Logo
আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

গ্রামের মানুষের শীতের দিন কাটে যেভাবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩৫জন দেখেছেন

Image

ডিএম রাশেদ পোরশা (নওগাঁ):শীতের সবচেয়ে আনন্দঘন মুহুর্ত হল শীতের সকাল। এটি বাঙালী জীবনে ফেলে এক নিদারুণ বৈচিত্র্যময় প্রভাব। আবহাওয়া ও জলবায়ুর প্রভাব আনুসারে ছয় ঋতুর দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ।

যদিও ছয় ঋতু, তার মধ্যে হেমন্ত, শরৎ ও বসস্তের প্রভাব উল্লেখযোগ্যভাবে পড়ে না। তারতম্য রয়েছে ঋতু ভেদেও। গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীত এই তিনটিই বাংলাদেশের ঋতুতে প্রধান ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশের ঋতুতে অন্য পাঁচটি ঋতুর তুলনায় শীতের প্রভাব ও বৈশিষ্ট জনজীবনে একদম ভিন্নতর। কনকনে হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশার চাদর মুড়িয়ে আগমন করে শীতকাল।

শিশির ভেজা প্রকৃতি, বিস্তীর্ণ মাঠে হলুদ সরষে ফুল, দুই ধারে জমে থাকা শিশির ঝলমল, কুয়াশাচ্ছন্ন ঘাসের পাতা সূর্যোলোকে হীরকের মত ঝিকিমিকি ঝল-জলানি। এমন দৃশ্যে অনায়েসে এসে যায় কবিতা দু’লাইনের মালা- ‘সকালে সোনার রবি করে ঝিকমিক/ সবুজ ঘাসের পাতায় শিশির কণা করে চিকচিক’।

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দৃশ্যের সঙ্গে জড়িয়ে আছে শীতকালের গ্রাম বাংলার ছবি। কুয়াশাঘন আবছা প্রান্তরে সীমিত দৃষ্টি। বাড়ির উঠোনের কোণে খড়, গাছের পাতা ও ধানের চিটায় গনগনে জলন্ত উনুন। আগুনের আঁচে উনুনের ধার ঘেঁষে বসে থাকে ছেলে-বুড়ো সকলে। এই যেন সৃষ্টিকর্তার এক অমূল্য উপহার।

সকাল হলেই শীতের কম্বল গায়ে রাখাল বালক ছুটে চলে লাঙ্গল-জোয়াল নিয়ে নাঙা পায়ে। হেমন্তের শেষের দিকে উত্তরে কনকনে হাওয়ার ঠান্ডা আমেজ থেকেই শীতের আগমনিবার্তা প্রকাশ পায়, কিছুটা শীত অনুভূত হয়। হেমন্তের ফসল উঠে যাওয়ার পর প্রকৃতিতে যে শূন্যতা বিরাজ করে, তার মাঝেই শীতের অবস্থান। পৌষ এবং মাঘ এই দু’মাসকে শীতের মাস বলা হয়।

গাছির নামানো খেজুর রস আর গুড়ের মিষ্টি গন্ধে মন কাড়ে।গ্রাম বাংলার খেজুরের পায়েস যার মুখে পড়েছে সে হয়তো আজো না ভুলার কথা, কারো মাঝে খুঁজে বেড়ায় আবার এই স্বাদ না পাওয়ার তিক্ততা। খেজুর রস, টাটকা শাক-সবজি ও রকমারি পিঠায় গ্রামীণ জীবন হয়ে উঠে উপভোগ্য। ঢেঁকির তলে আতপচাল অপনমনে গুনগুনিয়ে খেঁজুর রসে সিক্ত মুখে। ধুম পড়ে যায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী সে ভাপা পিঠা খাওয়ার। বাংলা বালার হাতের সুনিপুণ পটুতায় ঢাকনা ঢাকা হাঁড়ির উপরে একরতি কাপড়ের ভাঁজে ভাঁজে মোড়ানো উঠছে আতপচালের গুড়ো ঢাকা, নতুন খেঁজুর গুড় আর নারিকেল দেয়া ছোট বাটি। নামছে এক একটা ভাপা পিঠা। এ যেন পরম আদর, স্নেহ, মমতা ও ভালোবাসার এবং পারিবারিক অটুট বাঁধনের এক চিরায়িত গ্রাম বাংলার চিরচেনা শীতকালীন ছবি।

