Logo
আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

এনজিও সংস্থা"হোপ ফাউন্ডেশন"র অভ্যন্তরে দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৪২৮জন দেখেছেন

Image

 মোঃআমান উল্লাহ, কক্সবাজার; কক্সবাজারে “হোপ ফাউন্ডেশন” নামক এনজিও সংস্থাটি স্বাস্থ্য খাতে ভূমিকা  রাখার পাশাপাশি দূর্নীতির শীর্ষ পর্যায়ে অবস্থান করছে।সংস্থাটির বিষয়ে অনুসন্ধান করতে  গিয়ে এমনই ভয়ংকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

এ সংস্থাটি কক্সবাজার জেলায় গত ৭ বছরে ধরে রোহিঙ্গা আসার পর থেকে ব্যাপক ভাবে কাজ শুরু করে । রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক হাসপাতাল গড়ে তুলে বিদেশী দাতা গোষ্ঠীর কাছ থেকে প্রাপ্ত অনুদান আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে । সংস্থার কর্ম পরিধি বাড়ানোর পাশাপাশি শীর্ষ স্থানীয় কর্তা ব্যক্তিরা শুরু করে নিয়োগ বাণিজ্য সহ, ঔষধ পত্র ও অন্যান্য সামগ্রী কেনার নামে লুটপাট।

সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর জাহিদুজ্জামানের বাড়ী সিরাজগঞ্জ হওয়ায় ঐ এলাকা থেকে লোকজন এনে নিয়োগ দেয়া হয় প্রতিষ্টানটির বিভিন্ন স্থরে।অথচ সরকারী প্রজ্ঞাপনে সরাসরি উল্লেখ ছিলো রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ অত্র এলাকায় স্থানীয়দের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর জাহিদুজ্জামান এসবের  বিন্দুমাত্র কর্নপাত না করে রাষ্ট্রীয় নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজ এলাকা  সিরাজগঞ্জ থেকে লোক এনে নিয়োগ দিচ্ছে ।

এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বয়ং তার কাজের বুয়াও বাদ পড়েনি। লোক দেখানো স্থানীয়দের চাকরীর নামে নিম্ন লেভেলের পোস্ট আর সিরাজগঞ্জের লোকদের উচ্চ পর্যায়ের এসি রুমের চেয়ারে বসানো পোস্ট। সেখানেই স্পষ্ট হয় যে এলাকাসহ অন্য অঞ্চলের এসব লোক নিয়োগের ক্ষেত্রে মোটা অংকের উৎকোচ নেয়ার দৃশ্য। এসব নিয়ে স্থানীয়রা প্রশ্ন তুললে চাকরী হতে ছাঁটাই ও বিভিন্ন হুমকিও দেন এমন অভিযোগও এসেছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

বিশ্বস্থ সুত্রে জানা গেছে,জাহিদুজ্জামানের  নিজস্ব  সিন্ডিকেটের সদস্যদের মধ্যে রয়েছে হোপ ফাউন্ডেশনের আয়া থেকে শুরু করে একাউন্টেন্ট এমনকি সিনিয়র অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী । তার বিশ্বস্থ কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত এই সিন্ডিকেটের সাহায্যে তিনি নিয়োগ বাণিজ্য, ঔষধ ও মালামাল ক্রয়ের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা  আত্মসাৎ করে আসছে। মধুরছড়া হাসপাতালে ওষুধ ফ্রি দেওয়ার কথা থাকলেও রোগীরা পর্যাপ্ত ওষুধ না পেয়ে বাহির থেকে কিনে সেবন করে থাকেন। সচেতন মহলের প্রশ্ন হচ্ছে,মধুরছড়া হাসপাতালে এত ওষুধ কিনার বিল ভাউচার কেন হয় যদি হাসপাতালে ওষুধ না থাকে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো হোপ ফাউন্ডেশনের হিসাব বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা আরিফের সহযোগিতায় সংস্থায় কর্মরত কর্মচারীদের ৩/৪ মাসের বেতন ভাতা না দিয়ে তা ব্যাংকে জমা রেখে ঐ টাকার একটি লভ্যাংশ ব্যাংক থেকে নিয়ে নিজেই আত্মসাৎ করছে । শুধু তাই নয়, দাতা সংস্থা ইউএনএফপি'র দেয়া মোটা অংকের ডোনেশনের টাকার যে পরিমাণ বেতন কর্মচারীদের জন্য এনজিও কতৃক ধার্য করা তার অর্ধেক বেতন ও কর্মচারীদের না দিয়ে তা থেকেও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে  সংস্থার কান্ট্রি ডিরেক্টর ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে।

