Logo
আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ফুলবাড়ীতে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স’র কাছে জিম্মি দুই সহগ্রাধিক গ্রাহক

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ‘প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি’র কাছে হাজার হাজার গ্রাহক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। নির্দিষ্ট মেয়াদ ৫/৬ বছর আগে শেষ হলেও তাদের জমাকৃত অর্থ এবং বিশেষ সুবিধা পাওয়া এখন চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বীমা

গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা না দিয়ে ফুলবাড়ী অফিসের কর্মকর্তা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন অফিস স্টাফরা বলে জানিয়েছেন অনেক গ্রাহক।জীবন বীমা একটি চুক্তি যার অধীনে নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে একজন বীমা গ্রাহকের উপর ঘটে যাওয়া আকস্মিক কোন দুর্ঘটনা বা মৃত্যুর জন্য তার পূর্ব নির্ধারিত মনোনীতককে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়। এ চুক্তি কার্যকর করার জন্য বীমা গ্রাহক বীমা কোম্পানিকে প্রতিনিয়ত প্রিমিয়াম প্রদান করে থাকেন । সেইপ্রিমিয়াম প্রদানসম্পন্ন করেও ৫/৬ বছর অতিবাহিত হলেওবিশেষ সুবিধা কিংবা ন্যায্য পাওনা থেকে এখন অনেকটাই অনিশ্চিত।

ফুলবাড়ী ‘প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি’টি মেইন রোড সংলগ্ন মধ্যগৌরী পাড়ায় ৩ তলা বিল্ডিংয়ের নিচতলায় অফিস। পার্বতীপুর, বিরামপুর, চিরির বন্দর, দিনাজপুর সদর, বিরল, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট, আমবাড়ী, দাউদপুর এসব উপজেলা-স্থান নিয়ে ফুলবাড়ী অফিসটি।

ভুক্তভোগী বীমা গ্রাহকের বর্ণনা:আব্দুল কাদের, পিতা-মৃত রমজান আলী। গ্রাম রামেশ্বরপুর।পলিসি নম্বর ০৫৯৩৩৮২-৩। ভ্যান গাড়ি চালায়। ফুলবাড়ীর অফিস থেকে বাড়ি ১৮ কি.মি. দূরে। ২০০৯ সালে বছরে ২টি কিস্তি ১১০০ টাকা করে দিয়ে ১২ বছরে মেয়াদ পূর্ণ হয় ২০২১ সালে। মোট সঞ্চয় জমা হয় ২৪ হাজার ৮০০ টাকা। তিনি এখন সঞ্চয়সহ মুনাফার জন্য ২০২১ সাল থেকে ধর্না দিচ্ছেন ! প্রতি মাসে নিজের কাজ ফেলে ৩/৪ বার করে আসেন।অফিসে তারা ব্যবহারও ভালো করেন না।এই টাকা পেলে তিনি কর্জ পরিশোধ করতেন।

সৈয়দ ইমাম হাসান (প. নম্বর ০৫৯৩২২৮-৮)নামের একজন গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন,তিনি এখানকার অফিসের কথা শুনে ঢাকার অফিসে গিয়ে তারা বলছেন,যা কিছু করার সব স্থানীয় ফুলবাড়ীর অফিসেই করবে।তাদের সাথেই কথা বলতে বলেছেন।

আর এক অভিযোগকারী রাধানগর গ্রামের জাহানারা বেগম। পলিসি নম্বর ০৫৭৭৮৫৯-৫ ।স্বামী থেকেও নেই, অন্যের বাড়িতে কাজ করেন।২৭.০৬.১৯১০ তারিখে বীমা শুরু করেন।২০২২সালে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়। ৩বছর ধরে হয়রানির শিকার হচ্ছেন! এমন অভিযোগ শত সহ¯্রজনের।প্রতিদিনই অফিসে বীমাকারীদের ভিড় বাড়ছে।২০১৯ সাল থেকে গ্রাহকের চেক দেয়া প্রায় বন্ধ রেখেছে। অথচ গ্রাহকদের মেয়াদ৫/৬ বছর আগেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। ফুলবাড়ীর অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে গ্রাহক চেক পাবেন ১০ থেকে ১৫ টি। ২০২০ সালে চেক পাবেন ৭০ থেকে ৭৫টি। ২০২১ সালে চেক পাবেন ৩০০ থেকে ৩৫০ টি। ২০২২সালে চেক পাবেন ৪ শতাধিক। ২০২৩ সালে চেক পাবেন ২ শতাধিক। ২০২৪ সালে জানুয়াারি পর্যন্ত ১ শতাধিক।এই হিসেবটি একমাত্র অফিসের।কিন্তু ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগ ২ সহগ্রাধিক।

