Logo
আজঃ সোমবার ২৯ মে ২০২৩
শিরোনাম

হার্টব্রেক ইন্সুরেন্স ফান্ড!

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১১৯জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক ;সম্পর্কের সমাপ্তি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অত্যন্ত বেদনাদায়ক হয়। সম্পর্ক যত গভীর হয়, ততই বাড়ে আবেগের যোগ। তাই সম্পর্ক ভেঙে গেলে, সেই আবেগের ঘরে জোরে ধাক্কা লাগে। বেড়ে যায় মানসিক চাপ। কিন্তু তাই বলে হৃদয় ভাঙার জন্য বিমা! শুনতে অবাক লাগলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানা গেছে এ খবর। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতে।

হৃদয় ভাঙার ‘বিমা’র কারণেই প্রেমিকার সঙ্গে ব্রেকআপের ফলে ২৫,০০০ টাকা পেয়েছেন প্রতীক আরিয়ান নামে এক ব্যক্তি। প্রশ্ন হল, এটা কিভাবে সম্ভব? সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে খোলাসা করেছেন প্রতীক নামের ওই যুবক নিজেই।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়, প্রতীক ও তার প্রেমিকা একটি ব্যাংকে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খোলেন। ঠিক করেন, দু’জনেই প্রতি মাসে ওই অ্যাকাউন্টে ৫০০ টাকা করে জমা রাখবেন। অর্থাৎ মাস প্রতি অর্থের পরিমান হবে ১০০০ টাকা। এইসঙ্গে উভয়ের সম্মতিতেই ঠিক হয়, প্রেমিকা ভালবাসায় ধোকা দিলে প্রেমিক ওই টাকা পাবেন, একইভাবে প্রেমিক ধোকা দিলে যাবতীয় অর্থ পাবেন প্রেমিকা। ওই তহবিলের নামকরণ করা হয় ‘হার্টব্রেক ইন্সুরেন্স ফান্ড’।

টুইটার পোস্ট প্রতীক জানিয়েছেন, আমি সম্প্রতি ২৫ হাজার টাকা পেয়েছি। কারণ প্রেমিকা আমাকে ঠকিয়েছে। আমরা ‘হার্টব্রেক ইন্সুরেন্স ফান্ডে’ ৫০০ টাকা করে জমিয়েছিলাম। চুক্তি মতো সেই টাকাই পেয়েছি।

প্রতিকের এই টুইটটি ভাইরাল হয়েছে প্রচুর। গত ১৫ই মার্চ শেয়ার করা টুইটটি সাড়া ফেলেছে নেটিজেনদের মধ্যে। এটা এখন পর্যন্ত দেখা হয়েছে প্রায় ৯ লক্ষবার।


আরও খবর



এটি প্রধানমন্ত্রীর ঐতিহাসিক সফর: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর এবারকার বিদেশ সফর বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এটি একটি ঐতিহাসিক সফর। 

তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, অনেকের অন্তরজ্বলা আছে। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে যারা হিংসা করে, তারা সহ বিএনপি এই সফর নিয়ে বিষোদগার করতে শুরু করেছে।

আজ শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিশ্ব সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে যদি কেউ বিবেচনা করে তাহলে এটি একটি ঐতিহাসিক সফর।

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশকে অপবাদ দিয়ে যে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর প্রকল্প থেকে সরে গিয়েছিল, সেই বিশ্বব্যাংকের সভাপতি আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ করেছেন। বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের ৫০ বছরের অংশিদারিত্ব উদযাপনের জন্য আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে বিপুলভাবে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় গৌরবের।

তিনি বলেন, ‘অনেকের অন্তর জ্বালা আছে। শেখ হাসিনার এত উন্নয়ন, এত অর্জন তাদের সহ্য হয় না। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা দেখে যারা হিংসা করে, বিএনপি সহ এই শক্তিটি আজকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তার সফর নিয়েও কটাক্ষ করছে। তারা বলছে- শেখ হাসিনা নাকি খালি হাতে ফিরে আসবেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিএনপি নেতাদের বলবো, যারা বলেন শূন্য হাতে ফিরে আসছে, বিশ্বব্যাংকের নতুন সভাপতির বক্তব্যটা একটু পড়ুন। ভাষাটা একটু পড়ুন। বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান, আইএমএফএর প্রধান প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন। শেখ হাসিনার গতিশীল ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন।

যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. আব্দুস সবুর, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক সামশুন নাহার চাপা, কৃৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, বন ও পরিবেশ বিষয়ক দেলোয়ার হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. সায়েম খান, কার্যনিবাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।


আরও খবর



টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে গ্রামের একটি অংশের নাম পরিবর্তনের প্রচেষ্টা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা বিশেষ প্রতিনিধি ঘাটাইল (টাঙ্গাইল)

 টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার নবগঠিত সংগ্রামপুর (বৃহত্তর সন্ধানপুর) ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের শত বছরের পুরাতন বগা গ্রামের পূর্ব   অংশের নাম পরিবর্তন করে বগা তরফদার পাড়া করার চেষ্টা করা হচ্ছে। 


সম্প্রতি ১০ মে (বুধবার) গ্রামের পূর্ব অংশে তরফদার বংশের কিছু লোক একত্রিত হয়ে  গ্রামের পূর্ব অংশের নাম পরিবর্তন করে পাকুটিয়া থেকে দেওজানা রোডে ৩টি আলাদা আলাদা জায়গায়  ব্যানারে 'তরফদার পাড়া' লিখে নাম পরিবর্তনের চেষ্টা চালাচ্ছে। বগা গ্রামের পূর্ব অংশে তরফদার বংশের বসবাস। আগে বগা পূর্বপাড়া অথবা চটাপাড়া নামে পরিচিত ছিল। 


তরফদার পাড়ার পূর্ব অংশে মূলবাড়ী গ্রাম, দক্ষিণে সত্তুরবাড়ী গ্রাম, উত্তরে বগা উত্তরপাড়া  এবং পশ্চিমে বগা পুকুরচালা অবস্থিত। 


 ২০১২ সালে স্থাপিত বগা তরফদার পাড়া বায়তুন নুর জামে মসজিদ এর বারান্দার দক্ষিণ রাস্তা মুখী একটি পোস্টার, পূর্বে মজিবর তরফদারের বাড়ীর পূর্ব পাশে ব্রিজ পাড়ে, এবং পশ্চিমে আঃ ছামাদ তরফদারের বাড়ির পশ্চিমে মোট তিনটি " স্বাগতম তরফদার পাড়া, বগা পোস্টার টানানো হয়।


মূলত উত্তরে ওয়াহেদ কারী তরফদার এর বাড়ী,  পূর্বে মজিবর তরফদার থেকে পূর্ব  দক্ষিণে জুলহাস তরফদার, দক্ষিণ পশ্চিমে কামরুল তরফদার পশ্চিম উত্তরে আঃ ছামাদ তরফদার  এর বাড়ী পর্যন্ত তরফদার পাড়া নামে পরিচিত।


 এ অংশে একটি মসজিদ, মসজিদের পাশেই রয়েছে গোরস্থান এবং মাদ্রাসা নির্মাণের কাজ চলিতেছে। উল্লেখ্য তরফদারদের মূলবাড়ী গোরস্থান সহ ৪টি গোরস্থান থাকলে বর্তমানে মসজিদ গোরস্থান হচ্ছে এদের কেন্দ্রীয় গোরস্থান। 


 সজীব তরফদার সাঈম জানায়, বর্তমানে ৪৫ টির মতো পরিবারের মধ্যে মাত্র ৫/৬ টি পরিবার রয়েছে অন্য বংশের। সকলের  সন্মতিতে ২০১২ সালে মসজিদ তৈরি করে আমরা বগা তরফদার পাড়া জামে মসজিদ নামকরণ করেছি। এখন আমরা  মহল্লার পুরো অংশের নাম পরিবর্তন করা চেষ্টা চালাচ্ছি। 


 জানা যায়, বগা গ্রামটি শত বছরের পুরাতন একটি গ্রাম। গ্রামে বিভিন্ন বংশের লোক বসবাস করলে পূর্ব পাশের পুরো অংশে একটি বংশের লোক বসবাস করে আর তা হলো তরফদার বংশ। ১৮ শতকের শেষের দিকে গুমান তরফদার ভুয়াপুর উপজেলা থেকে ঘাটাইলের দেউলাবাড়ী ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে বসবাস শুরু করে। এবং ১৯ শতকের শুরুর দিকে তার ছেলে চানঁ তরফদার ও তার চার মেয়ে ও তিন ছেলে জুলমত তরফদার, এবার উদ্দিন তরফদার ও রেফাজ উদ্দিন তরফদার কে নিয়ে পাহাড়িয়া বগা গ্রামের পূর্ব অংশে এসে বসবাস শুরু করেন। 