ভুয়া,বিল ভাউচার, কর্মচারীর বেতনের কাগজপত্রসহ প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে রয়েছে চরম দূর্নীতির অভিযোগ। অভিযোগে জানা গেছে, একজন ৩৫ হাজার টাকার বেতন ভুক্ত কর্মচারীর বেতন ২০ হাজার টাকা দিয়ে দাতা সংস্থার কাছে দেখানো হয় তার নামে ৩৫ হাজার টাকা বেতন দেয়ার কাগজ। শুধু এসব নয় তার পুরো সিন্ডিকেট গ্রুপ দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে হোপ ফাউন্ডেশনের সমস্ত কার্যক্রম। সংস্থার মালামাল ক্রয় সংক্রান্ত দূর্নীতির ও অভিযোগ রয়েছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। স্বগোত্রীয় কর্মচারী ছাড়া একটি টাকার মালামাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে ছাড় দেননা তিনি। হোপ ফাউন্ডেশনের মালামাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে তিনি তার একনিষ্ঠ ঢাকা ভিত্তিক একটি কোম্পানি BLBE MART ছাড়া কোন কোম্পানির কাছ থেকে কোন প্রকার মালামাল ক্রয় করেন না।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, এই কোম্পানীর কাছ থেকে তিনি মোটা অংকের কমিশনের মাধ্যমে খুবই নিন্মমানের মালামাল ক্রয় করেন।এদিকে সরকার কতৃক বিদেশী বিভিন্ন দাতা সংস্থা প্রদত্ত অর্থের অর্ধেক হোষ্ট কমিউনিটির জন্য বরাদ্ধ দেয়ার কথা থাকলেও চরম দূর্যোগে ও স্থানীয়দের একটি টাকার ও সহায়তা দেয়নি সংস্থাটি। বরঞ্চ সরকারের এসব নীতিমালার প্রতি সম্পুর্ন বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন পূর্বক এসব টাকা দিয়ে কক্সবাজারের চেইন্দাতে গড়ে তোলা হয়েছে মা ও শিশু হাসপাতাল সহ ফিষ্টুলা সেন্টার নামে সুউচ্চ ব্যক্তিগত সম্পদ। এতে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়ার কথা থাকলেও প্রতিটি চিকিৎসার ক্ষেত্রে রোগীদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে মোটা অংকের টাকা। 

সামগ্রীক বিষয়াদি নিয়ে হোপ ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর জাহিদুজ্জামান জানান, এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমি ৫ বছর যাবৎ এই সংস্থায় সফল হতে পেরে আমার বিরুদ্ধে কে বা কারা এসব ভুয়া তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।তিনি আরো জানান , কক্সবাজার চেইন্দা যে ফিষ্টুলা সেন্টার রয়েছে সেটি হোপ ফাউন্ডেশনের দাতা সংস্থার টাকায় নয়, এটি সম্পূর্ণ ব্যাক্তি মালিকানাধীন। সেখানে সমর্থ অনুযায়ী রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়। 



