী সভায় জনতার ঢল

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৮২জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কে সামনে রেখে রাজশাহীর তানোর উপজেলার কলমা ইউনিয়ন ইউপিতে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার নির্বাচনী মত বিনিময় সভায় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে জনতার ঢল নামে। শুক্রবার বিকেলের দিকে ইউপির দরগাডাংগা স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয় মতবিনিময় সভা। কলমা ইউপির পূর্ব শাখার সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এবং চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার, বাধাইড় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির) চেয়ারম্যান ইউপি সভাপতি আতাউর রহমান, কলমা পশ্চিমের সভাপতি মুনসুর রহমান, সম্পাদক আতাউর রহমান, পূর্ব শাখার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন। উপস্থিত ছিলেন, আ"লীগ নেতা জিল্লুর রহমান,  আব্দুল হামিদ, হারুনুর রশিদ, আফজাল হোসেন, ইমরান হোসাইন প্রমুখ। এসময় ইউপির আ"লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



ইসলামপুরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্বোধন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৮জন দেখেছেন

Image
লিয়াকত হোসাইন লায়ন,ইসলামপুর(জামালপুর)প্রতিনিধি:"প্রাণিসম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ" এই প্রতিপাদ্যের আলোকে জামালপুরের ইসলামপুরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী  অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার সকালে পুরনো বাণিজ্য মেলার মাঠ থেকে ভার্চুয়ালী উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের বাস্তবায়নে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ও সদস্য সচিব ডাঃ তোফায়েল আহমেদের সঞ্চালনায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে, এতেপ্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম জামাল আব্দুন নাসের বাবুল, বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক আখন্দ, রোজিনা আক্তার চায়না, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল নাসের চৌধুরী চার্লেস প্রমুখ। 

প্রদর্শনীতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে উন্নত জাত এবং অধিক উৎপাদনশীল জাতের গবাদি পশু ও বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হয়। 

আরও খবর



ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নিউইয়র্ক সিটি

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৮জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটি ও আশপাশের অঞ্চল শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে।

ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভের তথ্য অনুসারে, স্থানীয় সময় শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকাল ১০টা ২০ মিনিটের কিছু পরেই ৪ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পন অনুভূত হয়। খবর-দ্য নিউইয়র্ক টাইমস

ইউএসজিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ম্যানহাটন থেকে ৫০ মাইল উত্তরের নিউজার্সির লেবানন নামক এলাকায়।

নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল এক্সে লিখেছেন, ‌‘পূর্ব ম্যানহাটনে ৪ দশমিক ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে এবং এটি পুরো নিউইয়র্কে অনুভূত হয়েছে। কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না সেটি নিরূপণ করছে আমার দল। আমরা এ ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে আরও অবহিত করব।

ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পর নিউইয়র্কের পূর্বঞ্চলীয় বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে পুরো শহর জুড়ে ভূমিকম্পের সাইরেন বেজে ওঠে।


আরও খবর



নিটারিয়ানদের কেমন কেটেছে পহেলা বৈশাখ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫৪জন দেখেছেন

Image

মিঠুন দাস মিঠু, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, নিটার:বৈশাখ আর বাঙালি মিলেমিশে একাকার। তাই-তো পহেলা বৈশাখ নিয়ে উচ্ছ্বাসের শেষ নেই আপামর বাঙালির। নতুন বর্ষকে বরণ করে নিতে ভোরের নতুন সূর্য ওঠার মধ্য দিয়ে ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম প্রভাতেই নানা এলাকায় নানান ধরনের আয়োজন হয়ে থাকে।

আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ,  ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন। এ দিনটির মধ্য দিয়েই বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন আরেকটি বছর। এ দিনটিকে জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (নিটার) এর শিক্ষার্থীরা কিভাবে দেখছেন, কিভাবে উপভোগ করেছেন বৈশাখি উৎসব তা তুলে ধরেছেন খবর প্রতিদিনের নিটার প্রতিনিধি- মিঠুন দাস মিঠু