এসময় আরো শীতকালীন অনেক পিঠা তৈরী করে থাকে গ্রামের মানুষ এগুলোর মধ্যে চিতই, দুধচিতই, বড়াপিঠা, পাটিসাপটা, দুধপুলি, ক্ষীরপুলি, চন্দ্রপুলি প্রভৃতি পিঠার বেশ প্রচলন রয়েছে।

হিমেল হাওয়ার টানে শুষ্ক শীতল চেহারার আবরণ নিয়ে আসে শীতঋতু। দারুণ রুক্ষতা, পরিপূর্ণ রিক্ততা ও বিষাদের এক প্রতিমূর্তি শীতঋতু। ছেলে মেয়েরা অপেক্ষায় থাকে শীতের সকালের সবচেযে কাঙ্খিত জিনিস কখন সূর্য উঠবে আর তার তীর্থক রোদের স্পর্শের।

শীতকাল কৃষকদের এবং তাদের ফসল চাষাবাদের জন্য সুন্দর এক অনুকূলীয় পরিবেশ। রবিশস্যের প্রাচূর্য্যে পূর্ণ হয়ে উঠে শুকনো মাঠ। ভরে উঠে টাটকা শাক-সবজি। লালশাক, মিষ্টি আলু, নতুন আলু, বাঁধাকপি, ফুলকপি, লাউ, টমেটো, মূলা, বেগুন, শালগমসহ বিভিন্ন প্রকারের ডাল ইত্যাদিতে মাঠ-ঘাট-প্রান্তর। তবে শীতকালে শৈত্য প্রবাহ মাঝে মাঝে ফসলের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে উঠে।

এমন সৌন্দর্যকে আরো অপরূপ লীলায় লালিত করতে যেন যোগ দেয় শীতকালীন রং বেরঙের বাহারি গোলাপ, গাঁধা, অতসী,সূর্যমুখী, জুঁই, চামেলী, বেলী, রজনীগন্ধ্যা আর বকুলের টানে।বাতাসে কৃষ্ণচূড়ার গন্ধে রঞ্জিত হয় চৌতুর দিকের অবহাওয়া।শীত মৌসুমে সমস্ত গাছপালা শুষ্ক এবং বিবর্ণ রুপ ধারণ করে।

পাতাঝরা বৃক্ষগুলো ন্যাড়া মাথায় দাঁড়িয়ে থাকে। শীতের রুক্ষতা আর শুষ্কতায় বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে সমস্ত প্রকৃতি। নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর-কুয়া সব শুকয়ে যায়। উত্তরে হাওয়ার সাথে আসে হাঁড় কাঁপানো শীত। আসে শৈত্য প্রবাহ। এ সময় তাপমাত্রা আশঙ্কাজনক হারে নেমে আসে। এমন শীতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষ যার কাছে যা গরমের কাপড় আছে তা গায়ে জড়িয়ে শীতের মোকাবেলায় নেমে যায়। দরিদ্র মানুষ ও বৃদ্ধ নারী- পুরুষদের এ সময়ে কষ্টের সীমা থাকেনা। গরম কাপড়ের অভাবে অনেক হত দরিদ্র মানুষ কষ্ট পায় এবং অনেক মানুষ মৃত্যুবরণ পর্যন্ত করে থাকে। গ্রাম, বাজার ও মোড়ের চা দোকানে সকাল হতেই জমতে থাকে মানুষের জটলা। যার যার সাদ্যমত শীতের চাদর, শাল, কাঁথা, জাম্পর, সোয়াটার, মাফলার, কারো মাথায় টুপি গল্পে গল্পে একের পর এক খালি হতে থাকে চা’য়ের কাপ। চিরাচরিত গ্রাম- বাংলার এই শীতঋতু।

শীতের সকাল বাঙালী জাতির জীবনকে করেছে বৈচিত্রময়। শীত আমাদের জীবনে আশির্বাদ যেমন, তেমনি অভিশাপও বটে দু’য়ের সমন্বয়ে। অপরূপ শীতের সৌন্দর্য্য অনুভবে ও উপভোগে ভুলে যাওয়াযায়না সেইসব ছিন্নমূল মানুষের কথা। এক টুকরো শীতের কাপড় বা মাথা গোঁজার ঠাই নেই যাদের, তাদের জীবনে শীত আনন্দ নয় বরং অভিশাপ। শীতের অভিশাপ থেকে শীতার্ত মানুষকে রক্ষা করার দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি পড়ে প্রথমত দেশের শাসকদের উপর।

এর পরে সামাজিক, ধর্মীয়, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, এনজিও, ক্লাব, মানবিক সংগঠন এবং সমাজের বিত্তবানসহ নিজ উদ্যোগে সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত শীতার্ত অসহায় মানুষের পাশে। অভাবী মানুষের শীত বস্ত্র অভাব মোচনে দলমত নির্বিশেষ সবাইকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিযে আসা উচিত।


আরও খবর

সাফল্য অর্জনকারী ৫ জয়িতার গল্প

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪




ফুলবাড়ী উপজেলা কুমারপুর যমুনা নদীর ব্রীজের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউপির কুমারপুর যমুনা নদীর ঘাটে দ্রুত গতিতে গড়ে উঠছে ব্রীজ। ব্রীজটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৩৪ হাজার ৬ শত ৪৭টাকা। গত বছর ২০২৩ ইং সালে ব্রীজটির কাজ শুরু হয়।

ব্রীজটির নির্মান কাজ করছেন মেসার্স এস.এ এন্ড আর.টি জে.ভি, শহীদ আলী হাসান সরকার রোড, নীলফামারী। ব্রীজটি নির্মাণ কাজ শেষ হলে পাঠকপাড়া ও কুমারপুর এলাকার মানুষের চলাচলের সুবিধা বাড়বে। দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে ঐ এলাকার মানুষ এই ব্রীজটি নির্মানের জন্য অধির আগ্রহে ছিলেন।

অনেক চেষ্টার পর এই ব্রীজটির স্থান নির্ধারণ করে ব্রীজটি স্থাপন করা হচ্ছে। গত ২০২৩ইং সালে তৎকালীন প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এড্যা: মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার (এমপি) ব্রীজটি অনুষ্ঠানিক ভিত্তি স্থাপন করেন। এর পর শুরু হয় ব্রীজটির অবকাঠামো নিমান। ব্রীজটির কাজ সম্পন্ন হলে ঐ এলাকার মানুষ চরম উপকৃত হবে।

এ বিষয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর প্রকৌশলী মোঃ সফিকুল ইসলাম জানান, ব্রীজটির কাজ শুরু হয়েছে আগামী ২০২৫ইং সালের মধ্যে ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করি।

ঐ এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য প্রদীপ কুমার জানান, আমার সময় কাল থেকে আমরা এই ব্রীজটি নির্মাণের জন্য চেষ্টা করছি। পরবর্তীতে সমীক্ষা করার পর স্থান নির্ধান করে এলজিইটি টেন্ডার আহব্বান করার পর বর্তনামে ব্রীজটি স্থাপন কাজ চলছে।


আরও খবর



বৃষ্টির জন্য কুষ্টিয়ায় ইস্তেকার নামাজে সকল ধর্মপ্রান মুসল্লিরা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪জন দেখেছেন

Image
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:পাপ কমান,তাপ কুমে যাবে। জলে স্থলে বিপর্যয় মানুষের কৃতকর্মের ফল । সুরা রুম , আয়াত ৩০ । তীব্রতাপদাহে কুষ্টিয়া জেলায় প্রতিদিন বিভিন্ন স্হানে পানির জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারে খোলা আকাশের নিচে দাড়িয়ে দোওয়া ও ইস্তেকার নামাযে কান্নায় ভেঙে পড়েন ধর্মপ্রান মুসল্লিরা ॥

আরও খবর



বিমানবন্দর এলাকায় নির্মাণ হচ্ছে বহুতল ভবন, দুর্ঘটনার আশংকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৯২জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী)প্রতিনিধি:সৈয়দপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই রানওয়ের ৪০০ গজ উত্তরে নির্মাণ হচ্ছে বহুতল ভবন। নুর ইসলাম নামের এক ব্যাক্তি ওই ভবন নির্মাণ করলেও আইনি কোন পদক্ষেপই নিচ্ছেন না এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।  বিমানবন্দরের ২৫ নটিকেল মাইল এলাকার মধ্যে বহুতল ভবন নির্মাণের অনুমতি না থাকলেও শুধুমাত্র পৌর কর্তৃপক্ষের নকশা অনুমোদন নেয়ার কথা বলে নির্মাণ কাজ চলছে বহুতল ভবনের। এ নিয়ে বিমান দুর্ঘটনায় আতঙ্কিত বিমান কর্তৃপক্ষ। 