আরও খবর



নিরাপদ সড়কের দাবীতে পঞ্চম শ্রেণী শিক্ষার্থী'র অবস্থান কর্মসূচি

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৩জন দেখেছেন

Image
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:নওগাঁ শহরের ব্রিজ মোড়ে পঞ্চম শ্রেণী শিক্ষার্থী ফাতেমা আফরিন ছোঁয়া কালো কাপড়ে চোখ বেঁধে প্লেকার্ড হাতে সড়ক নিরাপদ চাই বাঁচার মত বাঁচতে চাই এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রবিবার সকাল দশটায় সড়কে অবস্থান কর্মসূচি করেন। 

এ সময় ফাতেমা আফরিন ছোঁয়া বলেন, আমরা যখন যানবাহনে চড়ি আমাদের নিরাপত্তা নাই, বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর জন্য সড়কে ঘটে দুর্ঘটনা। এতে প্রাণ যায় সাধারণ যাত্রীদের। তাই সড়কে আইন শৃঙ্খলার পাশাপাশি নিরাপদ সড়কের দাবিতে আজকে আমি রাস্তায়, আমি বিস্বাস করি সঠিক ট্রাফিক আইন প্রয়োগ ও সবাই সচেতন হলে নিরাপদ সড়ক পাবো। দুর্ঘটনায় কারো প্রাণ আর ঝরে যাবে না। 

আরও খবর



মেহেরপুর- কুষ্টিয়া জরাজীর্ণ সড়কের সংস্কার কাজ চলছে পুরোদমে

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্থ করণ ও সংস্কার কাজ চলছে পুরোদমে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) গাংনী উপজেলার পোড়াপাড়া অংশে পাথর-বিটুমিনের আস্তরণ দেওয়া শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের জরাজীর্ণ সড়কটি পেতে যাচ্ছে এক নতুন রুপ। এছাড়াও জনপ্রশাসন মন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় সদর উপজেলার একটি বড় অংশ ফোরলেনে রুপান্তরিত হতে যাচ্ছে। পর্যায়ক্রমে মেহেরপুর থেকে কুষ্টিয়ার ত্রিমোহনী পর্যন্ত পুরো সড়কটি ফোরলেনে উত্তীর্ণ হবে বলে আশার কথা জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) তত্ত্বাবধানে মেহেরপুরের মের্সাস জহিরুল লিঃ এ সড়কের তিনটি প্যাকেজ বাস্তবায়ন করছে। মেহেরপুর কলেজ মোড় থেকে গাংনী উপজেলার তেরাইল কলেজ পর্যন্ত এ তিনটি প্যাকেজের কাজ পুরোদমে চলমান। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জরাজীর্ণ গাড়াডোব থেকে বাঁশবাড়ীয়া পর্যন্ত অংশে বিটুমিন ও পাথরের আস্তরণ দেওয়া শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে।

জানা গেছে, সড়ক নির্মান ও সংস্কারের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন করছে মেসার্স জহিরুল লিঃ। আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে বিটুমিন ও পাথরের মিশ্রণ এবং যন্ত্রের মাধ্যমেই নির্মান করা হচ্ছে সড়ক। যার ফলে দ্রুত সম্পন্ন হচ্ছে সড়ক সংস্কার কাজ।

সংস্কারকাজ তদারকিকালে মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারি প্রকৌশলী শাহীন মিয়া বলেন, ‘বেজ কোর্সের কাজ চলমান আছে। এ কাজটি আমরা দুই লেয়ারে করে থাকি। যার থিকনেছ ১১০ মিলিমিটার। এ কারণে এটি দুই লেয়ারে করতে হবে’।

ঈদে ঘরমুখো মানুষের চলাচল নির্বিঘœ করতে সবচেয়ে বেশি জরাজীর্ণ অংশের কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্পন্ন করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘মেহেরপুর কলেজ মোড় থেকে কুষ্টিয়া ত্রিমোহনী পর্যন্ত চলমান এ সংস্কার কাজের মেহেরপুর জেলার অংশ প্রায় ৩০ কিলোমিটার। যার মধ্যে তিনটি প্যাকেজের কাজ পূর্ণগতিতে চলমান। কাজের গুণগত মান যথেষ্ট ভাল আছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন বলে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি’।

