মাসুদুল হক রুবেল হিলি প্রতিনিধিঃবৈশ্বিক মন্দা ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রভাবে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কমেছে আমদানির পরিমাণ। এদিকে আমদানি কমায় বিপাকে পরতে হচ্ছে ন্যূনতম লেবার শ্রমিকদের, এ বন্দরে আগে ২০০ থেকে ২৫০ ট্রাক প্রবেশ করলেও বর্তমান ৩০ থেকে ৫০ ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করছে। এদিকে বন্দরে আমদানি কমে যাওয়ায় বন্দরের সংশ্লিষ্ট ও কর্মচারি বেকার হয়ে পড়েছে।
হিলি বন্দরের কর্মরত শ্রমিক বেলাল হোসেল বলেন, আগে এই বন্দরে ভারত থেকে গড়ে প্রতিদিন ২০০ উপরে ভারতীয় ট্রাক বিভিন্ন পণ্য নিয়ে বন্দরে প্রবেশ করতো, এখন ৩০ থেকে ৬০ ট্রাক প্রবেশ করে, বন্দরে পর্যাপ্ত ট্রাক প্রবেশ না করায় আমাদের মত কর্মরত অনেকে শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে।
বর্তমান যে কয়টা ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করে তা খালাস কার্যক্রম শেষ করলে ৫০ থেকে ৭০ টাকা ভাগে পাওয়া যায়। এই কয় টাকা দিয়ে সংসার কি করে চলবে তার মধ্য বাড়ি থেকে বন্দরে কাজ করতে আসলে ভ্যান ভাড়ায় চলে যায় ৫০ টাকা বাঁকি ২০ টাকা এই দিয়ে কি জিবন চলবে। এদিকে আমদানি বাড়ানো দাবি তাদের।
হিলি স্থলবন্দের আমাদানি রপ্তানিকারক শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, ভারত থেকে আমাদানি নিয়ে খুব চিন্তায় দিন কাটছে, একদিকে যেমন ডলার সমস্যা অন্যদিকে ভারত থেকে পণ্য আমাদানি করতে হচ্ছে একরেটে মাল বিক্রি করার পরে বিল ছাড়তে হয়ে আরেক রেটে। এতে বন্দর ব্যাবসায়ীদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। তারা আরো বলেন আমদানির উপরে নির্ধারিত এলসি রেট করে দেওয়া হলে ভালো হতো বলে মনে করেন তারা। না হলে প্রতি নিয়ত হিলি বন্দর ব্যাবসায়ীদের গনতে হবে লোকসান।
হিলি বন্দর প্রশাসনিক কর্মকর্তা সোহরাফ হোসেন মল্লিক প্রতাপ বলেন, জাতীয় নির্বাচনেন কারনে হিলি বন্দরে আমদানি অনেকাংশে কমে এসেছে। আগে এই বন্দর দিয়ে ভারতীয় ট্রাক গড়ে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করলেও। এখন গড়ে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৭০ ট্রাক ভারতীয় বিভিন্ন পণ্যনিয়ে বন্দরে প্রবেশ করে। এদিকে আমাদানি কমে যাওয়ায় একদিকে যেমন সরকারের রাজস্ব কমে যাচ্ছে অন্যদিকে বন্দরের দৈনিক আয় কমে যাচ্ছে। এদিকে বন্দরের কর্মকর্তা সহ শ্রমিকরা বেকার জীবন যাপন পার করছে।
তিনি আরো বলেন হিলি স্থলবন্দর ভারত থেকে আমদানি যখন স্বাভাবিক ছিলো তখন বন্দরে পর্যাপ্ত ট্রাক আমদানি ছিলো। তখন বন্দরে শ্রমিক সহ বন্দরে কর্মকর্তা কর্মচারি ব্যাস্ত সময় পার করতো এবং বন্দরের শ্রমিকরা প্রতিদিন কাজ শেষে ৫০০ টাকা মজুরি পেতো। এতে তাদের সংসার ভালোই চলতো। বর্তমান আমদানি কমে যাওয়ায় বন্দর শ্রমিকরা বেকার সময় পার করছে।