বিমান কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্ষা মৌসুমে বা আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটলে যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তায় বিপদসীমার অনেক নিচে দিয়ে ৪৫ ডিগ্রী এ্যাঙ্গেলে উড়ন্ত বিমান অবতরণ করা হয় বিমানবন্দরে। ওই সময় ঘন মেঘের কারণে বিমান পাইলট সামনের কোন উঁচু স্থাপনা বা টাওয়ার ভালোভাবে দেখতে পান না। যার ফলে পাইলট বারবার বিমান বন্দর টাওয়ারের কাছে জানতে চান অবতরণ বিমানের সামনে কোন বহুতল ভবন, টাওয়ার বা গাছপালা আছে কিনা। থাকলে সেখানে আঘাত লেগে বিমান ক্রাশের সম্ভাবনা থাকে শতভাগ। এ কারণে শুধুমাত্র বিমান ক্রাশের ভয়েই বিমানবন্দরের ২৫ নটিকেল মাইলের মধ্যে কোন প্রকার বহুতল ভবন বা টাওয়ার স্থাপনে অনুমতি দেয়া হয় না। বিমান ও যাত্রীদের নিরপত্তায় ওই নির্দেশনা দেয়া না হলেও সৈয়দপুর বিমানবন্দরের উত্তর পার্শে সহ কয়েক স্হানে নির্মাণ করা হচ্ছে বহুতল ভবন। 

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিমানবন্দর রানওযের উত্তর পার্শে ৪০০ ফিট্ এর মধ্যে নুর ইসলাম নামের এক ব্যাক্তি সিভিল অ্যাভিয়েশন এর আইনকে তোয়াক্কা না করে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেছেছেন। বিমান কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও পোরসভার নকশা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন কারো অনুমতির দরকার নাই।ভবনটি নির্মানের জন্য উপর মহলের নির্দেশ রয়েছে। প্রথম শ্রেণির পৌরসভা  সৈয়দপুরে দালানকোঠা বা বহুতল ভবন  নির্মাণ হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিমানবন্দরের ২৫ নটিকেল মাইল এলাকা বাদ দিয়ে নির্মাণের জোর তাগিদ দেয়া হলেও তা মানছেন না নুর ইসলাম নামের ওই ব্যাক্তি সহ অনেকেই। 

জানা,গেছে,সৈয়দপুর বিমানবন্দরের পূর্বপাশে সেনাসিবাস, উত্তর ও পশ্চিম পাশে পৌর এলাকা এবং দক্ষিণ পাশে বাঙ্গালীপুর ইউনিয়ন। বিধি অনুযায়ী ২৫ নটিকেল মাইল এলাকা বাদ দিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য সৈয়দপুর পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবরে সিভিল এ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে। ওই চিঠির জবাবে সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আখতার হোসেন বাদল ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুসা উদ্দিন বিমানবন্দরের ২৫ নটিকেল মাইলের মধ্যে বহুতল ভবন নির্মাণের নকশা পাশ করবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দেন বলে জানা যায় । এছাড়াও যদি কোন ভবনের কারণে বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে বা সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ওইসব বহুতল ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন তারা। কিন্তু তারা মারা যাওয়ার পর তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতির কোন কাজই হচ্ছেনা। বর্তমান পৌর পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ কোন কার্যকরী ব্যবস্থা না নেয়ার কারনে বিমান উঠানামায় আতংকের সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানা যায়।সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক শুপ্লব কুমার ঘোষ জানান,বর্তমান সরকারের আন্তরিকতায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরটি আঞ্চলিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত রয়েছে । বর্তমানে এ বিমানবন্দরে প্রতিদিন বাংলাদেশ বিমান,ও ইউএস-বাংলার বিমান চলাচল করছে। যাত্রীসেবাও দেওয়া হচ্ছে শতভাগ। কিন্তু বিমানবন্দরের ২৫ নটিকেল মাইলের মধ্যে উঁচু ভবন থাকায় আতঙ্কে রয়েছে বিমানের পাইলটরা। তিনি বলেন নুর ইসলাম নামের ওই ব্যাক্তিকে রানওয়ে সংলগ্ন ভবন নির্মাণের কোন প্রকার অনুমতি দেয়া হয় নি। অবতরণে আতঙ্কিত ভবনগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পৌর কর্তৃপক্ষ ও সিভিল এ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্শন করেন তিনি । 

সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবি বলেন, নিরাপদে বিমান চলাচলের স্বার্থে রানওয়ে সংলগ্ন বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য কোন নকশা পাস করা হয় নি। যারা রানওয়ের আশপাশ এলাকার বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন তারা এক প্রকার গায়ের জোরেই করছেন। রানওয়ের আশপাশ এলাকার সকল অবৈধ বহুতল ভবন গুড়িয়ে দিতে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি।


আরও খবর



জলঢাকায় সামাজিক সংগঠন "বন্ধন" এর বাংলা নববর্ষ উদযাপন

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৫জন দেখেছেন

Image
শাহাজাহান কবির লেলিন,জলঢাকা(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃনীলফামারীর জলঢাকায় আনন্দ শোভাযাত্রাসহ নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করেছে সামাজিক সংগঠন "বন্ধন"।রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে "বন্ধন" সামাজিক সংগঠন এর  উদ্যোগে পৌরসভার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বর্ণিল সাজেঁ আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে  প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

পরে জলঢাকা পৌর সভার ১ নং ওয়ার্ড দুন্দিবাড়ী সাইটের পাড়ে আলোচনা সভা ও বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার পান্তা ভাত, নৌকা ভ্রমণসহ নানান আয়োজন করেন সংগঠনটি।সভায় সামাজিক সংগঠন "বন্ধন" এর সভাপতি সাংবাদিক শাহাজাহান কবির লেলিন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন , উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,  শিক্ষাবীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর গাফফার, জাসদ জেলা সভাপতি অধ্যাপক আজিজুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন সাদের, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক, সামাজিক সংগঠন বন্ধন এর সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আবেদ আলী,সাবেক বালাগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিপন,পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি আনিছুর রহমান যাদু,১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল বাশার মিন্টু। আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্ধন এর সদস্য সাংবাদিক এরশাদ আলম,মাহাদী হাসান মানিক,জাহিনুর ইসলাম জীবন, আজম বাদশা সাবু,গোলাম রব্বানী, মশিয়ার রহমান,তহমিদার রহমান মিলন,সাহিন ইসলাম, রাজু ইসলাম, সহ সকল সদস্যবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বন্ধন এর সদস্য ও সাংবাদিক হাসানুজ্জামান সিদ্দিকী হাসান।পরে তিস্তার সেচ ক্যানেলে নৌকা  ভ্রমণে সকল বয়সী মানুষ আনন্দ উল্লাস উপভোগ করেন। 

আরও খবর



নিটারে আবাসিক হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে ইফতার মাহফিলের আয়োজন

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩৩জন দেখেছেন

Image

মিঠুন দাস মিঠু, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, নিটার: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাভারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চ (নিটার) এর কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন মিলনায়তনে গত পহেলা এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ বাদ আছর নিটার কর্তৃপক্ষের আয়োজনে ও নিটার আবাসিক হলে অবস্থানরত  শিক্ষার্থীবৃন্দের অংশগ্রহণে এক ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।


সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেল হতেই দলে দলে ধর্মপ্রাণ  শিক্ষার্থীরা ইফতার মাহফিলে যোগদান করার উদ্দেশ্যে নিটার কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন মিলনায়তনে  জড়ো হতে থাকে। উপস্থিত সকলে আসন গ্রহণ করলে নিটার কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম সকলের উদ্দেশ্যে ইফতারের গুরুত্ব ও বিধান সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন। এছাড়া ইফতার মাহফিলের সকল কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করতে আয়োজকরা নিরলসভাবে সবকিছুর আয়োজন করে। প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীর সুশৃঙ্খল অংশগ্রহনে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইফতার কর্মসূচির সূচনা হয় ও মোনাজাত শেষে ছাত্র-শিক্ষক সকলে একসাথে বসে সম্মিলিতভাবে ইফতার গ্রহন করে এবং নিটার লেডিস হোস্টেলে অবস্থানরত মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথকস্থানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

উক্ত ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এধরনের ইফতার মাহফিল কর্মসূচির আয়োজনে তারা আনন্দিত এবং এরকম আয়োজন পরস্পরের সাথে সম্পর্কের উন্নতি ঘটায়। একে অপরের প্রতি ভ্রাতৃত্ববোধের ও ভালোবাসার বিকাশ ঘটায়। সকলে একসাথে এক স্থানে বসে ইফতার করেছি এরচেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে!  এরকম আয়োজন নিয়মিত করা প্রয়োজন বলে তারা অভিমত জানিয়েছে।

এভাবেই প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে ইফতার মাহফিল কর্মসূচি সফল ও সুশৃঙ্খলভাবে সমাপ্ত হয়।


আরও খবর