Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

ফারদিনের বান্ধবী বুশরাকে কারাগারেই থাকতে হবে

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ২৫০জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক; বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের হত্যা মামলায় তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাইল্লাহ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, ডিবি পুলিশের খিলগাঁও জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক মজিবুর রহমান পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে বুশরাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। এর আগে গত ১০ নভেম্বর আদালত আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আজকের শুনানিতে বুশরার পক্ষে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। বুশরার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতা মোখলেসুর রহমান বাদল, এ কে  এম হাবিবুর রহমান চুন্নুসহ কয়েকজন আইনজীবী।

রিমান্ড আবেদনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেছিলেন, গত ৪ নভেম্বর দুপুর ৩টার দিকে ফারদিন পরীক্ষার জন্য বুয়েটের উদ্দেশে বের হন। ফারদিনের সঙ্গে যোগাযোগ না হওয়ায় বাবা নুর উদ্দিন রানা বুয়েটে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তিনি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এবং তার মোবাইল বন্ধ। এ অবস্থায় ভুক্তভোগীর বাবা রামপুরা থানায় ৫ নভেম্বর একটি জিডি করেন।

তিনি বলেন, ফারদিন বাসা থেকে বের হওয়ার দিন থেকে বিকেল পর্যন্ত বুশরার সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। প্রথমে তারা সিটি কলেজের কাছে একত্র হয়। পরে তারা নীলক্ষেত, ধানমন্ডি এলাকা ঘুরে এবং বিকেল ৫টার দিকে ‘ইয়াম চা ডিস্ট্রিক’ নামের একটি রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়েছেন। পরে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ঘুরে বেড়িয়েছেন।

আবেদনে বলা হয়, ৪ নভেম্বর রাত ১০ টার দিকে রিকশায় রামপুনা থানাধীন টিভি ভবন সংলগ্ন এলাকায় আসে। এদিকে তিন খোঁজাখুঁজির পর ৭ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে ফারদিনের বাবা খবর পান, তার ছেলের লাশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন শীতলক্ষ্যা নদী থেকে নৌ-পুলিশ উদ্ধার করেছে। পরে তিনি ছেলের লাশ শনাক্ত করেন।

আবেদনে আরও বলা হয়, ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় বুশরাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামির সঙ্গে ভুক্তভোগীর প্রেমসহ ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন তারা একত্রে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাফেরা করেছে। ফারদিনের হত্যার ঘটনাটি খুবই রহস্যজনক। ভুক্তভোগী বুয়েটের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। তার এই রহস্যজনক মৃত্যুতে ভুক্তভোগীর পরিবার, সহপাঠী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং সবাই মর্মাহত। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচার-প্রচারণা চলছে। এই ঘটনাটি  চাঞ্চল্যকর।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামি বুশরাই একমাত্র ঘটনার প্রকৃত রহস্য জানে। কারণ ঘটনার দিন তারা একত্রে অবস্থান করছিলেন। তাই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ভুক্তভোগীকে কয়জন মিলে হত্যা করেছে, কীভাবে, কোথায় , কোন অস্ত্র দিয়ে হত্যা করেছে এবং কীভাবে, কোন স্থান থেকে ভুক্তভোগীর লাশ নদী ফেলানোর জন্য, কী কারণে ভুক্তভোগীকে হত্যা করেছে তা জানার জন্য আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করা প্রয়োজন।

বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন গত ৫ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। ওইদিনই রাজধানীর রামপুরা থানায় এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা কাজী নূর উদ্দিন। নিখোঁজের দুদিন পর গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিন নূর পরশের লাশ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ।

ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বিজনেস পত্রিকা ‘দ্য রিভারাইন’ এর সম্পাদক ও প্রকাশক। তিনি দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে সাংবাদিকতা করছেন।


আরও খবর



শাহজালালে ফ্লাইট ওঠানামা তিনদিন ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৮৫জন দেখেছেন

Image
  • নিজস্ব প্রতিবেদক:রানওয়ের রক্ষণাবেক্ষণসহ বেশ কয়েকটি কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের। এজন্য আগামী ৫ থেকে ৭ মে বিমানবন্দরের এ রানওয়েটি রাত ১২টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এ তিনদিন মধ্যরাতে ৩ ঘণ্টার জন্য ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকবে। এ সময়টাতে রানওয়ের মার্কিং করা, বৈদ্যুতিক ও রক্ষণাবেক্ষণের কিছু কাজ করা হবে।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, এ ৩ ঘণ্টায় বিমানবন্দরে নিয়মিতভাবে সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স, মালয়েশিয়ান এয়ারওয়েজ, থাই এয়ারওয়েজ, কুয়েত এয়ারওয়েজ, কাতার এয়ারওয়েজ ও ক্যাথে প্যাসিফিকের ফ্লাইট থাকে। তাদের এ তিনদিন ফ্লাইটের সময় এগিয়ে বা পিছিয়ে নিতে বলা হয়েছে।

এর আগে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লাইট ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং যাত্রীসেবা মানোন্নয়নে রানওয়ের সেন্ট্রাল লাইনে আরও লাইট স্থাপনের জন্য ২ মাস ৫ ঘণ্টার জন্য শাহজালাল বিমানবন্দরের রানওয়ে বন্ধ করা হয়েছিল।


আরও খবর



মাগুরা গন কমাটির উদ্যোগে জীবন সংগ্রামী ওহিদুল হক মিয়ার স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৯৯জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরার বিশিষ্ট সমাজকর্মী, প্রগতিশীল ব্যক্তিত্ব, তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি মাগুরা জেলার আহ্বায়ক, আজীবন সংগ্রামী ওহিদুল হক মিয়া গত ১৪ মার্চ ২০২৪ মৃত্যুবরণ করেন।  ২০ এপ্রিল ২০২৪ শনিবার সকাল ১১টায় সৈয়দ আতর আলী পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে গণকমিটি মাগুরা জেলার উদ্যোগে ওহিদুল হক মিয়া স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। গণকমিটি মাগুরা জেলার আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ জাসদের মাগুরা জেলা শাখার সভাপতি এটিএম মহব্বত আলীর সভাপতিত্বে এবং গণকমিটি মাগুরা জেলার সদস্য সচিব ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ মাগুরা জেলা শাখার আহ্বায়ক প্রকৌশলী শম্পা বসুর পরিচালনায় স্মরণ সভায় আলোচনা করেন ওহিদুল হকের স্ত্রী নুরুন্নাহার,বাম গণতান্ত্রিক জোট মাগুরা জেলার সমন্বয়ক এবং বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শিক্ষাবিদ কাজী নজরুল ইসলাম ফিরোজ, বিশিষ্ট সমাজ সেবক কামরুজ্জামান চপল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি মাগুরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এটিএম আনিসুর রহমান, মাগুরা রেডিয়েন্ট স্কুলের পরিচালক, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুত বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি মাগুরা জেলার সদস্য সচিব শরীফ তেহরান টুটুল, বাল্যবন্ধু আশরাফুল ইসলাম, প্রতিবেশী সুজিত দাস, গণফোরাম মাগুরা জেলার নেতা হামিদুল হক ও আব্দুল বারিক বিশ্বাস প্রমুখ। 

বক্তাগণ স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে ওহিদুল হকের সংগ্রামী জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি আজীবন শোষণমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে গেছেন। সেই শোষণমুক্তির লড়াইয়ে নিজেদের আরও বেশি সক্রিয় রাখার মাধ্যমে ওহিদুল হকের সংগ্রামী জীবনের প্রতি প্রকৃত অর্থে শ্রদ্ধা জানানো হবে বলে আলোচকেরা উল্লেখ করেন।

আরও খবর



বেনাপোল কাস্টমসে ল্যাগেজ বাণিজ্যে হুমকির মুখে আমদানি বাণিজ্য

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমসে চলছে অবৈধ ল্যাগেজ বাণিজ্য। দেশের অভ্যন্তরে বিনা শুল্কে অবৈধ পণ্য প্রবেশ করায় মারাত্মক হুমকির মুখে আমদানি বাণিজ্য। স্থানীয় ল্যাগেজ পারাপারকারী চোরাই সিন্ডিকেটের সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তাদের রমরমা ঘুষ বাণিজ্য চলতে থাকায় প্রতিদিন সরকার হারাচ্ছে পণ্য চালান বাবদ কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। একই সাথে চলছে যাত্রীপ্রতি ১ হাজার টাকার ট্রাভেল ট্যাক্স ফাঁকির মহোৎসব।

বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ড থেকে ভারতের পশ্চিমবাংলার রাজধানি কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। এখান থেকে দু'দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বিজনেস, ট্যুরিস্ট, মেডিকেল ও স্টুডেন্ট ভিসার সিংহভাগ যাত্রী এ পথেই যাতায়াত করে থাকেন। প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ হাজার যাত্রী যাতায়াতের এই চেকপোস্ট থেকে ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকার রাজস্ব আসার কথা। যা ইমিগ্রেশন এন্ট্রি কাউন্টার থেকে প্রতিদিনের যাত্রী সংখ্যা আর কাস্টমসের রাজস্ব আয়ের হিসাব মেলালে শুভঙ্করের ফাঁকি বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন সচেতনমহল।

সুত্র মতে জানা যায়, ল্যাগেজ পারাপারকারী যাত্রীর কাছ থেকে প্রতিদিন ইমিগ্রেশনে কর্মরত অধিকাংশ ঘুষখোর কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদমর্যাদার মান বুঝে নগদ ঘুষ বাণিজ্য হয় সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত। সেখানে নাম মাত্র দু-একজন ননটেকার নামধারী কর্মকর্তা থাকলেও তাদের বিভিন্ন কাজের মাঝে চুরি করে ল্যাগেজ পণ্য পারাপার করেন এসব টেকার নামধারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এছাড়া দেশের সর্ববৃহৎ স্থল প্রবেশপথ বেনাপোল দিয়ে যাতায়াতে স্ক্যানিং মেশিন থেকে শুরু করে পথে পথে অহেতুক ব্যাগ তল্লাশির নামে হয়রানি করেন এসব কর্মকর্তা। লোভ তাদের এমনভাবে ঘিরে ফেলেছে যেখানে ব্যাগপ্রতি অবৈধ চাহিদার টাকা না দিলে ব্যবহারের জন্য ভারত থেকে নিয়ে আসা সামান্য কেনাকাটার পণ্যসামগ্রী ডিএম করে এবং তা কাস্টমসে জমা দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন অগণিত পাসপোর্ট যাত্রী। এছাড়া তাদের পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। যে কারণে এ পথ দিয়ে প্রতিনিয়ত কমতে শুরু করেছে পাসপোর্ট যাত্রী চলাচল। সরকার হারাতে বসেছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

তথ্যানুসন্ধানে আরো জানা যায়, ভারত থেকে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ ট্রাক আমদানি পণ্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করত। এখন ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের অবাধ বিচরণে তা কমে ২০০ থেকে ৩০০ ট্রাকে পরিণত হয়েছে।

আমদানিকারকরা বলছেন, বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমস দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক ঘুষ লেনদেনে রমরমা ল্যাগেজ বাণিজ্য চলছে। ভারত-বাংলাদেশের সহস্রাধিক চোরাকারবারি বেনাপোল চেকপোস্টের কয়েকটি শক্তিশালী ল্যাগেজ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এ ব্যবসাটি পরিচালনা করছে। এরা কাস্টম সহ কয়েকটি সংস্থার কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে অবৈধ পণ্য পাচার করছে। সেই সঙ্গে যাত্রীপ্রতি ১ হাজার টাকার ট্রাভেল ট্যাক্স জালিয়াতি করে প্রতিদিন সরকারের লাখ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। একই সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তারা সব যাত্রীকে চোরাকারবারি ভেবে তাদের শরীর ও ব্যাগে নোংরাভাবে তল্লাশি করায় হয়রানির ভয়ে এ পথ ছাড়ছেন অনেকে। যে কারণে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে যাত্রী যাতায়াত আগের ৮-১০ হাজার থেকে ৩-৪ হাজারে নেমে এসেছে।

জানা যায়, বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসের স্ক্যানিং মেশিনে কর্মরত সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) নাঈম, ইমরান ও  দিদারের সঙ্গে স্থানীয় ল্যাগেজ সিন্ডিকেটসহ অন্যান্য শুল্কফাঁকি চক্রের ঘুষ চুক্তিতে চলছে এখানকার রমরমা সব অবৈধ বাণিজ্য। সপ্তাহের প্রতিদিন তারা ব্যাগপ্রতি সর্বনিম্ন ৩ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ চুক্তিতে তল্লাশিবিহীন ৫০০ থেকে ৬০০ যাত্রীর ল্যাগেজ পাচার করছে।

বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের এক ব্যবসায়ী নেতা জানান, আমদানিকারকরা সরকারি আমদানিনীতির প্রতিটি শর্ত পূরণ করে পণ্য আমদানি করে। যা বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে ১ থেকে ২ মাস সময় লাগে। বন্দরে আসার পর তা কাস্টমসে পরীক্ষণ, শুল্কায়ন নির্ধারণ, রাজস্ব পরিশোধ, ছাড়করণ, লোড-আনলোড, পরিবহনসহ ইত্যাদি খরচ যোগ হয়, এরপর লভ্যাংশ।তাতে অবৈধ ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের পণ্য প্রায় দুমাস আগেই কমমূল্যে ঢাকাসহ বড় বড় বাজার দখল করে নেয়ায় ব্যবসায় মারাত্মক হিমশিম খেতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। অনেকে লোকসান ঠেকাতে বাধ্য হচ্ছে আমদানি বাণিজ্য বন্ধ করতে। তাতে সরকার হারাচ্ছে শত শত কোটি টাকার রাজস্ব।

সরজমিনে বিষয়টি জানতে স্থানীয় এক সাংবাদিক পাসেপার্ট যাত্রী হয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। এ সময় ল্যাগেজ পণ্য পাচারের মহোৎসব চলতে থাকায় তার ভিডিওচিত্র ক্যামেরায় ধারণ করতে গেলে স্ক্যানিং মেশিনের সামনে থেকে অগ্নিমূর্তি ধারণ করেন এআরও নাঈম, সুপার জাহাংগীর ও সুপার মোখলেছুর রহমান। তিনি হুংকার দিয়ে তেড়ে আসেন এবং এ প্রতিবেদকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে বার বার উদ্ধত হন। পাসপোর্ট সাথে থাকা ছোট একটি ল্যাগেজ ছিনিয়ে নেয়া সহ অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন। এ সময় নীরব দর্শকের মতো তার পাশে তাকিয়ে ছিলেন দায়িত্বরত রাজস্ব কর্মকর্তারা। বিভিন্ন ভঙ্গিতে আরো উপস্থিত ছিলেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা, আনসার সদস্য, ইমিগ্রেশন পুলিশ, ব্যাটালিয়ন পুলিশ এবং বিভিন্ন শ্রেণির দালাল নামধারী বিভিন্ন প্রিন্ট পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা ও বড় বড় টিভি'র সাংবাদিকরা। দালাল নামধারী কতিপয় দুই ব্যক্তি দিনের বেশিরভাগ সময় ইমিগ্রেশন কাস্টমস ভভ্যন্তরে থাকেন বলে স্থানীয়দের অভিযােগ। সে সময় উক্ত সাংবাদিককে শারিরিকভাবে লাঞ্চিতও করা হয়। ইমিগ্রেশন কাস্টমসের সিসি ফুটেজ ঘাটলে বেরিয়ে আসবে কাস্টম কর্মকর্তাদের রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার আসল চরিত্র। কথা হয় বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন কাস্টমসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকলেসুর রহমানের সঙ্গে। তিনি সব অভিযোগ সঠিক না বলে জানান। পরে অবশ্য উক্ত সাংবাদিকের ল্যাগেজ সহ পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেন।


আরও খবর



মোবাইল নিয়ে ঝগড়া, মা ও সন্তানকে পিটিয়ে হত্যা করলো বাবা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image

মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃদিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জে ছেলে-মেয়ের মোবাইলে গেম ও ভিডিও দেখাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির জেরে মাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বাবা। এ সময় ছেলে-মেয়েকে ও বাবা পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়ে আফরিন আক্তার (৫) ও মারা যায়। আর ছেলে আল আমিন (১২) এখন দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিসাধীন রয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে দিনাজপুর জেলার  নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের হেয়াতপুর (চিনির চড়া) গ্রামে মর্মান্তিক এ ঘটেছে। পরে হত্যার অভিযোগে বাবা শহিদুল ইসলামকে আটক করেছে নবাবগঞ্জ পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার (২০ এপ্রিল) রাত সাড়ে আটটার দিকে মা মর্জিনা বেগম (৩০) রান্না করছিলেন। এ সময় ছেলে আল আমিন(১২) ও মেয়ে আফরিন আক্তার (৫) মোবাইল দেখছিল। এ সময় হঠাৎ দুই ভাইবোন মোবাইল নিয়ে ঝগড়া শুরু করে। মা মর্জিনা বেগম দুইজনকে ঝগড়া বন্ধ করতে বলেন। তবে তারা থামছিল না। একপর্যায়ে তিনি গিয়ে ছেলে ও মেয়েকে চড়থাপ্পড় দেন। এতে উত্তেজিত হয়ে পড়েন শিশু দুটির বাবা শহিদুল। এসময় শহিদুল ও স্ত্রীর মধ্যে তর্ক ও ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বামী শহিদুল ইসলাম চৌকাট দিয়ে স্ত্রী মর্জিনা বেগমকে পেটান। এতে তিনি মারা যান। এসময় তিনি ছেলে-মেয়েকেও পিটিয়ে গুরুত্ব আহত করে। পরে স্থানীয়রা শিশু দুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়ে আফরিন আক্তার(৫)ও মারা যায়।

এবিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাওহীদুল ইসলাম জানান, রাতেই নিহত মর্জিনার মা গোলাপি বেগম বাদী হয়ে জামাই শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে  নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত  জামাই শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেন। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



কালিয়াকৈরে বিশ্ব মা দিবস পালিত

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৫২জন দেখেছেন

Image

সাগরআহম্মেদ,কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধি:“শেখ হাসিনার বারতা নারী-পুরুষ সমতা” এ শ্লোগানকে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিশ্ব মা দিবস পালিত হয়েছে। রোববার দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ও উপজেলা মহলিা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে এ দিবসটি পালন করা হয়। বিশ্ব মা দিবস উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা হলরুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রজত বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সানজিদা মজুমদারের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন-উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস  চেয়ারম্যান জায়েদা নাসরিন,উপজেলা যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা রহমত উল্লাহ,

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস এম সমীহ,  কালিয়াকৈর মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমারত হোসেন, সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম,মায়েদের পক্ষ থেকে তানিয়া আক্তার, সীমারানি সরকার সহ আরো অনেকে। সভায় বক্তারা বলেন,মা হচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভালবাসার স্থান, মা হচ্ছে একাধারে শিক্ষক ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার। মা হচ্ছে বটো বৃক্ষের মতো, মা হচ্ছে সন্তানদের ভালবাসার শেষ আশ্রয়স্থল।এ সময় সকল মায়ের প্রতি ভালোবাসা শ্রদ্ধা রাখার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।



আরও খবর