জানা গেছে, গাড়াডোব থেকে বাঁশবাড়ীয়া পর্যন্ত অংশের কাজের প্রথমে বিদ্যমান কার্পেটিং তুলে ফেলা হয়। সেখানে বেজ ওয়ান হিসেবে পাথর আর বালুর মিশ্রণ দিয়ে রুলার করা হয়েছে। এর পরে বেজ কোর্সের কাজ হিসেবে বিটুমিন আর পাথর দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে এর উপরে আরও একবার চুড়ান্তরুপে পাথর আর বিটুমিনের আস্তরণ দেওয়া হবে। এদিকে রাস্তা সংস্কার কাজ দ্রুত চলমান থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এ সড়কে চলচলকারীরা।

ছোট বড় কয়েকটি যানবাহন চালক এ প্রসঙ্গে বলেন, সড়কটিতে যানবাহন চালাতে গিয়ে বেশ ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। তাছাড়া খানা খন্দে ভরা সড়কটি এক প্রকার দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা হিসেবেই চিহ্নিত ছিল। সংস্কার কাজের মাধ্যমে রাস্তা যেমনি প্রশস্থ হচ্ছে তেমনি কয়েক লেয়ারে পাথর ও বিটুমিনের আস্তরণে চলাচল হচ্ছে নির্বিঘœ। যা পথচারীদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে।

এদিকে মেহেরপুর কলেজ মোড় থেকে আলমপুর ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকা ফোরলেনে উত্তীর্ণ হচ্ছে। বিদ্যমান প্রকল্পে কলেজ মোড় থেকে গাংনীর দিকে প্রায় এক কিলোমিটার ফোরলেন ছিল। এছাড়াও গাংনী শহরে প্রায় চার কিমি এবং বামন্দী বাজারে প্রায় এক কিমি ফোরলেন রয়েছে। পরবর্তীতে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সদর উপজেলার পুরো অংশ ফোরলেনের অনুমোদন হয়েছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে, জনপ্রশাসনমন্ত্রীর ডিও লেটারে এ অভাবনীয় কাজটি অনুমোদিত হয়েছে। শিঘ্রই এর নতুন টেন্ডার হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফোরলেনের কাজটি শুরু হবে। তবে পর্যায়ক্রমে মেহেরপুর থেকে কুষ্টিয়ার ত্রিমোহনী পর্যন্ত পুরো সড়কটি ফোরলেনে উত্তীর্ণ হবে বলে আশার কথা জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।


আরও খবর



সাজেকে ড্রাম ট্রাক খাদে, নিহত বেড়ে ১০

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

রাঙামাটি প্রতিনিধি:নিহতের সংখ্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ জনে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে ড্রাম ট্রাক খাদে পড়ার ঘটনায়। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উদয়পুরের ৯০ ডিগ্রি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বাঘাইছড়ি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আব্দুল আওয়াল চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সুপার জানান, ঘটনাস্থলে ৫ জন মারা যান। হাসপাতালে আনার পর আরও ৫ জন মারা গেছেন। সর্বমোট এখন পর্যন্ত ১০ জন মারা গেছেন। আহত অবস্থায় খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরও ৬ জন।

আহতরা হলেন- কুড়িগ্রামের রৌমারি উপজেলার আবজাল মিয়ার ছেলে মো. লালন মিয়া (১৮), ময়মনসিংহের শ্রীপুর উপজেলার আবুল হাসেমের ছেলে মো. লালন (২৭), গাজীপুরের আহির উদ্দিনের ছেলে সামিউল উদ্দিন (১৯), মো. আহির উদ্দিন (৪০), ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার আব্দুল জব্বারের ছেলে জাহিদ হাসান (২৪) ও ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মকবুল হোসেনের ছেলে মোবারক হোসেন (৩২)।

এদিকে, খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে নিহত ৫ জনের মরদেহ রয়েছে। বাকী ৫টি মরদেহ সাজেক থানায় রয়েছে। আজ সকালে তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি হাসপাতালে আনার কথা রয়েছে।

জানা যায়, তারা উদয়পুর বাঘাইছড়ি সীমান্ত সড়কের ১৭ কিলোমিটার নামক স্থানে হারিজাপাড়া সেতু নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ছিল। তাদের কাজ শেষ হওয়ার কারণে বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে কর্মস্থল থেকে ফিরছিলেন। গাড়িতে মোট ১৫ জন ছিলেন, যার মধ্যে থেকে ৫ শ্রমিক ঘটনাস্থলে মারা যায়, বাকীরা আহত হন। আহত ও নিহত শ্রমিকদের আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে আরও ৫ শ্রমিক মারা যান এবং ৬ জন শ্রমিক চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার জানান, সাজেকের উদয়পুর সীমান্ত সড়কে শ্রমিকবাহী ট্রাক দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জন মারা গেছেন। আহতদের চিকিৎসা চলছে।


আরও খবর



দোয়ারাবাজারের এক কিশোরী ধর্ষন ক‌রে গুম করার অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১০২জন দেখেছেন

Image

র‌নি ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতি‌নি‌ধি:সুনামগ‌ঞ্জের দোয়ারাবাজারে এক কিশোরী ধর্ষনের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগের ঘটনায় জেলাজু‌ড়েই ব‌্যাপক তোলপাড় সৃ‌ষ্টি হ‌য়ে‌ছে।  এ ঘটনায় জনম‌নে নানা প্রশ্ন দেখা দি‌য়ে‌ছে।

কি‌শোরী নিযাত‌নের ঘটনার ছয় দিন অতিবাহিত হলেও এখ‌নো কি‌শোরী সন্ধান মিলছে না ব‌লে এলাকাবাসীর অ‌ভি‌যোগ ক‌রে‌ছেন।  গত ১১ এপ্রিল রাতে দোয়ারবাজার উপ‌জেলার বাংলাবাজার ইউপির মৌলার পাড় আপনের টিলা নি‌য়ে পালাত্রু‌মে  কি‌শোরী্র উপর অমানবিক নিয়া‌ত‌নের ঘটনা ঘ‌টে।

এলাবাসীর সুত্রে জানা যায় ১০ এপ্রিল সন্ধ্যায় তার  বাড়ি থেকে রাগ করে বের হয়ে বাঘমাড়া বাজারে
চ‌লে যায়। প‌রে কি‌শোরী‌কে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য কালামের বাড়িতে নিয়ে যান।  সেখানে কালাম মেম্বার কিশোরীর ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে এ সময়  কিশোরী জানায় তার বাড়ি বাঁশতলা শহীদ মিনার কলোনীর মৃত- সাইফুল ইসলামের কন‌্যা ।

তখন কালাম মেম্বারের পাশে বাড়ির ছেলে আব্দুল কুদ্দুছ ওরফে মটোকে মোবাইল ফোনে মেয়ের বিষয়টি অবগত ক‌রেন।

আব্দুল কুদ্দুছ ঐ কিশোরীর পরিচয় নিশ্চিত করে   ১১ এপ্রিল কিশোরীকে আব্দুল কুদ্দুছের মাধ্যমে তার বাড়িতে পৌছি‌য়ে দেয়ার দায়িত্ব দেন ইউপি সদস্য।

আব্দুল কুদ্দুছ এ কিশোরীকে বাড়ি না দি‌য়ে এলাকার কুখ‌্যাত চোরাকারবা‌রি বখাটে জনৈক জুটনের কাছে তো‌লে দেন।

এরপর জুটন মেয়েটাকে তার বা‌ড়ি না দি‌য়ে  মৌলারপাড়স্ত আপনের টিলার উপরে নি‌য়ে জোরপু্বক ঐ কিশোরীকে সন্ধ্যা থেকে রাত ভর পালাত্রু‌মে ধর্ষন ক‌রেন জুটন সহ তার দুই সহযোগিরা।

সেখান থেকে রাত ৩টার দিকে  মেয়েটা পালিয়ে পুনরায় সা‌বেক কালাম মেম্বার বাড়িতে এসে অবস্থান নেন।  এরপর কালাম মেম্বারেকে তার স‌ঙ্গে সব কিছু খুলে বলেন কি‌শোরী। তাৎক্ষনিক সা‌বেক কালাম মেম্বার স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের খবর দিলে সে কয়েকজন সংবাদ কর্মী সেখানে উপস্থিত হয়ে এ কিশোরীর জবানবন্দী রেকর্ড করেছি‌লেন।

পরে তাদের মাধ‌্যমে দোয়ারবাজার থানায় নিয়ে যান। থানায় যাওয়ার পর আসামির পক্ষ নেন পু‌লিশ।  থানার ও‌সির স‌ঙ্গে আসামী‌দের বড় অংকের টাকার বি‌নিময় রফা দফার মাধ‌্যমেই অ‌লি‌খিত চু‌ক্তি হয়। পু‌লিশ ঘটনা‌টি চাপা দি‌য়ে নিযা‌তিত কি‌শোরীকে ভয়‌ দে‌খি‌য়ে তার চাচার জিন্মায় দেয়া হয়। এরপর থেকে ঐ ধর্ষিতা কি‌শোরীকে আড়াল করে রাখা হচ্ছে। এলাকাাসীর ধারনা করা হচ্ছে বড় অংকের টাকার বিনিময়ে বিষয়টি থানায় পু‌লিশ ধামাচাপা দেয়ার অ‌ভি‌যোগ ক‌রেন। ধর্ষনের মত এ ঘটনার অভিযোগ পাওয়ার পর তাকে ডাক্তারী পরিক্ষা নিরিক্ষা ছাড়া মা বাবা বিহিন অসহায় কিশোরীকে গুম করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ ক‌রেন এলাকাবাসী লোকজন।

এব‌্যাপা‌রে ছাতক দোয়ারবাজার সা‌কেল সহকা‌রি পু‌লিশ সুপার রণজয় চন্দ্র মল্লিক, জানান,এঘটনার খোজ খবর নি‌য়ে ভিকটিম উদ্ধার ক‌রে আইনানুগত ব‌্যবস্থা নেয়া হ‌বে।


আরও খবর



কুষ্টিয়া দূর্বাচারা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও পুষ্পস্তবক অর্পণ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৯জন দেখেছেন

Image
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। স্বাধীন বাংলাদেশ ৫৪ বছরে পা দিলো। ১৯৭১ সালের এই দিনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সংগ্রামী বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতা অর্জন করে। সকাল ৯ঃ০০ ঘটিকার সময় কুষ্টিয়া দূর্বাচারা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্নে শহীদ মুক্তি যোদ্ধাদের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার পার্থ প্রতিম শীল, বীর মুক্তিযোদ্ধাগন মোশাররফ হোসেন, শাসছদ্দিন, ইউসুফ, মোকাদ্দেস হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান হামিদুর রহমান,সাবেক চেয়ারম্যান সাবু বীন ইসলাম সাবু , মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কুষ্টিয়া শাখার সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ হাবিবুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক শেখ সুভীন আক্তার। 
 আরও উপস্থিত ছিলেন ১০ নং উজানগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছানোয়ার হোসেন মোল্লা, দূর্বাচারা বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বি়ল্লাল হোসেন ও ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মামুনূর রহমান।
 
এসময় জাতীয় সংগীতের সংগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পার্থ প্রতিম শীল ,শিক্ষা অফিসার শামীম আহম্মেদ ও ছানোয়ার হোসেন মোল্লা। বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের পতাকা উত্তোলন করেন ,উপস্হিত সকল  বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পরে  পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ও মহান আল্লাহ তায়ালা কাছে সকল শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দোয়া কামনা করে অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

আরও খবর