ভুক্তভোগী বীমা গ্রাহক:১.লোকমান আলী পলিসি নম্বর ০৩১৫১৮৮-৬ ২.খাদিজা খাতুন প.নম্বর ০৫৯৩৩২২-৫ ৩.হাফিজুর রহমান প.নম্বর ০৫৯৩০৫৮-৮ ৪.সৈয়দ ইমাম হাসান প. নম্বর ০৫৯৩২২৮-৮ ৫.অশোক কুমার হালদার প. নম্বর ০৪৬৫৮৫৯-৪ ৬.শরিফা খাতুন প.নম্বর ০১৯৯৮৪৪-৬ ৭.মো. মোহন প.নম্বর ০১৯৯৯২২-৫ ৮.মো. সোহরাব হোসেন প.নম্বর ০৩০৭১৬৭ -২ ৯.মো.আরজুল হক প.নম্বর ০৩০৭১২২-৫ ১০.লুৎফর রহমান প.নম্বর ০৩০৬৮৯২ -০ ১১.মো. আনোয়ার হোসেন প.নম্বর ০৩০৬৮৯১-০ ১২.মোছা. পারভিন বেগম প.নম্বর ০৩০৭২১৩-৩ ১৩. মুশফিকুর রহমান প.নম্বর ০৫৮৫২৮৪-৪ ১৪.এনামুল হক প.নম্বর ০৫৮৫২৭২-২ ১৫.আব্দুল কাদের প.নম্বর ০৫৯৩৩৮২-৩ ১৬.সাইফুল ইসলাম প.নম্বর ০৫৯৩৩৮১ -৫ ১৭. জাহানারা বেগম প.নম্বর ০৫৭৭৮৫৯-৫।

পাশের দোকানদার নুরুজ্জামান জামান এবং মো.ফায়সাল জানান, এই প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স কো. লি. -এ প্রতিনিয়ত গ্রাহক এসে দেখা যায় অফিসের লোকদের সাথে তর্কবিতর্ক করছে। টাকা দিতে না পারায় ভুক্তভোগীরা অফিসে এসে গ্যাঞ্জাম করে।অফিসটি গ্রাহকদের চরম হয়রানি করাচ্ছে।পাওনাদারের টাকা নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।

প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) শাখার জিএম ও ইনচার্জ মো.আনিছুর রহমান বলেন, করোনা মহামারীর পর থেকে প্রায় ১৮ মাস অফিস বন্ধ থাকায় অনেক গ্রাহকের মেয়াদ উত্তীর্ণ কাগজপত্র জমা প্রদান করেন গ্রাহকগণ।

২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। পর্যায়ক্রমে চেক প্রদান করলেও প্রায় ১১ শতাধিক গ্রাহকের চেক প্রদান না করতে পারায় বর্তমান অফিস ইনচার্জ হতাশার মুখে। ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বললে ‘হবে হচ্ছে দিচ্ছি এভাবে সময়ক্ষেপণ করায় প্রতিনিয়ত ফুলবাড়ী অফিসে শত শত গ্রাহক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ইনচার্জ কখনো অফিসে বসেন, কখনো বসেন না। প্রতিনিয়ত গ্রাহকের উৎপীড়নে অফিসে দেখা করাই মুশকিল হয়ে পড়েছে।অবশ্য গ্রাহকের মধ্যে একেবারে চেক দেয়া বন্ধ হয়নি,তবে সন্তোষজনক নয়। ফুলবাড়ীর ইউএনও মীর মো. আল কামাহ তমাল বলেন, গ্রাহকের হয়রানির বিষয়টি আমার জানা নেই।কেউ অভিযোগ দিলে সে বিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এতগুলো বীমাকারীর সাথে হয়রানির অভিযোগ গুরুত্বের সাথে দেখা হবে।

