Logo
আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

গাংনীতে কসাই সিন্ডিকেট ভাংতে এবার সমিতি গঠন

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃএবার সোচ্ছার হয়েছে সাধারণ জনতা। কসাইদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মেহেরপুরের মহল্লায় মহল্লায় গড়ে উঠেছে সমিতি। দৈনিক সাপ্তাহিক অথবা মাসিক কিস্তিতে চাঁদা উত্তোলন করে তা দিয়ে গরু কিনছেন সমিতির লোকজন। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরু জবাই করে গোস্ত ভাগাভাগি করবেন তারা। এতে যেমন সাশ্রয়ী হবেন সাধারণ লোকজন তেমনি চাপ পড়বে কসাইদের উপর। সমিতির বিষয়টি ভালভাবে দেখছেন সচেতন মহল ও স্বয়ং হাটমালিক।

জানা গেছে, রমজান মাসের আগ থেকেই ছিল দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি। ক্রেতা সাধারণের সুবিধার্থে সরকার গোমাংসের দাম ৬৮০ টাকা নির্ধারণ করলেও কসাই সিন্ডিকেট তা প্রত্যাক্ষাণ করে। বাজারে গো মাংসের দাম সাড়ে সাতশ’ টাকা কেজি। তবে ঈদের আগে ও পরে দাম আটশ টাকা থেকে ১০০০ টাকা নির্ধারণ করতে পারেন কসাইরা। কসাই সিন্ডিকেট ভাংতে মহল্লায় মহল্লায় সমিতি গঠন করে নিজেরাই গরু কিনে জবাই করার সিদ্ধান্ত নেন লোকজন। এতে সাশ্রয়ী দামে মাংস পাবেন তারা। তাছাড়া কসাইদের উপর বেশ চাপ পড়বে বলে মনে করেন সচেতন মহল।

জেলার বৃহত্তম পশুহাট বামন্দীতে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন মহল্লা থেকে সমিতি গঠন করে লোকজন আসছেন গরু কিনতে। গাংনী ভিটাপাড়ার মকলেছুর রহমান জানান, কসাইরা নানা ভাবে জিম্মি করে ফেলেছে সাধারণ মানুষকে। চড়া দামে গোস্ত কিনতে হয়। তাছাড়া কসাইরা ইচ্ছেমত মাংস বিক্রি করে। সাশ্রয়ী দামে মাংস পেতে সমিতি গঠন করা হয়েছে। এতে যেমন পছন্দ মতো গোস্ত পাওয়া যাবে তেমনি অনেকটা সাশ্রয়ী হবে। তবে কসাইদের উপর অনেকটা চাপ পড়বে বলেও জানান তারা। একই কথা জানালেন গাংনীর মালসাদহ গ্রামের আফজাল হোসেন। তিনি আরো জানান, তারা ৩২ জন সাপ্তাহিক কিস্তিতে টাকা উত্তোলন করেছেন। এক লাখ ৮২ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনেছেন।

গরু কিনতে আসা কুষ্টিয়া সদরপুরের রাজ্জাক ও মাসুদ রানা জানান, কসাইদের কাছ থেকে তারা গোস্ত কেনেন না তিন বছর ধরে। প্রতিটি উৎসবে কসাইরা বেপরোয়াভাবে দাম হাঁকে গরুর গোস্তের। বাধ্য হয়ে ৩০ জনের একটি সমিতি গঠন করেছেন। সাপ্তাহিক চাঁদা তুলে গরু কিনতে আসেন। দেখে শুনে বুঝে পছন্দের পশুটি কিনেছেন। এতে অনেক সাশ্রয় বলে দাবী করেছেন তিনি। তবে সব ধরনের পশুর দাম একটু বেশি বলে জানালেন এই সমিতি প্রধান।

গরু বিক্রেতা গাড়াবাড়িয়ার আমিরুল ইসলাম জানান, তিনি তার নিজের বাড়ির গরু এনেছেন হাটে। কয়েকহাট আগে গরুর যা দাম ছিল এখন তার চেয়ে অনেক কম। আমদানী বেশি হওয়ায় দর পতন বলে জানালেন তিনি। তবে কসাই সিন্ডিকেট ভাংতে যে সমিতি গঠন করা হয়েছে এটাকে সাধুবাদ জানানে এই গরু বিক্রেতা। একই কথা জানালেন গরু ব্যবসায়ি কামারখালির আনোয়ার ও সহড়াবাড়িয়ার আশরাফুল।

