Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

হাঁস-মুরগি কোরবানির আগে জবাই করা যাবে কী?

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৩৫৩জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক:জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা থেকে শুরু করে কোরবানির পশু জবাই করা পর্যন্ত হাঁস-মুরগি জবাইয়ে ইসলামে কোনো নিষেধাজ্ঞা আছে কি না তা জানতে চান অনেকেই।

উত্তর হচ্ছে— এ বিষয়ে কোরআন সুন্নাহর কোথাও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। তবে, যে ব্যক্তি কোরবানি করার ইচ্ছে করে তার জন্য পশু জবাই হওয়া পর্যন্ত নখ, চুল, শরীরের অতিরিক্ত পশম, চামড়া ইত্যাদি কাটা থেকে বিরত থাকা জরুরি। কেননা এসব ব্যাপারে একাধিক হাদিসে নিষেধাজ্ঞা এসেছে।

‘সুতরাং তোমরা তার আয়াতসমূহে ঈমানদার হলে, যাতে আল্লাহর নাম নেওয়া হয়েছে তা থেকে খাও।’ (সুরা আনআম: ১১৮)

অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমাদের কী হয়েছে যে, যাতে আল্লাহর নাম নেওয়া হয়েছে তোমরা তা থেকে খাবে না? যা তোমাদের জন্য তিনি হারাম করেছেন, তা তিনি বিশদভাবেই তোমাদের কাছে বিবৃত করেছেন...। (সুরা আনআম: ১১৯)

অতএব, মেহমানদের উদ্দেশ্যে বা নিজের প্রয়োজনে এই সময়ে গরু, ছাগল, হাঁস মুরগি ইত্যাদি হালাল প্রাণী আল্লাহর নামে জবাই করা, আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়া, আতর-সুগন্ধি ব্যবহার করা সবকিছুই জায়েজ।

যারা বলে কোরবানির দিন হাঁস-মুরগি ইত্যাদি দুই পাবিশিষ্ট প্রাণী জবাই করা যাবে না—এটি একটি অমূলক ধারণা, এর কোনো ভিত্তি নেই। একইভাবে এ সময়ে নতুন জামা কাপড় পরিধান করা ও স্ত্রী সহবাসেও কোনো অসুবিধা নেই। তবে কোরবানির দিনগুলোতে কোরবানির নিয়তে হাঁস-মুরগি জবাই করা জায়েজ নেই। (আল-বাহরুর রায়েক: ৮/৩২৪, হিন্দিয়া: ৫/৩০০, খুলাসাতুল ফতোয়া: ৩/৩১৪)


আরও খবর



পুঠিয়া উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৬৯জন দেখেছেন

Image
পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃরাজশাহীর   পুঠিয়  উপজেলা নির্বাচনে মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২ মে ) সকালে রাজশাহী জেলা প্রসাশকের সভা কক্ষে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী উপজেলা চেয়ারম্যানের, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানগণদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। 

এদিন রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক (সার্বিক) কল্যান চৌধুরী প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন। এ সময় পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছাড়াও নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পুঠিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন হলেন, জিএম হিরা বাচ্চু (মোটর সাইকেল) প্রতীক, আব্দুস সামাদ মোল্লা (আনারস) প্রতিক, আহসানুল হক মাসুদ (ঘোড়া) প্রতীক। 

ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন হলেন, আব্দুল মতিন মুকুল (চশমা), ফজলে রাব্বি মুরাদ (টিউবওয়েল), জামাল উদ্দিন (তালা) প্রতীক,  ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন হলেন মৌসুমি রহমান (বৈদ্যুতিক পাখা), পরিজান বেগম (ফুটবল), শাবনাজ আক্তার ( হাস) প্রতীক  নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন। 

প্রতীক বরাদ্দ শেষে নির্বাচনী আচরণবিধি বিষয়ে প্রার্থীদের সাথে আলোচনা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এবারের নির্বাচনে পুঠিয়া উপজেলায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার  ৭'শ ২৪ জন ভোটর এর মধ্যে ৮১ হাজার ৪১ জন পূরুষ ভোটার ও ৭৯ হাজার ৬'শ ৮৩ জন মহিলা ভোটার ৬৩টি ভোট কেন্দ্রে ৪'শ ৮১ কক্ষে ভোট প্রদান  করবেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২১ মে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।

আরও খবর



রূপগঞ্জে ভেজালবিরোধী অভিযানে চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

মোঃআবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ-

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় ভেজালবিরোধী অভিযানে চার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৩২ হাজার ৫শ টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল ১৩ মে সোমবার  দুপুরে উপজেলার মুড়াপাড়া বাজারে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান মাহমুদ রাসেল এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে মুড়াপাড়া রাজ ঘাট এলাকার শাহীন বেকারীকে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না থাকায় এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিভিন্ন প্রকার খাবার তৈরি করার কারনে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ২০ হাজার টাকা।