                                                                             ‘‘পহেলা বৈশাখ: বাঙালির এক সার্বজনীন উৎসব”
বাঙালির আদি সাংস্কৃতিক পরিচয় বহনকারী অসাম্প্রদায়িক উৎসব পহেলা বৈশাখ, যা বাংলাদেশের জাতীয় উৎসব হিসেবেও পালন করা হয়ে থাকে। পহেলা বৈশাখ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য সর্বজনীন সাংস্কৃতিক আনন্দ-উৎসব। বাংলা নববর্ষের সঙ্গে ধর্মীয় কোনো অনুষঙ্গ নেই। সর্বজনীন লোকউৎসব হিসাবে পরিচিত পহেলা বৈশাখের এই দিনটি এই শোভাযাত্রা, মেলা, পান্তাভাত খাওয়া, হালখাতা খোলা, বর্ষবরণ করে পালন করা হয়। ষোড়শ শতাব্দীতে মুঘল যুগ থেকে শুরু হয় এই উৎসবের চল যখন সম্রাট আকবর ফসল কাটার মরশুমের উপর ভিত্তি করে ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করেন, যা ছিল ইসলামি ও হিন্দু ক্যালেন্ডারের সমন্বয়। বাংলা ক্যালেন্ডারের সঙ্গে আর্থিক বছর মিলিয়ে দেওয়ায় আকবরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এইদিন পরবর্তীকালে উৎসবে পরিণত হয়। বর্তমান পহেলা বৈশাখের এই দিনে আমাদের দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আয়োজিত ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রায়” গ্রামীণ জীবন এবং আবহমান বাংলাকে ফুটিয়ে তোলা হয়। জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনক্রমে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩০শে নভেম্বর বাংলাদেশের ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’’ কে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। এইদিনে বাঙালি ব্যবসায়ী, দোকানদার বছরের সমস্ত হিসাব-নিকাশ শেষ করে নতুন হিসাবের খাতা খোলেন। বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাদের মধ্যে ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিজু উৎসব এইদিন পালিত হয়। গ্রামগঞ্জে বৈশাখী মেলা বসে। কৃষিজ পণ্য, কুঠির শিল্প দ্রব্য, মৃৎ ও হস্তশিল্প দ্রব্য, আসবাবপত্র ইত্যাদি ক্রয়-বিক্রয়ের ধুম পড়ে সেসব মেলায়। যদিও তার প্রসার এখন কমে গিয়েছে। মেলার সময় নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা, কুস্তির আসর, এমনকি মেলায় ষাঁড়ের লড়াই, মোরগের লড়াই, বলী খেলা ইত্যাদি বিনোদন ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান বসতো। তবে করোনার পরবর্তী বছর গুলোতে আয়োজিত অনুষ্ঠান গুলোয় ভাটা পড়লেও বাঙালির আনন্দ থেমে থাকেনি। সর্বজনীন এই উৎসবের এই দিনটি উদযাপন করার মাধ্যমে পুরনো বছরের সমস্ত দুঃখ গাঁথা কষ্টকে বিদায় জানিয়ে নতুনত্ব কে সাদরে গ্রহণ করে পৃথিবীর সকল প্রান্তে থাকা সকল বাঙালি।
অপরাজিতা অর্পা, ডিপার্টমেন্ট ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                               ‘‘রঙ্গে ভরা বৈশাখ আবার আইলোরে”
ঋতুরাজ বসন্তের রঙের আভা যেতে না যেতেই গ্রীষ্মের শুরু। গ্রীষ্মের শুরু বলতেই মাথায় আসে পহেলা বৈশাখ। বছর ঘুরে নতুন সূর্যোদয়ে পুরোনো বছরের, পুরোনো দিনের সকল গ্লানি, সকল জড়া ধুয়ে মুছে নতুন্যত্বর বরণ। সম্রাট আকবরের সময়কাল থেকে ‘‘পহেলা বৈশাখ” উদযাপনের সূচনা। কালপরিক্রমায় যা একটি সামাজিক অনুষ্ঠানের রূপ নেয়। নববর্ষের অন্যতম প্রধান রীতি ‘‘হালখাতা”। প্রকৃতপক্ষে হালখাতা হল বাংলা সনের প্রথম দিনে দোকানপাটের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া। নতুন বছরের উৎসবের সঙ্গে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতির নিবিড় যোগাযোগ। গ্রামে মানুষ ভোরে ঘুম থেকে ওঠে, নতুন জামাকাপড় পরে এবং আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে বেড়াতে যায়। কয়েকটি গ্রামের মিলিত এলাকায়, কোন খোলা মাঠে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলার। মেলাতে থাকে নানা রকম কুটির শিল্পজাত সামগ্রীর বিপণন, থাকে নানারকম পিঠা পুলির আয়োজন। ইলিশ মাছ দিয়ে পান্তা ভাত খাওয়া ছাড়াও পুরনো একটি সংস্কৃতি হলো গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন। এর মধ্যে নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা কিংবা কুস্তি খেলা যার সবচেয়ে বড় আসরটি হয় চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে, যা ‘‘জব্বারের বলি খেলা” নামে পরিচিত। সোনারগাঁওয়ে ব্যতিক্রমী এক মেলা বসে যার নাম বউমেলা, এটি স্থানীয়ভাবে ‘‘বটতলার মেলা” নামেও পরিচিত।

রাজধানী ঢাকায় রমনা বটমূলে পহেলা বৈশাখে সূর্যোদয়ের পর পর এ অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের শিল্পীরা সম্মিলিত কণ্ঠে গান গেয়ে নতুন বছরের সূর্যকে আহ্বান জানান। স্থানটির পরিচিতি বটমূল হলেও প্রকৃতপক্ষে যে গাছের ছায়ায় মঞ্চ তৈরি হয় সেটি বট গাছ নয়, অশ্বত্থ গাছ। বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পহেলা বৈশাখের উৎসবের মূল কেন্দ্র ‘‘ডিসি হিল পার্ক”। নগরীর অন্যান্য নিয়মিত আয়োজন শিশু প্রতিষ্ঠান ফুলকি’র তিনদিন ব্যাপী ‘‘ছোটদের বৈশাখী উৎসব” যার প্রারম্ভ হয় পহেলা বৈশাখের দুদিন আগে এবং শেষ হয় বৈশাখের প্রথম দিন সন্ধ্যায়।
অংকিতা পোদ্দার তিথি, ডিপার্টমেন্ট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                            ‘‘পহেলা বৈশাখ আসে আমাদের বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্যকে নিয়ে”
সৌর পঞ্জি অনুসারে বাংলা মাস পালিত হতো অনেক প্রাচীনকাল থেকেই। সম্রাট আকবর বেশি আলোচিত হলেও, বাংলা পঞ্জির উদ্ভাবক ধরা হয় আসলে ৭ম শতকের রাজা শশাঙ্ককে।  প্রধানত কৃষকদের খাজনাপাতি দেয়ার সুবিধার্থে এই সনের প্রবর্তন করা হয়। এ কারণে এই সনের আরেক নাম ‘‘ফসলি সন”। প্রথমে আকবরের পঞ্জিকার নাম ছিল “তারিখ-এ-এলাহী”। ধারণা করা হয় যে, বাংলা বারো মাসের নামকরণ করা হয়েছে বিভিন্ন নক্ষত্র থেকে। যেমন: বিশাখা নক্ষত্র থেকে বৈশাখ, জায়ীস্থা থেকে জৈষ্ঠ্য, শার থেকে আষাঢ়, শ্রাবণী থেকে শ্রাবণ এমন করেই বাংলায় নক্ষত্রের নামে মাসের নামকরণ হয়। এইদিন আব্বু বাসায় অনেক বড় বড় মাছ আনে। আব্বুর মতে, বছরের শুরুটা ভালো খাবার দিয়ে শুরু করলে সারা বছর ভালো খাবার খাওয়া যায়। চারদিকে ‘এসো হে বৈশাখ’, ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’, ‘নোঙর ছাড়িয়া নায়ের দে রে মাঝি ভাই’ সহ বিভিন্ন গান শোনা যায়। নববর্ষের সময় মঙ্গল শোভাযাত্রা মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে নতুন বছরকে আমন্ত্রণ জানায়। আমি ও আমার আম্মু লাল পাড় এর সাদা সাড়ি এবং আব্বু ও আমার ছোট ভাই পাঞ্জাবি পরে। এইদিন আমরা সকালে পান্তা ভাত, ইলিশ মাছ ভাজা, হরেক রকম ভর্তা দিয়ে খাই। বাংলা নববর্ষের ঐতিহ্যবাহী শুভেচ্ছা বাক্য হল “শুভ নববর্ষ”। যেটা আমারা সবাই সবাইকে বলি। আগে নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা। এটি পুরোটাই অর্থনৈতিক এবং গ্রামে-গঞ্জে ব্যবসায়ীরা নতুন বছরের শুরুর দিনে তাদের পুরনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে হিসাবের নতুন খাতা খুলেন। এই উপলক্ষ্যে তারা তাদের নতুন-পুরনো খদ্দেরদেরকে আমন্ত্রণ জানান মিষ্টি মুখ করাতে। এই আমন্ত্রণ গ্রহন করতে এসে অনেক খদ্দের তাদের পুরনো দেনার পুরোটা বা কিছু অংশ শোধ করে নতুন খাতায় হিসাব হালনাগাদ করে। আমরা পুরো পরিবার বিকেলে মেলাতে যাই মেলাতে বিভিন্ন ধরনের দোকান বসে, তার মধ্যে হাতের নাকশা করার দোকান আমার সবচেয়ে প্রিয়। আমি সেখানে সবসময় হাতে নকশা করাই। তাছাড়াও সেখানে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঐতিহ্যবাহী খাবার পাওয়া যায় যেমন মুড়ি-মুরকি, খাজা-গজা, চিনির তৈরি হাতি, ঘোড়া, মাছ, পাখি আকৃতির নানা রকম মিষ্টি, হরেক রকমের পিঠা। মেলায় মুল আকর্ষন থাকে নাগরদোলা। যেটায় প্রতিবার আমি উঠি। মেলায় রং বেরঙের খেলনা পাওয়া যায়। খেলনা গুলো এতো সুন্দর যে যেটা দেখি সেটাই কিনতে ইচ্ছা করে। মেলায় আঞ্চলিক ও লোকগানের আসর, যাএাপাল, পুতুল নাচ। বাঁশিবিক্রেতা বাঁশি বাজিয়ে মুখর করে তোলে মেলা প্রাঙ্গণ। এছাড়াও গান, নাচ, আবৃত্তি, নাটক সহ সংস্কৃতিক আনুষ্ঠান হয়ে থাকে। বিকালে বিভিন্ন ধরনের খেলার ব্যবস্থা করা হয়। খেলা গুলোর মধ্যে নৌকাবাইচ, গরু-মোষের লড়াই, কাবাডি, মোরগ লড়াই থাকে। এভাবেই আমি পহেলা বৈশাখ উদযাপন করি। প্রায় সময় আমরা ভুলে যাই আমরা বাঙালি, আর আমাদের সংস্কৃতির কথা। তাই প্রতি বছর পহেলা বৈশাখ এসে আমাদের ঐতিহ্যকে মনে করিয়ে দেয় ।
আফরোজা আলম তানি, ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                                      ‘‘এসো হে বৈশাখ : ১৪৩১ বঙ্গাব্দ”
পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির সর্বজনীন একটি উৎসব। এই উৎসবে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালি অংশ নিয়ে থাকে। এই উৎসবের সময় দেশ নতুন করে সাজে, দোকানপাট থেকে শুরু করে বাসা বাড়ি রঙিন করে সাজানো হয় নতুন বছর বরণ করার জন্য। এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রা কে ইউনেস্কো ২০১৬ সালে ‘‘মানবতার অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য” হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। এছাড়াও, প্রতি বছর রমনা বটমূলে ঘটা করে মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে । সেখানে মাটির পুতুল, শাড়ি ও বিভিন্ন দেশীয় ঐতিহ্যবাহী খাবার বিক্রি করা হয়। সবার কামনা থাকে, নতুন বছরটি যেন সুখময় ও শান্তির হয়। পহেলা বৈশাখের আয়োজন গুলোর মধ্যে অন্যতম ‘‘হালখাতা”। এদিনে গ্রাহকেরা দোকানিদের বাকি টাকা মিটিয়ে থাকে। তবে বর্তমানে বাংলা নববর্ষের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকটি হল বৈশাখী মেলা। বিভিন্ন অঞ্চলে বৈশাখী মেলা আয়োজন করা হয়, গ্রামে গ্রামে আয়োজন করা হয় কবিগান, কীর্তন, গম্ভীরা গান, পুতুল-নাচের।
মো: লতিফুর রহমান লিহাদ, ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)


আরও খবর



ছুটি শেষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image

হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি;পবিত্র ঈদুল ফিতর,পহেলা বৈশাখ উদ্ধসঢ়;যাপন উপলক্ষে টানা ৬ দিন বন্ধের পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি চালু হয়েছে। সেই সাথে বন্দরে পণ্য লোড-আনলোডসহ সকল প্রকার কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে। বন্দরে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্যতা।তবে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক ছিল।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিলি স্থলবন্দর আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান।

তিনি জানান,৯ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদুল ফিতরের এবং ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে টানা ৬ দিন বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি চালু হয়েছে।

এদিকে হিলি ইমিগ্রেশন এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুল ইসলাম জানান,ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে হিলি  স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি- রপ্তানি বন্ধ থাকলেও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক ছিল।


আরও খবর