Logo
আজঃ সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

গণতন্ত্র হুমকির মুখে রয়েছে: জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৭৯জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :গণতন্ত্র হুমকির মুখে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের অধিকার চর্চার জায়গা দিন দিন সংকুচিত হয়ে আসছে।আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দেওয়া এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মহাসচিব এ কথা বলেন।

জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, ‘সমাজের প্রতি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার যে প্রতিশ্রুতি, তা আমরা এই দিবসে উদ্‌যাপন করছি। একই সঙ্গে বর্তমানের অস্থির ও উত্তেজনাপূর্ণ সময়ে গণতন্ত্র যে হুমকির মুখোমুখি, তা–ও স্বীকার করে নিচ্ছি।তিনি বলেন, গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের প্রতি যে শ্রদ্ধবোধ, তা আসলে সমৃদ্ধ, সহনশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ সমাজের মূলভিত্তি। সমাজের প্রত্যেক মানুষের মর্যাদা ও অধিকার রক্ষা, টেকসই উন্নয়ন ও স্বাধীনতা রক্ষাকবচ ও গণতন্ত্র ও আইনের শাসন।

বিবৃতিতে গুতেরেস আরও বলেন, মিথ্যা ও অপতথ্য মানুষকে বিভ্রান্ত করছে, সমাজকে মেরুকরণের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি যে আস্থা, সেটাও নষ্ট করে দিচ্ছে এমন মিথ্যা ও অপতথ্য এবারের আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসের প্রতিপাদ্য ‘পরবর্তী প্রজন্মের ক্ষমতায়ন’। জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, বর্তমান সময়ে এবং ভবিষ্যতে গণতন্ত্রের সুরক্ষার ক্ষেত্রে শিশু ও তরুণদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ দিতে হবে। 

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, শিশু ও তরুণদের বক্তব্য যথাযথভাবে নেওয়া হচ্ছে না। শিক্ষা, দক্ষতা ও জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় শিখনে বিপুল বিনিয়োগ করে এই তরুণ ও শিশুদের সহযোগিতা করতে হবে


আরও খবর



আপিল বিভাগেও জামিন পেলেন রিজেন্ট শাহেদ

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০৪জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :দুদকের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে ৩ মাসের মধ্যে হাইকোর্টকে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন। এ সময় সাহেদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

এর আগে, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিতে চেয়ে আবেদন করে দুদক। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২৭ নভেম্বর) এ আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর আগে, গত ১৩ নভেম্বর এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে ৬ মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি মো.আখতারুজ্জামানের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

৩ বছর দণ্ডের মামলায় রিজেন্ট সাহেদের জামিন গত ৪ সেপ্টেম্বর এ মামলায় তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছিলেন হাইকোর্ট। ওইদিন আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। সাহেদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ জাহাঙ্গীর হোসেন।

প্রসঙ্গত, গত ২১ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডের রায় দেন। এতে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে জরিমানার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়।


আরও খবর

১৩ দিন মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী

সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩




নিজ এলাকায় সৈয়দ ইবরাহিমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ ইবরাহিমকে তার নির্বাচনি এলাকা হাটহাজারীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের জোট ছেড়ে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বুধবার (২২ নভেম্বর) বিকালে হাটহাজারী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।

এর আগে বুধবার কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের সিদ্ধান্তকে বিশ্বাসঘাতকতা ও বেইমানি বলে আখ্যায়িত করেছেন তারই রাজনৈতিক সহকর্মী ১২-দলীয় জোটের নেতারা।

হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ ও সদস্য সচিব গিয়াসউদ্দিন এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সরকার এবং তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি যুক্তফ্রন্ট গঠন করে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। এহেন কর্মকাণ্ডে হাটহাজারী সাধারণ জনগণের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয় এবং এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির জনমনে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিম শেষ বয়সে এসে স্বেচ্ছাচারিতা, লোভলালসায় হয়ে অনৈতিক সুযোগ- সুবিধা গ্রহণ করে এমন ঘৃণিত কাজ করেন।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালে বিএনপি নিজ দলের ১০০ ভাগ যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন না দিয়ে মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিমের মতো একজন সিঙ্গেল ম্যানকে, জোটকে সম্মান দেখিয়ে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ করে এবং বিএনপির সব ইউনিট তার পক্ষে কাজ করে। কিন্তু তখনও তিনি সেই সময়ের মহাজোট প্রার্থীর কাছে আর্থিক সুবিধা নিয়ে নিজেকে আত্মসমর্পণ করেন।

এতে আরও বলা হয়, মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিমের নিজ নির্বাচনে কাজ করতে গিয়ে হাটহাজারী বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের বহু নেতাকর্মী হামলা মামলা এবং নির্যাতনের শিকার হলেও মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিম একবারের জন্যও কারও খোঁজখবর নেননি, সহায়তা তো অনেক দূরের কথা। তাই আমরা হাটহাজারী উপজেলা, পৌরসভা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিমকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলাম।

পাশাপাশি তাকে আমরা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলাম। আর যদি হাটহাজারী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি পরিবারের কেউ মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিমকে কোনোভাবে সহযোগিতা করেন বা যোগাযোগ রাখেন, তা হলে আমরা তার বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।


আরও খবর



ফাইভ-জি রেডিনেস প্রকল্পের জটিলতা কাটছেই না

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৭৯জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :অনুমোদনের দেড় বছরেরও বেশি সময় পার হলেও এখনো আলোর মুখ দেখেনি ‘ফাইভ-জি রেডিনেস’ প্রকল্প। দেশে উচ্চগতির ইন্টারনেট–সেবা ফাইভ–জি সরবরাহ করার জন্য ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। এ প্রকল্পে সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য দরপত্র আহ্বান ও উপযোগী প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে জটিলতা যেন কাটছেই না।

আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া, বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা এবং পরিচালনা বোর্ডের নির্দেশ অমান্য করার মতো নানা অভিযোগের মধ্যে গেল ৮ নভেম্বর প্রকল্পের দরপত্রের আর্থিক প্রস্তাব উন্মোচন করা হয়। যেখানে দরপত্রে অংশ নেয়া তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেবাদানকারী চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। সবকিছু ঠিক থাকলে চুক্তির পর এসব সরঞ্জাম সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি। তবে খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দরপত্রের মাধ্যমে সরঞ্জাম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত করা ক্ষেত্রে যেমন দীর্ঘসূত্রিতা করা হয়েছে, একইভাবে চূড়ান্তভাবে প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত করার ক্ষেত্রেও সেটি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ‘স্মার্ট বাংলাদেশের’  বাস্তবায়নে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা দ্রুতই বাস্তবায়ন জরুরি।

দেশে ফাইভজি চালুর জন্য ১ হাজার ৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে হাতে নেওয়া হয় ‘ফাইভ-জি রেডিনেস’ প্রকল্প। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। এতে সরঞ্জাম কেনার জন্য ব্যয় ধরা হয় ৪৬৩ কোটি টাকা। সরঞ্জাম সরবরাহে ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট দরপত্র আহ্বান করা হয়। সেপ্টেম্বর মাসে দরপত্রের প্রি-বিডিং মিটিং হয়। পরে সরকারি ক্রয় নীতিমালা অনুযায়ী গঠিত তিন সদস্যের দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটি গত বছরের ২০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক দরপত্রটি উন্মুক্ত করে।

দরপত্রে প্রস্তাব দাখিল করে তিনটি কোম্পানি হুয়াওয়ে টেকনোলজিস লিমিটেড, জেডটিই করপোরেশন এবং নকিয়া সলিউশন। আর্থিক প্রস্তাবের তথ্য অনুযায়ী, ফাইভজি প্রকল্পে সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য হুয়াওয়ে ৩২৬ কোটি টাকা দরপত্র দাখিল করে। জেডটিই দাখিল করে ৪১৫ কোটি টাকা এবং নকিয়া ৫৭৯ কোটি টাকার। সেই হিসাবে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা জেডটি’র তুলনায় ৯০ কোটি টাকা কমে সরঞ্জাম সরবরাহ করতে পারবে হুয়াওয়ে। আর প্রকল্পে সরকারের অনুমোদিত ব্যয়ের তুলনায় ১৩৭ কোটি টাকা কমে দরপত্র দাখিল করেছে হুয়াওয়ে, যার পুরোটাই সরকারের সাশ্রয় হবে।

কারণ দীর্ঘজটিলতার মধ্যে দিয়ে আসা প্রকল্পটি এখনই আলোর মুখ দেখবে কিনা সেটি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। কারণ হিসেবে প্রকল্পের শুরু থেকেই চলা জটিলতাকে দায়ী করছেন তারা। পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে আইন ও বিধি লঙ্ঘন, বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা ও পরিচালনা বোর্ডের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগের বিষয়গুলোকে সামনে নিয়ে আসছেন তারা।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর তথ্যমতে, দরপত্র আহ্বানের সব শর্ত পূরণ করার মাধ্যমেই তিনটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। তিনটি কোম্পানির সবাইকে যোগ্য হিসেবে মূল্যায়ন করে সাত সদস্যের কারিগরি কমিটিও। তবে এরপরই শুরু হয় জটিলতা। দরপত্রগুলোর মূল্যায়ন করে গত ৬ এপ্রিল বিটিসিএলের কাছে প্রতিবেদন পাঠায় কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি (টিইসি)। প্রতিবেদন অনুমোদন দিয়ে আর্থিক প্রস্তাব উন্মুক্ত করার অনুমতির জন্য সুপারিশ করে তারা। ওই প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রকল্প কার্যালয় প্রধান (হোপ) অর্থাৎ বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আসাদুজ্জামান চৌধুরী দুটি দরদাতার বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠান টিইসির কাছে।