জেলার ঐতিহ্যবাহী বামন্দী পশু হাটের ইজারদার সিরাজুল ইসলাম জানান, ঈদের আগেই জমে উঠেছে পশুহাট। বেচা বিক্রিও বেশ ভাল। এবার জনগন অনেকটা সচেতন। বিভিন্ন গ্রাম মহল্লা থেকে লোকজন আসছেন দলবদ্ধ ভাবে। এরা সমিতি করে গরু কিনছেন। পশু পালনকারীরাও ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন। বেচা বিক্রিও বেড়েছে। কসাইদের হাতে জিম্মী না হয়ে নিজেরাই গরু কিনে গোস্তের ব্যবস্থা করার বিষয়টি সাধুবাদ জানিয়েছেন এই হাট মালিক।


আরও খবর



ভোটারদের টাকা দিতে বাঁধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাতে চেয়ারম্যান সমর্থককে হত্যা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১৫৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধিঃবরগুনা জেলার আমতলীতে ভোটারদের টাকা দিতে বাঁধা দেওয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধার সমর্থক হিরন গাজী (৫০) কে ছুরিকাঘাতে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধার সমর্থক ইউসুফ মাতুব্বর, কাদের সরদার ও শহীদ মালাকার হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী মেতাহার মৃধার সমর্থক মিলন সরদার ও দেলোয়ার সরদার এমন অভিযোগ করেন।  পুলিশ নিহত হিরন গাজীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে আমতলী উপজেলার আমতলী সদর ইউনিয়নের পুর্ব মহিষডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে অনিল সাজ্জাল বাড়ীর সামনে বুধবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে। 

জানাগেছে, আগামী ২৮ এপ্রিল আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে ৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। অভিযোগ রয়েছে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধা ও আবুল বাশার নয়ন মৃধা ভোটারদের টাকা বিতরন করছেন । বুধবার রাত ১১ টার দিকে আবুল বাশার নয়ন মৃধার সমর্থক ইউসুফ, কাদের সরদার ও শহীদ মালাকারসহ ৪০-৪৫ জন পুর্ব মহিষডাঙ্গা গ্রামে ভোটারদের টাকা দিচ্ছিল। এ সময় মোতাহার মৃধার সমর্থক হিরন গাজীসহ ১০-১২ জনে টাকা দিতে বাঁধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় নয়ন মৃধার সমর্থকরা। এক পর্যায় আবুল বাশার নয়ন মৃধার সমর্থক ইউসুফ মাতুব্বর, কাদের সরদার ও শহীদ মালাকারসহ ৬-৭ জন তাকে ছুিরকাঘাত করে। ওই ছুরিকাঘাতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। তাৎক্ষনিক হিরনের সহযোগী মিলন সরদার, ও দেলোয়ার সরদারসহ ১০/১২ জনে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ কাঙ্খিতা মন্ডল তৃণা তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন। ওই রাতেই পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরন করেছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। বৃহস্পতিবার দুপুরে বরগুনা পুলিশ সুপার আব্দুস ছালাম পিপিএম, সহকারী পুলিশ সুপার রুহল আমিন ও ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, পুর্ব শত্রুতার জের ধরে নির্বাচনকে কাজে লাগিয়ে আবুল সরদারের ছেলে কাদের সরদার ও তার লোকজন হিরনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। 

প্রত্যক্ষদর্শী মিলন সরদার ও দেলোয়ার সরদার বলেন, আবুল বাশার নয়ন মৃধার সমর্থকরা গ্রামে টাকা বিতরন করতেছিল। এতে মোতাহার মৃধার সমর্থক হিরন গাজীসহ ১০-১২ জনে বাঁধা দেয়। এক পর্যায় ক্ষিপ্ত হয়ে নয়ন মৃধার সমর্থক শহীদ মালাকার, ইউসুফ মাতুব্বর ও কাদের সরদারসহ ৬/৭ জনে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। আমরা তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে আমাদেরকেও তারা ধাওয়া করেছে। 

নিহত হিরন গাজীর স্ত্রী তাসলিমা বেগম বলেন, মোর কিছুই রইলো না। ওরা মোর স্বামীরে মাইর‌্যা হালাইছে। মুই এ্যাইয়ার বিচার চাই।  

চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, আবুল বাশার নয়ন মৃধার নেতৃত্বে তার ভাই পান্নু মৃধা ও  আজাদসহ ৪০-৫০ জন গ্রামে ঢুকে টাকা বিতরন করছিল। ওই সময় আমার লোকজন ঘোড়া ঘোড়া বলে ডাক চিৎকার দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার সমর্থক হিরন গাজীকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। আমি এ হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করছি।

অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি গতকাল আমার ব্যবসার কাজে বাসায় সিসি ক্যামেরার আওতায় ছিলাম। মোতাহার মৃধা ও তার লোকজন দিয়েই হিরনকে হত্যা করে পরিকল্পিতভাবে আমার উপর দায় চাপাচ্ছেন। আমি এ হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করছি। 

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ চিন্ময় হাওলাদার বলেন, হাসপাতালে আনার পুর্বেই ছুরিকাঘাতে আহত হিরন নামের একজন মারা গেছে। 

আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ভোটারদের টাকা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় হিরন গাজী নামের একজনকে ছুরিকাঘাত করে। হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।  তিনি আরো বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার চেষ্টা অব্যাহত আছে।


আরও খবর



হিলিতে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের খরিপ-১ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় দিনাজপুরের হিলিতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে আউশ ধানের বীজ,গ্রীষ্মকালিন পেঁয়াজ বীজ ও সার বিতরণের উদ্বোধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১২ টায় হাকিমপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে কৃষি প্রশিক্ষণ হলরুমে ৪ শত ৫০ জন কৃষকদের মাঝে এসব বীজ ও সার বিতরণ করা হয়।এসব বিতরণ অনুষ্ঠানে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায়,উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারুল নাহার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা: আরজেনা বেগম, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মেজবাহুর রহমান,পল্লী উন্নয়ন অফিসার গোলাম রব্বানী, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুরাদ ইমাম কবিরসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম জানান,২০২৩-২৪ অর্থ বছরে খরিপ-১ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় আউশ ধান, পাট ও গ্রীষ্মকালিন পেঁয়াজ (নাবী) এর উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরনের উদ্বোধন করা হয়েছে।তিনি আরও জানান,এ বছর হাকিমপুর উপজেলায় ৪০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে প্রতি বিঘার জন্য আউশ ধানের বীজ ৫ কেজি, ১০ কেজি ডিএফপি ও ১০ কেজি এমওপি সার প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ৫০ জন কৃষকের মাঝে প্রতি বিঘা ১ কেজি পাট বীজ বিতরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে সময়ে ৩০ জন কৃষকের মাঝে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ ও সার বিতরণ করা হবে।


আরও খবর



গোদাগাড়ীতে ঈদ আনন্দ মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | ১২৪জন দেখেছেন

Image

গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃরাজশাহীর গোদাগাড়ীতে প্রথমবারের মত পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেদার ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক প্রকৌশলী এরশাদ আলী আকাশের উদ্যোগে ঈদ আনন্দ মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা অনুষ্টিত হয়েছে।শনিবার সকাল ১০টায় দুইশতাধিক মোটর সাইকেল যোগে গোদাগাড়ী পৌর শহরে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে। এ সময় সাধারন মানুষের সাথে কুশল বিনিময় করে আনন্দ উৎসব সবাই । শোভাযাত্রাটি গোদাগাড়ীর শহরের বিভিন্ন সড়ক এসে সুলতানগঞ্জ বাজারে এসে শেষ হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেদার ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক ও লেস ফুটওয়্যার বিডির চেয়ারম্যান গোদাগাড়ীর কৃতিসন্তান প্রকৌশলী এরশাদ আলী আকাশ বলেন,ঈদ ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকলের জীবনে আনন্দের বার্তা বয়ে নিয়ে আসে। ঈদের আনন্দ আমাদের সবার।” তিনি বলেন, ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে মুসলমানদের আত্মশুদ্ধি, সংযম, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মেলবন্ধন পরিব্যাপ্তি লাভ করুক- এটাই হোক ঈদ উৎসবের ঐকান্তিক কামনা। তিনি আরো বলেন,দলমত নির্বিশেষে আমি সবার পাশে থেকে সেবা করে যেতে চাই। তাই আপনার আমার জন্য দোয়া করবেন যে আপনারদের পাশে সব সময় থাকতে পারি।


