ফকিরহাট(বাগেরহাট)সংবাদদাতা:বাগেরহাটের ফকিরহাটে পিলজংগ এলাকার বাশ বাগান থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহটি খুলনার দাকোপ উপজেলার দোপাধী রামনগর এলাকার বারেক গাজীর মেয়ে হামিদা বেগমের। শুক্রবার রাতে আটকের পর নিহতের স্বামী লিটন গাজী পরকীয়ার জেরে হামিদাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জনিয়েছেন।
শনিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুর রহমান। লিটন গাজীর বরাত দিয়ে তিনি আরো বলেন, আড়াই বছর আগে হামিদা বেগমের সঙ্গে লিটন গাজীর বিয়ে হয়। এটি হামিদার দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই হামিদা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন।
বিষয়টি মেনে নিতে পারছিলেন না লিটন। পরে ৪ জানুয়ারি কৌশলে হামিদাকে ডেকে এনে শুকদাড়া এলাকার একটি বাগানে নিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যান। গত শুক্রবার
বিকালে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের ফকিরহাট উপজেলার শ্যামবাগাত এলাকার একটি বাশ বাগান থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার হয়। ওই রাতেই আলামতসহ লিটন গাজীকে আটক করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হামিদার মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। পরে লিটন গাজীকে আসামি করে শনিবার সকালে নিহতের ছোট বোন সালমা খাতুন বাদী হয়ে ফকিরহাট থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লিটন গাজীকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হ¯Íান্তর করা হয়েছে।