সরকারি ক্রয় নীতিমালা-২০০৮ এর নিয়ম অনুযায়ী, কারিগরি কমিটির প্রতিবেদন দুই সপ্তাহের মধ্যে অনুমোদন করতে হবে প্রকল্প পরিচালককে। কিন্তু ২৪ দিন পর তিনি টিইসির কাছে ব্যাখ্যা চান।

টিইসি ব্যাখ্যা দিলেও গত ১৮ মে প্রকল্প পরিচালকের অফিস জানায়, প্রাপ্ত উত্তর সন্তোষজনক নয়। এরপর কারিগরি মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুমোদন না করে ক্রয়কারী কর্তৃক বিধি মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন বলে নির্দেশনা দেন আসাদুজ্জামান চৌধুরী।

এরপর ৪২ দিন পার হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। গত ২৫ মে প্রকল্প কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে পিপিআর ২০০৮ অনুযায়ী, সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালককের কাছে নথি পাঠানো হয়। তিনি এখতিয়ার এবং বিধি বহির্ভূতভাবে প্রকল্পের ‘দরপত্র পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের’ নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ ওঠে। 

‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন-২০০৬ এবং পিপিআর-২০০৮ অনুযায়ী, অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ (এ ক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদ) দরপত্র বা প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ অনুমোদন বা কারণ ব্যাখ্যা ছাড়া দরপত্র বাতিল করে পুনঃমূল্যায়ন বা পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের নির্দেশ দিতে পারেন না।

আবার, তিন জন দরদাতার মধ্যে দুই জনের সার্টিফিকেটের বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হলেও তিনি পুরো দরপ্রস্তাবই বাতিল করেন, যা বিধি বর্হিভূত।

সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ওঠে, প্রকল্প পরিচালক আসাদুজ্জামান চৌধুরী পিপিআর-২০০৮ -এ বর্ণিত সময়সীমা ১৫ দিন না মেনে ৫৫ দিন পরে পুনঃদরপত্র আহ্বানের সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি নিয়ে ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধনের পর পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট-২০০৬ এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস-২০০৮ অনুসরণ করে নিষ্পত্তি করার পরামর্শ দেওয়া হলেও সেটি অনুসরণ করেননি তিনি।

গত ২৪ জুলাই বিটিসিএলের বোর্ড সভায় এ সংক্রান্ত কার্যপত্রের ওপর আলোচনা হয়। সেখানে বলা হয়, হোপের মাধ্যমে অনুমোদন প্রক্রিয়ায় বিধি ও প্রক্রিয়াগত স্পষ্ট বিচ্যুতি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। সরকারি ক্রয় আইন ও বিধিমালার আলোকে ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধন করে দরপত্র প্রক্রিয়ায় দ্রুত নিষ্পত্তি করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

এদিকে দরপত্র বাতিলের বিষয়ে আসাদুজ্জামান চৌধুরীর আদেশের বিরুদ্ধে হুয়াওয়ে অভিযোগ দাখিল করে। গত ৯ অক্টোবর এই অভিযোগের ওপর শুনানি করে সেন্ট্রাল প্রকিওরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ)।

সব পক্ষের লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য নেওয়ার পর ২২ অক্টোবর সিপিটিইউ দরপত্র বাতিলের আদেশ অকার্যকর ঘোষণা করে। তিনটি প্রতিষ্ঠানকে রেসপন্সিভ ঘোষণা করে। আর্থিক প্রস্তাব উন্মুক্ত করার পর আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়। প্রকল্পের ক্রয়কারী কার্যালয়ের প্রধান আসাদুজ্জামান চৌধুরীসহ অন্যদের (যদি থাকে) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়সহ বিটিসিএল বোর্ড কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এদিকে আসাদুজ্জামানকে প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিটিসিএল থেকে তার মূল প্রতিষ্ঠান টেলিযোগাযোগ অধিদফতরে বদলি করা হয়।