পৌরসভার মেয়র মাহমুদ আলম লিটন বলেন, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লি. ফুলবাড়ী লোভনীয় অফার-নিশ্চয়তা দিয়ে মানুষকে সর্বস্বান্ত করছে। সহগ্রাধিক লোকের সাথে মশকরা করছে। আমার কাছেও অভিযোগ এসেছে। জিএম সাহেবের সাথে কথাও বলেছি। কোনো কাজ হয়নি। ফুলবাড়ীর এই প্রগ্রেসিভ কোম্পানি হাজার হাজার মানুষকে ধোঁকা দিয়ে দিন ডাকাতি করছে। সর্বশান্ত করছে এলাকার মানুষকে। কোন প্রতিকার পাচ্ছে না কোন গ্রাহক। এর দায়ভার কার? কে নিবে এদের দায়িত্ব?


আরও খবর



কালিয়াকৈরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু, বাস আটক

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বেপরোয়া গতির একটি বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী-স্ত্রীর মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।গত রোববার রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার কালিয়াকৈর বাইপাস বাসষ্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ঘাতক বাসটি আটক করলেও চালক ও সহযোগীকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। নিহতরা হলেন, কালিয়াকৈর উপজেলার বড়ইতলী এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে আসিফ মাহমুদ হৃদয় এবং তার স্ত্রী তানজিম বকশি।

এলাকাবাসী, নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ছয় মাস আগে আসিফের সঙ্গে পারিবারিকভাবে একই উপজেলার উপজেলার বলিয়াদি বকশিবাড়ির মৃত মুক্তা বকশির মেয়ে তানজিম বকশির বিয়ে হয়। গত রোববার দুপুরে স্বামী-স্ত্রী দুজনে মোটরসাইকেল যোগে তাদের এক স্বজনের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে পার্শ্ববর্তী টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার কুড়িপাড়া এলাকার যান। ওই অনুষ্ঠান শেষে ওইদিন রাতে তারা মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর বাইপাস এলাকায় পৌছে। পরে তারা আন্ডারপাসের নিচ দিয়ে মোটরসাইকেল যোগে বাইপাস বাসষ্টেশন এলাকায় মহাসড়কটি পারাপার হচ্ছিলেন। কিন্তু টাঙ্গাইলগামী বেপরোয়া দ্রুতগতির মাহি পরিবনের বাস তাদের চাপা দিলে মোটরসাইকেলটি মহাসড়কের ওপর ছিটকে পড়ে। আর আসিফ ও তার স্ত্রী বাস চাপায় গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকার সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ওই হাসপাতালে নেওয়ার পথেই স্বামী-স্ত্রী দুজনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার এবং ঘাতক বাসটি আটক করে। কিন্তু পুলিশ পৌছানোর আগেই ঘাতক বাসের চালক সহযোগী পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা যায়নি। পরে আবেদনের প্রেক্ষিতে নিহতদের লাশ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। এদিকে নিহত স্বামী-স্ত্রীর লাশ তাদের গ্রামের বাড়ি পৌছলে এক হৃদয়বিধারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাতে দুরপাল্লার মালামাল ভর্তি ওভারলোড করা ট্রাকগুলো খুব ধীরগতিতে ফ্লাইওভার ও আন্ডারপাসগুলোতে উঠে। আর দুরপাল্লার বাস ওই ধীরগতি ট্রাকের পেছনে না গিয়ে ফ্লাইওভার ও আন্ডারপাসের নিচ দিয়ে বেপরোয়া গতিতে যায়। এই বেপরোয়া গতির জন্যই অকালেই নিভে গেলো ওই স্বামী-স্ত্রীর প্রাণ। তবে এসব ওভারলোড ট্রাক ও বেপরোয়া গতির বাসের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রায় প্রতিনিয়ত এমন দুর্ঘটনা ঘটছে।

নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই দুর্ঘটনার পর ঘাতক বাসটি আটক করলেও চালক ও তার সহযোগী পালিয়ে গেছেন। তবে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর



গাংনীতে আইসক্রীম কারখানায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ২৯জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ,মেহেরপুর প্রতিনিধিঃঅনুমোদনহীন আইসক্রীম কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়  করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর। আজ বুধবার দুপুরের মেহেরপুরের গাংনীর হাড়াভাঙ্গা গ্রামের আইকন বেভারেজ নামের এই কারখানায় অভিযান পরিচালিত হয়।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর মেহেরপুর কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক সজল আহম্মেদ জানিয়েছেন, আইকন বেভারেজ নামের একটি আইচক্রীম কারখানার কোন অনুমোদন নেই। বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ও ফ্লেভার দিয়ে আইসক্রীম তৈরী করা হচ্ছিল।

অনুমোদন না থাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইনে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়  করা হয়েছে। সেই সাথে জব্দ করা হয়েছে আইচক্রীমে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ও ফ্লেভার।


আরও খবর



২৯ পরিবেশনায় রমনা বটমূলে বর্ষবরণ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানীর রমনার বটমূলে বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নিতে মানুষের ঢল নামে। বটমূলে প্রতি বছরের মতো এবারও আয়োজন করা হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৬টায় আহির ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে শুরু হয় বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। একে একে পরিবেশন করা হয় মোট ২৯টি পরিবেশনা। জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সকালে শেষ হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।

সবশেষ পরিবেশনাটি ছিল শচীন দেববর্মনের সুরে করা ‘টাকডুম টাকডুম বাজাই’ গানটি। এরপর ছিল নববর্ষ কথন। নববর্ষ কথন শোনান ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী।

এবারের কথনের শেষ অংশে বলা হয়, ‘অমানবিক এই অস্বাভাবিকতা থেকে বেরোতে হবে। নইলে বাঙালির প্রাণপ্রিয় এই নববর্ষ উদযাপনও হয়ে পড়বে কেবল একটি দিনের জন্য বাঙালি সাজবার উপলক্ষ।

সারওয়ার আলী আরও বলেন, ‘আজ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম প্রভাতের সুরবাণী আঁধার রজনী পোহালো, জগত পূরিল পুলকে। নববর্ষের নবীন আলোয়, নবীন আশায়, নবজীবন লাভ করে সবাই যেন স্বাভাবিকতায় ফিরি এবং সম্প্রীতির সাধনায় নিজেদের নিমগ্ন করি—এই হোক আমাদের প্রতিজ্ঞা। শুভ নববর্ষ।’

এবারের আয়োজনে সম্মেলক গান ১১টি, একক গান ১৫টি এবং পাঠ ও আবৃত্তিও ছিল। এ আয়োজনকে ঘিরে পুরো রমনা পার্ক এলাকা নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। পার্কের ভেতরে ডিএমপি, র‌্যাবের কন্ট্রোল রুম বসানো হয়েছে।

পর্যটকদের সহায়তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের টিম, লেকে নৌপুলিশের টিম, মেডিকেল টিম, লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টার, রক্তদানের বুথ রয়েছে। এছাড়া, ডিএমপির পক্ষ থেকে বিনামূল্যে সুপেয় পানির ব্যবস্থা রয়েছে।

বাংলা নববর্ষের দিনটি বাঙালিদের জন্য সবচেয়ে আনন্দময়, সবচেয়ে রঙিন উৎসব। এদিন বাঙালি জাতি পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয় আনন্দ উৎসবের মাধ্যমে। তাইতো নববর্ষকে বরণ করতে ভোর থেকেই মানুষের ঢল নামে রমনায়।


আরও খবর



মাদক কারবারে সাবেক এমপি বদির ২ ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে সিআইডি

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) থেকে জানানো হয়েছে,মাদক ব্যবসার সঙ্গে টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগের সিআইডির মিডিয়া সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