এরপরে বড় ছেলে জুলমত তরফদার মারা যান স্বাধীনতার পূর্বে, তাকে দাফন করা হয় তার বাড়ির পশ্চিম পাশে পুরনো গোরস্তানে। তার ২ মেয়ে ও ৩ ছেলে মাজম আলী তরফদার, হোসেন আলী তরফদার, শমসের আলী তরফদার। 


ছোট ছেলে রেফাজ উদ্দিন তরফদার মারা যান ১৯৩৮ সালে, তাকে দাফন করা হয় তার বাড়ির পাশেই। তার ২ ছেলে তোরাপ আলী তরফদার ও আরশেদ আলী তরফদার। 


 মেজো ছেলে এবার উদ্দিন তরফদার মারা যান ১৯৭৭ সালের ১৭ মার্চ রোজ বুধবার, এবং তার সহধর্মিণী আহাতন নেছা মারা যান ১৯৮৬ সালের ২৩ মে রোজঃ বুধবার। তাদের  দাফন করা হয় রেফাজ উদ্দিন তরফদারের কবরের পাশে।  তাদের ৭ ছেলে আকবর আলী তরফদার, ওয়াহেদ কারী তরফদার, জাফর আলী তরফদার, বর্তমানে জীবিত আছে ছোট চার ছেলে হলো কলিম উদ্দিন তরফদার, মজিবর রহমান তরফদার, ফজলুর রহমান তরফদার, কাজী আব্দুল আউয়াল তরফদার। 

তিন কবরের গোরস্থান বর্তমানে মজিবর ও ফজলুর তরফদারের বাহির বাড়িতে অবস্থিত। 


গুমান তরফদার থেকে শুরু করে বর্তমানে অষ্টম প্রজন্ম এখানে মিলে মিশে যুগ যুগ ধরে গ্রামের অন্য বংশের লোকজনের সাথে সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করে আসছেন। এ ছাড়াও তরফদার বংশের কিছু লোক বগা মধ্যপাড়ার মাদ্রাসার পাশে বসবাস করে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল, চিকিৎসক বেশে এরা কারা!

প্রকাশিত:সোমবার ০১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ১২৭জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান : রোববার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিট। সাদা অ্যাপ্রোন পরা কয়েকজন নারী দলবদ্ধভাবে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে যান। তাদের প্রবেশের পর  রোগীর স্বজনরা চিকিৎসক ভেবে নড়েচড়ে বসেন। চিকিৎসক বেশে তারা সিভিডিতে (ব্রেইন স্ট্রোক) আক্রান্ত রোগীদের কাছে যান। এরপর নতুন ভর্তি হওয়া প্রতি রোগীকে ৩শ’ টাকার বিনিময়ে
ফিজিওথেরাপি (শারীরিক চিকিৎসা) দেয়া শুরু করেন। তারা দল বেধে হাসপাতালে প্রবেশের আগে ওই চক্রের সদস্যরা চিকিৎসাধীন রোগীদের মাথার কাছে ফিজিওথেরাপি সেন্টারের পরিচিতি কার্ড রেখে আসেন। যারা কার্ড দিতে গিয়েছিল
তারাও ছিল সাদা অ্যাপ্রোন পরা।

কার্ড দিয়ে স্বজনদের বলা হয় রোগীর কোনো সমস্যা হলেই কার্ডের নম্বরে ফোন করবেন। সহজ সরল মানুষেরা চিকিৎসক মনে করে প্রায় তাদের ডেকে নেন। সাদা অ্যাপ্রোন পরে ফিজিওথেরাপি চক্রের সদস্যদের হাসপাতালে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও তারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মানছেন না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি এই হাসপাতালকে ঘিরে ফিজিওথেরাপি ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে। ফিজিওথেরাপিস্ট ছাড়াই একটি চক্র নামমাত্র ফিজিওথেরাপি সেন্টার খুলে ধান্দাবাজি চালিয়ে যাচ্ছেন। চক্রের প্রায় সব সদস্য নারী। অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না মেনে সেবা ফিজিওথেরাপি সেন্টার ও সোনালী ফিজিওথেরাপি সেন্টারের সদস্যরা গায়ে অ্যাপ্রন পরে চিকিৎসকের বেশে ওয়ার্ডে ওয়োর্ডে অবাধে প্রবেশ করছেন। প্রথম দেখাতে তাদেরকে যে কোন রোগীর স্বজন চিকিৎসক ভেবে নেন। রোগীর ফিজিওথেরাপির নামে
তারা স্বজনদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা লুফে নিচ্ছেন।

পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এক রোগীর স্বজন সঞ্চিতা রানী জানান, রোববার দুপুরে গায়ে চিকিৎসকের সাদা অ্যাপ্রোন পরা ও গলায় কার্ড ঝুলানো তিন মহিলা আসে। রোগী নতুন ভর্তি হয়েছে কিনা জিজ্ঞাসা করেন। এরপর ৩শ’ টাকা নিয়ে ফিজিওথেরাপি দেন। সঞ্চিতা রানী আরও জানান, প্রথমে তাদেরকে তিনি চিকিৎসক ভেবেছিলেন। পরে বুঝতে পারেন ফিজিওথেরাপি সেন্টারের লোক। হাসপাতালের পুরুষ- মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ড ও পুরুষ-মহিলা পেইং ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় রোগীর মাথার কাছে বিভিন্ন ফিজিওথেরাপি সেন্টারের ভিজিডিং কার্ড রয়েছে। জানতে চাইলে পুরুষ পেইং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এক রোগীর স্বজন রাসেল হোসেন জানান, সাদা অ্যাপ্রন পড়া এক নারী কার্ড রেখে গেছেন। দুপুর দুই টার পর রোগীর কোন সমস্যা হলে কার্ডের নম্বরে কল করতে বলেছেন।

সূত্র জানায়, ব্যবসার স্বার্থে ফিজিওথেরাপি সেন্টারের নারীরা চিকিৎসকের মতো সাদা অ্যাপ্রোন পরে রোগীর কাছে যান। তারা কেউ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ফিজিওথেরাপিস্ট না। অথচ তারা ফিজিওথেরাপিস্ট সেজে রোগীকে চিকিৎসা দিচ্ছেন। অথচ ফিজিওথেরাপি মানে কি সেটাই জানেন না অ্যাপ্রন পরা চক্রের অনেক সদস্য। সূত্র আরও জানায়, তাদের ব্যবসা বাড়াতে হাসপাতালের ওয়ার্ডে দায়িত্বরত কর্মচারীদের (ওয়ার্ডবয়/আয়া) সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ রক্ষা করেন। সিভিডি রোগী ভর্তি হলে তাদের কাছে খবর পৌঁছে দেয়া হয়। বিনিময়ে কর্মচারীরা তাদের কাছ থেকে কমিশন পেয়ে থাকেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিনিয়র একজন সেবিকা জানান, ফিজিওথেরাপি সেন্টারের ‘ওরা’ যখন গায়ে অ্যাপ্রন পরে দলবেধে ওয়ার্ডে প্রবেশ করেন তখন নিজেদের খুব অসহায় মনে হয়। সহজ সরল মানুষ তাদেরকে চিকিৎসক ভেবে রোগের বর্ণনা করেন। ফিজিওথেরাপির নামে প্রতি রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে ৩শ’ টাকা আদায় করা হয়।