রিভিউ প্যানেল এবং বোর্ডের নির্দেশনার পর দরদাতাদের আর্থিক প্রস্তাব ২৬ অক্টোবর খোলা হবে বলে নোটিশ দেওয়া হয়। পরে ওই নোটিশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হলে ২২ অক্টোবর আদালত সিপিটিইউ-এর রিভিউ প্যানেলের আদেশের ওপর ১৫ দিনের স্থগিতাদেশসহ রুল জারি করেন।

ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (অতিরিক্ত দায়িত্ব) পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় সংক্ষুব্ধ হিসেবে আসাদুজ্জামান রিট পিটিশন দায়ের করেন। গত ৬ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত সিপিটিইউ এর রিভিউ প্যানেলের আদেশের ওপর ১৫ দিনের স্থগিতাদেশসহ দেওয়া রুল আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। আদালতের এই আদেশের পর ৮ নভেম্বর আর্থিক প্রস্তাব খোলা হয়।

জানা গেছে, কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি সম্মতি দিলেও মন্ত্রীর পরামর্শে ব্যবস্থাপনা পরিচালক দরপত্র বাতিল করে দেন। কেননা, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বাতিলের পক্ষে ছিলেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন,  এটা বিধির লঙ্ঘন। কারণ, দুজনের কেউই মূল্যায়ন কমিটিতে ছিলেন না। তারা কীভাবে বাতিলের পক্ষে মত দেন, সে প্রশ্ন ওঠে।

আগের দরপত্র বাতিলের পক্ষে থাকা ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বরাবরই বলে আসছেন এ দরপত্রের মাধ্যমে আসলে ২০১৫ সালের পুরনো মডেলের যন্ত্রপাতি কেনা হচ্ছে, যা মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই অচল হয়ে যা্বে বলে আশঙ্কা তার। তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ব্যান্ডউইথের চাহিদা হবে ২৯.৮ টেরাবাইট।  সে তুলনায় টেন্ডারে সেকেন্ড-প্রতি ১২৬.২ টেরাবাইট ক্যাপাসিটি’র সংস্থান রাখা হয়েছে।  সুতরাং, এই ক্যাপাসিটির ব্যান্ডউইথ দিয়ে ২০৩০ সালের চাহিদা মিটিয়ে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়ার জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।

ফলে সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এ দরপত্র বাতিল করা কোনোভাবেই সমীচীন হবে না বলে মনে করছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট অধিকাংশই। তাদের মতে,  প্রকল্প প্রণয়নের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রায় ২৯ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। দরপত্রটির কারিগরি নির্দেশ প্রণয়ন হতে শুরু করে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৯ মাস সময় লেগেছে। এখন যদি দরপত্র বাতিল করে নতুন করে সব কিছু করা হয়, তা শেষ হতে আরও দুই বছর সময় লাগবে। যা একদিকে সরকারি অর্থের অপচয় এবং অপরদিকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের উদ্দেশ্য অর্জন বিলম্বিত হবে।


আরও খবর



পোরশায় লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধকল্পে মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

ডিএম রাশেদ পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধি :‘সবার মাঝে ঐক্য গড়ি, লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে বিনিয়োগ করি’ এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে নওগাঁর পোরশায় লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধকল্পে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার বিকাল ৪টায় উপজেলার কুশারপাড়া বাজারে ব্রেড ফর দা ওয়ার্ল্ড, জার্মানির অর্থায়নে, খ্রীষ্টিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ (সিসিডিবি) এর বাস্তবায়নে ও প্রোমোটিং ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট কমিউনিটিস ইন বাংলাদেশ (পিসিআরসিবি-২) এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন উপজেলার ছাওড় ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান। মানববন্ধনে বেসরকারী সংস্থা সিসিডিবি’র উপজেলা সমন্বয়কারী স্টিভ রায় রূপনসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তি ও ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



জয়পুরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০৮জন দেখেছেন

Image
জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃজয়পুরহাট  জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন কে  গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব । সোমবার  (১৩ নভেম্বর) দুপুরে জয়পুরহাট সদর উপজেলার বেলাআমলা  এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জয়পুরহাট ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর শেখ সাদিক  এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত ২৯ অক্টোবরের জয়পুরহাট সদর থানার  নাশকতার মামলায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেনেকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আর-ও তিনটি মামলা রয়েছে। 
 জেলা বিএনপির সিনিয়র  যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা জানান, অবরোধের সমর্থনে আজ সোমবার  মিছিলের কর্মসূচি ছিলো। মিছিলের যাওয়ার সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। 

জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির  বলেন, র‍্যাব গোলজার হোসেনকে থানায় হস্তান্তর করেছে । তাঁর বিরুদ্ধে চারটি নাশকতার মামলা রয়েছে। তাঁকে  আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

আরও খবর