আরও খবর



ট্রেন বিলম্ব হলেও সহনীয় পর্যায়ে রাখব: মহাপরিচালক

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ১০৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:যদি বিশেষ কোনো ঘটনা না ঘটে তাহলে আমাদের যে ব্যবস্থাপনা আছে তাতে বাংলাদেশের সব ট্রেন সঠিক সময় চালানোর ব্যবস্থা করতে পারব,বলেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সরদার সাহাদাত আলী । কিছুটা বিলম্ব হলে সেটা আমরা সহনীয় পর্যায়ে রাখব।

শনিবার (৬ এপ্রিল) ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে ঈদযাত্রা পরিদর্শন করতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পশ্চিমাঞ্চল এবং পূর্বাঞ্চলের ট্রেন সমন্বয় করার জন্য পশ্চিমাঞ্চলের কর্মকর্তাদের আমরা ঢাকায় নিয়ে এসেছি। কিছু বিলম্ব থাকতে পারে। কিন্তু খুব বেশি বিলম্ব হবে এটা আশা করছি না। বিলম্বগুলো সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য চেষ্টা করব।

সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ট্রেন বিলম্ব হবে এটা আমরা ধরে নিয়েছি। যখন ট্রেনটা ছাড়ে তখন একরকম থাকে, তারপরে যাত্রীর চাপ বাড়ে, পথে নানা ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে কিছুটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে আবার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকে না। সবকিছু বিবেচনা করে ট্রেন চলাচলে কিছুটা বিলম্ব হবে এটা আমরা ধরেই নিই। যখন একটি ট্রেন বিলম্ব হয়; ধরে নিন একতা এক্সপ্রেস এখন দেরিতে ছেড়েছে। কিন্তু আমাদের একটা স্পেয়ার রেক পঞ্চগড়ে আছে। তখন আমরা সেই কোচ দিয়ে ওইখান থেকে সঠিক সময় ট্রেনটা আবার ছেড়ে দিই। ফলে আমরা কিছুটা বিলম্ব নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।

রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক বলেন, আমাদের যে ট্রেনগুলো স্বাভাবিকভাবে চলে তার বাইরে শেষ তিন দিন ভিড় সামাল দিতে আরও ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। যাত্রী চাহিদা বিবেচনা করে অতিরিক্ত কোচ সংযোজনও বাড়ানো হয়েছে। ট্রেন যাত্রীরা যদি বিশৃঙ্খলা না করে তাহলে আমাদের যে ব্যবস্থাপনা আছে, তাতে আমরা সামলে নিয়ে ট্রেন ঠিকভাবে চালাতে পারব।


আরও খবর

স্বর্ণের দাম আরও কমল

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




সরাইল সাংবাদিক পরিষদের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ২০৬জন দেখেছেন

Image

মোঃ রুবেল মিয়াঃ-

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে "সরাইল সাংবাদিক পরিষদ" এর উদ্যোগে এক আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।এ উপলক্ষ্যে বুধবার (৩ রা এপ্রিল) সন্ধ্যায় সরাইল জেলা পরিষদ ডাক বাংলোর সভা কক্ষে এ দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।সরাইল সাংবাদিক পরিষদ এর সভাপতি মীর মোহাম্মদ আলী সভাপতিত্বে।


সাধারন সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ এর সঞ্চালনায় ও যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো. শওকত হোসেনের সার্বিক সহযোগিতার অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমরানুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডাঃ মো. নোমান মিয়া, বিশিষ্ঠ ঠিকাদার ও সমাজসেবক শফিকুল ইসলাম সেলু, সরাইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহামেদুল কামাল, আনন্দ মেডিকেল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর সত্ত্বাধিকারী আলাউদ্দিন জুরু মিয়া।


সংগঠনের উপদেষ্টা আ'লীগ নেতা আমজাদ হোসেন, উপদেষ্টা ও সম্রাট ফার্নিশার্সের সত্ত্বাধিকারী ফয়সাল আহমেদ মৃধা দুলাল, সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মীর মমিন আলী,  সহ-সভাপতি কামাল পাঠান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, অর্থ ও প্রচার সম্পাদক মুরাদুল হাসান, দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সরাইল বিএডিসি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক মো. রাশেদ মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।সভা শেষে, দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মো. শামীম।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর