Logo
আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’ কোথায় তাণ্ডব চালাবে

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৪২৮জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে ‘মোচা’ ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে। এটি বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের কিছু জায়গায় আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা, তামিলনাড়ু নাকি অন্ধ্রপ্রদেশ- কোন রাজ্যে ‘মোচা’ আঘাত হানবে তা নিয়েও চলছে বিশ্লেষণ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওপর আজ শনিবার একটি ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হবে। তার প্রভাবে ওই একই অঞ্চলে আগামীকাল রোববার একটি নিম্নচাপ তৈরি হবে। পরের দিন সোমবার এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে।

সেই গভীর নিম্নচাপটি এরপর শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এবং সেটি উত্তর দিক বরাবর অগ্রসর হয়ে মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে যাবে। এই গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তবেই সেটির নাম হবে ‘মোচা’।

পশ্চিমবঙ্গ আবহাওয়া দপ্তরের বিশ্লেষণ বলছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওপর সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি সোমবারের পর প্রবল থেকে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। তারপর সেটি বাংলাদেশ কিংবা মায়ানমার উপকূলে ১২ অথবা ১৩ মে আঘাত হানতে পারে।

আবহাওয়া দপ্তরের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞরা তারা জানিয়েছেন, যতক্ষণ না নিম্নচাপ অঞ্চল সৃষ্টি হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না কোন পথে এগোবে ‘মোচা’, কোথায়ই বা এটি আছড়ে পড়বে। তবে যে কোনো মুহূর্তে এই ঝড় মিয়ানমার থেকে পশ্চিমবঙ্গসহ ওড়িশার মধ্যে যে কোনো উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে।

আবহাওয়ার আন্তর্জাতিক মডেল বলছে, চূড়ান্তভাবে উত্তর দিকে ঘোরার আগে এই ঘূর্ণিঝড় মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোবে। এমনটা যদি হয়, সে ক্ষেত্রে ঘূর্ণিঝড়টি তামিলনাড়ু উপকূল বরাবর এগোবে এবং ১১ মে গতিপথ বদলাবে।

উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব দিক বরাবর এগোনোর সময় আরও বেশ শক্তিশালী হবে এই ঝড়। সে ক্ষেত্রে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রূপ নেবে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে। সেটি আঘাত হানতে পারে বাংলদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল অথবা মিয়ানমারে। যদি এই দুই জায়গায় আছড়ে না পড়ে, তা হলে উড়িষ্যা অথবা পশ্চিমবঙ্গে ‘মোচা’র আছড়ে পড়ার শঙ্কা থাকছে।


আরও খবর



ইরানের হামলার পর বাইডেন-নেতানিয়াহু ফোনালাপ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১০০জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু,ইসরাইলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ইরানের হামলার পর।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপ হয়েছে। ইসরাইলে ইরান হামলা চালানোর পর দুই নেতার মধ্যে এটাই প্রথম ফোনালাপ। এক বিবৃতিতে ইসরাইলে ইরানি হামলার শক্ত ভাষায় নিন্দা জানিয়েছেন বাইডেন। বিবৃতিতে তেল আবিবকে ওয়াশিংটনের লোহবর্মের মতো সুরক্ষা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পুর্নব্যক্ত করেন বাইডেন। এই অঞ্চলে মার্কিন বাহিনী এবং তাদের কোনো স্থাপনা ইরানের লক্ষ্যবস্তু না হলেও সমস্ত হুমকির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক রয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়। বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের দিক থেকে আসা সব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে ইসরাইলকে সহায়তা করেছে। গত সপ্তাহে ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিমান ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থাকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন জানিয়ে বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘মোতায়েন করা ব্যবস্থা ও আমাদের দক্ষ সেনা সদস্যদের ধন্যবাদ, তারা ধেয়ে আসা প্রায় সব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে ইসরাইলকে সহায়তা করেছি।

গত পহেলা এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল। এতে বিপ্লবী গার্ডের দুই কমান্ডারসহ উচ্চপদস্থ সাত কর্মকর্তা নিহত হন।

সে হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরাইলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। এ হামলায় তাদের সঙ্গে যোগ দেয় ইয়েমেনের ইরানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। এরপর লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকেও ইসরাইলে রকেট হামলা চালানো হয়েছে বলে জাননো হয়। ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার ইসরাইলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তারা। ‘ট্রু প্রোমিজ’ নামে অভিযানের আওতায় এসব হামলা চালানো হয়।২


আরও খবর

ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




রাজউকের নতুন চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমান

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান সরকার,রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান হলেন। দুই বছর মেয়াদে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান পদে তাকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখা থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এতে বলা হয়, টাউন ইমপ্রুভমেন্ট অ্যাক্ট ১৯৫৩ এর ধারা ৪ (২) অনুযায়ী অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান সরকারকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক ত্যাগের শর্তে রাজউকের চেয়ারম্যান পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হল।

তার যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী ২ বছর মেয়াদে তিনি এ পদে থাকবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। এই নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

সিদ্দিকুর রহমানের জন্ম ১৯৬৩ সালের ১০ আগস্ট নরসিংদী জেলায়। ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সামরিক একাডেমিতে যোগ দেন তিনি। চাকরি জীবনে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির কমান্ডার এবং সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার ইন চিফ-এর দায়িত্ব পালন করেন। সেনাবাহিনী থেকে রাজউকের চেয়ারম্যান পদে তিনিই প্রথম নিযুক্ত হলেন।


আরও খবর



পাঁচপীর ডিগ্রি কলেজে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image
বাবুল, কুড়িগ্রাম ব্যুরো চিফ:কুড়িগ্রামের উলিপুরে ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান পাঁচপীর ডিগ্রি কলেজে ইফতার ও দো"আ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।আজ ২৬ শে মার্চ মঙ্গলবার ইফতার ও দো'আ  মাহফিলের পূর্বাহ্নে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ডা মোঃ জাহেদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন, উলিপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, উলিপুর এমএস স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম সরদার, পাঁচপীর ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অজয় কুমার সরকার সামু, উলিপুর বণিক সমিতির প্রতিনিধি নুরে আলম সিদ্দিকী, দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সাঈদ। অনুষ্ঠানে প্রিয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে গবা'র সহধর্মিনী কাবেরী পান্ডে । এর আগে প্রিয় অতিথি কলেজ চত্বরে একটি গাছের চারা রোপন করেন। 

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক,  কলেজ এর গভর্নিং বডির সদস্যবৃন্দ ও শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ।

আরও খবর



‘আদম’ সিনেমার তরুণ নির্মাতার হঠাৎ মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৯জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:গত বছর ‘আদম’ নামের একটি ছবি মুক্তি দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। এরপর আরও কয়েকটি ছবিও নির্মাণে হাত দিয়েছিলেন। তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি এর মধ্যেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন তরুণ নির্মাতা আবু তাওহীদ হিরণ। সোমবার (১৫ এপ্রিল) ভোরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৩৮ বছর।

রাজধানীর নিউ ইস্কাটনের বাসায় মৃত্যু হয় এই তরুণ নির্মাতার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাসাটির কেয়ারটেকার গাজী নজরুল ও হিরণের প্রতিবেশী ইকরাম। ওই বাসাটির দ্বিতীয় তলায় তরুণ এই পরিচালক ভাড়া থাকতেন। গাজী নজরুল জানান, আজ সকাল ৬টার দিকে হিরণ তাকে কল দিয়ে জানান, তিনি স্ট্রোক করেছেন। পরে দ্রুত নজরুল ওপরে ছুটে যান। তবে রুম ভেতর থেকে বন্ধ থাকার কারণে তিনি রুমে ঢুকতে ব্যর্থ হন। পরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে তাকে মৃত অবস্থায় পান।

ঢাকায় হিরণের পরিবারের তেমন কেউ নেই বলে জানা গেছে। তবে ইতোমধ্যে তার খুলনার বাড়িতে খবর দেয়া হয়েছে। শিগগির তার মরদেহ খালিশপুরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই তাকে দাফন করা হবে।

চলচ্চিত্র নির্মাণ নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল আবু তাওহীদ হিরণের। প্রবল চেষ্টায় বানিয়েছিলেন ‘আদম’ ছবিটি। যেখানে অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান, জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী, রাইসুল ইসলাম আসাদ, শহীদুজ্জামান সেলিমের মতো অভিনয়শিল্পী। গত বছরের রোজার ঈদে এটি মুক্তি পায়।

এরপর হিরণ নির্মাণ করেছেন ‘রং রোড-অধ্যায় আদুরী’ নামের একটি ছবি। যেটির নাম ভূমিকায় আছেন মানসী প্রকৃতি। এটি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে আরও একটি ছবির ঘোষণা দেন এই তরুণ। ‘দ্য পাপ্পি’ নামের সেই ছবির গল্প কুকুরকে ঘিরে। কিন্তু কাজ আর সেরে যেতে পারলেন না।

আরও খবর



স্বাগত ১৪৩১, আজ পহেলা বৈশাখ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ। বাংলা ১৪৩১ সালের প্রথম দিন আজ (রোববার, ১৪ এপ্রিল)। এ দিনটির মাধ্যমে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন আরেকটি বছর। বাংলার চিরায়ত উৎসব চৈত্রসংক্রান্তি ছিল গতকাল (শনিবার)। একই সঙ্গে দিনটি ছিল বাংলা ১৪৩০ সালের শেষ দিন।

জীর্ণ-পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি’ - এভাবে বিদায়ী সূর্যের কাছে এ আহ্বান জানায় বাঙালি। পহেলা বৈশাখ আমাদের সকল সঙ্কীর্ণতা, কূপমুণ্ডকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবনব্যবস্থা গড়তে উদ্বুদ্ধ করে। আমাদের মনের ভেতরের সকল ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে; আমাদের নতুন উদ্যোমে বাঁচার অনুপ্রেরণা দেয়।

আমরা যে বাঙালি, বিশ্বের বুকে এক গর্বিত জাতি, পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণে আমাদের মধ্যে এই স্বজাত্যবোধ এবং বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়, উজ্জীবিত হয়।

অন্যদিকে পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি সর্বজনীন লোকউৎসব। এ দিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদ্‌যাপিত হয় এ নববর্ষ।

এবারও বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে প্রতি বছরের মতো বর্ণিল উৎসবে মেতেছে দেশ। ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। রাজধানীসহ দেশজুড়ে থাকবে বর্ষবরণের নানা আয়োজন।

‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩১’ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদ্‌যাপনের লক্ষে সরকারিভাবে জাতীয় পর্যায়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক কর্মসূচি। দিনটি সরকারি ছুটির দিন। বর্ষবরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ছায়ানট’ পহেলা বৈশাখের ভোর থেকেই রমনা বটমূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু করেছে।

বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান আবশ্যিকভাবে জাতীয় সংগীত ও ‘এসো হে বৈশাখ....’ গান পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হবে। বাংলা নববর্ষের তাৎপর্য এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস এবং এটিকে বিশ্ব সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি তুলে ধরে এদিন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিও দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। বাংলা নববর্ষে সকল কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবার ও ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে।

এক সময় নববর্ষ পালিত হতো আর্তব উৎসব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির; কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতুনির্ভর। পরে কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য মুঘল সম্রাট আকবরের সময়ে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় নতুন এ বাংলা সাল।

বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব অতীতে ছিল হালখাতা। এটি পুরোপুরিই একটি অর্থনৈতিক ব্যাপার। গ্রামে-গঞ্জে-নগরে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের প্রারম্ভে তাদের পুরনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে হিসাবের নতুন খাতা খুলতেন। এ উপলক্ষে তারা নতুন-পুরাতন খদ্দেরদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ করতেন এবং নতুনভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন করতেন। চিরাচরিত এ অনুষ্ঠানটি পালিত হয় আজও।

মূলত ১৫৫৬ সালে কার্যকর হওয়া বাংলা সন প্রথমদিকে পরিচিত ছিল ফসলি সন নামে, পরে তা পরিচিত হয় বঙ্গাব্দ নামে। কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের সঙ্গে বাংলাবর্ষের ইতিহাস জড়িয়ে থাকলেও এর সঙ্গে রাজনৈতিক ইতিহাসেরও সংযোগ ঘটেছে।


আরও খবর