মুড়াপাড়া নামা বাজারের ইসলামিয়া মিষ্টালন্ন ভান্ডারকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি বিক্রির দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ১০ হাজার টাকা, শুক্কুর আলী মিষ্টান্ন ভান্ডারকে একই দায়ে ২ হাজার টাকা ও অবৈধভাবে ফুটপাতে ফলের দোকান পাট বসানোর কারনে সড়ক আইনে ৫শ টাকাসহ মোট ৩২ হাজার ৫ শ টাকা জরিমানা করা হয়।এসময় উপস্থিত ছিলেন, রূপগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সিমন সরকারসহ বিএসটিআইয়ের সহকারী কর্মকর্তাসহ  আনসার ও পুলিশ সদস্যরা। 

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



অতিরিক্ত খাজনা আদায় ও সিন্ডিকেটে কমছে ধানের দাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ১০জন দেখেছেন

Image

আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরে অতিরিক্ত টোল বা খাজনা আদায়ের কারনে প্রতি ঘন্টায় কমছে ধানের দাম বলে অভিযোগ করেন কৃষকরা। এক মন ধানে ৮ টাকা করে খাজনা আদায় করছেন হাট ইজারাদার মাসুদ ও তার লোকজন। পৌর এলাকার তালন্দ হাটে ঘটে রয়েছে এমন ঘটনা। এতে করে ধান বিক্রি করতে আসা কৃষক চরমভাবে হতাশ হয়ে পড়েছেন।জানা গেছে, তানোর পৌরসভা থেকে প্রতি বছর হাটটি নিলাম হয়। এবার নিলামে রাজশাহীর গুড়িপাড়া এলাকার মাসুদ পেয়েছেন। পাওয়ার পর থেকেই সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমত খাজনা বা টোল আদায় করে থাকেন। 

সপ্তাহে বুধবার ও রবিবার তালন্দ হাট বার। হাটে বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা ভ্যানে করে ধান বিক্রি করতে আসেন। প্রতি হাটে প্রচুর পরিমানে ধান কেনা বেচা হয়।মফিজ নামের এক কৃষক বলেন, তালন্দ হাটে ধান বিক্রি করতে এসেছিলাম বাড়তি দাম পাওয়ার আসায়। কিন্তু গত হাটে একমন ধান প্রকার ভেদে ১২৭০ টাকা থেকে ১২৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু আজ বুধবারে কমে ১২৪০ টাকা থেকে ঊর্ধ্বে ১২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার একমন ধানে ৮ টাকা করে খাজনা আদায় করা হচ্ছে। অতিরিক্ত খাজনা আদায় ও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারনেই ধানের দাম কমে যাচ্ছে।

দুলাল নামের এক কৃষক বলেন এক মন ধান বিক্রি করার জন্য এসেছে। ধাম বেশি পাব বলে দুপুর থেকে প্রচন্ড খরতাপের মধ্যে বসে ছিলাম। কিন্তু বাড়তি দাম নেই। যতই বেলা ঘনিয়ে আসছে ততই ধানের দাম সিন্ডিকেটের কারনে কমে যাচ্ছে। একমন ধান বিক্রি করেছি ১২৫০ টাকায়। ধানের দাম কমে গেলেও বাজারে নিত্যপন্যের দাম প্রচুর। একমন ধান বিক্রি করে প্রয়োজন মত বাজার করা যায় না। অবাক করার বিষয় সবকিছুর দাম বেশি হলেও ধানের দাম কম। আবার মড়ার উপর খাড়ার ঘা একমন ধানে খাজনা দিতে হচ্ছে আট টাকা করে।সিদ্দিক নামের আরেক কৃষক জানান, ১২ মন ধান বিক্রি করেছি। একমন ধানের দাম লেগেছে ১১৮০ টাকা। আর কিছুক্ষণ পর এদামও পাওয়া যাবে না।আরেকজন জানান, একমন ধানে আট টাকা তো নিচ্ছেই আবার একটি হাঁসে ২০ টাকা করে খাজনা আদায় করে থাকেন। খাজনা আদায় কারী উত্তম নামের এক ব্যক্তি বলেন, ৮ টাকা খাজনা অনেক কম নেয়া হচ্ছে। সরকারি রেটে খাজানা আদায় করলে আরো বেশি হবে। সরকারি তালিকা দেখতে চাইলে তিনি দেখতে পারেননি।

সুত্র জানায়, হাটে খাজনা বা টোল আদায়ের তালিকা সাটাতে হবে। সে অনুযায়ী খাজনা আদায় করতে হবে। কিন্তু কোন নিয়মই মানছেন ইজাদার ও পৌর কর্তৃপক্ষ। বাজার মনিটরিং না থাকার কারনে ইচ্ছে মত টোল বা খাজনা আদায় করা হচ্ছে। যদি নিয়োমিত মনিটরিং ব্যবস্থা বা অভিযান দিলে এত বেপরোয়া ভাবে খাজনা আদায় করতে পারত না। সবকিছু সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি। 
মুল ইজারাদার মাসুদ জানান,  এক মনে আট টাকা খাজনা আদায় অনেক কম হয়েছে। প্রতি হাটে ২০ হাজার টাকা করে লোকসান গুনতে হচ্ছে। তাহলে এত বেশি টাকায় হাট নিয়েছেন কেন জানতে চাইলে তিনি জানান আমি হাটে নেই সাক্ষাতে কথা হবে বলে দায় সারেন তিনি। 