‘সিআইডির জালে মাদকের গডফাদাররা: বিপুল পরিমাণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সিআইডি ৩৫টি মামলা তদন্ত করে মাদক মামলার মূল হোতা তথা গডফাদারদের মাদক ব্যবসা থেকে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ (ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখা), ক্রয়কৃত জমি, বাড়ি ও ফ্ল্যাটসহ বিভিন্ন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান পায়। এসব মামলায় অবৈধভাবে অর্জিত অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৭৮.৪৪ কোটি টাকা। সিআইডি ইতোমধ্যে উল্লিখিত মামলাসমূহের মধ্যে ৩টি মামলায় গডফাদারদের ৯.১৪ একর জমি ও ২টি বাড়ি যার মূল্য ৮.১১ কোটি টাকা ক্রোক এবং মাদক সংক্রান্ত মানিলন্ডারিং বিভিন্ন মামলায় ব্যাংকে রাখা ১ কোটি ১ লাখ ২৩ হাজার ৪২৫ টাকা ফ্রিজ করেছে। আরও ৩৫ দশমিক ১৭৩ একর জমি, ১২টি বাড়ি ও ১টি গাড়ি যার মূল্য ৩৬ দশমিক ৮২ কোটি টাকা ক্রোকের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া আরও বলেন, মাদকের গডফাদার হিসেবে কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির নাম বার বার উঠে এসেছে। ৩৫ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে সিআইডি বদি বা তার ভাইয়ের মাদক ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। মাদক মামলার মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। বদির বিরুদ্ধেও যদি আমরা সাক্ষ্য-প্রমাণ পাই তাহলে ছাড় দেওয়া হবে না। যার বিরুদ্ধেই তথ্য-প্রমাণ পাব ধরা হবে, ছাড় দেওয়া হবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কক্সবাজারে পর্যায়ক্রমে মাদকের সব গডফাদারদের আইনের আওতায় আনা হবে। মাদক ব্যবসায় যারা অবৈধভাবে সম্পদ ও অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছেন তাদের অবৈধ সম্পদ আইনি প্রক্রিয়ায় সরকারি কোষাগারে চলে যাবে। দেশ প্রেমিক নাগরিকদের প্রতি মাদক গড ফাদারদের তথ্য সিআইডিকে প্রদান করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।


আরও খবর



এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিশেষ নির্দেশনা

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ হয়েছে। রুটিন অনুযায়ী আগামী ৩০ জুন শুরু হবে এ পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১১ আগস্ট; আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট থেকে ২১ আগস্টের মধ্যে শেষ করতে হবে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আবুল বাশারের স্বাক্ষর করা রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে।‌

রুটিন অনুযায়ী, অধিকাংশ বিষয়ের পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। তবে কয়েকটি বিষয়ের পরীক্ষা দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত হবে। রুটিন প্রকাশের পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছে কিছু বিশেষ নির্দেশনা।

নির্দেশনাগুলো হলো:

১. পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে।

২. প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

৩. ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল (সিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। ব্যবহারিক বিষয় সম্বলিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষায় সময় ২৫ মিনিট এবং ৫০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট। পরীক্ষা বিরতিহীনভাবে প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত সময় পর্যন্ত চলবে। এমসিকিউ এবং সিকিউ উভয় অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।

৪. প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।

৫. পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে সংগ্রহ করবে।

৬. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী সরবরাহ করা উত্তরপত্রে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি ওএমআর ফরমে যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই মার্জিনের মধ্যে লেখা কিংবা অন্য কোনো প্রয়োজনে উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না।

৭. পরীক্ষার্থীকে তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) আলাদাভাবে পাস করতে হবে। ৮. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশ পত্রে উল্লিখিত বিষয় বা বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই অন্য বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। ৯. কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিজ কলেজ বা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না, পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে। ১০. পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সাইন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না। ১১. পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না। কোনো পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে পারবে না।

তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) আলাদাভাবে পাস করতে হবে।

৮. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশ পত্রে উল্লিখিত বিষয় বা বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই অন্য বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

৯. কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিজ কলেজ বা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না, পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে।

১০. পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সাইন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না।

১১. পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না। কোনো পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে পারবে না।





আরও খবর