মেডিসিন বিভাগের একজন চিকিৎসক জানান, ফিজিও (শারীরিক) এবং থেরাপি (চিকিৎসা) শব্দ দুটি মিলে হয় ফিজিওথেরাপি বা শারীরিক চিকিৎসা। ফিজিওথেরাপি আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের এক অন্যতম এবং একটি অপরিহার্য শাখা। শুধু ওষুধ সব রোগের পরিপূর্ণ সুস্থতা দিতে পারে না। বিশেষ করে বিভিন্ন মেকানিক্যাল সমস্যা থেকে যেসব রোগের সৃষ্টি হয়, তার পরিপূর্ণ সুস্থতা
লাভের উপায় ফিজিওথেরাপি। একটি আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা পদ্ধতি হলো ফিজিওথেরাপি, যেখানে একজন ফিজিওথেরাপিস্ট রোগীর সব কথা শুনে-বুঝে, রোগীকে ভালোভাবে দেখে এবং প্রয়োজনে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে রোগীর
সঠিক রোগ, আঘাত বা অঙ্গ বিকৃতির ধরন নির্ণয় করে রোগীকে বিভিন্ন ধরনের ফিজিক্যাল মেথড যেমন-ম্যানুয়াল টেকনিক, তাপ ও ব্যায়ামের মাধ্যমে চিকিৎসা করে থাকেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ফিজিওথেরাপিস্ট প্রয়োজন। অন্যথায় রোগীর আরও ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। তিনি আরও জানান, সরকারি হাসপাতালে ফিজিওথেরাপিস্ট নিয়োগ দেয়া হলে রোগীদের অনেক সুবিধা হতো।

এই বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আব্দুস সামাদ জানান, ফিজিওথেরাপি সেন্টারের সাথে সংশ্লিষ্টদের গায়ে চিকিৎসকের অ্যাপ্রন পরে হাসপাতালে যাওয়া পুরোপুরি নিষেধ। কারণ এতে রোগী ও স্বজনরা বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে। তিনি আরও জানান, তারা সাধারণ পোশাক পরে দুপুর ৩ টার পর ওয়ার্ডে যেতে পারবেন বলে অনুমতি দেয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না মানলে তাদের হাসপাতালে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।


আরও খবর



তাহিরপুর সীমান্তে মামলার আসামীদের দৌড়াত্ব বৃদ্ধি: কয়লাসহ নৌকা আটক

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে বিভিন্ন মামলার আসামীদের দৌড়াত্ব দিনদিন বৃদ্ধি পা”েছ। তারা সরকারের লাখলাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা, পাথর, মদ, গাঁজা, গাছ, নাসির উদ্দিন বিড়ি ও চিনিসহ বিভিন্ন মালামাল পাচাঁর করছে। সেই সাথে পাচাঁরকৃত মালামাল থেকে সাংবাদিক, পুলিশ ও বিজিবির নাম ভাংগিয়ে চাঁদা উত্তোলন করছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- প্রতিদিনের মতে আজ রবিবার (৩০ এপ্রিল) ভোরে জেলার তাহিরপুর উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের লালঘাট বড় মসজিদের সামনে অব¯ি’ত চুনখলার হাওরে একাধিক মামলার আসামী খোকন মিয়া, রুবেল মিয়া, শফিকুল ইসলাম ভৈরব, সুহেল মিয়া, রফ মিয়া, সুলতান মিয়া ও নেকবর মিয়াগং ভারত থেকে পাচাঁরকৃত অবৈধ কয়লা ৭টি বারকি নৌকায় বোঝাই করে বালিয়াঘাট সীমান্তের বোরাঘাট নিয়ে যাওয়ার সময় চারাগাঁও ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে প্রায় দেড় মেঃটন চুরাই কয়লাসহ ১টি বারকি নৌকা আটক করে। অপরদিকে বালিয়াঘাট সীমান্তের দুধেরআউটা গ্রামের সামনে অব¯ি’ত পাটলাই নদীতে একাধিক মামলার আসামী মনির মিয়া ও জিয়াউর রহমান জিয়াগং ২টি স্টিল বড়ি ইঞ্জিনের নৌকায় বিপুল পরিমান অবৈধ কয়লা বোঝাই করে নিয়ে গেলেও এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অন্যদিকে একাধিক মামলার আসামী ইয়াবা কালাম, রতন মহলদার, ইসাক মিয়া ও কামাল মিয়াগং টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া, বড়ছড়া, চুনাপাথর খনি প্রকল্প, লাকমা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে প্রতিদিন শতশত শ্রমিক দিয়ে অর্ধশতাধিক মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে বিন্দারবন্দ, নিলাদ্রী লেকপাড় ও পাথরঘাটাসহ বড়ছড়া শুল্কষ্টেশনের বিভিন্ন ডিপুতে নিয়ে বিক্রি করছে। একই ভাবে চাঁনপুর সীমান্তের রজনী লাইন, নয়াছড়া, গারোছড়া, রাজাই, কড়ইগড়া ও বারেকটিলা এলাকা দিয়ে একাধিক মামলার আসামী আবু বক্কর ও রফিকুল মিয়াগং কয়লা, নাসিরউদ্দিন বিড়ি, পান-সুপারী, মদ, গাঁজা ও গরু পাচাঁর করছে। এছাড়া বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের লামাকাটা, সুন্দরবন ও সোনাপুর এলাকা দিয়ে একাধিক মামলার আসামী লেংড়া জামালগং ভারত থেকে চিনি, মদ, কয়লা ও গরু পাচাঁর করছে। আর বিভিন্ন মামলার এই সব আসামীদের নিয়ন্ত্রণ করছে সীমান্ত চোরাকারবারীদের গডফাদার হাবিব সারোয়ার ( তোতলা আজাদ)। এজন্য সে সাংবাদিক, পুলিশ ও বিজিবির নাম ভাংগিয়ে পাচাঁরকৃত ১ মেঃটন চোরাই কয়লা থেকে ১হাজার করে চাঁদা নেয়সহ অন্যান্য অবৈধ মালামাল থেকে সাপ্তাহিক ও মাসিক হারে মোটা অংকের চাঁদা নেয়। এছাড়া সে নিজেও চোরাই কয়লা ও মাদক ব্যবসা করছে। এজন্য সে একাধিক বার হয়েছে গণধৌলাইয়ের শিকার, থানা ও আদালতে হয়েছে একাধিক চাঁদাবাজি মামলা। অপরদিকে লাউড়গড় সীমান্তের যাদুকাটা নদী, শাহআরেফিন মোকাম ও পুরান লাউড় এলাকা দিয়ে সিন্ডিকেডের মাধ্যমে কয়লা, পাথর ও বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য পাচাঁর করেছে চোরাকারবারীরা। ভারত থেকে অবৈধ ভাবে পাচাঁরকৃত মালামালের মধ্যে বল্ডার পাথর সীমান্তের লাউড়গড় বাজার ও তার আশেপাশে অব¯ি’ত পাথর ভাঙ্গার মিলগুলোতে নিয়ে প্রথমে মজুত করা হয়। আর পাচাঁরকৃত অবৈধ কয়লা যাদুকাটা নদীর তীরসহ সীমান্তের বিভিন্ন বসতবাড়ির ভিতর ও উঠানে মজুদ করে। পরে এসব অবৈধ পাথর ও কয়লা ইঞ্জিনের নৌকা ও ট্রাকের মাধ্যমে সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন ¯’ানে পাঠানো হয়। সরকারের লাখলাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এই অবৈধ বাণিজ্য চলছে দীর্ঘদিন যাবত। তাই সীমান্ত চোরাচালান বন্ধ করাসহ একাধিক মামলা আসামীদের গ্রেফতারের জন্য বিজিবির পাশাপাশি পুলিশ ও র‌্যাব বাহিনীর সহযোগী জরুরী প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বৈধ ব্যবসায়ীরা।     

এব্যাপারে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান- সীমান্ত এলাকায় প্রতিদিন অভিযান চালিয়ে অবৈধ কয়লা ও নৌকাসহ বিভিন্ন মালামাল আটক করা হ”েছ। চোরাচালান প্রতিরোধ করার জন্য বিজিবির অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 



আরও খবর



সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ সৃষ্টি, বঙ্গোপসাগরে আছড়ে পড়ছে উত্তাল ঢেউ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

রাসেল কবির মুরাদ কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি : দক্ষিনপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিন আন্দামান সাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি ধীরে ধীরে ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিনত হয়েছে। এটি আরো ঘনীভূত হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে এর প্রভাবে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর রয়েছে বেশ উত্তাল।

আকাশ রৌদ্রজ্জল থাকলেও দক্ষিন উপকূলে এক ধরনের তীব্র গুমোট পরিবেশ বিরাজ করছে। নদ-নদী পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তীব্র গরমে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারন মানুষ সোমবার বিকেল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত পটুয়াখালী জেলায় সর্বোচ্চ ৩৮.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। ভোগান্তিতে পড়েছে নি¤œ আয়ের মানুষজন। আগামী ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত এই তাপমাত্রা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানায় জেলা আবহাওয়া অফিস।



আরও খবর