পৌর মেয়র ইমরুল হকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নিয়ম অনুযায়ী খাজনা আদায় করা হচ্ছে। বাড়তি টাকা আদায় না করলে বেতনভাতা দেয়া হবে কোথাই থেকে। সরকারি তো বেতন দেয় না। পৌরসভার রাজস্ব থেকেই বেতন দিতে হয়। আর সরকারি নিয়মে আদায় হলে বেতন ভাতা হবে না।

আরও খবর



মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্তের আগে কনডেম সেলে রাখা যাবে না: হাইকোর্ট

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৬১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কয়েদীকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না।

সোমবার (১৩ মে) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কনডেম সেলে রাখা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে এ রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানি করেন। আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন মোহাম্মদ শিশির মনির। রুল শুনানিতে আদালত এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও এস এম শাহজাহান বিশেষজ্ঞ মত নেন।

এর আগে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষা রাখেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

গত বছরের ৫ এপ্রিল মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কনডেম সেলে থাকা বন্দিদের বিষয়ে ৬ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।

বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

চট্টগ্রাম কারাগারে কনডেম সেলে থাকা জিল্লুর রহমানসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন বন্দির পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন।

রিট আবেদনকারী হলেন- চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুর বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই তিন আসামীর আপিল হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।


আরও খবর



বিএটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মনীষা আব্রাহাম

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ১৩৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে শেহজাদ মুনীমের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মনীষা আব্রাহাম, যা আগামী ০১ জুলাই ২০২৪ থেকে কার্যকর হবে। বিএটি বাংলাদেশের ১১৪ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম নারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক হতে যাচ্ছেন তিনি। এফএমসিজি (ফাস্ট-মুভিং কনজ্যুমার গুডস) ও তামাক সহ বিভিন্ন খাতে বিপণন ও সাধারণ ব্যবস্থাপনায় প্রায় ৩০ বছরের বিস্তৃত অভিজ্ঞতা রয়েছে মনীষার।

মনীষা গত বছরের মার্চ থেকে বিএটি বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদে একজন অ-নির্বাহী পরিচালক (নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিএটি গ্রুপের অংশ সিলন টোব্যাকো কোম্পানি পিএলসি থেকে বিএটি বাংলাদেশে যোগ দিচ্ছেন। সিলন টোব্যাকো কোম্পানিতে তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

কর্মজীবনে তিনি এশিয়া প্যাসিফিক, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের একাধিক দেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৯৫ সালে আবুধাবিতে কর্মজীবন শুরু করার আগে মনীষা ভারতের জ্যোতি নিবাস কলেজ থেকে বি.কম ও বিরলা ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে মার্কেটিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স বিষয়ে এমবিএ সম্পন্ন করেন।

এক বার্তায় নতুন এই দায়িত্বের বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মনীষা বলেন, “১১৪ বছর ধরে এই অঞ্চলে কাজ করার ক্ষেত্রে সফলতা ও ইতিবাচক প্রভাবের সমৃদ্ধ পরম্পরা রয়েছে এমন একটি প্রতিষ্ঠান (বিএটি বাংলাদেশ) নেতৃত্বের জন্য আমার ওপর আস্থা রাখায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

বিএটি বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির যাত্রা এগিয়ে নিতে ও সর্বোচ্চ সততার সাথে প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা বজায় রাখতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশের অন্যতম সর্বোচ্চ করদাতা ও সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অংশীদার হিসেবে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে এই প্রতিষ্ঠান। আমার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সকলের জন্য একটি সম্ভাবনাময় আগামী নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে আশাবাদী আমি।”

মনীষা আব্রাহাম শেহজাদ মুনীমের স্থলাভিষিক্ত হবেন, যিনি ব্যবসায়িক সফলতা ও দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে বিএটি বাংলাদেশে একটি দৃঢ় পরম্পরা তৈরি করেছেন। শেহজাদ মুনিম বিএটি বাংলাদেশের একজন টেরিটরি অফিসার হিসেবে ১৯৯৭ সালে যোগদান করেন এবং ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠানটির প্রথম বাংলাদেশি ব্যবস্থাপনা পরিচালক হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। অবিচল নেতৃত্বের মাধ্যমে শেহজাদ কেবল তার প্রতিষ্ঠানের মানুষদেরই অনুপ্রাণিত করেননি, একইসাথে দেশের করপোরেট খাতের বাকিদের মধ্যেও স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষার বুনন করেছেন। মনীষা আগামী ০১ জুলাই থেকে বিএটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করবেন। অসাধারণ জ্ঞান ও দক্ষতার পাশাপাশি তার নেতৃত্ব গুণাবলী প্রতিষ্ঠানের সাফল্য ও দেশের প্রবৃদ্ধি অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠানের ভূমিকাকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে।


আরও খবর